Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক বোয়ালমারীতে ভুল নকশায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কারের দাবিতে গণ-চিৎকার সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ এর উদ্বোধন গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি নিয়ে রিটের আদেশ হচ্ছে না আজ

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

চ্যানেল ডেস্কঃ


এক বিচারপতি অসুস্থ থাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের আদেশ আজ হবে না। বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে বিষয়টি জানা গেছে।


সংশিষ্ট আদালতের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন প্রধান বিচারপতির কাছে ছুটি নেন। সেখানে অসুস্থতার কারণ দেখান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান বিচারপতির দপ্তর।



এর আগে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ বলেছিলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত। 


মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই কথা বলেন।



আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানিতে আদালত এই কথা বলেন।


আদালত বলেন, সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউ সংবিধান, আইন মেনে চলছি না।


আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম। 



আরও খবর



গণমাধ্যমে নজিরবিহীন স্বাধীনতা: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের গণমাধ্যম বর্তমানে নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিস্তার দেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থনীতি পুনর্গঠন, সম্পদ পাচার রোধ, ভুল তথ্য মোকাবিলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা নিয়ে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস এবং সভাপতি বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের গণমাধ্যম বর্তমানে যে স্বাধীনতা ভোগ করছে, তা অতীতের তুলনায় নজিরবিহীন। তবে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি রয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং সঠিক তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র ও উন্নয়নের স্বার্থে সঠিক তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।”

বৈঠকে অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে একটি বিধ্বস্ত ও সংকটাপন্ন অর্থনীতি পেয়েছে। পুনর্গঠনের জন্য আমাদের বহুমুখী উদ্যোগ নিতে হবে।”

তিনি জানান, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জুলাইয়ের ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এই পরিবর্তনকে সুসংহত করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

তিনি ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা তুলে ধরে।

ড. ইউনূস বলেন, “দাভোস সফরে গিয়ে আমি দেখেছি, আন্তর্জাতিক মহলে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নেই। বরং, বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা আমাদের অর্জনকে দুর্বল করতে পারে।”

ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানাই এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপায় খুঁজব।”

বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশন তাদের সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করলে, প্রধান উপদেষ্টা তা স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রাখার পাশাপাশি ভুল তথ্যের প্রসার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সত্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”


আরও খবর



নির্বাচনই জনগণের অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায় : তারেক রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশনে শিক্ষক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বললেন, নির্বাচনই জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায়। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে পরাজিত ফ্যাসিস্টদের সহায়তা করা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে বিএনপি অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে জনগণ মেনে নেবে না। 

তারেক রহমান বলেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার থাকা উচিৎ। দেশের সংকট মোকাবেলায় নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। 

বিএনপির এ নেতা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই সব কিছু পালিত হয়। সুতরাং কোনো কিছুকে শুদ্ধ রাখার জন্য রাজনীতির বাইরে রাখা বা ঊর্ধ্বে রাখা এটি না করে বরং রাজনীতিটাই আমাদের শুদ্ধ করা প্রয়োজন। রাজনীতিটা শুদ্ধ এবং স্বচ্ছ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণের রায় পেয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি পর্যায়ক্রমভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা কমিশন গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা পদক্ষেপে নেওয়া হবে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থেকে অপহৃত ভিকটিমসহ ২ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহৃত ভিকটিম মেহেদী হাসান বিপ্লব (১৪)’কে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ এলাকা হতে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী তাজুল ইসলাম ও আকরাম হোসেন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। 

রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানাধীন রাজারামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় বসবাসকারী মো: মেহেদী হাসান বিপ্লব (১৪), পিতা-মোঃ আবুল কাশেম। সে প্রায় ০৬ মাস যাবৎ ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আগানগর এলাকার একটি গার্মেন্টসে সহকারী কারীগর হিসেবে কাজ করে আসছে। গত ১২/০১/২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৫:০০ ঘটিকায় ভিকটিম বিপ্লব আগানগর এলাকার উক্ত গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকা হতে অপহৃত হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিম বিপ্লবের বড় ভাই ও গার্মেন্টসের লোকজন সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ১৩/০১/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৮:০০ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা ভিকটিম বিপ্লবের মোবাইল ফোন থেকে ভিকটিমের মায়ের মোবাইলে ফোন করে বিপ্লবের মুক্তিপণ হিসেবে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দাবী করে অন্যথায় ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে। অতঃপর ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ মোকছেদুল হক (২২) বাদী হয়ে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় ভিকটিম বিপ্লব’কে অপহরণের দায়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নম্বর-২৯, তাং-১৭/০১/২০২৫, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০২০) এর ৭/৮/৩০।

