Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ২৫ তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি, বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে সিলেট বিভাগ তৃতীয় স্থানে ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বললেন অর্থ উপদেষ্টা শ্রীপুরে মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রচার, বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন ভারত সিরিজের সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে শর্ত ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু

তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হলেন হানিফ মিয়া (৩৫)। বুধবার চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদের বাড়িতে (আনিছা বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হানিফ। হত্যাকারী আনিছ মিয়া নিহতের আপন ছোট ভাই। 

প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, তারা দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশে অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর গোবর ফেলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই স্থানে গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চরম উত্তেজনার মধ্যে মেঝ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে কাঠের চোখা টুকরো দিয়ে আঘাত করায় ওই কাঠের চোখা অংশ বাম চোখের ভিতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিস্কে আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 


আরও খবর



রয়টার্সের প্রতিবেদনঃ পুরোনো দলে বিরক্তি নতুন ‘রাজনৈতিক দল’ গঠনের পথে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। 


কিন্তু এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। প্রথাগত রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তে এই জায়গায় সংস্কার আনতে নতুন দল গঠনের চিন্তাভাবনা করছে তারা। ছাত্র আন্দোলনের চার শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।


প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ বছরে ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে শক্ত হাতে দমন-পীড়ন করেছেন শেখ হাসিনা। গত জুন পর্যন্ত এভাবেই চলে। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে জুনেই রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। 


এই আন্দোলনে শুরু হয় দমন-পীড়ন। পরে তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়, ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার। গত ১৫ বছর যা হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি না ঘটনার প্রত্যাশা জানিয়েছে ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকেই শুরু হয় সরকারবিরোধী আন্দোলন। মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, সরকারি আমলা ও মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি থেকে শুরু করে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে ‘জেন জি’ হিসেবে পরিচিত তরুণেরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়, ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তী সরকার।


 প্রধান উপদেষ্টা হন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কও রয়েছেন।



গত তিন দশকের বেশির ভাগ সময় ক্ষমতায় ছিল হয় আওয়ামী লীগ, নয়তো বিএনপি। এই দুই দলের সর্বোচ্চ নেতা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার বয়স এখন সত্তরের বেশি। এমন অবস্থায় দেশে সংস্কার আনতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনা করছেন শিক্ষার্থীরা। 


রয়টার্সকে এমনটাই বলেন মাহফুজ আলম নামে এক শিক্ষার্থী। সরকার এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রণি-পেশার মানুষের মধ্যে লিয়াজোঁ করতে গঠিত কমিটির প্রধানের দায়িত্বে আছেন তিনি। 


আইন নিয়ে পড়াশোনা করা ২৬ বছর বয়সী মাহফুজ আলম বলেন, এক মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের আগে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করতে চায় শিক্ষার্থীরা। এর আগে পরিকল্পনার ব্যাপারে কোথাও বিস্তারিত জানানো হয়নি।


পুরোনো দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, ‘দুই রাজনৈতিক দলের ওপর মানুষ আসলেই ক্লান্ত–বিরক্ত। আমাদের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।’ 



এ নিয়ে সমন্বয়ক তাহমিদ চৌধুরী বলেন, তাদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এর মূল ভিত্তি হবে অসাম্প্রদায়িকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।


তবে অর্ন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি এ ব্যাপারে খোলাসা করে কিছু বলেননি। এমনকি কোন পলিসি নিয়ে তারা কাজ করতে চাইছেন, সেটাও জানাননি। তবে, নির্বাচন কমিশনে ব্যাপক সংস্কারের কথা বলছেন।


এ নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই আন্দোলনের স্পিরিট ছিল মূলত নতুন বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে কোনো ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচার আর থাকবে না। তা নিশ্চিত করতে গঠনগত সংস্কার দরকার। এতে কিছু সময় তো লাগবেই।’


দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে যে দাবি জানানো হচ্ছে, তা অন্তর্বর্তী সরকার আমলে নিচ্ছে না বলে রয়টার্সকে বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।


এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশ প্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়ারা। ছাত্ররা নতুন দল গঠন করেছেন কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, তাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়নি। 


