অনলাইন ডেস্ক: কোরআন মানুষকে ভালো কাজের আদেশ করেছে। অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সফলতার পথ দেখিয়েছে, ব্যর্থতার পথ বলে দিয়েছে। মানুষ কীভাবে চলবে, কীভাবে জীবনযাপন করবে তারও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে। জীবনে চলতে গিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করা বা দুঃখ বা কষ্ট পেলে নিজের বুকে-মুখে আঘাত করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যের সম্পদ জবরদখল করতে নিষেধ করেছে। বৈধতার সঙ্গে ব্যবসা করার আদেশ করেছে। খুনখারাবি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। কেবল তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা কোরো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু।’ (সুরা নিসা, আয়াত ২৯) মদপান ও জুয়া খেলা ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এগুলো সম্পর্কে মানুষকে কোরআন সতর্ক করেছে। মদ খাওয়াকে নিষেধ করেছে। জুয়া থেকে বিরত থাকার আদেশ করেছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘হে ইমানদারগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর- এসবই ঘৃণ্য শয়তানি কার্যকলাপ। এগুলো থেকে দূরে থাকো, আশা করা যায় তোমরা সফলতা লাভ করবে।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত ৯০) সুদ ইসলামে নিষিদ্ধ। কোরআন সুদি লেনদেন থেকে বিরত থাকতে আদেশ করেছে। কারণ সুদের মাধ্যমে মূলত সমাজে দরিদ্র বাড়ে। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘কিন্তু যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এ অবস্থায় উপনীত হওয়ার কারণ হচ্ছে, তারা বলে ব্যবসা তো সুদেরই মতো। অথচ আল্লাহ ব্যবসা হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এ নসিহত পৌঁছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরি থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তা তো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে। আর এ নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এ কাজ করে, সে জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে সে থাকবে চিরকাল।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ২৭৫) যে-কোনো পশু জবাই করার সময় মানুষকে কোরআন আল্লাহর নাম উচ্চারণের নির্দেশ দিয়েছে। আর যদি আল্লাহর নাম না নিয়ে পশু জবাই করা হয়; সেটাকে হারাম বলেছে। এমন পশু খেতে নিষেধ করেছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘যেসব জন্তুর ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ কোরো না; এ ভক্ষণ করা গুনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদের প্রত্যাদেশ করে; যেন তারা তোমাদের সঙ্গে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরিক হয়ে যাবে।’ (সুরা আনয়াম, আয়াত ১২১)
যেসব কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য
বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪
ফিরে এসেই মেসির জোড়া গোল
চোট কাটিয়ে চেনা চেহারাতেই মাঠে ফিরলেন লিওনেল মেসি। আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে পথ দেখালেন দলকে। জোড়া গোল করার পাশাপাশি অবদান রাখলেন লুইস সুয়ারেসের গোলে। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামাল দিয়ে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে হারাল ইন্টার মায়ামি।মেজর লিগ সকারের ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে জেরার্দো মার্তিনোর দল।বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে হওয়া ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় ফিলাডেলফিয়া। পরে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেন মেসি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে সুয়ারেসের গোলে অবদান রাখেন তিনি। ১৪ গোলের পাশাপাশি আর্জেন্টাইন মহাতারকা অ্যাসিস্টও হলো ১৪টি।
এই জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও সংহত করেছে মায়ামি। ২৮ ম্যাচে ১৯ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে দলটির পয়েন্ট ৬২। দুই কনফারেন্স মিলিয়ে আর কোনো দল ৫২ পয়েন্টের বেশি পায়নি।মায়ামির টানা পঞ্চম ও সবশেষ ১০ ম্যাচে নবম জয়ে বড় অবদান আছে গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডারের। ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে সাতটি সেভ করেন তিনি।
