শঙ্কা ছিল ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের। তবে শেষ পর্যন্ত লিড নিতে পারল বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১২ রান।
লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ রানে। এখন দেখার অপেক্ষা সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে কত রানের টার্গেট দিতে পারে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর প্রোটিয়াদের বড় লিডে চাপা পড়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে অন্তত ২০২ রান করতে হতো। দলীয় ৪ রানের মাথায় পরপর ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ইনিংস হারের শঙ্কা ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে গতকাল শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকের পাল্টা প্রতিরোধে লড়াইয়ে ফেরে স্বাগতিকরা। আজ (বুধবার) ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালটাও ছিল রীতিমত দুঃস্বপ্নের। ৭ ওভারেই টাইগারদের উইকেটের পতন হয় ৩টি। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই ফিরে গেছেন আরেক দিনের অপরাজিত জয় ও মুশফিক। আবারও ব্যর্থ হন লিটন দাস। আবারও ইনিংস হারের শঙ্কা মাথাচাড়া দেয়। অবশ্য এবার দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর জাকের আলী অনিক।
সপ্তম উইকেটে এ দুজনের জুটির রান এরই মধ্যে শতক ছাড়িয়েছে। ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করে ৬০ রানে অপরাজিত আছেন মিরাজ। অন্যপ্রান্তে অভিষিক্ত জাকের আলি টেস্টের প্রথম অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে (৪৬)।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই বিপদ শুরু বাংলাদেশের। আগের দিনে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ওপর নির্ভর করছিল এই টেস্টে বাংলাদেশের ভাগ্য। তবে হতাশ করেছেন তারা।
শুরুতে উইকেটের পেছনে কাগিজো রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। এক বল পরই রাবাদার ইনসুইং বলে বোকা বনে বোল্ড হন মুশফিকুর। টেস্টের প্রথম ইনিংসেও মুশফিক অবশ্য এভাবেই বোল্ড হয়েছিলেন। মুশফিক ৩৩ রানে থামেন এর আগে ৪০ রানে বিদায় নেন জয়। মিরপুরে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ক্রিজে ভরসা হয়ে ছিলেন লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপরেই অবশ্য লিটন দাস বিদায় নিয়েছেন। কেশব মহারাজের সুইং করা বল লিটনের ব্যাট-গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার হাতে। জোরালো আবেদন করেননি কেউই। তবুরেই ভেনার জোরাজুরিতেই কি না নিতান্ত অনিচ্ছায় এইডেন মার্করাম নিলেন রিভিউ। তাতেই আউট হলেন লিটন।
এরপর অবশ্য সময়টা জাকির আর মিরাজের। দলের প্রয়োজনে আরও একবার ব্যাট হাতে ত্রাতা হয়েছেন মিরাজ। পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। ৭ চার ও ১ ছক্কায় এই ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস হারের শঙ্কা দূর করেন এই অলরাউন্ডার। অভিষিক্ত জাকের আলীকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে নতুন লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।