Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ২৫ তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি, বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে সিলেট বিভাগ তৃতীয় স্থানে ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বললেন অর্থ উপদেষ্টা শ্রীপুরে মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রচার, বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন ভারত সিরিজের সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে শর্ত ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু

শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ, আ.লীগ নেতা আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীরকে আটক করেছে পুলিশ। 


গত ১২ আগস্ট রাতে জাহাঙ্গীর কবিরকে ফোন দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় কিছু নির্দেশনাও দেন তিনি।


বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোরে নিজ বাসভবন আমতলার পাড় এলাকা থেকে ঢাকার একটি পুলিশ টিম তাকে আটক করে।



সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা এবং বিশৃঙ্খলা ঘটানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল হালিম বলেন, ঢাকা থেকে পিবিআইর একটি টিম বরগুনায় এসে জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করেছে। 


গত ১২ আগস্ট রাতে ফোনালাপে জাহাঙ্গীরকে দলীয় বেশকিছু নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি ১৫ আগস্ট শোক দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় সঙ্গে পালন করার নির্দেশনা দেন। এ সময় শেখ হাসিনাকে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আস্থা রাখতে অনুরোধ করেন জাহাঙ্গীর কবির। 



এমনকি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার কথা জানান জাহাঙ্গীর। এ ঘটনার পরই আলোচনায় আসেন বরগুনার এই আওয়ামী লীগ নেতা।



এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক জাহাঙ্গীর কবিরকে বরগুনা সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।



আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি লতিফ

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image


 

ডেস্ক রিপোর্ট:


চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 


শনিবার ভোরে গ্রেফতারের পর সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ তাকে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এই আদেশ দেন।


মামলার এজাহার এবং থানা সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকায় এরশাদ নামের একজন গুলিতে আহত হন।  


এ ঘটনায় আহত এরশাদ বাদী হয়ে শুক্রবার ডবলমুরিং থানায় এম এ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।  মামলার এজাহারে এম এ লতিফ গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়।


ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর কাদের পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে জানান, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এম এ লতিফ ২০০৮ সালে থেকে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।


প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।  


এরইমধ্যে দলটির শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গ্রেফতার হয়েছেন।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ইতিহাসের পাতায় নাম লিখলেন রোনালদো

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

ইতিহাস গড়লেন তর্কযোগ্যভাবে বর্তমান ফুটবল বিশ্বের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে ৯০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। তার রেকর্ড গড়ার দিনে হেসেছে পর্তুগালও। উয়েফা নেশনস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে রোনালদোরা। সর্বশেষ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গোলই করতে পারেননি রোনালদো। যে কষ্ট রোনালদোর চোখ থেকে পানি ঝরিয়েছিল। কিন্তু নেশনস লিগের প্রথম ম্যাচেই তৃপ্তির হাসি হেসেছেন সিআরসেভেন। নিজেদের ঘরের মাঠে পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন রোনালদো। ৩৪ মিনিটে নুনো মেন্ডিসের ক্রস থেকে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা। ম্যাচের পর রোনালদো বলেন, ‘৯০০ গোল অন্য যেকোনো মাইলফলকের মতো মনে হয়। কিন্তু শুধুমাত্র আমি জানি, এই ৯০০ গোল করতে প্রতিদিন আমাকে কতটা কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। এটা আমার ক্যারিয়ারের একটি অনন্য মাইলফলক। আমি খুবই গর্বিত। আমার বয়স সাড়ে ৩৯ বছর। এই কারণেই যখন এই রেকর্ডগুলো হয়, আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যাই।’ পর্তুগালের হয়ে প্রথম গোলটি করেন দিয়াগো দালোত। ৭ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের পাস থেকে বল নিয়ে দ্রুতগতির শটে ক্রোয়েশিয়ার জাল কাঁপান তিনি। ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জমা হয়। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ক্রোয়েশিয়া। ৪১ মিনিটে পর্তুগালের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধানে কমিয়ে আনে ২-১ করে তারা। ভুল করে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন পর্তুগালের দালোত। দ্বিতীয়ার্ধে কোনো গোল না হওয়ায় পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।


আরও খবর

কানপুরেই হবে ভারত–বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনা-খায়রুল হকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image


আদালত প্রতিবেদকঃ


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণে ফিরোজ তালুকদার নামে একজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।


 বুধবার (২১ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের স্ত্রী রেশমা সুলতানা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। 


মামলার অন্য আসামিরা হলেন–সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্য সব আইনজীবী তথা এমিকাস কিউরিদের মতামত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। তার জাজমেন্ট আদালতের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে দেশে অঘোষিত স্বৈরতন্ত্র কায়েমপূর্বক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের যথেচ্ছভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগের অনুমতি প্রদান করে।


পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা ও অন্য আসামিরা যেনতেনভাবে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে জাল ভোট, মৃত ব্যক্তির ভোট প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় গণমানুষের স্বাভাবিক উপস্থিতি ছাড়াই কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর জুলুম, নির্যাতন ও বাক স্বাধীনতা খর্ব করাসহ খুন, গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও নিষ্পেষণ অব্যাহত রাখে।


এক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তারা (সরকার) হত্যা, গুম ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দমনপীড়ন করলে আন্দোলনকারীরা সারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতাকে তাদের পাশে সার্বিক অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ করে।


 এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নির্দেশে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ কিছু বিপথগামী সদস্য, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী আন্দোলন দমনের জন্য ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকে।


 ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফিরোজ তালুকদার মিরপুর-১০ গোলচত্বর অতিক্রম করার সময় র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। পরে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image



