Logo
আজঃ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মুসনাদে আহমদে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল।’ বায়হাকিসহ অনেকের বর্ণনায় এভাবে এসেছে, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল; কারণ শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ অর্থাৎ সহজে অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদতের সুযোগ লাভের কারণে শীতকাল মুমিনের জন্য বসন্তকাল হয়ে ওঠে। আমের ইবনে মাসউদ বর্ণনা করেন, নবিজি (সা.) বলেছেন, শীতল গনিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা। (সুনানে তিরমিজি) এ ছাড়া ওমরসহ (রা.) অনেক সাহাবীদের থেকেও এ রকম বক্তব্য বর্ণিত রয়েছে। ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি বলেছেন, ‘শীত ইবাদতকারীদের গনিমতস্বরূপ।’ (হিলয়াতুল আউলিয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, শীত এলে তিনি বলতেন, ‘স্বাগতম শীতকাল! শীতকালে বরকত অবতীর্ণ হয়। নামাজের জন্য শীতের রাতগুলো দীর্ঘ হয়, রোজার জন্য দিনগুলো সংক্ষীপ্ত হয়।’ এ বক্তব্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, শীতকালকে আমাদের অনুসরণীয় সাহাবিরা সহজে ইবাদতের বিরাট সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতেন। রাতের একটি অংশে জেগে নামাজ পড়তেন, দিনে রোজা রাখতেন। আমরাদেরও উচিত শীতকালে বেশি বেশি ইবাদত করা, নামাজ পড়া, রোজা রাখা, যেন নবিজি (সা.) ও তার সম্মানিত সাহাবিদের মতো শীতকাল আমাদের জীবনেও ইবাদতের বসন্তকাল হয়ে উঠতে পারে। নামাজ-রোজার পাশাপাশি শীতকালে শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দান করেও আমরা বিপুল সওয়াব লাভ করতে পারি। রাসুল (সা.) বলেছেন, কোন মুসলিম তার কোন বিবস্ত্র মুসলিম ভাইকে কাপড় পরিধান করালে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের সবুজ পোশাক পরিধান করবেন। কোন মুসলিম তার ক্ষুধার্ত মুসলিম ভাইকে খাবার খাওয়ালে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। কোন মুসলিম তার কোন তৃষ্ণার্ত মুসলিম ভাইকে পানি পান করালে আল্লাহ তা’আলা তাকে মোহরাঙ্কিত স্বর্গীয় সুধা পান করাবেন। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিজি)


আরও খবর



আবারো শাকিবের নায়িকা ইধিকা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ ও কলকাতা দুই বাংলায় পরিচিত মুখ ইধিকা পাল। ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের এই অভিনেত্রী শাকিব খানের বিপরীতে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়। সেই সিনেমাই যেন তার জন্য হয়ে ওঠে সৌভাগ্যের দরজা।

প্রিয়তমা মুক্তির পর ইধিকা পালের নাম ছড়িয়ে পড়ে দুই বাংলায়। এরপর শাকিব খানের সঙ্গে ‘বরবাদ’ সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে। বর্তমানে কলকাতার প্রথম সারির নায়িকা তিনি। 

এবার নতুন গুঞ্জন ছড়িয়েছে ইধিকা আবারও বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করছেন এবং সেটিও আবার শাকিব খানের বিপরীতে! সূত্র বলছে, শাকিবের আগামী ঈদুল ফিতরের সিনেমা ‘প্রিন্স’র নায়িকা হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন ইধিকা পাল। সবকিছু ঠিকঠাক, এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।

প্রিন্স টিমের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে,  প্রায় ২৮ লাখ ভারতীয় রুপিতে ইধিকার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তার মধ্যে ১৫ লাখ রুপি ইতোমধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে কিছুটা সময় নিতে চায় নির্মাতার দল।

‘প্রিন্স’ সিনেমাটি পরিচালনা করবেন আবু হায়াত। এর গল্প লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন, চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি নিজে এবং মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।

এদিকে বর্তমানে শাকিব খান ব্যস্ত রয়েছেন তার চলতি প্রকল্প ‘সোলজার’ নিয়ে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী ও তানজিন তিশা। সিনেমাটি ডিসেম্বর মাসে মুক্তির অপেক্ষায়।


আরও খবর



"বিডি রুরাল ওয়াস ফর এইচসিডি প্রকল্প" বাস্তবায়নে গাইবান্ধায় কর্মশালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

স্ট্যাফ রিপোর্টার :

"বিডি রুরাল ওয়াস ফর এইচসিডি প্রকল্প" বাস্তবায়ন শীর্ষক এক কর্মশালা মঙ্গলবার সকালে প্রশিকার গাইবান্ধা জোন অফিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিকেএসএফ এর আর্থিক সহায়তায় প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র গাইবান্ধা জোন এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইনডিপেনডেন্ট ভেরিফিকেশন কনসালটেন্ট (আইভিসি) পিকেএসএফ মোঃ মিজানুর রহমান। কর্মশালায় প্রশিক্ষা গাইবান্ধা জোনের ১০টি শাখার ক্রেডিট অফিসার  ও ব্যবস্থাপকরা অংশগ্রহণ করেন ।

