Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

সায়েন্সল্যাবে অবরোধ শিক্ষার্থীদের, দিনের শুরুতেই ভোগান্তি

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

অধিভুক্ত সাত কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কমিশন গঠন না করায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে এসে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেন তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ‘অধিভুক্তি নাকি মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, মানি না, মানব না’, ‘আর নয় দাসত্ব, হতে চাই স্বতন্ত্র’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তিপাক’, ‘নিপীড়ন নাকি অধিকার, অধিকার, অধিকার’, ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।অপরদিকে, সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করার কারণে ওই এলাকার আশপাশের সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের যানচলাচল। এতে করে দিনের শুরুতেই ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।

সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পার্সন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়া ৭ কলেজের সংকট সমাধান করা সম্ভব নয়। গতকালও আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু সে বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোনো নজর দেয়নি। যে কারণে আমরা আজ আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন চলবে।

এর আগে একই দাবিতে ৩ দিন সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা তিন দফা দাবি জানিয়ে সেগুলো পূরণের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো

১. অনতিবিলম্বে সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে।

২. এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবে।

৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গতানুগতিক পড়াশোনার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সাতটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কলেজগুলো হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্ত কলেজগুলোর ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া, পরীক্ষা, শিক্ষা কার্যক্রম এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে।



আরও খবর



চিন্ময়ের গ্রেফতারে দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে : রিজভী

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। আর শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করত ভারত। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।

আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে কিভাবে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্ত পান করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বোঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।

‘সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কী ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার! কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।’

 

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এই ধরনের অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। ভারতকে মনে করতাম সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হতো, যেই ভারতকে জ্ঞানীগুণী দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে সেই দেশে হিংস্র ঘাতক এবং রক্ত পিপাসু মানুষেরা বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।’

 

তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশে লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, এটি একটি ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কী নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে! কী হিংস্র আচরণ করেছে! আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখলে মনে হয়, কোনো হরর সিনেমার দৃশ্য! শেখ হাসিনা এইরকম কর্মকাণ্ড করে গেছে! আজ তার জন্য এত মায়াকান্না! তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।

তিনি আরো বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না।

রিজভী বলেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতার বিরোধী। সার্বভৌমত্বের বিরোধী। জনগণের বিরোধী।


আরও খবর



অবৈধ বিদেশিদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

 নিজেস্ব প্রতিনিধি: অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক আজ এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক আজ এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, অনেক ভিনদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এবং অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।"

বিজ্ঞপ্তিতে যে সকল বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বা কর্মরত আছেন, তাদের অবিলম্বে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।  

 

আরও খবর



ফুলবাড়ীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন, বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী প্রতিনিধি:
দেশের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। আর সেই জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সোনালি ধান আমন। কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠ। হেমন্তের মিষ্টি বাতাসে দোল খাচ্ছে আমনের সোনালি শীষ। সোনালি ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক। কেউ আঁটি বেঁধে ধানের বোঝা কাঁধে করে, কেউ ভ্যানে আবার কেউ গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৩২৫ মেট্রিকটন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি এসব ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে গড়ে ৩.৪-৩.৬ মেট্রিকটন ।এর মধ্যে আগাম জাতের ধান রয়েছে হাইব্রিড ও উপশি জাতের তেজগোল্ড, ব্রী-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাটাপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ আরও বিভিন্ন জাত।

সরজমিনে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়ন, এলুয়াড়ী ইউনিয়ন ও শিবনগর ইউনিয়নের  রাজারামপুর, গোপালপুর, জাফরপুর, পলিশিবনগর, শমসেরনগর এলাকায় ঘুরে দেখা যায় , মাঠে মাঠে আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আবার ধান কেটে কাঁধে করে জমি থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ মাড়াই করে বস্তায় ভরছেন। অনেকে ধান কাটার পর আগাম আলুসহ শীতকালীন রবিশস্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য মাঠে-মাঠে কিষান-কিষানিদের চরম ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।

স্থানীয় কৃষক হাফিজুল হক চৌধুরী বলেন, এক সময় আগাম আলু চাষের জন্য জমি ফেলে রাখা হত। এখন স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আগাম জাতের ধান আবিষ্কার হওয়ায় জমি ফেলে রাখা হয় না। ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে আলুর ফলন ভালো হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জমিগুলোতে প্রতি বছর আগাম ধান, আলু, ভুট্টাসহ চার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এতে করে তারা লাভবান হচ্ছে।

আলাদিপুর ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক ময়েজ আলী বলেন, এবছর তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান লাগিয়েছেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ফলন ভালো হয়েছে, ইতি মধ্যে ১ এক বিঘা জমির ধান কেটেছেন। বাজারে দাম ও পেয়েছেন ভাল। বর্তমান বাজারে প্রতিবস্তা কাচা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে। ধান কাটা শেষে এসব জমিতে আগাম আলু রোপণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন,ফুলবাড়ী উপজেলা একটি খাদ্য উবৃদ্ধির উপজেলা  এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এই উপজেলায়  বিগত বছরের চেয়ে এবছর আমনের ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ভাগ ধান কৃষ তাদের ঘরে তুলেছেন। কৃষক দামও বেশি পাচ্ছে।


আরও খবর



ধর্মীয় নেতাদের সাথে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান নানা ইস্যুতে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে বসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দেশের চলমান নানা ইস্যুতে সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা আজ ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং গতকাল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তিনিবৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয় ঐকোর ডাক দেন

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে যারা পছন্দ করেনি, তারা এই অভ্যুত্থানকে মুছে দিতে চায়। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে একজোট হয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

সূত্র : বাসস

 


আরও খবর



রাণীনগরে আতব ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ ॥ ক্ষতিতে কৃষকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর চলতি আমন মৌসুমে আতব ধানের শীষ ব্যাপকহারে মরে যাচ্ছে। ব্লাষ্ট রোগ আক্রমণ হয়ে ধানের শীষ মরে যাওয়ায় ফলন অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে। কৃষকরা বলছেন, যেখনে প্রতি বছর বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৬ মণ হারে ফলন হয়েছে সেখানে এবছর মাত্র ৬ থেকে ৮ মণ হারে ফলন হচ্ছে।

তবে কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, একই জাতের ধান বার বার চাষ করলে ওই ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই ভাল ফলন পেতে ধানের জাত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষকদের। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলা জুড়ে ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করছেন কৃষকরা। এর মধ্যে ধানী গোল্ড, বিনা-১৭, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৯০, স্বর্ণা এবং আতব ও চিনি আতব ধান চাষ করছেন কৃষকরা। অফিসের তথ্য মতে কৃষকরা ব্রি-৩৪ জাতের আতব ধান চাষ করেছেন প্রায় ৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর এবং চিনি আতব ধান চাষ করেছেন ১৩৩ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা বলছেন, ধান রোপণের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান গাছ বেশ ভালো হয়েছিল।

ধানের শীষ বড় হবার পর থেকেই শীষ মরা রোগ দেখা দেয়। শীষ মরা প্রতিরোধে বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ ছিটিয়েও কোন ফল হয়নি। তাদের ভাষ্যমতে চাষকৃত আতব ধান সব চাইতে বেশি মরেছে। তবে অন্যান্য জাতের ধানের শীষ তুলনামূলকভাবে কম মরেছে। কৃষকরা বলছেন, ব্যাপক হারে ধানের শীষ মরে যাওয়ায় প্রতি বছরের গড় ফলন অর্ধেকেরও কম হয়েছে এবার। এতে চরমভাবে লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা।


আরও খবর

রোজার আগেই চড়া হলো ছোলার বাজার

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