গত ১৪ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলার সময় অ্যাঙ্কেলে চোট পান আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ২ মাসের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকা মহাতারকা ছিলেন না মায়ামির সবশেষ ৯ ম্যাচে। তাকে ছাড়াই সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ের লড়াইয়ে এগিয়ে আছে দল।মেসি ও ক্যালেন্ডারের নৈপুণ্যে পেরে না উঠলেও মাঠে দাপুটে ফুটবলই খেলে ফিলাডেলফিয়া। গোলের জন্য ২০টি শট নেয় তারা, লক্ষ্যে রাখতে পারে আটটি। এর বিপরীতে মায়ামির নয় শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
দি্বতীয় মিনিটে ফিলাডেলফিয়াকে এগিয়ে নেন মিকেল ওয়া। জবাব দিতে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। ২৬তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে সুয়ারেসের পাস পেয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসা খেলোয়াড়কে এড়িয়ে এগিয়ে যান মেসি। ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে খুঁজে নেন জাল।
চার মিনিট পর জর্দি আলবাকে বল বাড়িয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন মেসি। দীর্ঘ দিনের সতীর্থের ক্রস পেয়ে পেনাল্টির স্পটের কাছ থেকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে।দ্বিতীয়ার্ধে ফিলডেলফিয়ার প্রবল চাপ সামাল দেওয়া মায়ামি ব্যবধান বাড়ায় যোগ করা সময়ে। মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁকানো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন সুয়ারেস।
আসরে এটি তার ১৭তম গোল। কদিন আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকারের চেয়ে দুই গোল বেশি করে চূড়ায় আছেন ডিসি ইউনাইটেডের ক্রিস্টিয়ান বেনটেকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড়ো ব্যবধানে জয় পেলো ভারত
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
সন্ধ্যায় টি-টোয়েন্টিতে নামছে বাংলাদেশ-ভারত
রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪
জুলাই–আগস্ট মাসে পণ্য আমদানি কমেছে, ব্যয় বেড়েছে
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতে পণ্য আমদানি কমতে শুরু করেছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্য আমদানির পরিমাণ কমে গেছে। আবার জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে আমদানি কম হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের আমদানির পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার পর পণ্য আনতে দেশভেদে ১৫ দিন থেকে দুই মাসের মতো সময় লাগে। এর মধ্যে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে সময় লাগে কম। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র খোলার এক-দুই সপ্তাহের পণ্য হাতে পান ব্যবসায়ীরা। তবে ভারতের বাইরে অন্য দেশ থেকে পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার পর পণ্য হাতে পেতে দেশভেদে ৩০-৬০ দিন সময় লাগে।চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেন। এই পটপরিবর্তনের পর ঋণপত্র খোলা হয়েছে কম, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আগস্টে।এনবিআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ টন। সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমদানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে সোয়া ৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ৯৮ লাখ টনে।
পরিমাণের দিক থেকে আমদানি কমলেও আমদানি খরচ বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে যেসব পণ্য আমদানি হয়েছিল, তাতে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ১৯৯ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এই খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২২৮ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এই হিসাবে প্রচ্ছন্ন আমদানিও রয়েছে।
পণ্য আমদানি ও আমদানি ব্যয় সবচেয়ে বেশি কমেছে গত আগস্টে। ২০২৩ সালের আগস্টে ৬২০ কোটি ডলারের সমমূল্যের ১ কোটি ১৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছিল। এ বছর একই সময়ে ৬১২ কোটি ডলারের সমমূল্যের প্রায় ৯৩ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। সেই হিসাবে আগস্টে আমদানি পরিমাণে কমেছে ১৮ শতাংশ।অনিশ্চয়তার সময়ে ব্যবসায়ীরা ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেন। বিশেষ করে দেশে বিক্রি হয়, এমন পণ্যের চাহিদা কমে যায়। এতে আমদানি প্রতিস্থাপক কারখানার কাঁচামাল ও বাণিজ্যিক পণ্যের আমদানিও কমে।
তবে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানি হয় সাড়ে ৮ লাখ টন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে ৯ লাখ টন।পণ্য আমদানি বাড়লে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ে। বিশেষ করে কাঁচামাল আমদানি বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো দেশে শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া। যন্ত্রপাতি আমদানি বাড়লে বিনিয়োগ বাড়ে। এমনকি বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি বাড়লেও দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর আমদানি কমলে উৎপাদনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।
