Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

"সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য- কেনো, কোথায় ও কিভাবে!"

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) এই জিনিস টা বাংলাদেশ,ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। 


ধরেন আপনি ১ লিটারের কোকা-কোলা বাংলাদেশের যেকোনো দোকানে কিনবেন একই দাম দিয়ে। কিন্তু এই ১ লিটারের কোকা-কোলা ইউরোপ, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকমের দামে কিনতে হবে। 

মানে এখানে সাপ্লাই-ডিমান্ড বা ঐ দোকানের প্রাইসিং পলিসির এর ওপর মূল্য নির্ভর করে। 


সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পদ্ধতিটির কিছু বৈশিষ্ট্য:

• MRP খুচরা বিক্রেতাদের ওপর একরকম বাধা তৈরি করে, ফলে তারা নির্দিষ্ট টাকার বেশি লাভ করতে পারে না।


•অল্প সময়ের জন্য হলেও MRP মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে৷ যেহেতু পণ্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।


•এটা মুক্তবাজার (Free market) এর বিপরীত। 

এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কোনো পণ্যের মূল্য বাজারের মাধ্যমে(সাপ্লাই-ডিমান্ড) নির্ধারণ করা হয় না। সুতরাং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাজারের সাথে সামঞ্জস্য নাও হতে পারে।

অর্থাৎ ঐ পণ্যের মূল্য বাজার মূল্য অনুযায়ী কমও হতে পারে আবার বেশিও হয়ে যেতে পারে। 


এই MRP সাধারণত নির্ধারণ করে পণ্যের উৎপাদন বা আমাদনিকারক কোম্পানী।


একটি ছোট্ট তথ্য:

আমরা অনেক সময় পার্কে বা স্টেশনে কোনো দোকান থেকে চিপস, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি কিনতে গেলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য থেকে বেশি দাম চাওয়া হয়। 

এক্ষেত্রে একদমই সেই দামে কিনবেন না বরং দোকানদারকে বুঝিয়ে বলবেন যে, সে যদি এই কাজ করে তাহলে তার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় অনুর্ধ এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে।

এরপরও উনি কথা না শুনলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইনে ফোন করবেন!



-রিফাত রায়হান 

শিক্ষার্থী, ফাইন্যান্স বিভাগ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)


আরও খবর



এখনও স্বস্তিতে ফিরেনি চালের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪২জন দেখেছেন

Image

অর্থনীতি ডেস্ক : এখনও স্বস্তিতে ফিরেনি চালের বাজার। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং আলুর দাম। এছাড়াও পেঁয়াজের পাইকারি দাম কিছুটা বাড়লেও এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েনি। সবজির দামে স্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো বাজারে সরবরাহ কম বোতলজাত সয়াবিন তেলের।

সম্প্রতি রাজধানীর কাওরান বাজার, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও তালতলা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও হাতিরপুল বাজার বিশ্লেষণে এমন তথ্য দিচ্ছে।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, গত দুই সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমতির দিকে। এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০-২১০ টাকা। এরপর সাত-আট দিন আগে কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছিল দাম। আর গতকাল তা আরও ১০ টাকা কমে ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ব্রয়লার, অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে দাম কমেছে ২০ টাকা।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সোনালির দাম ছিল ৩০০-৩৩০ টাকা। গতকাল এই প্রজাতির মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩১০ টাকা দরে। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা করে কমেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বাজারভেদে এক ডজন ডিমের দাম রাখা হয় ১২৫-১৩০ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে অবশ্য আরও ৫-১০ টাকা বেশি দাম রাখা হয়।

বাজারে এখন মূলত নতুন দেশি পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে। হাতে গোনা কিছু দোকানে আমদানি করা পেঁয়াজ পাওয়া যায়। আর সরবরাহ বেশি থাকায় পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম। খুচরা পর্যায়ে গতকাল এক কেজি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহেও একই ছিল। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত দুই দিনে পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম দুই-তিন টাকা করে বেড়েছে। যদিও এর প্রভাব এখনো খুচরায় দেখা যায়নি।

অন্যান্য মসলা পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি রসুন ২৩০-২৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি আদা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লবঙ্গ, দারচিনি, গোল মরিচের দাম অল্প বাড়লেও, এলাচের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

তবে বাজারে আলুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম। বাজারভেদে এক কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৩০ টাকা। অর্থাৎ, কেজিতে পাঁচ টাকা দাম কমেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে। গত বছরের তুলনায়ও আলুর দাম এখন কম।

মাসখানেক আগে বাজারে চালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। পরে সরকার চালের শুল্ক কমায় ও আমদানি করার অনুমতি দেয়। তবে এসব উদ্যোগেও চালের দাম কমেনি।

এ বিষয়ে বিক্রেতাদের ভাষ্য, ধানের দাম বাড়ার কারণে চালকলমালিকেরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। গতকাল ঢাকার তিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চাল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা ও মাঝারি ধরনের ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০-৬৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সবজির বাজার এখন ভোক্তাদের স্বস্তির জায়গা। শীত মৌসুম থাকায় বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো; দামও কম। অবশ্য তিন-চার সপ্তাহ ধরেই বাজারে কম দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজির মধ্যে বর্তমানে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শালগম, মুলা প্রভৃতি পণ্যের চাহিদা বেশি।

বাজারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ও ব্রকলি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি মুলা ২০ টাকা; মিষ্টিকুমড়া, শালগম ও পেঁয়াজ কলি ৩০-৩৫ টাকা; শিম ২০-৪০ টাকা; শসা, বেগুন, টমেটো ও লাউ ৩০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য বাজারে মাছ-মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। গতকাল প্রতি কেজি কই (চাষের) ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০ টাকা, রুই ৩৫০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া এক কেজি আকারের ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ২৭০০-২৮০০ টাকা।

রুই, তেলাপিয়া, পাঙাসসহ অন্যান্য মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ইলিশের দাম বেশ চড়া।

এদিকে রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না বললেই চলে। আর কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও সেগুলোতে গায়ে লেখা দামের চেয়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা।

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকটে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতা ধরতে অনেক বিক্রেতা এখন খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করেছেন। অনেকে আবার তেল রাখছেন শুধু নিয়মিত ক্রেতাদের জন্য।

একজন ডিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগামী রমজানের আগে তেলের দাম আরেক দফা বাড়াতে চায় কোম্পানিগুলো। ফলে তারা যেমন বাজারে সরবরাহ কমিয়েছে, আবার যেটুকু তেল বাজারে আসছে সেটাও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মজুত করছেন। আসন্ন রমজানে তেলের দাম বাড়বে, এটি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’।

গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলে ৮ টাকা বাড়িয়েছিল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। এছাড়া নতুন সরকার তেল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে। এতে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ককর ১০ থেকে ১১ টাকা কমেছে। এরপরও আমদানি বাড়েনি; বরং বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট তৈরি করেছে কোম্পানিগুলো।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সয়াবিনের এক, দুই ও পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে। পরিবেশকদের কাছে বারবার তাগাদা দিয়েও তেল পাচ্ছেন না তারা। কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ এসব বিক্রেতার।


আরও খবর



জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা বাংলাদেশে মোট ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশে প্রায় ২৬ হাজার ৬৫৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সমান। এই হিসেবে, প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা পতন লক্ষ্য করা গেছে। ডিসেম্বরে দেশে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসলেও, জানুয়ারিতে তা কমে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, যা জানুয়ারির তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ কম। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৫৫ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার। 

এছাড়া, জানুয়ারির ২৬ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৫০ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জানুয়ারির ১৯ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত এসেছে ৪৬ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ডলার, এবং জানুয়ারির ৫ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৫০ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। 

অন্যদিকে, ২০২৪ সালের পুরো বছরে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার পাঠানো হয়েছে। 

এছাড়া, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২৯১ কোটি ডলার। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে এবং রপ্তানিতেও ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির মূল কারণ হুন্ডির চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। সরকারের অর্থ পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপের কারণে অবৈধভাবে অর্থ পাঠানোর সুযোগ কমেছে, যা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বাংলাদেশের রপ্তানি খাতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানিতে প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে কিছুটা স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। তবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের তুলনায় কিছুটা কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে রয়েছে।

এভাবে, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে, তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিস্থিতি আরও মনিটর করা প্রয়োজন।


আরও খবর



ভারতের কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত কুম্ভ মেলায় পদদলনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে পবিত্র স্নান করতে আসা লাখ লাখ পূণ্যার্থীর মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। শোকাবহ এই দুর্ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন, তবে এখনও সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানানো হয়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হাজার হাজার পূণ্যার্থী গঙ্গাস্নান করতে নদীর তীরে জড়ো হয়েছিলেন। পরদিন সূর্যোদয়ের আগেই তারা স্নান করতে এগিয়ে যান, কিন্তু ভিড়ের চাপে ঘটে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা। উপাসকদের মধ্যে কেউ কেউ স্নান করার জন্য অগ্রসর হচ্ছিলেন, তখনই আচমকা ধাক্কায় উপাসকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় নদীর তীরে বসে থাকা মানুষের ওপর পড়েন অনেকেই এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ভয়াবহ পদদলনের ঘটনা ঘটে।

প্রথমে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, হাসপাতালের মর্গে আরও ২৫টি মরদেহ আনা হয়। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে থাকা এক চিকিৎসক বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৫ জন নিহত হলেও পরে জানা গেছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪০ জনে পৌঁছেছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভিড় করছে।

এ ঘটনায় কুম্ভ মেলার প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার সময় রাত ২টার দিকে ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের কাছে এই পদদলনের ঘটনা ঘটে। তবে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। পুলিশ বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে, তবে ভিড়ের চাপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পদদলনের পর ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়েছিল মানুষের জামাকাপড়, জুতা, কম্বল ও ব্যাগ। সারা দৃশ্যটি ছিল ভয়াবহ, যেখানে মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী শ্বেতা ত্রিপাঠী বলেন, "আমরা দেখেছি মানুষ পড়ে যাচ্ছে, চারপাশে কাপড়, ব্যাগ ছড়িয়ে পড়েছিল। এমন ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছিল যে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি।"

