Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

ভুল অপারেশনে নবজাতকের মৃত্যু সহ প্রসূতির মূত্রথলি কেটে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

গাইবান্ধার সাঘাটায় বোনারপাড়াস্থ সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার ভুল অপারেশনে নবজাতক হত্যা,প্রসূতির মূত্রথলি কেটে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রতিকারের জন্য প্রসূতির পরিবার সিভিল সার্জনের নিকট এ অভিযোগ দায়ের করেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রসূতি উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের গোরের পাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম।
মোঃ কফিল উদ্দিন সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী মোছাঃ নাজমা বেগম (৩২) গত ১৮ মে প্রসব ব্যথা অনুভব হলে সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রায়হান সোবহান, ডাঃ রাশেদুনবী উপস্থিত থেকে গভীর রাতে নাজমাকে আলট্রাসোনোগ্রাম এবং কোনো পরীক্ষাছাড়াই অপারেশন করেন। অপারেশনের সময় গর্ভে নবজাত মারা যায় এবং নাজমার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পারদিন ভোরে ঘটনা বেগতিক দেখে হাসপাতালের কতব্যরত চিকিৎসকগণ প্রসূতি নাজমাকে দ্রুত বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাতে হবে, একথা বলে তারা নিজেরা এ্যাম্বুলেন্স ডেকে সেখান থেকে তড়িঘড়ি ভাবে প্রসূতিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিদায় করে দেন। কিন্তু বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কতব্যরত চিকিৎসক নাজমার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শদেন। কিন্তু টাকার অভাবে ঢাকায় নিতে না পেরে নাজমার স্বামী এলাকার একজন লোকের সহায়তায় নাজমাকে বগুড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। সেখানে পরিক্ষা করে সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতির মুত্রথলি কেটে বিচ্ছিন্ন করা সহ ভুল অপারেশনে রোগির মারাত্মক ক্ষতির বিষটি ধরাপড়ে। এঘটনায় সবুজবাংলা জেনারেল হাসপাতালের কতব্যরত চিকিৎসক সহ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাজমার বড় ভাই।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তদন্তে গেলে অভিযুক্ত হাসপাতাল কতৃপক্ষ ঘটনা স্বীকার করেন এবং প্রসূতি নাজমাকে ঢাকায় নিয়ে তাদের খরচে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করার আশ্বাস দেন। এতে নাজমার পরিবার থেমে যায় এবং তাদের কথামতো বগুড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াহনষ্টিক সেন্টার হতে নাজমাকে গত ২৪ মে ঢাকা উত্তরার নস্ট্রাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। সেখানে সময় সবুজবাংলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাশেদুনবী প্রথমে উপস্থিত থাকলেও ২/১ দিন খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তীতে তারা সটকে পড়েন। এদিকে সেখানে কতব্যরত চিকিৎসক জানান বিচ্ছন্ন মূত্রথলির অপারেশন ৩ মাস পরে করতে হবে এ কথা বলে প্রসূতি নাজমাকে অসুস্থ্য অবস্থায় সেখান থেকে ছুটি দিয়ে দিলে নাজমার অসহায় স্বামী বাড়ি থেকে সংসারের গরু-ছাগল হাঁস-মুরগী, জিনিপত্র বিক্রি ও ধারদেনা করে ক্লিনিকের অর্থ পরিশোধ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ভুল অপারেশনের বিষয়ে সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ রাশেদুন্নবীর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সন্তান প্রসূতির গর্ভে আগেই মারা গেছে। তবে অপারেশনের সময় মূত্রথলি কেটে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ,আমরা তা অপারেশনের জন্য খরচ বহন করতে চেয়েছি সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে। এতে রোগির লোকজন রাজি হয়নি। গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ কানিজ সাবিহার সাথে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে এখন হাসপাতালটি বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



শেষ যুগে যেভাবে চলতে বলেছেন নবীজি (সা.)

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সময় যত কেয়ামতের দিকে ঘনিয়ে যাবে, ততই ফিতনা বেড়ে যাবে। ঈমান ও ইসলামের ওপর টিকে থাকা তখন সবার পক্ষে সহজ হবে না। এমন কঠিন সময়ে হাদিসের নির্দেশনা হলো- নিজেকে নেক আমলে ব্যস্ত রাখা এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরের পরিবেশে না যাওয়া। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর চলমান ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। (মুসলিম : ৭১৩৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ফিতনার সময় ঈমানদারের করণীয় হলো- সর্বদা চুপ থাকা। এত পরিমাণ চুপ থাকা, যার কারণে কোনো ফিতনা তাকে আকৃষ্ট করতে না পারে। (আল ফিতান : ৭৩৫)। হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে তাকাবে, ফিতনা তাকে ঘিরে ধরবে। তখন কেউ যদি কোনো আশ্রয়ের জায়গা কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন আত্মরক্ষা করে। (বোখারি : ৭০৮১)

