Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি বৈঠক : বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার প্রত্যাশা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩৪৪জন দেখেছেন

Image

23 ডিজিটাল ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে।

রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠকে এ প্রত্যাশা করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তার সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত ভোজসভায় অংশ নেন।

তিনি বলেন, ভারতের সিনিয়র মন্ত্রী, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং অন্যান্য সরকার ও রাষ্ট্রের প্রধানগণ এই নৈশভোজে যোগ দেন এবং সেখানে তাদের সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় হয়। এ সময় তারাও কুশল বিনিময় করেছেন।

ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক ইস্যু জড়িত। যেহেতু দুই সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তাই একসঙ্গে কাজ করার কিছু সুবিধা রয়েছে।হাছান মাহমুদ আশা প্রকাশ করেন, আমাদের বহুমাত্রিক গভীর সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত ও সংহত হবে।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে ভারতের রাজধানী ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।তথ্যসূত্র: বাসস।


আরও খবর



তানজিকা বলেছিলেন প্রেম করে বিয়ে করবেন, শেষ পর্যন্ত কি করেছেন...

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

তিন বছর আগে তানজিকা আমিন প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে বলেছিলেন, প্রেম করে বিয়ে করবেন। খোঁজাখুঁজিও চলছে। কারণ, বরের সঙ্গে একটা জানাশোনা তো লাগবেই। তিন বছর পর এসে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জানালেন, তিনি বিয়ে করেছেন। পাত্র ৬ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচিত। ঢাকার বেইলি রোডের বাসায় একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের কাজটি শেষ করেন তিনি।

২০০৪ সালের লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ তানজিকা আমিন। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে কাজের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে এখন আগের চেয়ে তিনি অনেক বেশি সিরিয়াস। আগে বয়সও ছিল কম। মাত্র ২০ বছর বয়সে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।

এক যুগ আগে তানজিকা আমিন বিয়ে করেছিলেন স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরকে। তাঁদের সেই দাম্পত্য সম্পর্ক কয়েক বছর টিকেছিল। তবে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত মোটেও ভুল ছিল বলে মনে করেন না তিনি।

প্রথম আলোকে তখন বলেছিলেন, ‘আমাদের একটা অভ্যাস, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেটা যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে বলি যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমার বিয়ের ডিসিশন পারফেক্ট ছিল, ডিভোর্স আনফরচুনেটলি হয়ে গেছে। সুন্দর সময় কেটেছে। আমার সময়টা আমি উপভোগ করেছি। এসব নিয়ে আমার কোনো অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই।’

তবে সংসারজীবন নিয়ে ভাবনাচিন্তা ছিল। বিয়ে করার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করছিলেন। এ প্রসঙ্গে তানজিকা বলেছিলেন, ‘আমার মা-বাবা নাতি-নাতনির মুখ দেখার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছেন। আমি তো তাঁদের একমাত্র সন্তান, আমার প্রতি তাঁদের একটা প্রত্যাশাও আছে। আমারও তো জীবনে একজন সঙ্গী দরকার। সবকিছু মিলে আই নিড আ সংসার।’ তানজিকার সেই সংসার গড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে লেগে যায় তিন বছর। আজ ৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৬ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে স্বামীর সম্পর্কে রূপ দিলেন তানজিকা।

বিয়ের প্রসঙ্গে তানজিকা বলেছিলেন, ‘আর্ট মাধ্যমে আমরা যারা কাজ করি, তাদের জীবনধারণটাই একটু আলাদা। প্রথম বিয়েতে একটা ধাক্কা খাওয়াতে পরেরটা বুঝেশুনে করতে চাই। যেটাই হোক না কেন, এমন একটা মানুষকে বেছে নিতে চাই, যার সঙ্গে আগামীর সময়টা কাটিয়ে দিতে পারি।’