জানতে চাইলে প্রিমিয়ার সিমেন্ট ও সীকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পণ্য আমদানি কমার যে প্রবণতা রয়েছে, তা সাময়িক। এখন যেহেতু ব্যাংকসহ নানা খাতে সংস্কারকাজ চলছে, তাতে সামনে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক হবে।
আমিরুল হক আরও বলেন, অনিশ্চয়তার সময়ে নির্মাণ উপকরণের মতো উপাদানের আমদানি কিছুটা কমলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খুব একটা কমেনি। এতে এখনই কোনো পণ্য নিয়ে সংকটের শঙ্কা নেই।
চিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমানোর সুপারিশ
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ
রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশের এই টেস্ট দলকে সেরা বলে মনে করছেন হার্শা
বাংলাদেশ–ভারত সিরিজ নিয়ে আগ্রহ–উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে আরও আগে থেকেই। প্রতিদিনই দুই দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা এই সিরিজ নিয়ে কথা বলছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করায় এবার সাকিব–মুশফিকরা ভারতীয়দের কাছ থেকে বাড়তি সমীহ পাচ্ছেন।সমীহ করাদের সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন হার্শা ভোগলে। ভারতের জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার বাংলাদেশিদের কাছেও পরিচিত নাম। বাংলাদেশের খেলা নিয়ে প্রায়ই তিনি প্রশংসা করে থাকেন।
এবার রোহিত–কোহলিদের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখেও বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করেছেন হার্শা। ভারতকে ফেবারিট মানলেও নাজমুলের দল দারুণ লড়াই করে সিরিজ জমিয়ে তুলবে বলে আশা তাঁর।
গতকাল রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ৬৩ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার বলেছেন, ‘প্রথমত, ভারত আবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি খুব খুশি। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো তারা (বাংলাদেশ) এমন একটি দল, যাদের নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তাদের কিছু পুরোনো সফরের ওপর নির্ভর করতে হয়। ২০১০ সালের পর তারা ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া তাদের মাত্র একবার (টেস্ট খেলতে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাও ২০০৩ সালে এবং ডারউইনে (ও কেয়ার্নসে) খেলা হয়েছিল অসময়ে। আমি খুব খুশি যে ভারত এখানে দায়িত্ব নিয়েছে এবং ভারতের মাটিতে তাদের টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছে।’
দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সর্বশেষ ভারত সফরে গিয়েছিল প্রায় ৫ বছর আগে। ২০১৯ সালের সেই সফরেও তিনটি টি–টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সফরে প্রথম টি–টোয়েন্টি জিতলেও এরপর হেরেছে সব ম্যাচ। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি। মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন সেই দল দুই টেস্টেই হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে।
তবে এবারের বাংলাদেশ দলকে আগের চেয়ে অনেক ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে হার্শার। সে কারণেই তাঁর আশা সাকিব–মুশফিকরা সিরিজটা জমিয়ে তুলতে পারেন, ‘ভারত অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করবে। তবে বাংলাদেশের কাছ থেকে আমি কিছুটা লড়াই প্রত্যাশা করছি। কারণ, এর আগে (ভারত সফরে) তাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিনি। তারা যদি লড়াই করতে পারে, তাহলে চমৎকার একটি টেস্ট সিরিজ হবে।’
ভারতে এবার বাংলাদেশ কেন ভালো করতে পারে, সেই ব্যাখাও দিয়েছেন হার্শা, ‘দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। প্রথম কারণ, তাদের পেস আক্রমণ। নাহিদ রানা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বোলারদের একজন। সম্প্রতি সে কী করেছে, আমরা জানি। হাসান মাহমুদের বলেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভুগেছে। হতে পারে এখানে (ভারতে) এটাই তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ। সেও দেখাতে চাইবে, আমরা কেন তাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে থাকি।’