প্রশিকা গাইবান্ধা জোনের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আনন্দ মোহনের সভাপতিত্ব কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এসকেএস ফাউন্ডেশন বিডি রুরাল ওয়াস ফর এইচসিডি প্রজেক্টের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এন্ড ফোকাল পার্সন মোঃ এস.কে মামুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রিপন খান।

প্রধান অতিথি প্রশিকা গাইবান্ধা জোনের বিভিন্ন শাখা অফিসের স্যানিটেশন ও ওয়াটার ঋণ কার্যক্রম ও সেইসাথে অফিসিয়াল ডকুমেন্টস দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অতিথিরা প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য এবং আগামী কোয়ার্টারে অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য সকলকর্মী ব্যবস্থাপকদের বিভিন্ন রকম দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় ও উপপ্রধান নির্বাহীরা মো: কামরুল হাসান কামাল ও মোঃ আব্দুল হাকিম, পরিচালক রিজুওয়ানুস শামীম রাজীব, কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক মোঃ হারুন-অর- রশিদের নির্দেশনায় গাইবান্ধা জোনে এই কর্মসূচিটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি।




আরও খবর



পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরদের জন্য নতুন প্রবিধানের খসড়া প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ

পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর (পিএসও) প্রবিধান, ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এই প্রবিধান ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস অ্যাক্ট, ২০২৪’-এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনমত গ্রহণের উদ্দেশ্যে এই খসড়া প্রবিধান প্রকাশ করেছে। অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ শেষে একটি কমিটি চূড়ান্ত প্রবিধান প্রণয়ন করবে।

খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি পিএসওকে প্রতিদিনের শেষে তাদের টিএসএ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালান্স রাখতে হবে, যাতে সব বকেয়া মার্চেন্ট লায়বিলিটি কাভার হয়।

টিএসএ’তে কোনো ধরনের ঘাটতি দেখা দিলে, প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ লাখ টাকা অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) রেট (যা বর্তমানে ১১.৫০ শতাংশ), এই দুটির মধ্যে যেটি কম, সেই হারে জরিমানা করা হবে।

এই ঘাটতির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পরিচালক, সিইও ও ট্রেজারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। যদি ঘাটতি ১৪ দিনের বেশি থাকে, তবে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

প্রবিধান অনুযায়ী, পিএসও হিসেবে লাইসেন্স পেতে প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ‘মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন’-এ পেমেন্ট সেবা প্রদানের বিষয়টি স্পষ্ট থাকতে হবে।

লাইসেন্স প্রক্রিয়া দুই ধাপে সম্পন্ন হবে—প্রথমে অনাপত্তি সনদ (এনওসি), পরে মূল লাইসেন্স। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা এবং লাইসেন্স ফি ৫ লাখ টাকা। লাইসেন্স পাওয়ার পর ১২০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

সেবার ধরন অনুযায়ী মূলধনের পরিমাণও ভিন্ন হবে, যেখানে ডিজিটাল মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং সেবার জন্য ন্যূনতম ১ কোটি টাকা এবং এটিএম বা সিআরএম সেবার জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধন থাকতে হবে।

এছাড়া, মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং ও পেমেন্ট ইনিশিয়েশন সেবায় গত ১২ মাসের গড় মাসিক লেনদেনের ০.৩ শতাংশ সমপরিমাণ কার্যকর মূলধন রাখতে হবে। সুইচিং, এটিএম ও কার্ড স্কিম সেবায় এই হার হবে ০.১ শতাংশ।

খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি পিএসওতে অন্তত পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ থাকতে হবে, যার দুই-তৃতীয়াংশ নন-এক্সিকিউটিভ পরিচালক। পর্ষদের চেয়ারম্যানও নন-এক্সিকিউটিভ হতে হবে।

পর্ষদ সদস্যদের অন্তত পাঁচ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তারা ঋণখেলাপি হতে পারবেন না বা অন্য কোনো পিএসওতে একযোগে পদে থাকতে পারবেন না।

সিইওর থাকতে হবে স্নাতক ডিগ্রি এবং ফিন্যান্স, পেমেন্ট, ফিনটেক, আইটি বা টেলিকম খাতে অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা। এর মধ্যে দুই বছর সিনিয়র নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। সিইও নিয়োগের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ও প্রার্থীর ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই, শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই এবং সিআইবি রিপোর্ট প্রয়োজন হবে। 

পিএসওগুলোকে সব মার্চেন্টের কেওয়াইসি যাচাই করতে হবে এবং লিখিত নিষ্পত্তি চুক্তি রাখতে হবে। বিক্রির অর্থ পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। নগদ নিষ্পত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এটিএম ও সিআরএম বুথ নিরাপদ ও সহজপ্রবেশযোগ্য স্থানে স্থাপন বাধ্যতামূলক। শহরে ১২ ঘণ্টা ও গ্রামে ২৪ ঘণ্টার বেশি ডাউনটাইম চলবে না। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রতিটি পিএসওকে তারল্য, পরিচালন, কাস্টডি, জালিয়াতি ও অর্থপাচার ঝুঁকি মোকাবিলায় একটি সমন্বিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। পর্ষদ ঝুঁকির সহনশীলতা নির্ধারণ করবে এবং ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন ও তদারকি করবে।