নির্ঝরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তানজিকা আমিন বিরতিতে কাজ করেছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে পরিচয় হয় অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী সাইফ বাসুনিয়ার সঙ্গে। আস্তে আস্তে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তানজিকার মায়েরও পছন্দ হয় সাইফকে। বিয়ে প্রসঙ্গে তানজিকা আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমাদের আকদ হয়েছে, একেবারে পারিবারিকভাবে। আত্মীয়স্বজনেরা ছিলেন। সাইফকে আমি ২০১৮ সাল থেকে চিনলেও কখনো তাঁকে বিয়ে করব, এমনটা ভাবিনি। তবে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। সেটা যে প্রেম বা বিয়েতে গড়াবে, তা ভাবিনি। অবশেষে তা হয়ে গেল।’

কবে থেকে ভাবলেন, এই বন্ধুকে বিয়ে করা যায়? ‘দুই মাস আগে ভাবলাম, এর সঙ্গে বিয়ে নিয়ে ভাবা যায়। তবে বিষয়টা পুরোপুরি পরিবারের মধ্যে ছিল। সাইফকে আমার মায়ের খুব ভালো লাগত। ভীষণ পছন্দ করতেন, আগে থেকে চিনতেনও।

পারিবারিকভাবে বিয়ে নিয়ে আমার ওপর চাপও ছিল। একটা সময় এসে পারিবারিক চাপ মেনে নিতে হয়েছে। এটাও ঠিক যে আমারও তাকে ভালো লাগত। আমি জানতাম, সে খুব ভালো একজন মানুষ। মানবিক মানুষ। মনে হয়েছে, সে–ই আমার জন্য সবচেয়ে সঠিক মানুষ, যাকে জীবনসঙ্গী করা যায়।’ বলেন তানজিকা আমিন।


আরও খবর



ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

 নিজেস্ব প্রতিনিধি:  ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপির ৩ অঙ্গ সংগঠন।

রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় ভারতীয় দূতাবাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬ প্রতিনিধি ওই স্মারকলিপি জমা দেন।

দূতাবাসে যাওয়া ৬ প্রতিনিধি হলেন- যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।

 

এই তিন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ‌‘আমরা বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী চাই। কোনো আগ্রাসীমূলক মনোভাবের প্রতিবেশীর দরকার নেই।’

তারা জানান, ত্রিপুরায় বাংলাদেশি সহকারী হাই কমিশনে ভাঙচুর, পতাকা অবমাননা, সম্পদ বিনষ্ট করা - এসব অবমাননার বিচার দাবি করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।

একইসঙ্গে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ‌‘একপেশে উসকানিমূলক বক্তব্য’ ও ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ বিনষ্টের মতো সংবাদ যাতে পরিবেশন না করা হয়, সে বিষয়টিও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতকে অস্বীকার করা যাবে না- উল্লেখ করে ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’ থেকে যাতে ভারত বিরত থাকে সে বিষয়টি বলা হয়েছে বলে জানান সংগঠনগুলোর নেতারা।

এর আগে ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের পদযাত্রা রামপুরায় পৌঁছালে সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় হ্যান্ডমাইকে গুলশান জোনের ডিসি তারেক আহমেদকে বলতে দেখা যায়, আমরা যে কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাই। তিনি তিন সংগঠনের ছয় জন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি নিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান।

তারেক আহমেদ বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যতটুকু করা দরকার ঠিক ততটুকুই পুলিশ করছে। বিশৃঙ্খলা না হলে আমরা কিছুই বলবো না, যে কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানাই।

ভারতীয় হাইকমিশনের সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে বলে নেতাদের জানান তিনি। পরে তিনটি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ছয়জনকে পুলিশ ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য গাড়িতে করে রওনা দেয়।


আরও খবর



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই পোষ্য কোটায় ভর্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও একটি ‘রিভিউ কমিটি’ গঠন করেছেন। তবে স্নাতক পর্যায়ে পোষ্য কোটা ভর্তির তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে পোষ্য কোটায় ভর্তির হার আরও বেশি। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটা শতকরা ৪ শতাংশ থাকলেও স্কুল পর্যায়ে ভর্তিতে এই কোটার হার ৮৭ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য। ক্যান্টনমেন্ট স্কুলগুলোতে যেমন সেখানকার নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সন্তানরাই লেখাপড়া করতে পারেন। সেই একই উদ্দেশ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবুও বাইরের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। যদিও সেটা খুবই নগণ্য। তবে বর্তমান ছাত্রনেতারা বলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পোষ্য কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