উল্লেখিত অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল অপহৃত ভিকটিম বিপ্লব’কে অক্ষত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ২৩:০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগানগর এলাকা হতে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত ভিকটিম মোঃ মেহেদী হাসান বিপ্লব (১৪)’কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতঃ অপহরণকারী ১। তাজুল ইসলাম (২৬) ও ২। মোঃ আকরাম হোসেন (২৫)’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:  দীর্ঘ আন্দোলনের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দেশে থাকলেও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তাঁর উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের মনোবল সব সময় চাঙা রাখত। এমন সময়ে খালেদা জিয়া বিদেশে অবস্থান করছেন যখন তাঁর দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি করলেও সরকারঘনিষ্ঠ অনেকেই আগে সংস্কার পরে নির্বাচনের কথা বলছেন। দলের নেতা-কর্মীসহ জনমনে প্রশ্ন উঠছে খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবেন কিনা। আবার অনেকে মনে করছেন, উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে তিনি দেশে ফিরবেন। সঙ্গে আসবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনিও দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে দলে স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই রয়েছে।


জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুরনো তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে মানুষ এমনটা চিন্তা করছে। কিন্তু ভীত হওয়ার কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় এবং কারাগারে থাকার সময়েও রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যেত না। তখন হাজার মাইল দূর থেকে তারেক রহমানই এই দলকে সুসংগঠিত রেখে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এখনো সেভাবে দল এগিয়ে যাবে।


বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় আমরা বারবার আবেদন করেছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি, চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি। দেশের ১৬ কোটি মানুষের দোয়ায় আমাদের নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন, এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা।’


বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠিয়ে নির্যাতন করেছিল। তাঁকে চিকিৎসার ব্যবস্থা তো করেইনি বরং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট করকারের বিদায়ের পর দেশনেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। এতে দেশবাসী স্বস্তি অনুভব করছে। আমরা প্রত্যাশা করছি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দ্রুত দেশে ফিরবেন, ইনশাল্লাহ।’


বিএনপিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে চার মাস কেন সময় নিলেন, তা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। তবে ২ জানুয়ারি রাতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সস্ত্রীক খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশানের বাসভবনে দেখতে গেলে তখনই বলা হয় যে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাবেন। সে কারণেই সেনাপ্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেনাপ্রধান ৪০ মিনিটের মতো সেখানে ছিলেন। 


তবে চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া ছাড়া আর কিছুই তখন জানানো হয়নি বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কবে ফিরবেন তা সুস্পষ্ট নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন তা-ও এখনো অনিশ্চিত। কারণ মামলাগুলো চলছে ধীরগতিতে। 


তাঁরা বলছেন, ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সময় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তখন রাজনীতিতে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা আলোচনায় ছিল এবং দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবার জন্য চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এবারও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ‘মাইনাস টু’র বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। 


তবে খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবেন কি না, এমন নানা আলোচনা ডালপালা মেললেও এসবের কোনো ভিত্তি নেই বলেই মনে করেন বিএনপির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।


আরও খবর



বিদায়ী ভাষণে যা বললেন জো বাইডেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব নেয়ার আগে বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ দিলেন জো বাইডেন।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তাঁর অর্জনকে হুমকির মুখে ফেলেছে প্রভাবশালী শক্তি। ক্ষমতা, মুনাফার স্বার্থে তারা এই কাজ করছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা নৃশংস সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। এই প্রসঙ্গটিও বাইডেনের ভাষণে উঠে এসেছে। 

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছরের মে মাসে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন যে চুক্তিটিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে, তা তাঁর প্রস্তাবিত কাঠামোর ওপর ভিত্তি করেই করা।

প্রাইমটাইমে দেয়া ভাষণে ৮২ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, আজ আমেরিকায় চরম সম্পদ, ক্ষমতা ও প্রভাবের একটি অলিগার্কি বিকশিত হচ্ছে, যা আক্ষরিক অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি খুব অল্পসংখ্যক অতিধনী লোকের হাতে ক্ষমতার বিপজ্জনক কেন্দ্রীকরণ।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি অতি-ধনীক ‘প্রযুক্তি শিল্প কমপ্লেক্স’ সম্পর্কেও আমেরিকানদের সতর্ক করেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণহীন ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। দেশের জন্য সত্যিকারের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

তিনি বলেন, আমেরিকানরা ভুলতথ্য ও অপতথ্যের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে, যা ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফ্ল্যাটফর্মগুলোর জবাবদিহির আহ্বান জানান তিনি।

বাইডেন বলেন, এআই বিপুল সম্ভাবনা উপহার দিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রহরা না থাকলে তা নতুন হুমকির জন্ম দিতে পারে।

রূপান্তরমূলক প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই চীনের ওপর নেতৃত্ব নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন বাইডেন। তিনি তাঁর প্রশাসনের সাফল্যের জন্য গর্বিত।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁরা একত্রে যা করেছেন, তার সম্পূর্ণ প্রভাব অনুভব করতে সময় লাগবে। কিন্তু বীজ রোপণ করা হয়েছে। সেগুলো বেড়ে উঠবে, দশকের পর দশক ধরে প্রস্ফুটিত হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বাইডেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও বাইডেন লড়তে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন।


আরও খবর