তবে, রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন হবে। কেননা এতদিন এই রাজনীতি থেকে তরুণদের বাদ রাখা হতো।


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন অর্থনীতিবিদ। ‘ক্ষুদ্রঋণ’ ইস্যুতে তিনি বিশ্বে বেশ আলোচিত। এমনকি তার এই থিওরি কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, যিনি যা চান তা বাংলাদেশে করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে।


এ ব্যাপারে সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এখন অজানা নদীতে এসে পড়েছি। সেটা আইনগত ও রাজনৈতিকভাবেও। এই অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা কেমন হবে তাও বলা যাচ্ছে না। কেননা এই সরকার আইন মেনে হয়নি।’


বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশ্লেষক রয়েছেন। এ নিয়ে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দল কোথাও যাচ্ছে না। যাদের উৎপাট করা যাবে না।


এখন হোক কিংবা পরে, আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে। আমাদের সহযোগিতা ছাড়া, আমাদের সমর্থকদের ছাড়া কেউ বাংলাদেশে স্থিতিশীল অবস্থা আনতে পারবে না।’



আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মসজিদের বিশেষ আদব ও শিষ্টাচার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নামাজ মুমিন কাফিরের মধ্যে পার্থক্যকারী একটি ইবাদত। আর এই ইবাদত পালনের অন্যতম স্থান হলো মসজিদ। যা পৃথিবীর মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। এ বিষয়ে  নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম জায়গা মসজিদ, আর সর্বনিকৃষ্ট জায়গা বাজার’(মুসলিম, হাদিস : ৬৭১। মসজিদের আদব মসজিদে প্রবেশকালে বিসমিল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর দরুদ হাদিসে বর্ণিত মসজিদে প্রবেশের দোয়া পড়া (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৫) ডান পা দিয়ে প্রবেশ করতে হয় মসজিদে।  । এছাড়াও মসজিদে প্রবেশের আরও কিছু আদব রয়েছে। যেমন, অজু অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা, কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন, বিড়ি-সিগারেট দুর্গন্ধযুক্ত দ্রব্য খেয়ে মসজিদে না আসা। মসজিদে ধীর-স্থিরতার সঙ্গে গমন করা উচিত, তাড়াহুড়া করে দৌড়ে যাওয়া ঠিক নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজে অবশ্যই ধীর-স্থিরতার সঙ্গে আসবে। যতটুকু পাবে, আদায় করবে। আর যতটুকু ছুটে যাবে, পূর্ণ করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৯) মসজিদে প্রবেশকারী দুই রাকাততাহিয়্যাতুল মসজিদআদায় করবে। মসজিদে দুনিয়াবি কথাবার্তা গল্পগুজব না করা। কারণ মসজিদ নিছক ইবাদতের জায়গা। নিজের পোশাক থেকে উত্তম পোশাক পরিধান করা। মসজিদকে নিছক নামাজের স্থান না বানিয়ে তাওহিদ প্রতিষ্ঠাসহ আদব রক্ষা করে অন্যান্য ধর্মীয় কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া। সর্বদা মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। নিছক খাদেম মুয়াজ্জিনের কাজ না ভেবে যথাসম্ভব মহতী এই কাজে নিজে শরিক হওয়া। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সওয়াব (ইবাদতের প্রতিদান) আমার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, এমনকি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক মসজিদ থেকে ময়লা-আবর্জনা দূর করার সওয়াবও (যা আমার দৃষ্টিতে সব চেয়ে পুণ্যের কাজ)’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬১) মসজিদে যত্রতত্র থুথু ফেলা নিষিদ্ধ। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, মসজিদে থুথু ফেলা গুনাহের কাজ, আর তার কাফফারা হচ্ছে তা মুছে ফেলা। (বুখারি, হাদিস : ৪১৫) মসজিদে কাউকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকাডাকি না করা। প্রয়োজনে ইশারার মাধ্যমে সংশোধন করা। মসজিদে বেশি থেকে বেশি সময় দেওয়া। ক্ষেত্রে নামাজের ওয়াক্তগুলোতে সবার আগে আসার চেষ্টা করা। মসজিদে হেঁটে আসা। নবীজি (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দেব না, যা দ্বারা আল্লাহ তাআলা গুনাহ মিটিয়ে দেবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন? তাহলো কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদের দিকে বেশি পদচারণ এবং এক সালাতের পর অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। (মুসলিম, হাদিস : ২৫১) মসজিদে অবস্থানরত সময় জিকির, তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে পার করা। মসজিদে থাকা অবস্থায় আযান হলে নামাজ আদায় করে বের হওয়া। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় প্রবেশ করার মতো বিসমিল্লাহ, নবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ দোয়া পড়া এবং বাম পা দিয়ে বের হওয়া।। আর এই ইবাদত পালনের অন্যতম স্থান হলো মসজিদ, যা পৃথিবীর মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম জায়গা মসজিদ, আর সর্বনিকৃষ্ট জায়গা বাজার।’(মুসলিম, হাদিস : ৬৭১মসজিদের আদব মসজিদে প্রবেশকালে বিসমিল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর দরুদ হাদিসে বর্ণিত মসজিদে প্রবেশের দোয়া পড়া। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৫) ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা। ইতিকাফের নিয়তে প্রবেশ করা। অজু অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা। কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন, বিড়ি-সিগারেট দুর্গন্ধযুক্ত দ্রব্য খেয়ে মসজিদে না আসা। মসজিদে ধীর-স্থিরতার সঙ্গে গমন করা উচিত, তাড়াহুড়া করে দৌড়ে যাওয়া ঠিক নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজে অবশ্যই ধীর-স্থিরতার সঙ্গে আসবে। যতটুকু পাবে, আদায় করবে। আর যতটুকু ছুটে যাবে, পূর্ণ করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৯) মসজিদে প্রবেশকারী দুই রাকাততাহিয়্যাতুল মসজিদআদায় করবে। মসজিদে দুনিয়াবি কথাবার্তা গল্পগুজব না করা। কারণ মসজিদ নিছক ইবাদতের জায়গা। নিজের পোশাক থেকে উত্তম পোশাক পরিধান করা। মসজিদকে নিছক নামাজের স্থান না বানিয়ে তাওহিদ প্রতিষ্ঠাসহ আদব রক্ষা করে অন্যান্য ধর্মীয় কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া। সর্বদা মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। নিছক খাদেম মুয়াজ্জিনের কাজ না ভেবে যথাসম্ভব মহতী এই কাজে নিজে শরিক হওয়া। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সওয়াব (ইবাদতের প্রতিদান) আমার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, এমনকি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক মসজিদ থেকে ময়লা-আবর্জনা দূর করার সওয়াবও (যা আমার দৃষ্টিতে সব চেয়ে পুণ্যের কাজ)’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬১) মসজিদে যত্রতত্র থুথু ফেলা নিষিদ্ধ। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, মসজিদে থুথু ফেলা গুনাহের কাজ, আর তার কাফফারা হচ্ছে তা মুছে ফেলা। (বুখারি, হাদিস : ৪১৫) মসজিদে কাউকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকাডাকি না করা। প্রয়োজনে ইশারার মাধ্যমে সংশোধন করা। মসজিদে বেশি থেকে বেশি সময় দেওয়া। ক্ষেত্রে নামাজের ওয়াক্তগুলোতে সবার আগে আসার চেষ্টা করা। মসজিদে হেঁটে আসা। নবীজি (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দেব না, যা দ্বারা আল্লাহ তাআলা গুনাহ মিটিয়ে দেবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন? তাহলো কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদের দিকে বেশি পদচারণ এবং এক সালাতের পর অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। (মুসলিম, হাদিস : ২৫১) মসজিদে অবস্থানরত সময় জিকির, তাসবিহ-তাহলিলের মাধ্যমে পার করা। মসজিদে থাকা অবস্থায় আযান হলে নামাজ আদায় করে বের হওয়া। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় প্রবেশ করার মতো বিসমিল্লাহ, নবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ দোয়া পড়া এবং বাম পা দিয়ে বের হওয়া।


আরও খবর



দেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান অপসারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


দেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। 


চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করবেন।


রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে৷



উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের বলা হয়, অপসারণ করা চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।