গত ২০ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ১২০টি আসন সংখ্যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ১০৫ এবং বহিরাগত ১৫ টি। বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যন্তরীণ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী/সহায়ক/সাধারণ কর্মচারী/নিয়মিত মাস্টাররোল কর্মচারী ও ডাইনিং কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। অন্যদিকে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, তাদেরকে প্রতিপাল্য বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নেই জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, গত জুলাই-আগস্টে আমাদের হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, এই শহিদদের একটাই দাবি ছিল কোটা প্রথা নিপাত যাক। আমি একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে এই কোটা আর দেখতে চাই না। সবাই ক্লাসে একই মেধাতে ক্লাস করবে। দুইটা ভিন্ন মেধার শিক্ষার্থী একই ক্লাস বুঝতে পারেন না। যে শিক্ষার্থী কোটায় ভর্তি হয়, তার সঙ্গে মেধায় ভর্তি শিক্ষার্থীর জ্ঞানের পার্থক্য থাকে। ওই প্রেক্ষাপট থেকে বর্তমানে কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমি মনে করি অবশ্যই এটা বৈষম্য। ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লবের পরে সব জায়গায় মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাবে এটাই আমরা দেখতে চাই। একজন দিন মজুরের ছেলে যেভাবে মেধার ভিত্তিতে চান্স পায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তানও যেন সেভাবেই সুযোগ-সুবিধাটা পায় এটাই আমাদের চাওয়া।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য। ১৯৬৬ সাল থেকে পোষ্য কোটার জন্য আলাদা আলাদা বরাদ্দ রাখার বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে। সেই অনুযায়ী পোষ্য কোটা নিয়েই ভর্তি চলছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল এখানকার যারা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের সন্তানরা পড়ালেখা করবে।


আরও খবর



১৫ মিনিট স্লো ঘড়ি, বাস মিস ও এরপর ম্যাচসেরা—গল্পটা জর্জ লিন্ডার

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, কলম্বো। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন স্পিন অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডা। ব্যাটিংয়ে করেন ২৪ বলে ১৮। হারের পর জাতীয় দলের হয়ে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে লিন্ডাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন বছর, তিন মাস দুই দিন। চাইলে সঙ্গে আরও ১৫ মিনিট যোগ করতে পারেন।


সেই ১৫ মিনিটের ব্যাখ্যাটা বেশ মজার। ডারবানে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ১১ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ সেই বিরতি কাটিয়ে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন লিন্ডা।


সেই পথেই ৩৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনারের দেরি হয়েছে ১৫ মিনিট। নির্ধারিত সময়ে সতীর্থদের সঙ্গে হোটেল থেকে বের হয়ে টিম বাসে উঠতে পারেননি। পরে পুলিশের সাহায্যে ধরেছেন বাস। এই পথেই ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে লিন্ডার।


তবে মাঠে নামার পর তিন বছরের বেশি সময়ের অপেক্ষা লিন্ডা যেন মিটিয়েছেন সুদে-আসলে। আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮৩ রানের পুঁজিতে সাতে নেমে ২৪ বলে ৪৮ রান করেন। এরপর বল হাতে ২১ রানে নেন ৪ উইকেট। প্রোটিয়াদের ১১ রানের জয়ে লিন্ডা স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে সময়মতো টিম বাস ধরতে না পারা নিয়ে লিন্ডা যা বললেন, তা–ও বেশ মজার।


লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’


লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’




আরও খবর



ধর্মীয় নেতাদের সাথে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান নানা ইস্যুতে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে বসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দেশের চলমান নানা ইস্যুতে সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা আজ ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং গতকাল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তিনিবৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয় ঐকোর ডাক দেন

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে যারা পছন্দ করেনি, তারা এই অভ্যুত্থানকে মুছে দিতে চায়। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে একজোট হয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

সূত্র : বাসস

 


আরও খবর