এ ছাড়া আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। হুজাইফা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষের ওপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মতো। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩৬৪৪৭)

অর্থাৎ নদীতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি যেভাবে বাঁচার আকুতি নিয়ে দোয়া করতে থাকে, সেভাবে দোয়া করা। পাশাপাশি নিজের নজরের হেফাজত করা। ফিতনার বিষয় সম্পর্কে জানতেও বের না হওয়া। ফিতনার দিকে দৃষ্টি বা উঁকি না দেওয়া। সবসময় সৎ কাজ আঁকড়ে ধরা, অসৎ কাজ পরিহার করা, সর্বসাধারণকে এড়িয়ে মুত্তাকিদের সঙ্গে চলাফেরা করা এবং পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করা ফিতনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন ফিতনা তীব্র আকার ধারণ করবে, তখন তোমরা সৎ কাজকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে, তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারণকে এড়িয়ে চলবে। (আল ফিতান : ৭২১)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ফিতনার যুগে কেউ যদি জান্নাতের উপযুক্ত হতে চায়, তার জন্য বিশেষ তিনটি করণীয় রয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, সেসময় নাজাতের উপায় কী? তিনি বললেন, নিজের জিহ্বা আয়ত্তে রাখবে, নিজের ঘরে পড়ে থাকবে এবং নিজের পাপের জন্য রোদন করবে। (মিশকাত : ৪৮৩৭)

সর্বযুগের অন্যতম বড় ফিতনা হচ্ছে নারীর ফিতনা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো নারীর ওপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বারবার দৃষ্টিপাত করো না; বরং দৃষ্টি অতিসত্বর ফিরিয়ে নিও। কারণ তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়। (মুসনাদে আহমদ : ১৩৬৯)। নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, পুরুষের জন্য নারী জাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোনো ফিত?না আমি রেখে যাইনি। (বোখারি : ৫০৯৬)

এ উম্মতের আরো একটি বড় ফিতনা হচ্ছে- ধন-সম্পদের ফিতনা, যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে মানুষকে গাফেল রাখে। হজরত কাব ইবনে ইয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোনো না কোনো ফিতনা ছিল। আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ। (তিরমিজি : ২৩৩৬)

ফিতনার যুগে গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, যা না থাকলে যেকোনো সময় ফিতনা গ্রাস করে ফেলতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা আঁকড়ে ধরে থাকো, তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (আত-তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৪০)

দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে করণীয় : পাপ সবসময় বর্জনীয়। পাপের চূড়ান্ত শাস্তি আখেরাতে হলেও অনেক সময় দুনিয়াতেও আল্লাহতায়ালা শাস্তি দিয়ে থাকেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জাতির মধ্যে আত্মসাৎ বৃদ্ধি পেলে সে জাতির লোকদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করা হয়। কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। কোনো সম্প্রদায়ের লোকরা পরিমাপ ও ওজনে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করা হয়। কোনো জাতির লোকরা অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করলে তাদের মধ্যে রক্তপাত বিস্তৃতি লাভ করে। কোনো জাতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর শত্রুদল চাপিয়ে দেন।’ (মুয়াত্তা মালেক : ১৩২৩)

আল্লাহর দেওয়া দুনিয়াবি শাস্তির ধরন নানারকম হয়ে থাকে। কারো অসুস্থতার মাধ্যমে, কাউকে অসহায়ত্বের মাধ্যমে, কারো আবার ঈমান হরণের মাধ্যমে। গুনাহের প্রথম শাস্তি হলো মানসিক অস্থিরতা। এরপর নানা আপদে পতিত হতে হয় পাপিকে।

প্রথম শাস্তি মানসিক অশান্তি বড় এক আপদ। এই আপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তওবা ও নেক আমল। এ ছাড়া প্রশান্তির কোনো উপায় নেই। এ মহা নেয়ামত আল্লাহতায়ালা তার রাসুলকে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, আমি কি আপনার অন্তর প্রশান্ত করিনি? (সুরা ইনশিরাহ : ১)

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কঠিন ফিতনার দিনে ঈমান ঠিক রাখার তাওফিক দান করুন। দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ আমল করারও তাওফিক দিন। আমিন।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




অবৈধ উপায়ে নিয়োগ ও পদোন্নতি কুয়েটের ৫ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

খুলনা প্রতিনিধি : অবৈধ উপায়ে নিয়োগ ও পদোন্নতি পাওয়ায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের (কুয়েট) ৫ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। 

গতকাল সোমবার রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে এই আদেশ জারি হয়। সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষকগণ হলেন, মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের প্রফেসর ড. মাসরুরা মোস্তফা, আইইএম বিভাগের প্রফেসর ড. সুব্রত তলাপাত্র, বিইসিএম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইকরামুল হক, ইএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিবিড় মন্ডল এবং মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহরিয়ার রোমান। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে নিয়োগ এবং পদোন্নতি পাওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, বরখাস্তকৃত শিক্ষকরা নিয়মিত অফিসে হাজিরা দেওয়া ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যকোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।


আরও খবর



পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে ইলেট্রিশিয়ানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সোহান প্রামানিক (২০) নামের এক ইলেকট্রিশিয়ানের গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত দশটায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বাঙালী শেড ব্র্যাকের বি-৩ কক্ষের ভিতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ার গাজী এন্টারপ্রাইজের হয়ে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ছিল। সে পাবনা সদর থানার বাহাদুরপুর এলাকার মধু প্রামানিকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহান গত ২০ নভেম্বর বাড়ি এসে কাজে যোগদান করে। গত দুইদিন ধরে সে অসুস্থ থাকায় বাঙালি সেডের ব্র্যাকে অবস্থান করছিল। গতকাল রাত নয়টার দিকে তার খালাতো ভাই অন্তর কাজ শেষে ওই ব্রাকে গিয়ে সোহানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় ওই  কক্ষের দরজা খোলা ছিলো। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি এখন নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জুয়েল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

আরও খবর



স্বর্ণসহ অভিনেত্রীর আটক নিয়ে ধোঁয়াশা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: বিনোদন জগতের ছোটপর্দার অভিনেত্রী অনামিকা জুথী দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় থেকে দূরে আছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিনেত্রীসহ দুই যাত্রীর কাছ থেকে ৭৩৩ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬৯ লাখ টাকা। শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তাদের আটক করেন এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম ও শুল্ক গোয়েন্দারা।

আটক দুই যাত্রী হলেন— ঢাকার মিরপুরের নাট্যাভিনেত্রী অনামিকা জুথী ও চট্টগ্রামের রাউজানের মোহাম্মদ রায়হান ইকবাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।

দীর্ঘদিন ধরেই বিনোদন জগত থেকে দূরে আছেন এ প্রজন্মের অভিনেত্রী অনামিকা জুথী। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে দুবাই থাকছেন। হঠাৎ করেই খবরের শিরোনামে এলেন তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম ঠিক এমন ‘৬৯ লাখ টাকার স্বর্ণসহ বিমানবন্দরে আটক অভিনেত্রী জুথি’। 

এমন খবরের পর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অনামিকা জুথী বলেন, আটক করার মতো ঘটনা ঘটেনি। ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। তবে কিছু স্বর্ণ আমার সঙ্গে ছিল, তবে সেটার জন্য ট্যাক্স দিতে হয়। অলরেডি আমি ট্যাক্স দিয়েছি। প্রয়োজনীয় পেপারে সাইন হয়ে গেলেই বাসায় ফিরব। যেভাবে নিউজ হয়েছে তা দেখে আমি বিব্রত। পরিচিত সবাই ফোন করছেন। কীভাবে এত বড় ভুল একটি তথ্য ছড়িয়েছে আমার বোধগম্য নয়। এটা আমার জন্য সম্মানহানিকর।

অন্যদিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করলে দুই যাত্রীর কাছ থেকে চুড়ি, চেইন ও হোয়াইট গোল্ডের চেইনসদৃশ নিখাদ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য ৬৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। অনামিকা জুথী তার দুই হাতে চুড়িগুলো স্কচটেপ দিয়ে আটকে এবং চেইনগুলো তাদের গলায় সুকৌশলে লুকিয়ে বহন করছিলেন। এ ছাড়া স্বর্ণালঙ্কারগুলো তারা তাদের হাতব্যাগে বহন করছিলেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দুই যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটযোগে (দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা) দুবাই থেকে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তবে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী হওয়ায় অ্যাভিয়েশন রুল অনুযায়ী তাদের একই বিমানযোগে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : সংস্কারের জন্য তিন বা চার মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি। দলের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিটির সদস্যরা মনে করেন- নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা করা সময়ের অপচয়। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির গুলশান অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তারা একথা বলেন।

এ সময় নেতারা বলেন- যাদের নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়া এবং অভিযুক্তদের আগামীতে কোন নির্বাচনী কাজে আর যুক্ত না করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা না করে বরং হালনাগাদের পরামর্শ তাদের।

এ সময় সংবিধানে আরপিও সংশোধন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভূমিকা, এনআইডির ক্ষমতা ইসিতে অপর্ণসহ নির্বাচন সংক্রান্ত ১৭টি সুপারিশ তুলে ধরেন তারা। যারা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি তাদেরকে একটি সুষ্ঠু পরিবেশের মাধ্যমে কেন্দ্রে নিতে চায় বলেও জানান বিএনপি নেতারা।


আরও খবর