Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

যেসব কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: কোরআন মানুষকে ভালো কাজের আদেশ করেছে। অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সফলতার পথ দেখিয়েছে, ব্যর্থতার পথ বলে দিয়েছে। মানুষ কীভাবে চলবে, কীভাবে জীবনযাপন করবে তারও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে। জীবনে চলতে গিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করা বা দুঃখ বা কষ্ট পেলে নিজের বুকে-মুখে আঘাত করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যের সম্পদ জবরদখল করতে নিষেধ করেছে। বৈধতার সঙ্গে ব্যবসা করার আদেশ করেছে। খুনখারাবি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। কেবল তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা কোরো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু।’ (সুরা নিসা, আয়াত ২৯) মদপান ও জুয়া খেলা ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এগুলো সম্পর্কে মানুষকে কোরআন সতর্ক করেছে। মদ খাওয়াকে নিষেধ করেছে। জুয়া থেকে বিরত থাকার আদেশ করেছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘হে ইমানদারগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর- এসবই ঘৃণ্য শয়তানি কার্যকলাপ। এগুলো থেকে দূরে থাকো, আশা করা যায় তোমরা সফলতা লাভ করবে।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত ৯০) সুদ ইসলামে নিষিদ্ধ। কোরআন সুদি লেনদেন থেকে বিরত থাকতে আদেশ করেছে। কারণ সুদের মাধ্যমে মূলত সমাজে দরিদ্র বাড়ে। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘কিন্তু যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এ অবস্থায় উপনীত হওয়ার কারণ হচ্ছে, তারা বলে ব্যবসা তো সুদেরই মতো। অথচ আল্লাহ ব্যবসা হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এ নসিহত পৌঁছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরি থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তা তো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে। আর এ নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এ কাজ করে, সে জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে সে থাকবে চিরকাল।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ২৭৫) যে-কোনো পশু জবাই করার সময় মানুষকে কোরআন আল্লাহর নাম উচ্চারণের নির্দেশ দিয়েছে। আর যদি আল্লাহর নাম না নিয়ে পশু জবাই করা হয়; সেটাকে হারাম বলেছে। এমন পশু খেতে নিষেধ করেছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘যেসব জন্তুর ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ কোরো না; এ ভক্ষণ করা গুনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদের প্রত্যাদেশ করে; যেন তারা তোমাদের সঙ্গে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরিক হয়ে যাবে।’ (সুরা আনয়াম, আয়াত ১২১)


আরও খবর



‘এলেনর দ্য গ্রেট’ নিয়ে কান উৎসবে স্কারলেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

স্কারলেট জোহানসনের প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘এলেনর দ্য গ্রেট’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। উৎসবের ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগে প্রদর্শিত ছবিটি দেখে পাঁচ মিনিট করতালিতে উষ্ণ অভিবাদন জানান হলভর্তি অতিথিরা। যা জোহানসনের জন্য এক স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন কিংবদন্তী জুন স্কুইব, চিউয়েটেল ইজিওফর ও এরিন কেলিম্যান। প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের উচ্ছ্বসিত অভিব্যক্তির মাঝে স্কারলেট জোহানসন মঞ্চে এসে জুন স্কুইবকে আলিঙ্গন করেন। পরে তিনি স্কুইবকে ‘অসাধারণভাবে অনুপ্রেরণাদায়ী’ বলে উল্লেখ করেন। ‘এলেনর দ্য গ্রেট’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন ৯৪ বছর বয়সী এলেনর মরগেনস্টিন, যিনি ব্যক্তিগত গভীর শোকের পর এক গল্প বলতে শুরু করেন, যা ধীরে ধীরে বিপজ্জনক বাস্তবতার রূপ নেয়। চরিত্রটি রূপায়ণ করেছেন জুন স্কুইব, যিনি তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আগে জোহানসন বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা আমার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো। এটি বন্ধুত্ব, শোক এবং ক্ষমা করে দেওয়ার গল্প। সিনেমায় যে অনুভূতি দেখানো হয়েছে তা আজকের দিনে বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এটি একটি স্বাধীন চলচ্চিত্র এবং এতে জড়িত সবাই শুধুমাত্র স্ক্রিপ্টের প্রেমে পড়ে কাজ করেছেন। এটা কারও অর্থ উপার্জনের জন্য করা হয়নি।’ এরিন কেলিম্যান সম্পর্কে জোহানসন বলেন, ‘সে একেবারে আবিষ্কারের মতো। আমি খুবই রোমাঞ্চিত যে বিশ্ব এখন ওকে চিনতে পারবে।’ উৎসবে জোহানসনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার এজেন্ট ও সিএএ-র সিইও ব্রায়ান লর্ড, অস্কারজয়ী অভিনেতা অ্যাড্রিয়ান ব্রোডি এবং তার সঙ্গী জর্জিনা চ্যাপম্যানসহ আরও অনেকে। এছাড়াও জোহানসন এ বছর কান-এ আরও একটি আলোচিত ছবি, ওয়েস অ্যান্ডারসনের ‘দ্য ফিনিশিয়ান স্কিম’-এ অভিনয় করেছেন। আগেও তিনি ২০০৫ সালে ‘ম্যাচ পয়েন্ট’, ২০০৮ সালে ‘ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা’, এবং ২০২৩ সালে ‘অ্যাস্টেরয়েড সিটি’ ছবির জন্য কানে এসেছেন।