স্পন্সর শেয়ারহোল্ডাররা প্রথম পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবেন না। গ্রাহকদের ওপর চার্জ আরোপের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। সব লেনদেনের তথ্য অন্তত ১২ বছর সংরক্ষণ করতে হবে।

কোনো বড় ধরনের পরিচালনাগত ত্রুটি হলে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে এবং তথ্য ফাঁস বা ডেটা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।


আরও খবর



রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ জরুরি : শারমীন এস মুরশিদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ 

              রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ হোক। দলীয় কাঠামোর প্রতিটি স্তরে নারীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হোক।’

আজ বৃহষ্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় রাজনীতিতে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্বের দাবিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, আমরা এমন এক ভবিষ্যত বাংলাদেশ চাই যেখানে নারী শুধু ভোটার নন, আন্দোলনের অগ্রসৈনিক নন বরং সংসদীয় নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রীয় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। নারীশক্তির জাগরণই একটি নারী নির্যাতন মুক্ত সমাজ গড়তে পারে।

সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি রাশেদা কে চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, শ্যামা ওবায়েদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াসহ সারা বিশ্বে নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ৬৫ শতাংশ মেয়েরা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে নেতৃত্বে এসেছে। ২০২৫ সালে এসে এই অগ্রগামী যাত্রাকে ধর্ম বা পিতৃতন্ত্রের বেড়ি পরিয়ে পেছন দিকে টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টা অযৌক্তিক ও অন্যায্য। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা সাধারণভাবে ধর্মপ্রাণ, আবার একই সঙ্গে সকল পেশায় সুযোগ পেলেই তারা একইরকম পারদর্শিতার প্রমাণ রাখেন। ইসলামসহ কোন ধর্ম কখনোই নারীর প্রতি বৈষম্যকে সমর্থন করে না, তাই ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা ব্যবহার করে নারীকে পশ্চাৎপদ রাখার চেষ্টাও আজকের দিনে দুঃখজনক। 

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারী পুরুষ সমানতালে যেমন অর্থনীতির চাকাকে এগিয়ে নিচ্ছেন, নেতৃত্বের অঙ্গনেও সুযোগ পেলে নারীরা তাদের যোগ্যতা ও শ্রেষ্ঠত্ব একইভাবে প্রমাণ করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হতে হবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন প্রতিটি ধাপে নারীদের অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং অর্থনৈতিকভাবে নির্বাচনী ব্যয় বহন করা। তাহলে নির্বাচনে অনেক মেয়েরা অংশ নিতে পারবে।


আরও খবর



লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে যেকোনা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করল হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১৬জন দেখেছেন

Image

লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে যেকোনো রাজনৈতিক আলোচনার সম্ভাবনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। বৃহস্পতিবার সংগঠনটি জোর দিয়ে বলেছে, তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।

বৈরুত থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর  সম্প্রতি লেবাননের নেতাদের আলোচনায় বসতে চাপ দেওয়ার কারণে এ ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ।

লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। তবে সাম্প্রতিক সকল সশস্ত্র সংঘাতে হিজবুল্লাহ নেতৃত্ব দিয়েছে, লেবাননের সেনাবাহিনী নয়।

ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে কূটনৈতিক যোগাযোগ হয়ে থাকে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং জাতিসংঘ জড়িত রয়েছে। এই কমিটি নিয়মিতভাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বৈঠক করে। তবে লেবানন ও ইসরাইলের পক্ষগুলো সরাসরি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে না।

১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর লেবাননের একমাত্র সংগঠন হিসেবে হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে অস্বীকৃতি জানায়। তারা প্রথমে দাবি করে, ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ড মুক্ত করার ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব রয়েছে। পরে তারা দেশটির প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালনের কথা বলে।

বৃহস্পতিবার লেবাননের জনগণ ও নেতাদের উদ্দেশে এক খোলা চিঠিতে হিজবুল্লাহ জানায়, তারা লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে যেকোনো রাজনৈতিক আলোচনা প্রত্যাখ্যান করছে এবং এমন আলোচনা ‘জাতীয় স্বার্থে সহায়ক নয়’।

ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এ বছর ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিজস্ব যুদ্ধও পরিচালনা করেছে।

হিজবুল্লাহ আরও ঘোষণা দেয়, যারা আমাদের দেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় এবং  হামলা বন্ধ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার পুনর্ব্যক্ত করছি।

সংগঠনটি জানায়, তারা গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে, তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।

গত সপ্তাহে ইসরাইল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করতে পারে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন, হিজবুল্লাহ আবারও অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

লেবানন সরকার বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে বসা কথা রয়েছে। এতে তারা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের প্রচেষ্টার অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে।

২০২৪ সালের নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটলেও ইসরাইল এখনও দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে এবং হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র লেবানন কর্তৃপক্ষের ওপর হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। তবে হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্ররা এর বিরোধিতা করছে।


আরও খবর