Logo
আজঃ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম

শেষ যুগে যেভাবে চলতে বলেছেন নবীজি (সা.)

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১৯৬জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সময় যত কেয়ামতের দিকে ঘনিয়ে যাবে, ততই ফিতনা বেড়ে যাবে। ঈমান ও ইসলামের ওপর টিকে থাকা তখন সবার পক্ষে সহজ হবে না। এমন কঠিন সময়ে হাদিসের নির্দেশনা হলো- নিজেকে নেক আমলে ব্যস্ত রাখা এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরের পরিবেশে না যাওয়া। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর চলমান ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। (মুসলিম : ৭১৩৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ফিতনার সময় ঈমানদারের করণীয় হলো- সর্বদা চুপ থাকা। এত পরিমাণ চুপ থাকা, যার কারণে কোনো ফিতনা তাকে আকৃষ্ট করতে না পারে। (আল ফিতান : ৭৩৫)। হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে তাকাবে, ফিতনা তাকে ঘিরে ধরবে। তখন কেউ যদি কোনো আশ্রয়ের জায়গা কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন আত্মরক্ষা করে। (বোখারি : ৭০৮১)

এ ছাড়া আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। হুজাইফা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষের ওপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মতো। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩৬৪৪৭)

অর্থাৎ নদীতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি যেভাবে বাঁচার আকুতি নিয়ে দোয়া করতে থাকে, সেভাবে দোয়া করা। পাশাপাশি নিজের নজরের হেফাজত করা। ফিতনার বিষয় সম্পর্কে জানতেও বের না হওয়া। ফিতনার দিকে দৃষ্টি বা উঁকি না দেওয়া। সবসময় সৎ কাজ আঁকড়ে ধরা, অসৎ কাজ পরিহার করা, সর্বসাধারণকে এড়িয়ে মুত্তাকিদের সঙ্গে চলাফেরা করা এবং পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করা ফিতনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন ফিতনা তীব্র আকার ধারণ করবে, তখন তোমরা সৎ কাজকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে, তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারণকে এড়িয়ে চলবে। (আল ফিতান : ৭২১)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ফিতনার যুগে কেউ যদি জান্নাতের উপযুক্ত হতে চায়, তার জন্য বিশেষ তিনটি করণীয় রয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, সেসময় নাজাতের উপায় কী? তিনি বললেন, নিজের জিহ্বা আয়ত্তে রাখবে, নিজের ঘরে পড়ে থাকবে এবং নিজের পাপের জন্য রোদন করবে। (মিশকাত : ৪৮৩৭)

সর্বযুগের অন্যতম বড় ফিতনা হচ্ছে নারীর ফিতনা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো নারীর ওপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বারবার দৃষ্টিপাত করো না; বরং দৃষ্টি অতিসত্বর ফিরিয়ে নিও। কারণ তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়। (মুসনাদে আহমদ : ১৩৬৯)। নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, পুরুষের জন্য নারী জাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোনো ফিত?না আমি রেখে যাইনি। (বোখারি : ৫০৯৬)

এ উম্মতের আরো একটি বড় ফিতনা হচ্ছে- ধন-সম্পদের ফিতনা, যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে মানুষকে গাফেল রাখে। হজরত কাব ইবনে ইয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোনো না কোনো ফিতনা ছিল। আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ। (তিরমিজি : ২৩৩৬)

ফিতনার যুগে গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, যা না থাকলে যেকোনো সময় ফিতনা গ্রাস করে ফেলতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা আঁকড়ে ধরে থাকো, তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (আত-তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৪০)

দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে করণীয় : পাপ সবসময় বর্জনীয়। পাপের চূড়ান্ত শাস্তি আখেরাতে হলেও অনেক সময় দুনিয়াতেও আল্লাহতায়ালা শাস্তি দিয়ে থাকেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জাতির মধ্যে আত্মসাৎ বৃদ্ধি পেলে সে জাতির লোকদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করা হয়। কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। কোনো সম্প্রদায়ের লোকরা পরিমাপ ও ওজনে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করা হয়। কোনো জাতির লোকরা অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করলে তাদের মধ্যে রক্তপাত বিস্তৃতি লাভ করে। কোনো জাতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর শত্রুদল চাপিয়ে দেন।’ (মুয়াত্তা মালেক : ১৩২৩)

আল্লাহর দেওয়া দুনিয়াবি শাস্তির ধরন নানারকম হয়ে থাকে। কারো অসুস্থতার মাধ্যমে, কাউকে অসহায়ত্বের মাধ্যমে, কারো আবার ঈমান হরণের মাধ্যমে। গুনাহের প্রথম শাস্তি হলো মানসিক অস্থিরতা। এরপর নানা আপদে পতিত হতে হয় পাপিকে।

প্রথম শাস্তি মানসিক অশান্তি বড় এক আপদ। এই আপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তওবা ও নেক আমল। এ ছাড়া প্রশান্তির কোনো উপায় নেই। এ মহা নেয়ামত আল্লাহতায়ালা তার রাসুলকে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, আমি কি আপনার অন্তর প্রশান্ত করিনি? (সুরা ইনশিরাহ : ১)