এর আগে গত ১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে।


একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।


এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।


 


 


 




আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




লাব্বাইক পরিবহনের বাস চাপায় সাংবাদিক গুরুতর আহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

         লাব্বাইক পরিবহনের বাস চাপায়   প্রধান সম্পাদক "দৈনিক জনতার ইশতেহার" মাহববুর রহমান মজুমদার  গুরুতর আহত হয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

শুক্রবার (২৪ আগষ্ট) দুপুরে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পেশাগত কাজে যাওয়ার সময় রাজধানীর শনিরআখড়ার সাইনবোর্ড টু সাভার বাইপাইল রোডের চলাচলরত লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা -মেট্রো-ব-১৫-৬৭১৭) বেপরোয়া গতি এবং আরেকটি লাব্বাইক পরিবহনের বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে



 প্রধান সম্পাদক "দৈনিক জনতার ইশতেহার " মাহবুবুর রহমান মজুমদারকে চাপা দেয়।

  এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মাতুয়াইল মেডিকেল আইসিএমএস হাসপাতালে ভর্তি করে।

  যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল হাসান বলেন এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি জড়িত লাব্বাইক পরিবহনের চালক ও সহযোগীকে ধরতে চেষ্টা করা হচ্ছে।


আরও খবর



সবজির বাজারে অনেকটাই স্বস্তি,চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের দামে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

সদরুল আইনঃ


গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে চাল, ডালসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম অনেক বাড়ে। সেই দর এখনও কমেনি।


 তাবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ফলে দুশ্চিন্তা কাটছে না ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অর্থাৎ মিল ও পাইকারি পর্যায়ে সরবরাহ তদারকি করলে জিনিসপত্রের দাম কমতে পারে।


বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) বিক্রি হয় ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। মাঝারি মানের (বিআর-২৮ ও পাইজাম) চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং সরু বা মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।


রাজধানীর এক রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘এখন পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক। পণ্য আনা-নেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে না। তবু মিলাররা চালের দর বাড়িয়েছেন। সরকার মিলগুলোতে তদারকি করলে দাম কমে আসবে।’


এদিকে এক সপ্তাহ ধরে বাজারে সবজির দাম কমছে। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে পেঁপের কেজি ছিল ৭০ টাকা। পটোল, ঢ্যাঁড়শ, চিচিঙ্গা কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। 


সপ্তাহদুয়েক আগে এসব সবজি ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার ৭০ টাকা কেজিতে বরবটি, বেগুন ও শসা বিক্রি হতে দেখা যায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে এসব সবজি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কাঁচামরিচ কোথাও ২০০ আবার কোথাও ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।


আলুর দর কিছুটা কমেছে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করছেন। পাড়ামহল্লায় বিক্রি হচ্ছে আরেকটু বেশি দরে। মাসখানেক আগে আলুর কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। রাজধানীর তেজকুনিপাড়ার সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবজির দর কমেছে। এ জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরাও দর কমিয়েছেন।’


বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজ দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকায়। আমদানি পেঁয়াজের কারণে দেশি পেঁয়াজের দর সামান্য কমেছে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে এর কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। তবে গতবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর আলু-পেঁয়াজের দর বেশি।


ডিমের ডজন ১৭০ টাকা থেকে কমে সম্প্রতি ১৪৫ টাকা হয়। তবে বৃহস্পতিবার ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। ব্রয়লার প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। তবে সোনালি জাতের মুরগির দর কমেছে।


 এটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে এর কেজি ছিল ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। গরুর মাংস এত দিন ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। সম্প্রতি তা অনেক জায়গায় ৭৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।


ইলিশের ভরা মৌসুম এখন। ফলে দাম অনেক কম থাকার কথা। কিন্তু ইলিশের দাম তেমন কমেনি। এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে গুনতে হচ্ছে কমবেশি দেড় হাজার টাকা। আধা কেজি ওজনের ইলিশের দাম পড়ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বেসরকারি চাকরিজীবীরা বলেন, চালের দর কমানো বেশি জরুরি। কারণ ভাতের বিকল্প নেই। সবজির মতো চালের বাজার তদারকির দাবি জানান তারা।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