Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক বোয়ালমারীতে ভুল নকশায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কারের দাবিতে গণ-চিৎকার সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ এর উদ্বোধন গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুস্থ জীবনের জন্য দোয়া ও আমল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সুস্থতাই সুখ-শান্তির মূল। অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতাকে মর্যাদা দেওয়ার কথা বলেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুস্থ থাকতে আল্লাহর কাছে কীভাবে আবেদন করতে হবে তাও শিখিয়ে দিয়েছেন তিনি। দুনিয়াতে সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা, আমানতদারিতা, উত্তম চরিত্র ও সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে এভাবে প্রার্থনা করা যায়-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাছ ছিহ্হাতা ওয়াল ইফফাতা ওয়াল আমানাতা ওয়া হুসনিল খালক্বি ওয়াররিদা বিলক্বাদরি। (বায়হাকি, মুসনাদে বাজ্জার)

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করছি সুস্বাস্থ্য, পবিত্রতা, আমানতদারীতা, উত্তম চরিত্র এবং তাকদিরের উপর সন্তুষ্টি থাকার। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুস্থ্যতা, পবিত্রতা, আমানতদারীতা এবং উত্তম চরিত্র লাভে ওই দোয়া মাধ্যমে সাহায্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গণমাধ্যমে নজিরবিহীন স্বাধীনতা: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের গণমাধ্যম বর্তমানে নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিস্তার দেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থনীতি পুনর্গঠন, সম্পদ পাচার রোধ, ভুল তথ্য মোকাবিলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা নিয়ে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস এবং সভাপতি বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের গণমাধ্যম বর্তমানে যে স্বাধীনতা ভোগ করছে, তা অতীতের তুলনায় নজিরবিহীন। তবে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি রয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং সঠিক তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র ও উন্নয়নের স্বার্থে সঠিক তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।”

বৈঠকে অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে একটি বিধ্বস্ত ও সংকটাপন্ন অর্থনীতি পেয়েছে। পুনর্গঠনের জন্য আমাদের বহুমুখী উদ্যোগ নিতে হবে।”

তিনি জানান, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জুলাইয়ের ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এই পরিবর্তনকে সুসংহত করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

তিনি ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা তুলে ধরে।

ড. ইউনূস বলেন, “দাভোস সফরে গিয়ে আমি দেখেছি, আন্তর্জাতিক মহলে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নেই। বরং, বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা আমাদের অর্জনকে দুর্বল করতে পারে।”

ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানাই এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপায় খুঁজব।”

বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশন তাদের সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করলে, প্রধান উপদেষ্টা তা স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রাখার পাশাপাশি ভুল তথ্যের প্রসার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সত্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”


আরও খবর



চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পটভূমি ও সাম্প্রতিক ঘটনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনি জাগরণ জোটের মুখপাত্র চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। রুলে বলা হয়েছে, চিন্ময় দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন চিন্ময় দাস। তার নেতৃত্বে ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে বিএনপি নেতা ফিরোজ খান রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় চিন্ময়সহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।

তবে মামলার কিছুদিন পরই বিএনপি থেকে ফিরোজ খানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয় এবং ২৬ নভেম্বর আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম।

চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার অনুসারী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা সোয়া ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন এবং ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৭ জন আহত হন।

জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে চিন্ময় দাস পুনরায় উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম তার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন চিন্ময় দাস।

মঙ্গলবার হাইকোর্টে তার জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

সরকারের জবাব পাওয়ার পর হাইকোর্টের বেঞ্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার গুরুত্ব তুলে ধরে জামিন না দেওয়ার যুক্তি উপস্থাপন করতে পারে। অন্যদিকে, চিন্ময়ের পক্ষ থেকে জামিনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হবে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নিয়ে আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে।


আরও খবর



১০ জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ১০টি জেলার ওপর দিয়ে যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে সেটি আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

