Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

সংসদের ১৫টি স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৪৬জন দেখেছেন

Image

সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় সংসদে আজ ১৫টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী কমিটি পুনর্গঠনের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবগুলো গৃহীত হয়।

পুনর্গঠিত কমিটিগুলো হলো- শ্রম ও কমসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।


আরও খবর



আবিষ্কার হলো নতুন তিনটি সুপারকনডাক্টিভিটির উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক :  সাম্প্রতি তিনটি ভিন্ন ধরণের নতুন সুপারকনডাক্টিভিটির উপাদানে আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে দুটি উদাহরণ প্রচলিত তত্ত্বকে নতুন করে ভাবিয়েছে, এবং তৃতীয়টি প্রায় অপ্রত্যাশিতভাবে প্রথাগত ধারণাগুলোর বাইরে চলে গেছে। ১৯১১ সালে ডাচ বিজ্ঞানী হেইকে ক্যামেরলিংহ অনেস সর্বপ্রথম বিদ্যুৎ প্রবাহে প্রতিরোধ হ্রাসের এই বিশেষ ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেন। সেই থেকে সুপারকনডাক্টিভিটি বিজ্ঞানীদের মুগ্ধ করে আসছে। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ইলেকট্রন একে অপরের সাথে জোড়া বাঁধে। ইলেকট্রনের পারস্পরিক বিকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা একত্রিত হয়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা আজও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই গবেষণার পিছনে আরেকটি বড় কারণ হল প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা। সুপারকনডাক্টিভিটি ব্যবহার করে এমআরআই মেশিন এবং শক্তিশালী কণার সংঘর্ষযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা যদি সুপারকনডাক্টিভিটি কীভাবে কাজ করে তা পুরোপুরি বুঝতে পারেন তাহলে উপযুক্ত উপাদান এবং কোয়ান্টাম প্রভাবের মাধ্যমে ইলেকট্রনদের বিশেষ মিথস্ক্রিয়া সৃষ্টি করে সুপারকনডাক্টিভিটি উচ্চ তাপমাত্রায়ও অর্জন করা সম্ভব হবে। তাহলে বিদ্যুৎবিহীন গ্রিড এবং ম্যাগনেটিক লেভিটেশন যানবাহনের মতো প্রযুক্তিগত বিপ্লব ঘটতে পারে। নতুন আবিষ্কারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এগুলো ২ডি উপাদানের সাথে সম্পর্কিত। এসব উপাদান এতটাই নমনীয় যে বিজ্ঞানীরা এক ক্লিকেই এগুলোকে সুপারকনডাক্টর, ইনসুলেটর এবং আরও অন্যান্য ধরণের বৈশিষ্ট্যে রূপান্তরিত করতে পারেন। ২০১৮ সালে এমআইটির বিজ্ঞানী পাবলো জারিলো-হেরেরো প্রথমবার “ম্যাজিক অ্যাঙ্গেল” গ্রাফিন নামক একটি ২ডি উপাদানে সুপারকনডাক্টিভিটি পর্যবেক্ষণ করেন। গ্রাফিন কার্বনের একটি বিশেষ রূপ, যা বিশেষভাবে সাজালে ইলেকট্রনের গতি কমিয়ে দেয় এবং তাদের জোড়া বাঁধতে সহায়তা করে। গ্রাফিন একটি দুর্দান্ত উপাদান যা খুবই পাতলা এবং শক্তিশালী। এটি একটি ২ডি হানিকম্ব ল্যাটিস আকারে সাজানো। জারিলো-হেরেরো দেখান যে একটি নির্দিষ্ট কোণে দুটি গ্রাফিন স্তর সাজালে সুপারকনডাক্টিভিটি দেখা দেয়। এই কোণটি “ম্যাজিক অ্যাঙ্গেল” নামে পরিচিত। গ্রাফিনের এই বৈশিষ্ট্য বিজ্ঞানীদের নতুন উপাদান আবিষ্কারের জন্য আরও উৎসাহিত করেছে। এরপর বিজ্ঞানীরা ট্রানজিশন মেটাল ডাইক্যালকোজেনাইড (টিএমডি) নামক আরেকটি ২ডি উপাদানে সুপারকনডাক্টিভিটি আবিষ্কার করেন। কোরি ডিন এবং তার দল ২০২০ সালে এই উপাদানটি নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাদের প্রথম গবেষণায় সুপারকনডাক্টিভিটির সম্ভাব্যতা দেখা গেলেও এটি নিশ্চিত করা যায়নি। তবে, চার বছরের প্রচেষ্টার পর তারা এটি প্রমাণ করতে সক্ষম হন। টিএমডি উপাদান একটি বিশেষ মোড় বা “টুইস্ট”-এর মাধ্যমে সুপারকনডাক্টিভিটি প্রদর্শন করে। এদিকে, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জি শান এবং কিন ফাই মাক আরও একটি অভাবনীয় আবিষ্কার করেন। তারা দেখান যে টিএমডি-এর নির্দিষ্ট একটি ভিন্ন মোড়ে