Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করবেন জয়শঙ্কর

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর (প্রত্যর্পণ) বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছে। জবাবে তিনি বলেছেন, তাঁরা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন। এটি তাঁরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে করেন।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার জার্মানির বার্লিনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করা প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর এ কথা বলেন। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে বৈঠকের পর এই যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্ন করেন। বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইবে। ভারত কি এমন অনুরোধ বিবেচনা করবে?

জয়শঙ্কর বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা স্পষ্টতই এই সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। এটি আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে করি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন।


আরও খবর



আমানতের খেয়ানত করলে কী হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: মুসলমানদের একে অপরের বিশ্বস্ত হতে হবে- রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই অসত্য এবং অন্যায়ের স্থান থাকতে পারে না। একজন মানুষ অপর মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণামূলক আচরণ করবে না এটি ইসলামি সমাজের কাক্সিক্ষত ও কাম্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন : ‘যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সঙ্গে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।’ (-সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য। (-আবু দাউদ ও তিরমিজি)। সততা হলো মানবজীবনের প্রধান মূলধন। যারা এ সম্পদে সমৃদ্ধ তারা সমাজের সবার আস্থার পাত্র।

যে কারণে ইসলাম ব্যক্তিগত সততাকে গুরুত্ব দিয়েছে। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আমানতের খেয়ানতকারীকে হাজির করে বলা হবে- ‘তোমার কাছে গচ্ছিত আমানত ফিরিয়ে দাও। সে জবাব দেবে, ইয়া পরওয়ারদেগার! কীভাবে তা ফিরিয়ে দেব? পৃথিবী তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা জিনিসটি যেভাবে রাখা হয়েছিল ঠিক অনুরূপ আকারে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাকে দেখানো হবে। অনন্তর তাকে বলা হবে- যাও, ওখানে নেমে ওটা তুলে আন। অতঃপর সে নেমে গিয়ে সেটি কাঁধে বয়ে নিয়ে আসবে। তার কাছে জিনিসটির ওজন পৃথিবীর সব পর্বত অপেক্ষা বেশি মনে হবে। তার ধারণা হবে, তুলে আনলেই সে দোজখের আগুন থেকে নাজাত পাবে। কিন্তু সে যখন জাহান্নামের শেষ প্রান্তে চলে আসবে, অমনি ওই জিনিসটি নিয়ে পুনরায় জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে যাবে। এভাবে সে চিরকালই জাহান্নামে থাকবে। অনন্তর হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘নামাজ, অজু, গোসল, পরিমাপ ও পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা সবই আমানতের শামিল, আর কারও রক্ষিত জিনিস সর্বাপেক্ষা বড় আমানত। প্রত্যেক মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি যেমন বিশ্বস্ত হতে হবে তেমন আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালনেও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।’ (-সুরা আনফাল-২৭)। এ আয়াতের শানে নজুল সম্পর্কে ইমাম ওয়াহেদি (রহ.) বলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু লুবাবা (রা.) এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসলমানগণ যখন বনু কুরায়যাকে অবরোধ করে রেখেছিলেন, আর বনু কুরায়যার মহল্লায় লুবাবার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা অবস্থান করছিল।

রসুল (সা.) তখন কোনো এক বিশেষ প্রয়োজনে আবু লুবাবা (রা.)-কে বনু কুরায়যার কাছে পাঠালেন। কুরায়যা গোত্রের লোকেরা জানতে চাইল : আবু লুবাবা! সা’দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যদি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসি, তাতে আমাদের কী পরিণতি হবে বলে তুমি মনে কর?’ আবু লুবাবা (রা.) আপন গলার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চাইলেন, তোমাদের সবার গলা কেটে ফেলা হবে, কাজেই তোমরা তা করতে যেও না। তার এ আচরণ ছিল আল্লাহ ও রসুলের খেয়ানতের পর্যায়ভুক্ত। আবু লুবাবা (রা.) নিজেই স্বীকারোক্তি করেন, ‘আমি পা স্থানচ্যুত করার পূর্বেই বুঝতে সক্ষম হলাম, আমি আল্লাহ ও তার রসুলের খেয়ানত করে ফেলেছি।’ (এরপর হজরত আবু লুবাবা (রা.) দীর্ঘ ছয় দিন মসজিদে নববীর একটি কাঠের খামের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখেন এবং তওবা মঞ্জুর হওয়ার ঘোষণা আসার পরই তিনি বাঁধনমুক্ত হন।) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।’ অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না। হজরত কালবি (রা.) বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের অবাধ্যচারিতাই হচ্ছে খেয়ানত। আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের ব্যাপারে প্রত্যেকেই আমানতদার। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোনাফেকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কিছু গচ্ছিত রাখা হয়, তখন তা খেয়ানত করে। (-বোখারি ও মুসলিম)। আহমাদ, বাযযার ও তাবারানির বর্ণনায় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তার ভিতর দীন নেই। সব ব্যাপারেই খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা দোষণীয়। তবে একটা অন্যটা অপেক্ষা বেশি দোষণীয় হতে পারে। যে লোক ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করল, আর যে কারও অর্থ-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা বা আরও বড় কোনো অপরাধ করল, তারা উভয়ে সমান নয়।


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




গাজীপুরে ১২ দফা দাবিতে কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড নামে একটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা ১২ দফা দাবি জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ওই কারখানার শ্রমিকেরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজে যোগ না দিয়ে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিসহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে কারখানার অ্যাসেম্বলি পয়েন্টে অবস্থান নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।জানা যায়, সোমবার সকালে শ্রমিকরা ১২ দফা জানিয়ে কারখানার ভেতরে অবস্থান নেয়। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিলসহ ৮টি দাবি মেনে নেয়। ১২টি দাবি থেকে ৮টি দাবি মেনে নিলেও বাকী চারটি দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে।