একই সঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টায় (৩ দিন) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এ ছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ের মধ্যে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ইসলাম ও সংস্কৃতির সমন্বয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : ইসলাম একটি জীবনব্যবস্থার নাম। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ সাধনের নির্দেশ দেয় ইসলাম। শুধু আধ্যাত্মিকতা কিংবা জড়বাদী বিশ্বাসের নাম ইসলাম নয়। তাই আলিজা আলী ইজেতবেগোভিচ তাঁর বিখ্যাত ‘ইসলাম বিটুইন ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘ইসলাম এমন একটি নাম, যা বস্তুবাদ ও আধ্যাত্মিকতা উভয়ের ওপর প্রযোজ্য। তা মানুষের আচার-ব্যবহারের সুউচ্চ মাধ্যম। ’ (পৃষ্ঠা : ৫০) খেলাধুলা ও আনন্দ-বিনোদন মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যদি তাতে ইসলামি বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন না হয় এবং ব্যক্তি বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর না হয় তাহলে ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণকর এমন সব কিছুই ইসলামে অনুমোদিত। এরই দৃষ্টিকোণ থেকে দৈহিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে খেলাধুলা খুবই প্রশংসনীয়। মহানবী (সা.) নিজেও স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দুবার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, মক্কার রুকানা বিন ইয়াজিদের সঙ্গে চারবার মল্লযুদ্ধে জিতেছেন এবং সাহাবিদের তীর নিক্ষেপে পারদর্শী হতে উৎসাহ দিয়েছেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৩৭; আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৭৮) এমনকি তিনি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের পুরস্কার দিয়েছেন এবং শিশুদের দ্রুত হাঁটার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছেন। শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে মহানবী (সা.) উৎসাহ দিয়েছেন। তার মানে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব লক্ষণীয়। এসব ক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব তৈরিতে পেশিশক্তির চেয়ে কোমল-শক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিভাষার প্রথম প্রবক্তা মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ নাই । এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, ‘বাধ্যবাধকতা বা আর্থিক লেনদের বদলে আকর্ষণ তৈরির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করাই কোমল শক্তি। আর এ আকর্ষণ তৈরির অন্যতম উপাদান হচ্ছে মূল্যবোধ ও আচার-ব্যবহার। ’ যেমন তিনি বিশ্বব্যাপী আমেরিকান প্রভাব তৈরিতে শিল্প, নাটক, সংগীত, শিক্ষা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যাপক চর্চাকে প্রধান উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (সফট পাওয়ার : দ্য মিনস টু সাকসেস ইন ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ল্ড পলিটিকস, পৃষ্ঠা : ১৩-৪৬)। সবার সঙ্গে সুন্দর আচার-ব্যবহার ও উন্নত মূল্যবোধ ধারণের নির্দেশনা দেয় ইসলাম। ইতিহাসে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কঠিন মুহূর্তে ইসলামের সুন্দর আচার-ব্যবহার দেখে অন্যরা প্রভাবিত হয়েছে। ইসলামি খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে হামলা করে মোগলরা বিজয়ী হলেও ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল। টমাস আর্নল্ড (ঞযড়সধং ডধষশবৎ অৎহড়ষফ) বর্ণনা করেছেন, ‘যে সময়ে ইসলামের সমর শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেই সময়েও তা আধ্যাত্মিক যুদ্ধে সফল হয়েছিল। ইতিহাসে বড় বড় এমন দুটি ঘটনা আছে। একাদশ শতাব্দীতে বর্বর তুর্কি সেলজুক বাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুসলিম বাহিনীকে তারা পদদলিত করে পরাজিত করেছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মোগল বাহিনীও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হলেও উভয় শক্তি পরাজিত বাহিনীর ধর্ম ও সংস্কৃতি গ্রহণ করেছিল। ’ (দ্য প্রিসিং অব ইসলাম, অ্যা হিস্টরি অব দ্য প্রপোগেশন অব দ্য মুসলিম ফেইথ, পৃষ্ঠা : ২৬) ইসলামের এই আকর্ষণ শক্তির ব্যাখ্যায় ঐতিহাসিকরা দিশাহারা। তাদের কাছে এর কোনো যথার্থ ব্যাখ্যা নেই। কারণ ইতিহাসের চিরন্তন রীতি হলো, পরাজিত শক্তি সব সময় বিজয়ীদের আচার-ব্যবহার, চালচলন, পোশাক, চলাফেরাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুকরণ করতে ভালোবাসে। কিন্তু ইসলামের ঐতিহাসিক কিছু ঘটনায় এর বিপরীত দৃশ্য দেখা গেছে। বিভিন্ন ঘটনায় বিজয়ীরা পরাজিতদের অনুকরণ করেছে। শুধু তা-ই নয়; বরং ধর্ম গ্রহণ করেও তারা জীবনের সব ক্ষেত্রে পরাজিতদের সব কিছু অনুসরণ করেছে। (আল-মুকাদ্দিমাহ, পৃষ্ঠা : ১৮৪) অনেক গবেষকের মতে, ইসলামের এ আকর্ষণ ও প্রভাব শুধু আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং বস্তুগত উন্নতি ও অগ্রগতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব লক্ষ্যণীয়। এ কারণে অভূতপূর্ব অগ্রগতির জন্য পশ্চিমাবিশ্ব ইসলামের কাছে ঋণী। সেই সময় যদি ইসলাম না থাকত বর্তমান বিশ্বে আধুনিক সভ্যতার কোনো প্রভাবই থাকত না। ফরাসি নৃবিজ্ঞানী রবার্ট ব্রিফল্ট (জড়নবৎঃ ইৎরভভধঁষঃ) বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আরবদের উপস্থিতি না থাকলে আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতা কখনো আলোর মুখ দেখত না। তারা না থাকলে উন্নতির সব স্তর উত্তীর্ণ হওয়ার সামর্থ্য রাখে এমন ‘আত্মস্পৃহা’ পাওয়া যেত না। তাই ইউরোপের অগ্রগতির সব ক্ষেত্রেই আপনি ইসলামি সংস্কৃতির গভীর প্রভাব লক্ষ্য করবেন। ’ (দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটি, পৃষ্ঠা : ১৯০) আলবার্ট এইচ হোরানি

এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘উপাসনার যেকোনো দৃশ্যমান কাজের একটি সামাজিক দিক থাকে। মুসলিমরা একসঙ্গে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে। রমজানে তাদের বার্ষিক রোজা শুধু ব্যক্তির দৈহিক অনুশীলনে ভূমিকা রাখে এমন নয়; বরং এর সামাজিক ভূমিকা অনেক বড়। তা ছাড়া সাদা কাপড়ে একই সময়ে মক্কা হজ পালনের দৃশ্যও একই প্রভাব ফেলে। ইসলামের রীতি শুধু আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে বলে না; বরং মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক করার নির্দেশ দেয়। তাই ইসলাম শুধু উপাসনার বিধি-নিষেধ পালনের নাম নয়; তা পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্য নিশ্চিতে সামাজিক সম্পর্ক তৈরির নির্দেশ দেয়। ’ (অ্যারাবিক থট বিয়ন্ড দ্য লিবারেল এইজ : টুওয়ার্ডস অ্যান ইন্টেলেকচুয়াল হিস্টরি অব নাহদা, পৃষ্ঠা : ১২-১৩)। মোটকথা ইসলাম একটি সার্বজনীন জীবনব্যবস্থার নাম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর প্রভাব লক্ষণীয়। এর সব বিধানে ইহকাল ও পরকালের সমন্বয় রয়েছে। তাই যুগে যুগে ইসলামের দৃশ্যমান নৈতিকতাবোধ ও শিষ্টাচারে মুগ্ধ হয়ে অসংখ্য মানুষ এর ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ইসলামের এসব দিক যথাযথভাবে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। যেন মানুষ বিশুদ্ধভাবে তা যথাযথভাবে গ্রহণ করে। কারণ শক্তি থাকলেই নিজের ইচ্ছামতো তা প্রয়োগ করা যায় না; বরং এর জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা, আকর্ষণীয় নকশা ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব জরুরি। পেশিশক্তির চেয়ে কোমল শক্তির জন্য সুদক্ষ ব্যাখ্যাকার ও সুপ্রস্তুত অন্তরের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি। অর্থাৎ কোরআন ও সুন্নাহর সঠিক ব্যাখা এবং তা যথাযথভাবে গ্রহণ করা যেমন জরুরি, তেমনি নানা উপায় ও পন্থা অবলম্বন করে অন্যের মধ্যেও এর আকর্ষণ তৈরি করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আলেম-প্রাজ্ঞ ইসলামি ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা রাখতে হবে।


সূত্র : এফএনএস


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২২জন দেখেছেন

Image

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলা শহরের গৃদ্দানারায়নপুর এলাকা হতে ১০৪ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. দুরুল হোদা (৩৩) কে আটক করেছে র‍্যাব ১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। ৮ ফেব্রুয়ারি অনুমান পৌনে চারটার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ রবিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা (পিপিএম-সেবা) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব ১৪, জামালপুর ক্যাম্পের একটি দল জেলা শহরের গৃদ্দানারায়নপুর নিউমার্কেট ২য় গেইট মোড়ে থানার মোড় থেকে শেরপুর হাসপাতালগামী পাকা রাস্তার দক্ষিণপাশে যমুনা মটরস নামক গাড়ির পার্টসের দোকানের সামনে থেকে মো. নুরুল হোদা (৩৩) কে গ্রেফতার করে। 

নুরুল হোদা রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ী গ্রামের মো. আব্দুর রশিদ এর ছেলে। এসময় তার কাছে থেকে ১০৪ গ্রাম কথিত মাদক হেরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। আইনগত ব্যবস্থা নিতে ধৃত আসামীদেরকে আলামতসহ শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আরও খবর