সুপারকনডাক্টিভিটি সম্ভব। এটি এতটাই ব্যতিক্রমী যে প্রচলিত তত্ত্বের সাথে মেলানো সম্ভব নয়। তারা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের পরিবর্তন করে এই উপাদানে ইলেকট্রনগুলোর আচরণ নিয়ন্ত্রণ করেন এবং সুপারকনডাক্টিভিটি তৈরি করেন। অন্যদিকে, গ্রাফিন নিয়ে গবেষণা অব্যাহত আছে। এমআইটির বিজ্ঞানী লং জু এর নেতৃত্বে একটি দল সম্প্রতি পাঁচ স্তরের গ্রাফিনে একটি ভিন্নধর্মী সুপারকনডাক্টিভিটি আবিষ্কার করেছেন। এই উপাদানটি এমন বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে যা আগে কোনো সুপারকনডাক্টরে দেখা যায়নি। এই ধরনের সুপারকনডাক্টর চিরাল সুপারকনডাক্টর নামে পরিচিত। এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে ইলেকট্রনের জোড়াগুলো একই দিকে ঘোরে। লং জু এবং তার দল প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হওয়া কিছু গ্রাফিন স্তর খুঁজে বের করেন। তারা এই উপাদানের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেন যে ইলেকট্রনের ঘূর্ণন বা “রোটেশন”সুপারকনডাক্টিভিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিরাল সুপারকনডাক্টিভিটি বিজ্ঞানীদের কাছে এক নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। এটি দেখিয়েছে যে ইলেকট্রনের আচরণ পূর্বে যা ভাবা হতো তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি ম্যাটেরিয়ালেও সুপারকনডাক্টিভিটি সম্ভব। ল্যাবরেটরিতে গবেষকরা মাল্টি-লেয়ার ম্যাটেরিয়াল নিয়ে কাজ করছেন। যেমন, কিছু গবেষক বিশেষ ধাতু এবং সেমিকন্ডাক্টর একত্রিত করে নতুন সুপারকনডাক্টর তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এই উপকরণগুলোতে ইলেকট্রনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশেষ ন্যানোস্কেল স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়। আরেকটি গবেষণায়, ইলেকট্রনের কোয়ান্টাম বিহেভিয়ারের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। ইলেকট্রনদের মাঝে থাকা বিশেষ মিথস্ক্রিয়া এবং তাদের গঠিত কোয়ান্টাম অবস্থার বিশ্লেষণ থেকে সুপারকনডাক্টিভিটির নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে। গবেষকরা মনে করেন যে এই কোয়ান্টাম প্রভাবকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সুপারকনডাক্টিভিটি উচ্চতাপমাত্রায়ও সম্ভব হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, ভবিষ্যতে এই গবেষণার ফলাফল নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরিতে কাজে লাগানো যেতে পারে। সুপারকনডাক্টরের সাহায্যে আরও শক্তিশালী, দ্রুততর এবং কম শক্তি খরচ করা ডিভাইস তৈরি করা সম্ভব হবে। উদাহরণস্বরূপ, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে সুপারকনডাক্টর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এইসব গবেষণার ফলে সুপারকনডাক্টিভিটি নিয়ে আমাদের বোঝাপড়া প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। যদিও অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা, তবে এটি নিশ্চিত যে সুপারকনডাক্টিভিটি ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের অনেক বড় সাফল্যের দ্বার উন্মোচন করবে। ইলেকট্রনের মিথস্ক্রিয়া, নতুন উপাদান আবিষ্কার, এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এই ক্ষেত্রকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সব মিলিয়ে, সুপারকনডাক্টিভিটি নিয়ে গবেষণা কেবল বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেই নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রযুক্তিতেও অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনতে পারে। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যা বিজ্ঞানের নতুন সম্ভাবনার কথা জানান দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এর ফলাফল কী হবে, তা আমরা কৌতূহলের সাথে অপেক্ষা করে দেখতে পারি।