আরও খবর



সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে ভেসে যাচ্ছিল হরিণ শাবক

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু 

স্টাফ রিপোর্টার 

ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে পূর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে তীব্র জলোচ্ছ্বাস। এতে বনাঞ্চলের বন্যপ্রাণীরাও পড়েছে চরম বিপদের মুখে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে ) সকাল ৯টার দিকে সুন্দরবনের শেলারচর টহলফাঁড়ি এলাকায় একটি হরিণের শাবক পানির স্রোতে ভেসে যেতে থাকে। তবে বন বিভাগের তৎপরতায় শাবকটি প্রাণে বেঁচে যায়। বন বিভাগের টহলরত কর্মীরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বনাঞ্চলের ভেতর থেকে একটি হরিণ শাবক ভেসে গিয়ে সাগরের দিকে চলে যাচ্ছিল। ঘটনাটি চোখে পড়ামাত্রই বনকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে নামেন। জীবন ঝুঁকি নিয়ে চালানো এই অভিযানে তারা শাবকটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে শাবকটিকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে সুন্দরবনের একটি নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়। বন কর্মকর্তা মোমিন শরীফ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনের প্রাণীরা চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। এই সময় আমাদের দায়িত্ব শুধু বন রক্ষা নয়, প্রতিটি প্রাণীর জীবন সুরক্ষা নিশ্চিত করাও। আমাদের কর্মীরা সেই দায়িত্ব দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে পালন করছেন। উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণকারী বনকর্মীদের এই মানবিক উদ্যোগ ও সাহসিকতা স্থানীয়দের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে।


আরও খবর



গাইবান্ধা স্টেশন মাস্টারকে মারপিটে যুবক স্ত্রীসহ গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | ১৪জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর  রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রী মহিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার। আনোয়ারুল হক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে গেলে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম ও এক যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মের নিচে রেললাইনের উপর ট্রেনের পাশে এক যুবক ও স্টেশন মাস্টার একে অপরকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। এসময় ওই যুবকের স্ত্রীও সেখানে এগিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে এমন মারধরের ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি স্টেশনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে ঘটলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেননি। স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে পুলিশের গায়ে পোশাক থাকলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। একজন সরকারি কর্মকর্তার সাথে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে জানান, ঘটনার পর স্টেশন মাস্টার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রীকে বগুড়া-সান্তাহার রুটে চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাদেরকে গাইবান্ধা আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।



আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটরের মডেল নির্ধারণ করে দিল বোর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৩জন দেখেছেন

Image

আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় হলে নির্ধারিত ৭টি মডেলের সায়েন্টিফিক নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি সাধারণ ক্যালকুলেটরও ব্যবহার করতে পারবে। ক্যালকুলেটরের নির্দিষ্ট মডেল উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা কেন্দ্র সচিব ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

সোমবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরীক্ষায় নির্ধারিত ৭টি মডেলের সায়েন্টিফিক নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটগুলো হলো-এফএক্স-১০০এমএস, এফএক্স-৯৯১ইএ, এফএক্স-৫৭০এমএস, এফএক্স-৮২এমএস, এফএক্স-৯৯১ইএক্স, এফএক্স-৯৯১এমএস এবং এফএক্স-৯৯১ইএস প্লাস।

উল্লিখিত মডেলের ক্যালকুলেটর ছাড়াও শিক্ষার্থীরা সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।


আরও খবর



নওগাঁয় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | ২৩জন দেখেছেন

Image

কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বাসসকে বলেন, চামড়া দেশের সম্পদ। একটি চামড়াও নষ্ট হতে দেয়া হবে না। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এ বছর ৩ লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু কোরবানি  দেওয়া হয়েছে। যার সিংহভাগ গরু। এসব পশুর চামড়া থেকে জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা  তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর নওগাঁ জেলায় বিনামূল্যে ৭৪ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ লবণ বিতরণ করা হয়। চামড়া সংরক্ষণে সঠিক পরিমাণ লবণ ব্যবহার করে সহজেই চামড়া সংরক্ষণ করা যায়। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে না। এবার নওগাঁয় প্রকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। 

চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় গরুর চামড়ার দাম মিললেও মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। লাভের আশায় চামড়া কিনে এবারও লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের সম্পদ রক্ষার্থে প্রতি বছরের মত এ বছরও চামড়া সংগ্রহ করে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা । 

নওগাঁ শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা রহিদুল মিয়া বাসসকে বলেন, ‘১০টি ছাগলের চামড়া কিনে নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। মাত্র ৫০ টাকা দাম বলেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভ্যান ভাড়াই বা  দেব কীভাবে। ছাগলের চামড়ার দাম খুব কম। কেউ চামড়া নিতে চায় না।

পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও রানীনগর থেকে আসা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, এবার অনেক চামড়ায় ল্যাম্পি স্কিন রোগ থাকায়ও চামড়ার দাম কম।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে। এবার জেলায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার চামড়া কিনতে হয় না, তারা ফ্রিতে পেয়ে যান। আবার লবণও ফ্রি। এতে করে বেশ লাভবান হবেন তারা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সুবিধা চামড়া বাকিতে কিনতে হচ্ছে না এবং বাকিতে বিক্রিও করতে হচ্ছে না। এতে করে উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। সরকারের এই উদ্যোগটা খুব ভালো। প্রতি বছর এ ব্যবস্থা করলে দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না। বাকিতে বেচাকেনাও বন্ধ হবে।


আরও খবর