Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

শিবিরবিরোধী মিছিলকারীদের অভিনন্দন জানাল জাবি শিবির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতার প্রকাশ্যে আসার পর মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। সেই বিক্ষোভ মিছিলকারীদের স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিরোধিতায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভকে তারা স্বাগত জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব রাজনৈতিক সংগঠনের সহাবস্থানে বিশ্বাসী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

এদিকে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিলটি শুরু করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে বক্তৃতা দেন ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান- এই দুটি অধ্যায়কে যারা অস্বীকার করবে, তাদের জনগণ কখনোই ক্ষমা করবে না। শিবির যে প্রেস রিলিজ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে, সেখানে তারা মিথ্যাচার করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা কবে মিছিল করে? গত ১৫ জুলাই রাতে মেয়েরা মিছিল করেছিলো যখন ছাত্রলীগ তাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। একইভাবে, মেয়েরা শিবিরের বিরুদ্ধেও মিছিল করেছিল, শিবিরকে ক্যাম্পাস থেকে তাড়ানোর জন্য।

‌‘ছাত্রশিবিরকে কখনোই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বা শ্রমিক হত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলনে দেখা যায়নি। তারা সবসময় শাহবাগ ও শাপলা চত্বরের বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে, যা আওয়ামী লীগেরও রাজনৈতিক কৌশল। যে সংগঠনের হাতে রক্তের দাগ আছে, তাদের রাজনীতি করতে হলে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে। এটি সামাজিক বিচার কিংবা আইনি বিচার হতে পারে। এজন্য তাদের ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাসে আসতে হবে।’

প্রসঙ্গত, জাকসু সচলসহ ক্যাম্পাসে সব দলের অংশগ্রহণে সুস্থধারার রাজনীতির দাবি জানিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রশিবির। এতে প্রায় ৩৫ বছর পর জাবিতে ফের প্রকাশ্যে এল সংগঠনটি। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছে ছাত্রশিবির।



আরও খবর



আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

আগরতলা প্রতিনিধি:

ভারতের আগরতলা অভিমুখী ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চকে স্বাগত জানাতে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পথের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

নেতাকর্মীদের হাতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। অনেক নেতাকর্মীর হাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের নাম উল্লেখিত বিভিন্ন স্লোগানের প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এই লংমার্চ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।


আরও খবর



পুষ্পা টু’র প্রিমিয়ারে ভক্তের মৃত্যু, আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা টু’ ছবির প্রিমিয়ারে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ভক্তদের অতিরিক্ত হুড়োহুড়ির কারণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রেবতী নামের এক নারীর। তার এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনি ঝামেলায় পড়েছেন এই ছবির নায়ক আল্লু অর্জুন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, শুধু এই প্যান ইন্ডিয়ান তারকার বিরুদ্ধেই নয়, তার নিরাপত্তারক্ষী ও থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে হায়দরাবাদে আরটিসি ক্রসরোডসের চিক্কদপল্লীর সন্ধ্যা থিয়েটারে রাত সাড়ে নয়টায় ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের আয়োজন ছিল। থিয়েটারের বাইরে ভক্ত-অনুরাগীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। এমনকি, ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ।

যখন থিয়েটারের সামনে প্রবেশ করেন দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন, তখন তাকে সামনে থেকে দেখতে গিয়েই অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫ বছর বয়সী রেবতীর। সঙ্গে ছিল তার ৯ বছরের ছেলে শ্রীতেজ। থিয়েটারে অস্বাভাবিক ভিড়ের কারণে দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। শিশুটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

চিক্কদপল্লী পুলিশ স্টেশনে আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তারক্ষী ও প্রেক্ষাগৃহের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করেছে রেবতীর পরিবার। তাদের বক্তব্য, আল্লুর আগমনের কোনো আগাম খবর দেয়া হয়নি। ওই থিয়েটারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও রেবতীর পরিবারের অভিযোগ।

থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, অভিনেতা আল্লুর টিম কিংবা ওই প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পায়নি তারা। ফলে থিয়েটারে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ আগে থেকে মোতায়েন করা যায়নি।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন, বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী প্রতিনিধি:
দেশের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। আর সেই জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সোনালি ধান আমন। কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠ। হেমন্তের মিষ্টি বাতাসে দোল খাচ্ছে আমনের সোনালি শীষ। সোনালি ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক। কেউ আঁটি বেঁধে ধানের বোঝা কাঁধে করে, কেউ ভ্যানে আবার কেউ গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৩২৫ মেট্রিকটন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি এসব ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে গড়ে ৩.৪-৩.৬ মেট্রিকটন ।এর মধ্যে আগাম জাতের ধান রয়েছে হাইব্রিড ও উপশি জাতের তেজগোল্ড, ব্রী-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাটাপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ আরও বিভিন্ন জাত।

সরজমিনে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়ন, এলুয়াড়ী ইউনিয়ন ও শিবনগর ইউনিয়নের  রাজারামপুর, গোপালপুর, জাফরপুর, পলিশিবনগর, শমসেরনগর এলাকায় ঘুরে দেখা যায় , মাঠে মাঠে আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আবার ধান কেটে কাঁধে করে জমি থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ মাড়াই করে বস্তায় ভরছেন। অনেকে ধান কাটার পর আগাম আলুসহ শীতকালীন রবিশস্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য মাঠে-মাঠে কিষান-কিষানিদের চরম ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।

স্থানীয় কৃষক হাফিজুল হক চৌধুরী বলেন, এক সময় আগাম আলু চাষের জন্য জমি ফেলে রাখা হত। এখন স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আগাম জাতের ধান আবিষ্কার হওয়ায় জমি ফেলে রাখা হয় না। ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে আলুর ফলন ভালো হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জমিগুলোতে প্রতি বছর আগাম ধান, আলু, ভুট্টাসহ চার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এতে করে তারা লাভবান হচ্ছে।

আলাদিপুর ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক ময়েজ আলী বলেন, এবছর তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান লাগিয়েছেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ফলন ভালো হয়েছে, ইতি মধ্যে ১ এক বিঘা জমির ধান কেটেছেন। বাজারে দাম ও পেয়েছেন ভাল। বর্তমান বাজারে প্রতিবস্তা কাচা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে। ধান কাটা শেষে এসব জমিতে আগাম আলু রোপণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন,ফুলবাড়ী উপজেলা একটি খাদ্য উবৃদ্ধির উপজেলা  এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এই উপজেলায়  বিগত বছরের চেয়ে এবছর আমনের ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ভাগ ধান কৃষ তাদের ঘরে তুলেছেন। কৃষক দামও বেশি পাচ্ছে।


আরও খবর



যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।

প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।

দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




রোজার আগেই চড়া হলো ছোলার বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিবেদক: রোজা এখনও তিন মাস দূরে থাকলেও ইফতারির সবচেয়ে মুখরোচক এ খাদ্যপণ্যের দাম উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভোক্তাদের। খোদ সরকারি সংস্থা টিসিবিই বলছে, গত এক বছরে ছোলার দর বেড়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে আমদানি বাড়ানো, সরবরাহ ব্যবস্থা ও বাজার তদারকি এবং টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন যে ছোলা বিক্রি হচ্ছে, তা গত বছর আমদানি করা। সেই সময় ডলারের দর ও বিশ্ববাজারে ছোলার দাম বেশি ছিল। রমজান উপলক্ষে নতুন করে ছোলা আমদানি শুরু হয়েছে। সহজে এলসি খুলতে পারলে আগামী জানুয়ারিতে আমদানি অনেক বেড়ে যাবে। ফলে দাম বাড়ার শঙ্কা নেই, বরং সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে কমতে পারে।

গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজার, চকবাজার, মহাখালীসহ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১১৭ টাকায়; যা খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। গত বছরের এই সময় খুচরা পর্যায়ে ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৫ টাকা।


আরও খবর