আরও খবর



আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত!

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজটিকে বিধ্বস্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। শুক্রবার মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, যানটিতে থাকা ১০ আরোহীই মারা গেছেন। খবর সিএনএন 

বেরিং এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি উনালাক্লিট থেকে নোমে যাচ্ছিল। ছোট কমিউটার উড়োজাহাজটিকে নোম থেকে দক্ষিণপূর্বে ৩৪ মাইল দূরে পাওয়া গেছে।

কোস্ট গার্ডের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাইক সালের্নো সিএনএনকে বলেন, উদ্ধারকারী দুই সাঁতারু উড়োজাহাজের ভেতরে তিনটি মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। বাকি সাতজন ‘ধ্বংসাবশেষের ভেতরে’ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা নাগাদ রাজ্য পুলিশকে উড়োজাহাজ নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। নয় যাত্রী ও এক পাইলট নিয়ে উড়োজাহাজ নিখোঁজের তথ্য এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। উড়োজাহাজটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ মাইল দূরে থাকার সময় নিখোঁজ হয়।

তার পরপরই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নোম ও হোয়াইট মাউন্টেন থেকে স্থল তল্লাশি শুরু করে; কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ও কম দৃশ্যমানতার কারণে আকাশপথে তল্লাশি চলছিল সীমিত আকারে।

কোস্ট গার্ডের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বেঞ্জামিন ম্যাকিনটায়ার-কোবল বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১৮ মিনিটের দিকে উড়োজাহাজটির উচ্চতা দ্রুত হ্রাস পায় এবং গতি দ্রুত কমে যায়।

কোস্ট গার্ডের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, তুষারাবৃত একটি অঞ্চলে উড়োজাহাজটি টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।

কোস্ট গার্ড এক্স পোস্টে বলেছে, এই দুঃখজনক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।


আরও খবর



আ. লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। সেই আওয়াজ আমরা ওঠাচ্ছি। আমরা তাদের এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিচার দাবি করছি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগকে একদিকে চাবেন তারা রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হোক আবার আপনারা তাদের বিচার করবেন না, পুলিশ দিয়ে তাদের কর্মসূচি বাধা দেবেন, এত স্ববিরোধিতা ঠিক নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জন্য মাঠে নামতে দেবেন না, মানি, সমর্থন করি কিন্তু এভাবে কতদিন রাজপথে পুলিশ দিয়ে ঠেকাবেন? আপনারা বলবেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চাই না, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না কিন্তু কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? আইনি কোনো পদক্ষেপ কি এই সরকার নিচ্ছে? না।

তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম, সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। সে অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইন সংশোধন করার দাবি জানিয়েছিলাম, এই দেশের মানুষ দাবি জানিয়েছিল। এই সরকার অধ্যাদেশ এবং আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু হঠাৎ করে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, এটা করা যাবে না। কেন?