প্রসঙ্গত, কুম্ভ মেলা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতি ১২ বছর পরপর কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত হিসেবে পরিচিত। ১৪৪ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় মহাকুম্ভ মেলা, যা প্রায় ৮০০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে। এবারের কুম্ভ মেলায় ৪০ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই মেলায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ পূণ্যার্থী বিশ্বাস করেন, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করে তারা অশেষ পুণ্য লাভ করেন। তবে এই স্নান উৎসবের মাঝে অতিরিক্ত ভিড় ও বিশৃঙ্খলার কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, যা সবার হৃদয়ে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।


আরও খবর

আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত!

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিএনপি নেতাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

খোরশেদ রনি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রায় ১২৯২ একর জায়গা বিএনপি নেতাদের কবল থেকে দখলমুক্ত চেয়ে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন কৃষকরা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আয়োজিত সমাবেশে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা গাজী, মোবারক আলী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন হাওলাদারসহ দলটির প্রায় ডজন খানেক নেতার নাম উল্লেখ করেন তারা। তাদের তৈরি ফেস্টুন ও ব্যানারে এসব নাম উল্লেখ করা ছাড়াও মৌখিক বক্তব্যে বিএনপি নেতাদের অবৈধ দখলের কথা তুলে ধরেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। 

এদিন দুপুরে রায়পুর পৌর শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে কৃষকদের একটি মিছিল শুরু হয়ে রায়পুর থানার সামনে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রায়পুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ফের অবস্থান নেয় কৃষকরা। অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগে এসময় ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা। মিছিল ও সমাবেশে দলিল যার, জমি তার স্লোগান-দিতেও দেখা গেছে। পরে সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বাড়ি ফিরে যায় তারা।

জানা যায়, উপজেলার নতুন কানিবগার চর, চর কাচিয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্ট্রে অর্ডার, লক্ষ্মীপুর ভূমি কমিশন রিপোর্ট, চর কানিবগার গেজেট রিপোর্ট, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের আদেশ, রায়পুর সহকারী আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও পাশ্ববর্তী জেলা বরিশাল জজ কোর্টের রায় থাকার পরও কৃষকদের নিজের জমি ভোগ দখল করতে দিচ্ছেন না স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতা।

চরের এসব জমি উপজেলার দক্ষিণ ও উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মালিকানার পাশাপাশি কিছু জমি সরকারি খাস তালিকাভুক্ত। তবে সেসবের থোড়াই কেয়ার করে জমি দখলে মেতে উঠেছেন বিএনপি নেতারা- অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

গণি মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, বর্তমান ভূমি দস্যু- যারা বিএনপি করে তারা। আমাদের জায়গা জমি দখল করে নিয়েছে। বাদশা গাজী, মোবারক আলী, শামীম গাজী, হারুন হাওলাদারসহ বিএনপি নেতাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তাই আজ প্রতিবাদ সমাবেশে এসেছি।  

কাদের আলী নামে আরেক কৃষক বলেন, জমিগুলো দখলে নিয়েছে বিএনপি নেতারা। গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের জমিতে আমরা চাষাবাদ করতে পারছি না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জবর দখলকৃত জমিতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে বিএনপি নেতারা। কৃষকদের মারধরসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা গাজী বলেন, আমি সরকারের পক্ষে কাজ করছি। কারও জমি দখল করা হয়নি। কাউকে মারধর করিনি। এসব সরকারি জমি। সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়াসহ বসে এসব সমাধান করবো আমরা। বিএনপির কেউ দখল কান্ডের সঙ্গে জড়িত নন।


আরও খবর



পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সেনা-বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘর্ষে ৪২ জন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সংঘর্ষের ফলে ১৮ সেনা এবং ২৪ বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। 

পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা সড়ক অবরোধ তৈরি করার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তা সরিয়ে ফেলতে যায়, আর এর ফলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মাঙ্গোচার শহরের কাছে একটি সেনা বাহিনীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়, যেখানে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন সশস্ত্র হামলাকারী সেনাদের ওপর গুলি চালায়। এতে তিন সেনা গুরুতর আহত হন এবং দুজন কোনোমতে পালিয়ে যান। 

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী "বেলুচ লিবারেশন আর্মি" (BLA) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা জানায়, হামলায় ১৭ সেনা নিহত হয়েছে, তবে সামরিক বাহিনী তাদের ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের মাধ্যমে আরও ১১ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করার দাবি করেছে। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, দেশটির সরকার বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমন করতে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছে। 

এদিকে, গত কয়েক বছরে বেলুচিস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার হার বেড়ে গেছে। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এই প্রদেশটি পাকিস্তানের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় স্বাধীনতা বা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। 

২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেলুচিস্তানসহ পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।  

এছাড়া, ২৮ জানুয়ারি আফগান সীমান্তের কাছে একটি বোমাবাহী গাড়ি হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল একটি ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী, তবে তাদের প্রচেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর

আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত!

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