অর্থনৈতিক প্রতিবেদকঃ


অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


 এটি ঘোড়ার লাগাম টানার মতো নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ যৌক্তিক সময় লাগবে।


বুধবার অর্থমন্ত্রণালয়ে মূল্যস্ফীতি সংকট্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।


অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন বাড়ানো হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।


এই বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আহসান এইচ মনসুর বলনে, আগামী চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। 


মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে স্বস্তি দায়ক রিজার্ভ রেখে বাকিটা দিয়ে আমদানিতে ব্যয় করা হবে। আমদানি পণ্যের ঘাটতি আছে। যতটুকু করা সম্ভব আমদানি করা হবে।  


ব্যাংক একীভূত প্রসেঙ্হ গভর্নর বলেন এটি দেখে শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আমানতের খেয়ানত করলে কী হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

ধর্ম  ডেস্ক : মুসলমানদের একে অপরের বিশ্বস্ত হতে হবে- রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই অসত্য এবং অন্যায়ের স্থান থাকতে পারে না। একজন মানুষ অপর মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণামূলক আচরণ করবে না এটি ইসলামি সমাজের কাক্সিক্ষত ও কাম্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন : ‘যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সঙ্গে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।’ (-সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য। (-আবু দাউদ ও তিরমিজি)।

সততা হলো মানবজীবনের প্রধান মূলধন। যারা এ সম্পদে সমৃদ্ধ তারা সমাজের সবার আস্থার পাত্র। যে কারণে ইসলাম ব্যক্তিগত সততাকে গুরুত্ব দিয়েছে। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আমানতের খেয়ানতকারীকে হাজির করে বলা হবে- ‘তোমার কাছে গচ্ছিত আমানত ফিরিয়ে দাও। সে জবাব দেবে, ইয়া পরওয়ারদেগার! কীভাবে তা ফিরিয়ে দেব? পৃথিবী তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা জিনিসটি যেভাবে রাখা হয়েছিল ঠিক অনুরূপ আকারে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাকে দেখানো হবে। অনন্তর তাকে বলা হবে- যাও, ওখানে নেমে ওটা তুলে আন। অতঃপর সে নেমে গিয়ে সেটি কাঁধে বয়ে নিয়ে আসবে। তার কাছে জিনিসটির ওজন পৃথিবীর সব পর্বত অপেক্ষা বেশি মনে হবে। তার ধারণা হবে, তুলে আনলেই সে দোজখের আগুন থেকে নাজাত পাবে। কিন্তু সে যখন জাহান্নামের শেষ প্রান্তে চলে আসবে, অমনি ওই জিনিসটি নিয়ে পুনরায় জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে যাবে। এভাবে সে চিরকালই জাহান্নামে থাকবে। অনন্তর হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘নামাজ, অজু, গোসল, পরিমাপ ও পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা সবই আমানতের শামিল, আর কারও রক্ষিত জিনিস সর্বাপেক্ষা বড় আমানত।

প্রত্যেক মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি যেমন বিশ্বস্ত হতে হবে তেমন আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালনেও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।’ (-সুরা আনফাল-২৭)। এ আয়াতের শানে নজুল সম্পর্কে ইমাম ওয়াহেদি (রহ.) বলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু লুবাবা (রা.) এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসলমানগণ যখন বনু কুরায়যাকে অবরোধ করে রেখেছিলেন, আর বনু কুরায়যার মহল্লায় লুবাবার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা অবস্থান করছিল। রসুল (সা.) তখন কোনো এক বিশেষ প্রয়োজনে আবু লুবাবা (রা.)-কে বনু কুরায়যার কাছে পাঠালেন। কুরায়যা গোত্রের লোকেরা জানতে চাইল : আবু লুবাবা! সা’দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যদি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসি, তাতে আমাদের কী পরিণতি হবে বলে তুমি মনে কর?’ আবু লুবাবা (রা.) আপন গলার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চাইলেন, তোমাদের সবার গলা কেটে ফেলা হবে, কাজেই তোমরা তা করতে যেও না। তার এ আচরণ ছিল আল্লাহ ও রসুলের খেয়ানতের পর্যায়ভুক্ত। আবু লুবাবা (রা.) নিজেই স্বীকারোক্তি করেন, ‘আমি পা স্থানচ্যুত করার পূর্বেই বুঝতে সক্ষম হলাম, আমি আল্লাহ ও তার রসুলের খেয়ানত করে ফেলেছি।’ (এরপর হজরত আবু লুবাবা (রা.) দীর্ঘ ছয় দিন মসজিদে নববীর একটি কাঠের খামের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখেন এবং তওবা মঞ্জুর হওয়ার ঘোষণা আসার পরই তিনি বাঁধনমুক্ত হন।) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।’ অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না। হজরত কালবি (রা.) বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের অবাধ্যচারিতাই হচ্ছে খেয়ানত। আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের ব্যাপারে প্রত্যেকেই আমানতদার।

আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোনাফেকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কিছু গচ্ছিত রাখা হয়, তখন তা খেয়ানত করে। (-বোখারি ও মুসলিম)। আহমাদ, বাযযার ও তাবারানির বর্ণনায় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তার ভিতর দীন নেই। সব ব্যাপারেই খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা দোষণীয়। তবে একটা অন্যটা অপেক্ষা বেশি দোষণীয় হতে পারে। যে লোক ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করল, আর যে কারও অর্থ-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা বা আরও বড় কোনো অপরাধ করল, তারা উভয়ে সমান নয়।


আরও খবর