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হোক আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না। সংবিধানে বিধান সংযোজন আছে সে অনুযায়ী আপনারা আইন করুন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কাউকে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাদের বিচার হচ্ছে সেই বিচারে হয়তো অবজারভেশন আসবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিষয়ে, সেটা অত্যন্ত দুর্বল অবজারভেশন হবে। তখনো আপনাদেরকে প্রশাসনিক আদেশ দিতে হবে, আইন প্রণয়ন করতে হবে সেই অবজারভেশনের নিরিখে। এখন যদি আপনারা সোচ্চার হন বিচারের জন্য, বাংলাদেশের মানুষ চায় বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী রাজনীতি একদম নির্মূল হয়ে যাক সেই ব্যবস্থা আপনারা নিতে পারেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের মধ্যে সে রিপোর্ট আসবে কি না, জানি না। তবে নিশিরাতের বিচারকদের বহাল রেখে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে চূড়ান্তভাবে স্বাধীন করা যাবে কি না, আমার সন্দেহ আছে।


আরও খবর



"সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য- কেনো, কোথায় ও কিভাবে!"

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) এই জিনিস টা বাংলাদেশ,ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। 


ধরেন আপনি ১ লিটারের কোকা-কোলা বাংলাদেশের যেকোনো দোকানে কিনবেন একই দাম দিয়ে। কিন্তু এই ১ লিটারের কোকা-কোলা ইউরোপ, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকমের দামে কিনতে হবে। 

মানে এখানে সাপ্লাই-ডিমান্ড বা ঐ দোকানের প্রাইসিং পলিসির এর ওপর মূল্য নির্ভর করে। 


সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পদ্ধতিটির কিছু বৈশিষ্ট্য:

• MRP খুচরা বিক্রেতাদের ওপর একরকম বাধা তৈরি করে, ফলে তারা নির্দিষ্ট টাকার বেশি লাভ করতে পারে না।


•অল্প সময়ের জন্য হলেও MRP মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে৷ যেহেতু পণ্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।


•এটা মুক্তবাজার (Free market) এর বিপরীত। 

এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কোনো পণ্যের মূল্য বাজারের মাধ্যমে(সাপ্লাই-ডিমান্ড) নির্ধারণ করা হয় না। সুতরাং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাজারের সাথে সামঞ্জস্য নাও হতে পারে।

অর্থাৎ ঐ পণ্যের মূল্য বাজার মূল্য অনুযায়ী কমও হতে পারে আবার বেশিও হয়ে যেতে পারে। 


এই MRP সাধারণত নির্ধারণ করে পণ্যের উৎপাদন বা আমাদনিকারক কোম্পানী।


একটি ছোট্ট তথ্য:

আমরা অনেক সময় পার্কে বা স্টেশনে কোনো দোকান থেকে চিপস, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি কিনতে গেলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য থেকে বেশি দাম চাওয়া হয়। 

এক্ষেত্রে একদমই সেই দামে কিনবেন না বরং দোকানদারকে বুঝিয়ে বলবেন যে, সে যদি এই কাজ করে তাহলে তার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় অনুর্ধ এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে।

এরপরও উনি কথা না শুনলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইনে ফোন করবেন!



-রিফাত রায়হান 

শিক্ষার্থী, ফাইন্যান্স বিভাগ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)


আরও খবর



সম্পর্কে টানাপোড়েন, তবুও ভারত থেকে ডিজেল আমদানি করছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেও বাংলাদেশ ভারত থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। সীমান্ত উত্তেজনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সচল রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এই ডিজেল ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে রেলপথে বাংলাদেশে আনা হবে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

বিপিসি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর দেশের পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭৪ লাখ টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। বাকি জ্বালানি স্থানীয় শোধনাগার থেকে সরবরাহ করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এনআরএল থেকে রেলপথে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে।  

সম্প্রতি সীমান্তে ভারতের বিএসএফের কাঁটাতার নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও স্থানীয়রা বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এর পাশাপাশি, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণ এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।  

তবে এই উত্তেজনার মধ্যেও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশ জ্বালানি এবং খাদ্য আমদানির বিষয়ে কাজ করছে। এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।  

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।  


আরও খবর