Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

শীতে গলা ব্যথা হলে সারাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৮৩০জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতে কমবেশি সবাই সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে খাবার গিলতে এমনকি কথা বলতেও কষ্ট হয়। এ সমস্যায় ওষুধ না খেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে এর সমাধান করতে পারেন। এজন্য কী করণীয় জেনে নিন-

দুধ-হলুদের মিশ্রণ
হলুদ একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। গুরুতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি আছে এই উপাদানে। গলা ব্যথা সারাতে ঘুমানোর আগে হলুদ দুধ পান করুন। একে সোনার অমৃতও বলা হয়।

স্টিম নিন
গলা ব্যথা সারাতে স্টিম বা গরম ভাঁপ নিতে পারে। স্টিমের আর্দ্র বাতাস অনুনাসিক প্যাসেজ, গলা ও ফুসফুসে আটকে থাকা আঁঠালো শ্লেষ্মা আলগা করে। ফলে মুহূর্তেই স্বস্তি মেলে।

আদা চা
আদা চা গলা ব্যথা সারানোর একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। আদায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গলা ব্যথা সারাতে দারুন কাজ করে।

গরম পানিতে গার্গল
গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলেও গলার প্রদাহ কমে। দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার এটি অনুসরণ করতে পারেন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন না।


আরও খবর



খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ঘোষিত-৭ জন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে "খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩" ঘোষণা ১১ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি এন্ড লাইব্রেরী এর সেমিনার রুমে "খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩" এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-এর সহ-সভাপতি ও সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে ৭ গুণী ব্যক্তিকে অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেন গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হুদা লিটন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন,  প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার, কবি মো. নূরুল আবেদীন, ডাঃ হিউবার্ড চক্রবর্তী, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মীর হোসেন মিরন, সাংবাদিক উবায়দুর রহমান, ঝিন্টু দেবনাথ, লুৎফর রহমান খোকন, সুপক রঞ্জন উকিল, আশেক-ই-মোস্তফা, মোঃ রমজান আলী মুক্তি, এসিক ইয়ুথ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক শাহদাৎ শাহ, শামীমা ইসলাম, চয়নিকা রানী দাস সহ গৌরীপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।


ভাষা ও সাহিত্যের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার কবি ও সাহিত্যিক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংবাদিকতায় ময়মনসিংহ জেলার দৈনিক প্রথম আলোর নিজেস্ব প্রতিবেদক মোস্তাফিজুর রহমান, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি, দি নিউ নেশন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও মেলানন্দ উপজেলার দৈনিক ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি মো. শাহ জামাল।

 

 বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা ক্ষেত্রে নির্বাচিত হয়েছেন বগুড়া জেলার গবেষক, সাহিত্যিক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শাহ কামাল খান, শেরপুর জেলার গবেষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি এটিআই স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, সমাজসেবায় মাদক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদানের জন্য চট্রগাম জেলার কৃতি সন্তান ও খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ এবং রংপুর জেলার তৃতীয় লিঙ্গের সমাজসেবক আনোয়ারা ইসলাম রানী, একজন রুপান্তরিত নারী।


অ্যাওয়ার্ড কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার বলেন, ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন ও এসিক এসোসিয়েশন এর সহযোগিতায়  সমাজের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এক বছর অন্তর অন্তর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড ও খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ২য় ধাপে জুন- জুলাই মাসে ”খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” প্রকাশ করার পর ডিসেম্বর মাসের যে কোনো একদিন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে  "খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ ও ২০২৫" এর পদক ও সার্টিফিকেটসহ মোট ১৫জন বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। তাছাড়া এ বছরে ’পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স-২০২৪ ও ২৫’ ম্যাগাজিন প্রকাশিত হবে।


 ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় অবস্থিত “দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড” নামে সংগঠনটি  তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে- ঐতিহাসিক কেল্লা বোকাইনগর অধিপতি ঈশা খাঁর অনুগত রোমান্টিক হিরো খাজা উসমান খাঁর নামে এই অ্যাওয়ার্ড এর আয়োজন করা হয়। পেন অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে (১) ময়মনসিংহের গেীরীপুর উপজেলায় রোমান্টিক হিরো খাজা উসমান খাঁর ইতিহাস অবহিত করা, ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখা ও সমৃদ্ধ করা;  (২) ইলেক্টোরাল ভোটিং সিস্টেম প্রবর্তন ও পরীক্ষামূলকভারে এর প্রয়োগ ও সাফল্য এবং ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে অ্যওয়ার্ড বিজয়ীদের ঘোষনা। (৩) বৃহত্তর জেলাগুলোতে বা বিভাগে কোন বিশিষ্টজন উল্লেখিত চার বা একাধিক ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় বিশেষ অবদান রেখেছেন; তাদের নিকট থেকে প্রোফাইল সংগ্রহ করে ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ঘোষনা করা।


খাজা ওসমান ছিলেন উত্তর-পূর্ব বাংলার একজন পাঠান সর্দার এবং মহাযোদ্ধা। বারো ভূঁইয়াদের একজন হিসেবে তিনি উত্তর বঙ্গের বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ সিলেটে নবাব সমতুল্য জমিদারি করেন। তিনি ছিলেন মানসিংহ এবং মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বাংলার সর্বশেষ আফগান সর্দার ও শাসক। তার পরাজয়ের ফলে বাকী সকল পাঠানকে আত্মসমর্পণ করতে হয় এবং সিলেট অঞ্চলটি সুবাহ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাকে বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে রোমান্টিক ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়। বাহারিস্তান-ই-গায়বী, তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী এবং আকবরনামার মতো বিখ্যাত গ্রন্থে তার জীবনী রয়েছে। ঈসা খাঁর সাথে কাজ করে, উসমান খা ঁ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জয় করেন। তিনি তার রাজধানী গৌরীপুরে বোকাইনগর দুর্গ শহরটি তৈরি করতে সক্ষম হন এবং এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব বাংলার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পরে, ১৫৯৯ সালে উসমান বোকাইনগর দুর্গ পুনর্র্নিমাণ করে একে ২০,০০০ সৈন্যের একটি শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করতে সক্ষম হন। খাজা উসমান হাসানপুর এবং এগারোসিন্দুরে আরও দুটি দুর্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলের। ১৬১১ সালের নভেম্বর মাসে উসমান খাঁ গৌরীপুরের বোকাইনগর ত্যাগ করে সিলেটে চলে আসে আসে। সিলেটের রক্তক্ষয়ি যুদ্ধে খাজা উসমান খাঁর মৃত্যু ১২ মার্চ ১৬১২।


রায়হান উদ্দিন সরকার, 

খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ 


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দিনাজপুরে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম, অধিক ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার ভুট্টার চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। শীতের প্রকোপ কম থাকা, সঠিক সময়ে বৃষ্টি এবং রৌদ্রের প্রখরতা না থাকায় ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।

দিনাজপুর আঞ্চলিক কৃষি অধিদপ্তরের ভুট্টা চাষ নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল হুদা আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর রবি মৌসুমে জেলার ১৩ টি উপজেলায় ৭৫ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৯৯ মেট্রিক টন ভুট্টা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৯ লক্ষ ৮ হাজার ২৬৬ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা নির্ধারণ করা হয়।

কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায়, এবারে জেলায় অনুকূল আবহাওয়া ও সুস্থ পরিবেশ চলমান থাকায় জেলা ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবারে রবি মৌসুমে মোট ৭৯ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ অর্জিত হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ফলল উৎপাদন হবে ৪৩ হাজার ৭৬৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ভুট্টা।

কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায়, গত বছর জেলায় ৭৫ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারে ৩ হাজার ৬৮৬ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, গত বছর জেলায় বাজারে প্রতি মণ কাঁচা ভুট্টা ৯'শত থেকে এক হাজার টাকা দরে কৃষকেরা বিক্রি করেছে। শুকনা ভুট্টা প্রতি মণ এক হাজার ২'শত থেকে এক হাজার ৪'শত টাকা পর্যন্ত কৃষকেরা বিক্রি করেছে। গত বছর ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় জেলায় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া বলেছেন, তিনি গত কয়েক দিন জেলার ১৩টি উপজেলার এবারে সরেজমিনে ভুট্টা চাষের বিষয় ঘুরে দেখেছেন। জেলার উঁচু জমিসহ নদীর ধারে চরগুলোতে ব্যাপক হারে কৃষকেরা ভুট্টা চাষ করেছে। জেলার নদীগুলোর দু'পাশে চরের  জমিতে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ভুট্টার ক্ষেতের মনোরম দৃশ্য ফুটে উঠেছে।

তিনি বলেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের পরামর্শে ভালো ফসল পেতে কৃষকরা ভুট্টা ক্ষেতের গাছের আগা ও পাতা ছেঁটে ফেলেছেন। যেন ভুট্টা গাছের ফলের গায়ে রোদের তাপ ভালো করে লাগতে পারে। এছাড়া ভুট্টা গাছের সব ধরনের পরিচর্যায় কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব মিলিয়ে এবার জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন অর্জিত হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগের সূত্রটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে দূরবর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলার আদর্শ কৃষক শামসুর রহমান জিন্না (৬৭) বলেন, ভুট্টা চাষে লাভ বেশি টেনশন কম থাকে। ধান চাষ করলে ধান ক্ষেতে যত ধরনের বালাই আক্রমণ মোকাবেলা করতে হয় এবং ধান কাটা শ্রমিকের সংকটের পাশাপাশি মজুরি বেশি। তাই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে অনেক বেশি লাভ হচ্ছে। তিনি বলেন ভুট্টা পরিপক্ক হওয়ার পর জমি থেকে ভুট্টার মশা নিষ্কাশন করে আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে সহজে মাড়াই করা যায়। তাই প্রতি বছর ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

দিনাজপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভুট্টার আবাদ। গত ৫ বছরে জেলা শহরে গড়ে উঠা ৫টি ফিড মিল স্থাপন করা হয়েছে। ওই সব মিলগুলোতে চাহিদা বেড়েছে ভুট্টার। ফলে ভুট্টার চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা আবাদে ঝুঁকেছেন ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সাধারণত নদীর ধারে পলিমিশ্রিত ঢালু জমি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। দীর্ঘদিন যে জমিগুলো অনাবাদি থাকত, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সেসব জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। তাছাড়া ভুট্টার আবাদ বাড়াতে সরকারি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকদের কৃষি প্রণোদন দেওয়া হচ্ছে।

চলতি রবি মৌসুমে এ জেলায় সাড়ে ১২ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ভুট্টার বীজ ও ২০ কেজি ডিএফপি ১০ কেজি এমওপি রাসায়নিক সারসহ প্রতিজন কৃষককে ৩০ কেজি করে সার সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি প্রণোদনায় এসব কৃষক ৫০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করতে পারছেন। ফলে কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  

সূত্র : বাসস


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের আটকে মুখোশধারীদের মারধর, গুলি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৮জন দেখেছেন

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় পেশাগত কাজে যাওয়ার পথে চার সাংবাদিককে মুখোশধারীরা আটকে মারধর করেছে; এ সময় গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে আহতরা জানিয়েছেন।

সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের গণশ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান।

আহতরা হলেন- দৈনিক খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, আমার বার্তা প্রতিনিধি আব্দুল মালেক নিরব, আমার সংবাদের প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন এবং আলোকিত সকালের প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ। রফিকুল ইসলামের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।

সাংবাদিকরা জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দত্তপাড়া গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়ি দখল ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন তারা। ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছলে ৮-১০ মুখোশধারী মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। এ সময় তাদেরকে সংবাদ সংগ্রহ না করে চলে যেতে বলে। বাধা পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের জিম্মি করে বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এ সময় গুলি করলে তা লক্ষ্যচ্যুত হয়।

সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, “হামলাকারীরা মুখোশধারী ছিল। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা ও গুলি করেছে। তারা জিম্মি করে আমাদের মোবাইল ফোন সেট ও টাকাসহ মানিব্যাগগুলো নিয়ে গেছে।”

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, “আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজনের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তা গুলির কি-না এক্সরে করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। কারা, কী কারণে হামলা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

এদিকে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল। তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিএনপি নেতার ফিটনেস বিহীন বাসে কাবু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

খোরশেদ রনি : লক্ষ্মীপুরে নেশাগ্রস্ত ও অদক্ষ চালক দিয়ে চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাস এমন অভিযোগ উঠেছে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে। 

ফিটনেস বিহীন গাড়ি, অদক্ষ চালক ও বেপরোয়া গতির কারণে নিয়মিতই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে (৩০ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির একটি বাস ফাঁকা রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউপির রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে চালকসহ ১৫ শিক্ষার্থী। 

পরে আহতদের উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ফার্মেসীতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অভিভাবকরা বলছেন, দুর্ঘটনা নিয়ে থোড়াই কেয়ার পজিশনে রয়েছে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। দুর্ঘটনার পর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে আহনাফ ও কিবরিয়া ছাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। আখতার হোসাইন খাঁন নামে এক শিক্ষক বলেন, প্রায় ৭-৮ জন ইনজুরি হয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অভিভাবকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন এক্স ফারুকীয়ানস অ্যাসোসিয়েশন।

জানা যায়, দুর্ঘটনার শিকার ফিটনেস বিহীন বাসটির মালিক রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল ইসলাম মিঠু। গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটির সংস্কারে ১১ দফা দাবি জানায় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। যার ৮ নম্বর দফায় উল্লেখ করা হয়- পরিবহন খাতে শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রশাসনিক বা পরিবহন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি বাতিল করতে হবে। প্রতিমাসে ড্রাইভার ও হেল্পারদের ডোপ টেস্ট করতে হবে এবং বাসে সেই ডোপ টেস্ট রিপোর্ট দৃশ্যমান রাখতে হবে। পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থীর বসার আসন নিশ্চিত করতে হবে। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও দফাটি কার্যকর করা হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ১০ম ব্যাচ ছাত্র হাসান রাকিব। 

প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিএনপি নেতা নাজমুল ইসলাম চুক্তিবদ্ধ হয়ে বাস সার্ভিস দিচ্ছেন। ফিটনেস বিহীন গাড়ি পরিবর্তনে তাকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও তিনি সেটি শুনছেন না।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




‘গাজা খালি করার’ পরিকল্পনা ট্রাম্পের

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকাকে "খালি" করে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তার এই বক্তব্য বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।  ট্রাম্প জানান, তিনি ইতোমধ্যে জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তার মতে, গাজার চলমান সংকট নিরসনে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া জরুরি।  

ট্রাম্পের পরিকল্পনা ও বিতর্ক

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, "আমরা প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কথা বলছি। গাজার পুরো এলাকাটি খালি করে দিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চল শত শত বছর ধরে সংঘাতের সাক্ষী হয়ে আছে। সময় এসেছে কিছু একটা করার।”  

তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই এটিকে “জাতিগত নিধন” বা “ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি” হিসেবে দেখছেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।  


মিশর ও জর্ডানের অবস্থান

জর্ডান ও মিশর বরাবরই ফিলিস্তিনিদের গাজায় থাকার পক্ষে। তারা মনে করে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়া হলে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধিকারের পরিপন্থী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যা ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিকদের “গাজা খালি করার” পরিকল্পনার সঙ্গে মিলে যায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  


জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জর্ডানে প্রায় ২৪ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছেন, যাদের অনেকে ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। অন্যদিকে, মিশরেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছেন, যারা সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।  


বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা তৈরি হতে পারে এবং ফিলিস্তিন সংকট আরও ঘনীভূত হবে। এখন দেখার বিষয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া জানায়।  


আরও খবর

আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত!

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