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কঠিন ফিতনার দিনে ঈমান ঠিক রাখার তাওফিক দান করুন। দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ আমল করারও তাওফিক দিন। আমিন।


আরও খবর



পলাশবাড়ীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু : মা ক্লিনিকে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভুল চিকিৎসায় আবারো মা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম এ পারভীন আক্তার পারুল বেগম (২৫) নামে এক প্রসূতি' ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় রোগীর স্বজনেরা মা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম এ ভাংচুর করে ও অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ অক্টোবর শনিবার সকালে।

রোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১৭ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রসূতি পারুল বেগম কে সিজার করার জন্য মা ক্লিনিকে নেয় পরিবার পরে রাত প্রায় ১১ টার দিকে তার সিজার শুরু করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এতে পরে রাত ৪ টার দিকে প্রসূতি রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে।পরে রোগীর স্বজনদের সান্তনা দিতে ক্লিনিকের কর্তব্যরতরা এম্বুলেন্স ডেকে মৃতদেহ রংপুর রিফার্ডের চেষ্টা করলে রোগীর স্বজনেরা বিষয়টি বুঝতে ক্লিনিক টিতে হামলা ও ভাংচুর শুরু করে। এঘটনায় রোগীর স্বজনেরা মা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম এ ভাংচুর করে ও অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। পরে রোগীর স্বজনেরা মরদেহ বিশ্রাম গাছী গ্রামে স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে যান সেখানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

নিহত পারুল বেগম (২৫) গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের জামালপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার কন্যা ও উপজেলা মহদীপুর ইউনিয়নের বিশ্রামগাছী গ্রামের শামিম মিয়ার স্ত্রী। নিহত প্রসূতি পারুল বেগম দুই সন্তানের জননী।

রোগীর স্বজনেরা জানান,এর আগে প্রসূতির দুইটি সিজারের মাধ্যমে দুটি সন্তান জন্ম নেয়, তিন নাম্বার সিজারে সময় ভুল চিকিৎসার কারণে পারুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক ও নার্স ফাতেমা বেগম এর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ও উক্ত মা ক্লিনিকটি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের সরকারি কবরস্থানের সামনে অবস্থিত পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স ফাতেমা বেগমের মালিকানাধীন ভবনে মা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম এ প্রতিনিয়ত প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ধামাচাপা দেওয়ায় এলাকাবাসী ও সচেতন জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।


আরও খবর



শরণখোলায় সৌদি সরকারের পাঠানো দুম্বার মাংস বিতরণে অনিয়ম

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৭১জন দেখেছেন

Image

 স্ট্যাফ  রিপোর্টার:


বাগেরহাট শরণখোলায় সৌদি সরকারের পাঠানো দুম্বার মাংস বিতরণে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের অনিয়ম ও রহস্যজনক গরমিল। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের (পিআইও) মাধ্যমে ২৯ টি মাদরাসায় ও এতিমখানায় গত শুক্রবার রাত ১১ টায় এই মাংস বিতরণ করা হলেও, সরবরাহ ও বিতরণের হিসাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অমিল ধরা পড়েছে।


সূত্রে জানা গেছে, শরণখোলায় মোট ১০ কার্টুন দুম্বার মাংস এসেছে। প্রতিটি কার্টুনে ১০ প্যাকেট করে মাংস থাকার কথা, অর্থাৎ ১০ কার্টুনে মোট ১০০ প্যাকেট মাংস থাকার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে যে তালিকা সরবরাহ করেছে, সেখানে দেখা গেছে ২৯ টি মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে মোট ৬০ প্যাকেট মাংস। হিসাব অনুযায়ী বাকি ৪০ প্যাকেট মাংসের কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া রাতের আধারে বণ্টনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও মোঃ সোহাগ আকন বলেন, সব কার্টুনে সমানসংখ্যক প্যাকেট ছিল না, কোনো কোনো কার্টুনে ১০টির পরিবর্তে ৭ বা ৮টি প্যাকেট ছিল। তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন— সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রেরিত সিল করা কার্টুনে প্যাকেটসংখ্যা কমবেশি হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? অনেকেই মনে করছেন, এই ব্যাখ্যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় এবং পুরো বিতরণ প্রক্রিয়াতেই অস্বচ্ছতা রয়েছে। তালিকায় উল্লেখিত মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে পাওয়া তথ্যেও দেখা গেছে, তালিকায় যে সংখ্যক প্যাকেট উল্লেখ করা হয়েছে, বাস্তবে তার সঙ্গে মেলে না। কোথাও বেশি, কোথাও আবার কম। দক্ষিন বাধাল মরহুম ছগির হোসেন হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের নাম তালিকায় থাকলেও উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মোঃ শরিফুল ইসলাম আদৌও কোন প্যাকেট পাননি বলে জানান।


এদিকে স্থানীয় সমাজকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সচেতন মহল বলছেন, সরকারি তত্ত্বাবধানে বিদেশি সহায়তার বণ্টনে এমন অসঙ্গতি প্রশাসনের ওপর জনগণের আস্থা কমিয়ে দেবে। তাদের দাবি, এই মাংস বিতরণের পুরো প্রক্রিয়াটি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য বের করতে হবে। জনসাধারণের করের টাকায় পরিচালিত সরকারি দপ্তরের কাজে এই ধরনের অনিয়ম শুধু প্রশাসনিক নয়, নৈতিক ব্যর্থতাও নির্দেশ করে।


শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহকে দুম্বার মাংস বিতরণে অনিয়ম সম্পর্কে জানতে ফোন করলে তিনি জানান, আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে একাধিক অভিযোগ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।



মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু 

বাগেরহাট শরনখোলা 


আরও খবর



বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। 

নাবি মুম্বাইয়ে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ২৭ ওভারে নির্ধারিত হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২৭ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৯ রান করে বাংলাদেশ। 

দলের হয়ে শারমিন আকতার সর্বোচ্চ ৩৬, সোবাহানা মোস্তারি ২৬ ও রুবাইয়া হায়দার ১৩ রান করেন। ভারতের রাধা যাদব ৩ উইকেট নেন।

বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জয়ের জন্য ২৭ ওভারে ১২৬ রানের টার্গেট পায় ভারত। ৮ দশমিক ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুলে ভারত। এরপর বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। 

বৃষ্টির কারণে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে ১টি করে জয় ও পরিত্যক্ত ম্যাচ এবং ৫ হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে থেকে এবারের বিশ্বকাপ শেষ করল টাইগ্রেসরা। 

বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় টাইগ্রেসরা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ হারে তারা।   

২০২২ সালেও নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে সপ্তম স্থানে থেকে আসর শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ৭ ম্যাচে ১ জয় ও ৬ হারে ২ পয়েন্ট পেয়েছিল তারা। ঐবারও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিল টাইগ্রেসরা।


আরও খবর

বিপিএলের পাঁচ দলের নাম প্রকাশ করল বিসিবি

বৃহস্পতিবার ০৬ নভেম্বর ২০২৫




বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করেছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই-এর মহাসচিব মো. আলমগীর, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার ও জনাব নিজাম উদ্দিন রাজেশ, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি এস. এম. ফজলুল হক, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (খোকন), আব্দুল ওয়াহেদ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সিএনজি মেশিনারিজ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকির হোসেন (নয়ন), এবং বাংলাদেশ সুপার মার্কেটস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন।

২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি থেকে উত্তরণের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরুদ্ধার, এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম সুদৃঢ় ও বেগবান করতে বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা।

সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ও আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত নীতি সহায়তা কমিটির কার্যকাল বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পের ব্যাংকিং সমস্যা দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘পয়েন্ট অব কন্ট্রাক্ট’ স্থাপন, সুদের হার কমিয়ে এক অঙ্কে (সিঙ্গেল ডিজিট) নিয়ে আসা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার বৃদ্ধি ও সুদের হার হ্রাস, এসএমই খাতে বন্ড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার সুবিধা প্রদান। 

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্বিতীয় ড্রোন কারখানা স্থাপনে চুক্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ১৯জন দেখেছেন

Image

 বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) হাই-টেক উৎপাদন খাতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অ্যারোসিন্থ লিমিটেড একটি ড্রোন তৈরির কারখানা স্থাপন করবে।

এটি হবে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আসা দ্বিতীয় ড্রোন উৎপাদন প্রকল্প।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীনা মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। খেলনা ড্রোন, মাছ ধরার ড্রোন ও হালকা পণ্য পরিবহনের ড্রোনসহ বিভিন্ন ধরনের ড্রোন উৎপাদন করবে। বার্ষিক ১ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ৭০ জন বাংলাদেশির কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম ড্রোন প্রকল্পটি ইতোমধ্যে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। সেখানে কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশক ছিটানো, অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার, পণ্য পরিবহন, সিনেমাটোগ্রাফি ও ম্যাপিংয়ের জন্য ড্রোন উৎপাদন করা হচ্ছে।

এই দু’টি প্রকল্প উন্নত ও ভবিষ্যৎমুখী শিল্পখাতে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে বেপজার ধারাবাহিকতা তুলে ধরছে।

আজ বুধবার রাজধানীতে বেপজা কমপ্লেক্সে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবির এবং অ্যারোসিন্থ লিমিটেডের অনুমোদিত প্রতিনিধি হু দানদান চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেপজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের হাই-টেক বিনিয়োগের জন্য বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বেছে নেওয়ায় অ্যারোসিন্থ লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানাই।’

এ সময় তিনি ব্যবসা পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে। চলমান উন্নয়ন কাজের মধ্যেই এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রায় ৪ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং প্রায় ১ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।

আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান শিগগিরই উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে, যা এই অঞ্চলের শিল্প বৈচিত্র্যকে আরও বিস্তৃত করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য (প্রকৌশল) আবদুল্লাহ আল মামুন, সদস্য (অর্থ) এ এন এম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিস) মো. খুরশিদ আলম, নির্বাহী পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) সমীর বিশ্বাস, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ এস এম আনোয়ার পারভেজ এবং অ্যারোসিন্থ লিমিটেডের প্রতিনিধিরা।


আরও খবর