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে হার্শার বিশ্লেষণ, ‘তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকান, প্রথম ৮ জনের সবাই নিখাদ ব্যাটসম্যান। এদের মধ্যে দুজন স্বীকৃত উইকেটকিপার এবং দুজন পুরোদস্তুর স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার—একজন অবশ্যই সাকিব আল হাসান, অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে যতবারই দেখছি, সে শুধু উন্নতিই করে যাচ্ছে। লিটন দাস ও মিরাজকে দেখে আমার মনে এই অনুভূতি জন্মেছে যে তারা এখন অনেক বড় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওদের ৫ থেকে ৮ নম্বর পজিশন যদি দেখেন, মুশফিকুর রহিম–সাকিব আল হাসান–লিটন দাস–মেহেদী হাসান মিরাজ, তারা সবাই যেখানে ব্যাট করতে পারত সেখান থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করে। এটা একটা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও শক্তির নির্দেশক। তবে প্রথম চারজনের কাছ থেকে তাদের আরও রান পেতে হবে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড়ো ব্যবধানে জয় পেলো ভারত
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
সন্ধ্যায় টি-টোয়েন্টিতে নামছে বাংলাদেশ-ভারত
রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪
বুয়েটে চলছে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর আগে গতকাল মঙ্গলবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবিতে বুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আজ দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলমান রয়েছে। তবে আজ কোথাও কেউ অবস্থান নেননি। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারপর অভিযুক্তদের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে।
বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, অভিযুক্তদের তালিকা প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি করেছে, তারা কাজ করছে। যেহেতু তালিকাটা লম্বা, সেহেতু তাদের কাজ করতে একটু সময় লাগবে।
তদন্ত কমিটির দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ক্লাসে ফিরবেন কি ফিরবেন না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। এ সপ্তাহে যেহেতু আর কোনও ক্লাস নেই। সেজন্য আলোচনার ভিত্তিতে হয়তো শনিবার থেকে তারা ক্লাস পরীক্ষায় ফিরতে পারেন।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন
শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪
জবি ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের বাকি ৭ লাখ টাকা, দাবি পরিচালকের
বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪
মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
অনলাইন ডেস্ক : মোবাইল ফোন নিয়ে বর্ষাকালে প্রায়ই আমরা বিড়ম্বনা পড়ে থাকি। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে একটি হলো ফোন পানিতে পড়ে যাওয়া বা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া। এই সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি ঘটে বর্ষাকালে। একবার যদি ফোনটি পানিতে ভিজে যায় তাহলে সেটি পুনরায় ব্যবহারের সময় পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়।
দেখা দিতে পারে ফোনের নানা রকম অভ্যন্তরীণ ক্ষতি, ডিসপ্লে এবং টাচস্ক্রিন অকেজো হওয়ার মতো কোনো সমস্যা। এসব দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপে রক্ষা পেতে প্রিয় ফোনটি। ব্যাটারি ও সুক্ষ ইলেকট্রনিক সার্কিটের উপস্থিতির কারণে মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে বেশ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। তাই চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমতাবস্থায় কী কী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
যা করবেন
প্রথমে ফোনের ওপরটা মুছে নিন। পানিতে ডুবে মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গেলে তা অন হয় কি না পরীক্ষা করুন। চালু হলে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন আবার বন্ধ করে দিন। ভেতরে থাকা পানি শুকাতে একটি বাটিতে চাল নিয়ে তাতে ফোন সেটটি রাখুন। এতে চাল পানি শুষে নেবে। চালের বদলে ঘরে সিলিকার প্যাকেটেও মোবাইল ফোন রেখে দিতে পারেন। তাতেও পানি চলে যাবে। চাল বা সিলিকা যেটিই ব্যবহার করুন না কেন, একটানা ৩ দিন সেগুলোতে ফোন সেট রেখে দিন। না হলে সেটি পুরোপুরি শুকাবে না। ৩ দিন পর ফোন অন করুন। যদি অন না হয় তাহলে সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান।
যা করবেন নাভেজা অবস্থায় চার্জ দেবেন না। শুকানোর জন্য রোদে দেবেন না। পুরোপুরি না শুকিয়ে মোবাইল ফোন চালু বা চার্জ করবেন না।
গুগল ড্রাইভ খালি করার কৌশল
বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪
এবার দুরন্ত ফিচার্সের বাইক আনছে বিএমডব্লিউ
রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