Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার মামলার প্রতিবেদন ২৪ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: দেশের তিনটি বিমান বন্দরের চারটি প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে পৃথক চার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব পৃথক চার মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন। এর আগে সোমবার তাদের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেন দুদক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যোগাযোগ, নেভিগেশন ও নজরদারি ব্যবস্থাপনা, রাডার স্থাপন প্রকল্পের আওতায় রাডার নির্মাণের সময় প্রায় দুইশ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়া একই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ (তৃতীয় টার্মিনাল) প্রকল্প থেকে ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে ২১২ কোটি টাকা এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ ও রানওয়ে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

এই চার মামলায় তারিক সিদ্দিক ছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান মহিবুলকে আসামি করা হয়েছে।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম-সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক ও বেবিচকের সাবেক সুপারিন্টেডেন্ট প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান।


সূত্র : বাসস


আরও খবর



রিক্সাচালক হালিম শেখ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি রনি মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট : ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন এলাকায় রিক্সা চালক হালিম শেখ (২৫)’কে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করতঃ লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় মাটিতে পুতে রেখে লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রনি মিয়া (৩৭)’কে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন মধ্য আলীপুর এলাকায় বসবাসকারী মোঃ হালিম শেখ (২৫), পিতা-মৃত আঃ রব শেখ নামক একজন রিক্সা চালক সে ভাড়ায় রিক্সা চালিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকায় হালিম যাত্রী বহন করার উদ্দেশ্যে গ্যারেজ থেকে ভাড়াকৃত রিক্সাটি নিয়ে বের হয়। প্রতিদিনের ন্যায় হালিম রাত আনুমানিক ২৩:০০ ঘটিকা মধ্যে গ্যারেজে রিক্সা জমা দিয়ে বাসায় ফিরে যায়। ঐদিন রাত আনুমানিক ২৩:৩০ ঘটিকায় হালিম গ্যারেজ মালিককে ফোন করে জানায় যে, সে একটি যাত্রী নিয়ে কানাইপুর যাচ্ছে ফিরতে দেরি হবে। অতঃপর পরদিন ০১/০১/২০২৫ তারিখ সকালে হালিমের পরিবারের লোকজন হালিমকে ফোন দিয়ে তার ফোন বন্ধ পায়। অতঃপর সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজখবর নিয়েও হালিমের কোন সন্ধান পাওয়া না গেলে হালিমের মা পারুল বেগম (৬৫) ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন যার জিডি নং-১৪৬ তরিখ ০৩/০১/২০২৫ খ্রিঃ। উক্ত জিডি করার পর পুলিশ ও হালিমের পরিবারের লোকজন নিখোজ হালিমকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ০৪/০১/২০২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকায় পুলিশ সংবাদ পায় যে, কোতয়ালী থানাধীন গুহলক্ষীপুর মডেল টাউন এলাকায় আসামিদের ভাড়াটিয়া বসতঘরের দক্ষিণ পাশে লাকড়ী চুলার রান্না ঘরের পিছনে একটি গর্থের মধ্যে আলগা বালু মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় উক্ত গর্থ হতে মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় একটি লাশ বের করে। উক্ত মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপানোসহ গলায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা জবাই করার চিহ্ন দেখা যায়। পরবর্তীতে হালিমের মা উক্ত লাশটি দেখে এটি তার নিখোজ ছেলে হালিমের লাশ বলে শনাক্ত করে। এ সময় আসামিদের রান্না ঘর হতে ভিকটিম হালিমের ব্যাটারি চালিত রিক্সাটির ব্যাটারি বিহীন বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। অতঃপর পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

উক্ত ঘটনায় মৃত হালিমের মা পারুল বেগম (৬৫) তার পরিবারের সাথে পরামর্শ করতঃ বাদী হয়ে ফরিপুর জেলার কোতয়ালী থানায় চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক রিক্সা চালক হালিম হত্যাকান্ডে জড়িত আসামি মোঃ রনি মিয়া (৩৭) ও ২। সুমি বেগম (২৭)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৩, তাং-০৬/০১/২০২৫, ধারা-৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেক্ট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঞ্চল্যকর রিক্সা চালক হালিম হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক র‌্যাব-১০ বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ০১:০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা এবং র‌্যাব-১১ এর সহযোগীতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন জামদানী তারাবো এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী এলাকায় রিক্সা চালক হালিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করতঃ লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে মাটিতে পুতে রেখে চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ডে জড়িত এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামি মোঃ রনি মিয়া (৩৮), পিতা-আব্দুল মতিন, সাং-খলাপাড়া, থানা-রায়পাড়া, জেলা-নরসিংদী’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার ও শাস্তির দাবীতে স্মারকলিপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৭জন দেখেছেন

Image

মাহফুজুল ইসলাম মন্নু : শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংগঠিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের যথাযথ বিচার ও শাস্তির দাবিতে লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ই ফেব্রুয়ারী) দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ' মার্চ ফর জাস্টিস' উপলক্ষে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো: গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান রাজ, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম মুন্না, লোহাগড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হৃদয়সহ প্রমূখ।

লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কামরুন নাহার লিনা স্মারকলিপি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মন্দ আচরণের পরিণতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : কিছু মানুষ এমন আছে, যারা অন্যের সঙ্গে কটু ভাষায় কথা বলে আনন্দবোধ করে। তারা মনে করে, এই রূঢ় আচরণ তাদের ব্যক্তিত্বতে পাকাপোক্ত করে। তারা অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তারে তাদের আরেকটি কৌশল হলো, তারা খুব সূক্ষ্মভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যকে দমিয়ে রাখার জন্য নুন থেকে চুন খসলে অভিশাপও দিয়ে থাকে, অথচ রহমাতুল্লিল আলামিন, সরদারে দো আলম মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতে, কোনো মুমিনের জন্য এ ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়া সমীচীন নয়। আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৭) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পর একে অপরকে অভিসম্পাত, তার গজব ও জাহান্নামের বদদোয়া  কোরো না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৬) অন্যকে অভিশাপ দেওয়া এতটাই ভয়ানক বিষয় যে তা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশাপ দাতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন কোনো বান্দা কোনো বস্তুকে অভিশাপ দেয়, তখন ওই অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে ওঠার পথকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তা আবার দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওনা হয়; কিন্তু দুনিয়ায় আসার পথও বন্ধ করে দেওয়ায় সে ডানে-বাঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোনো পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, তার কাছে ফিরে আসে। তখন সেই বস্তু যদি অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার ওপর ওই অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর ওপরই তা পতিত হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৫) এগুলো অভিশাপকারীর দুনিয়াবি ক্ষতি। আখিরাতেও শুধু অভিশাপ দেওয়ার প্রবণতার কারণে বহু মানুষ জাহান্নামে যাবে। যেমনটা নবীজি (সা.) নারীদের উদ্দেশ করে বলেছিলেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত, একবার ঈদুল আজহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমার সদকা করতে থাকো। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাকো আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। (বুখারি, হাদিস : ৩০৪) তাই কখনো এ ধরনের রূঢ় আচরণ ও অহেতুক অভিসম্পাতকারীর কবলে পড়লে তার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত না হয়ে তাকে এড়িয়ে চলাই মুমিনের কাজ। এতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবি মদদ পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছে। 

আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখি, কিন্তু তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাদের উপকার করি, কিন্তু তারা আমার ক্ষতি করে। তারা আমার সঙ্গে মূর্খের আচরণ করে, কিন্তু আমি তা সহ্য করি।’ তিনি বলেন, যদি তোমার বক্তব্য সঠিক হয়, তবে তুমি যেন তাদের মুখে উত্তপ্ত ছাই পুরে দিচ্ছ। তোমার কারণে তাদের দুর্ভোগ আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি এরূপ করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী তাদের মোকাবেলায় তোমার সঙ্গে থাকবেন। (আদাবুল মুফরাদ, আয়াত : ৫২)


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার হামলার শিকার হয়ে সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ভাঙচুরের ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বুধবার রাত আটটার দিকে ফেসবুকে ঘোষিত ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে শুরু করে। রাত ১০টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়। এরপর ক্রেন এবং এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বাড়ির সামনের অংশের তিন তলা পর্যন্ত অনেকটাই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির ভেতরে থাকা দরজা, জানালা, লোহা, স্টিলসহ নানা জিনিসপত্র ভাঙা এবং লুট করার দৃশ্যও দেখা গেছে।

সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, বাড়িটির পেছনের ছয়তলা ভবনটি ভাঙা হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় শত শত মানুষ বাড়ির ভেতরে ঢুকে নানা সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে আসছে। বাড়ির বিভিন্ন অংশে লাল কালি দিয়ে লেখা ছিল, ‘স্বৈরাচার সাবধান’।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শফিক হাসান বলেন, "বাড়িটি পুরোপুরি ভাঙতে হবে। নাহলে ফ্যাসিবাদকে জিইয়ে রাখা হবে। আমরা এখানে স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে দিতে এসেছি।"

বিক্ষোভকারীরা "স্বৈরাচারের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও" এবং "দিল্লি না ঢাকা" স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। বৃহস্পতিবার "জয় বাংলা" স্লোগান দেওয়ায় এক মধ্যবয়সী নারীসহ দুইজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র সরে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে এই কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নীল আহমেদ বলেন, "যত বিভেদ থাকুক না কেন, হাসিনা এবং ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। এই বাড়ি ভেঙে আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আরও শক্ত করেছি।"

শুধু ঢাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায়ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে:
-খুলনায়: ময়লাপোতা এলাকায় শেখ হাসিনার চাচার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
-চট্টগ্রামে: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও জামাল খান এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে।
-সিলেটে: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
-রাজশাহীতে: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে।
-রংপুরে: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে।
-কুষ্টিয়ায়: আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের এই ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই অবস্থান কতটা টেকসই হবে এবং এর ফলাফল কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এই ঘটনার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।


আরও খবর



বিষ মাখানো কলা কুড়িয়ে খেয়ে দুই শিশুর মর্মান্তিক অবস্থা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৭জন দেখেছেন

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিবগঞ্জ উপজেলা শ্যামপুর বাজিতপুর গ্রামে কৃষক সবুর আলী ভুট্টা খেতে পাখি মারার জন্য পাকা কলায় বিষ মিশিয়ে জমিতে রাখে। একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম এর নাতি জুনাইদ (৫), পিতা জুয়েল গ্রাম উমরপুর, এবং নাতনি মোসাঃ ইজা খাতুন (৭) মাতা রুনা খাতুন দায়পুকুরিয়া ইউনিয়ন মির্জাপুর গ্রাম, ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকার দিকে তাদের নানির সাথে জমিতে যায়। জমিতে গিয়ে পাকা কলা দেখতে পেয়ে কুড়িয়ে খেয়ে ফেলে। ঐদিন ১২:০০ টার সময় বুক জ্বালাপোড়া করলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুদের। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ 

 প্রদান করে। অসুস্থ শিশুর মামা কাউসার আলী বলেন, আমার ভাগিনা জুনায়েদ বর্তমানে মোটামুটি সুস্থ আছে এবং আমার ভাগ্নি ইজার এখনো জ্ঞান ফেরেনি। 


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