আরও খবর

আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




মেহজাবীনের ‘সাবা’ যাচ্ছে বুসানে

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: বর্তমান সময় শোবিজ অঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন মেহজাবীন চৌধুরী। বিশেষ করে ছোট পর্দায় তিনি অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’ বেশ সাড়া ফেলেছে। ইতোমধ্যে সিনেমাটি টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। সেখানেও প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি। এবার জানা গেল মেহজাবীনের জন্য আরও এক সুখবর। ‘সাবা’ অফিসিয়ালি সিলেক্ট হয়েছে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য। সিনেমাটির জায়গা হয়েছে উৎসবের ‘এ উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা’ ক্যাটাগরিতে। এই খুশির খবরটি মেহজাবীন নিজেই জানিয়েছেন ভক্তদের। এই ক্যাটাগরিতে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, নেপাল, সিঙ্গাপুর, ইরানসহ বিশ্বের আরও বেশকিছু দেশের মোট ২৮ সিনেমা রয়েছে। যাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে ‘সাবা’কে। উৎসবটি চলবে অক্টোবরের ২ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত। ‘সাবা’ প্রথম প্রদর্শিত হবে অক্টোবরের ৪, ৭ ও ৮ তারিখ। মেহজাবীনের প্রথম এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাকসুদ হোসেন। এ নিয়ে মেহজাবীন বলেন, ‘সাবা’ নারীকেন্দ্রিক একটি গল্পের সিনেমা। এবার এ সিনেমাটি বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হতে চলেছে। বিষয়টি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আশা করছি এখানেও ছবিটি দেখে মুগ্ধ হবেন সবাই। ‘সাবা’র পরিচালক মাকসুদ হোসেন গ্লোবাল মিডিয়া মেকার্সসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। সেইসঙ্গে ‘সাবা’সহ নিজের পরিচালিত আরও একটি সিনেমা নিয়ে ভারত ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফিল্ম বাজারের কো-প্রোডাকশনে অংশ নিয়েছেন। ছবিটির গল্প লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও নির্মাতা নিজে। মেহজাবীন ছাড়াও ‘সাবা’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার এবং রোকেয়া প্রাচীর মতো অভিনয়শিল্পীরা।

 

আরও খবর

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ফ্লপ চঞ্চলের ‘পদাতিক’

শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪




নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১২ জন। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে তারা প্রাণ হারান। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। এদিকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিনদিন ধরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে অবিরাম বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে এবং শনিবার রাত পর্যন্ত অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্যোগে আরও ৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ৯৯ জন নিহত, ৬৮ জন নিখোঁজ এবং আরও ১০০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কাঠমান্ডু পোস্টের স্থানীয় সংবাদদাতাদের প্রাপ্ত তথ্য এবং নেপাল পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদর দপ্তরের নিশ্চিত হওয়া তথ্যে দেশব্যাপী ১১২ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ললিতপুরে কমপক্ষে ২০ জন, ধাদিংয়ে ১৫ জন, কাভরে ৩৪ জন, কাঠমান্ডুতে ১২ জন, মাকাওয়ানপুরে ৭ জন, ভক্তপুর ও পাঁচথারে ৫ জন, সিন্ধুপালচোকে ৪ জন, দোলাকায় ৩ জন, ধনকুটায় ২ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, পাঁচথার, ঝাপা, মহোত্তারি, কাঠমান্ডু, ললিতপুর, কাভরে, সিন্ধুলি, ধাদিং, সিন্ধুপালচোক, দোলাখা এবং রূপানদেহি জেলায় অন্তত ৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন। কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, বন্যা এবং ভূমিধসের জেরে পার্বত্য এই দেশটির অনেক অংশে মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে, অনেক মহাসড়ক এবং রাস্তার চলাচল ব্যাহত হয়েছে, শত শত বাড়ি ও সেতু চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে এবং শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়র কারণে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন। শনিবার কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



কলাপাড়ায় জেলা পর্যায়ের শাপলা কাব ও প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড মূল্যায়ন-২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় শাপলা কাব ও প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড জেলা পর্যায়ের মূল্যায়ন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্র সমন্বয়কারী এবং মূল্যায়ন পরিচালনা করেন কলাপাড়া স্কাউটস সাধারণ সম্পাদক এবং খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো.নুরুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা স্কাউট কমিশনার মো.সুলতান আহম্মেদ, উপ-পরিচালক পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা সাকিলা ইয়াসমিন, জেলা স্কাউট লিডার সাইয়েদুল হক আজাদ, জেলা কাব-স্কাউট লিডার মো.কাইউম ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা স্কাউট লিডার শাহানাজ পারভীন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্কাউটস সহ-সভাপতি ও কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস, উপজেলা স্কাউটস কমিশনার ও খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মো.আবদুর রহিম, উপজেলা স্কাউটস লিডার মো.নিজাম উদ্দিন, সহ-সভাপতি ইকবাল বাসার খান, সহ- কমিশনার ও মঙ্গলসুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুজ শাকিব কনা, মো.মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মামানৈ, সদস্য মো.মোয়াজ্জেম হোসেন, সঞ্জয় সিকদার ও শাহ-আলম প্রমুখ।

কলাপাড়ার মাধ্যমিক স্তরের প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড্#৩৯;র জন্য ৩৪ জন স্কাউট শিক্ষার্থী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬১ জন কাব স্কাউট শিক্ষার্থী এ মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ৪০ মিনিট লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা এবং প্রাকটিকাল (সাঁতার) কার্যক্রমের মাধ্যমে মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর