Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

সাত মাসে রফতানি আয় বাড়লো ১১.৬৮ শতাংশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

অর্থনীতি ডেস্ক : গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রফতানি আয় এসেছে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি ৯৫ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৬৮ শতাংশ বেশি। সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে বেড়েছে দেশের রফতানি আয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৯৩ কোটি কোটি ৮৯ লাখ ডলার।

জুলাই-জানুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ২০ লাখ ডলারে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে এ আয় ছিল ২ হাজার ১০২ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।

তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১ হাজার ২৬৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি বেড়েছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৬ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে।

আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। জুলাই-জানুয়ারিতে রফতানি হয়েছে ৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে।

উল্লেখ্য, সদ্যবিদায়ী জানুয়ারি মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।


আরও খবর



তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার কোনো সুযোগ নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:  সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার দাবির প্রতি কোনো সহানুভূতি প্রকাশ করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, তিতুমীর কলেজকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই এবং দাবির মুখে সরকার আর নতুন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না। 

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

এসময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “তিতুমীর কলেজের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। আমাদের সরকারের পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপগুলি সর্বজনীন উন্নয়নের দিকে চালিত, এবং কোনো দাবির মুখে আমরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে পারব না।”

ড. মাহমুদ আরও বলেন, “এই মুহূর্তে রাজশাহী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা উচিত, কারণ এটি দেশের সবচেয়ে পুরনো কলেজ। রাজশাহী কলেজের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য দেশজুড়ে সুপরিচিত।” 

তিতুমীর কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যেতে চায় এবং তারা জনদুর্ভোগ চায় না। আমি তাদের অনুরোধ জানাই, জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে তারা দ্রুত ক্লাসে ফিরে আসুক।” 

তিনি উল্লেখ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের মধ্যে সম্পর্কের অভাব রয়েছে, যার কারণে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য একটি কমিটি কাজ করছে। তবে, আমি আবারও বলছি, এসব দাবি বাস্তবায়নে সময় বেঁধে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।”

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তারা দাবির সমর্থনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তবে শিক্ষা উপদেষ্টা তার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, “দেশে বর্তমানে প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলোর অর্ধেকই গত সাত বছরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করি, তবে তা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না যা আগামী সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি করবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মাহমুদ বলেন, “এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, সেখানে আমি বিশেষ সুবিধার কথা বলিনি। আমার বক্তব্যে কখনোই ‘বিশেষ সুবিধা’ শব্দটি ছিল না, এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।” 

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তাদের দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে পরিস্থিতি এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে শিক্ষা উপদেষ্টা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বর্তমান সরকারের পরিকল্পনায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার কোনো সুযোগ নেই।


আরও খবর



কোটালীপাড়ায় ৩০ দিন ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭০জন দেখেছেন

Image

কোটালীপাড়া প্রতিনিধি : স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিনামূল্যে ৩০ দিনব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। 

আজ শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বাপার্ড) কম্পিউটার ল্যাবে সমাপনী অনুষ্ঠানে এ সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

 বাপার্ডের যুগ্ম পরিচালক মোঃ আব্দুল গণি মিনার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন বাপার্ডের  মহাপরিচালক  (যুগ্ম সচিব) আ.স.ম হাসান আল আমিন।

এ ছাড়াও বাপার্ডর সহকারী পরিচালক শাকিলা ইসলাম, মাহামুদুল হাসান, কারিগরি প্রশিক্ষক মোঃ আজিম উদ্দিন, প্রশিক্ষণ কোর্সের  প্রশিক্ষক জয়ত নয়ন সরকার ও প্রশিক্ষণার্থী সাংবাদিক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বক্তব্য রাখেন।

বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বাপার্ড) আয়োজিত এই প্রশিক্ষণটি ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছ ৩০ জানুয়ারি শেষ হয়। প্রশিক্ষণে মোট ৪০ জন প্রশিক্ষাণার্থী অংশ নেয়। সফলভাবে প্রশিক্ষণ করায় সকর প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে বাপার্ডের পক্ষ থেকে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। 

বাপার্ডের  মহাপরিচালক  (যুগ্ম সচিব) আ.স.ম হাসান আল আমিন বলেন,  প্রথম বারের মত আমাদের এখানে মাসব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হলো। আগামীতে আরো কয়েকটি ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আশাকরছি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা দক্ষ হয়ে অনেকেই় স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।



আরও খবর



বিএনপি নেতাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

খোরশেদ রনি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রায় ১২৯২ একর জায়গা বিএনপি নেতাদের কবল থেকে দখলমুক্ত চেয়ে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন কৃষকরা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আয়োজিত সমাবেশে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা গাজী, মোবারক আলী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন হাওলাদারসহ দলটির প্রায় ডজন খানেক নেতার নাম উল্লেখ করেন তারা। তাদের তৈরি ফেস্টুন ও ব্যানারে এসব নাম উল্লেখ করা ছাড়াও মৌখিক বক্তব্যে বিএনপি নেতাদের অবৈধ দখলের কথা তুলে ধরেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। 

এদিন দুপুরে রায়পুর পৌর শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে কৃষকদের একটি মিছিল শুরু হয়ে রায়পুর থানার সামনে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রায়পুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ফের অবস্থান নেয় কৃষকরা। অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগে এসময় ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা। মিছিল ও সমাবেশে দলিল যার, জমি তার স্লোগান-দিতেও দেখা গেছে। পরে সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বাড়ি ফিরে যায় তারা।

জানা যায়, উপজেলার নতুন কানিবগার চর, চর কাচিয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্ট্রে অর্ডার, লক্ষ্মীপুর ভূমি কমিশন রিপোর্ট, চর কানিবগার গেজেট রিপোর্ট, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের আদেশ, রায়পুর সহকারী আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও পাশ্ববর্তী জেলা বরিশাল জজ কোর্টের রায় থাকার পরও কৃষকদের নিজের জমি ভোগ দখল করতে দিচ্ছেন না স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতা।

চরের এসব জমি উপজেলার দক্ষিণ ও উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মালিকানার পাশাপাশি কিছু জমি সরকারি খাস তালিকাভুক্ত। তবে সেসবের থোড়াই কেয়ার করে জমি দখলে মেতে উঠেছেন বিএনপি নেতারা- অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

গণি মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, বর্তমান ভূমি দস্যু- যারা বিএনপি করে তারা। আমাদের জায়গা জমি দখল করে নিয়েছে। বাদশা গাজী, মোবারক আলী, শামীম গাজী, হারুন হাওলাদারসহ বিএনপি নেতাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তাই আজ প্রতিবাদ সমাবেশে এসেছি।  

কাদের আলী নামে আরেক কৃষক বলেন, জমিগুলো দখলে নিয়েছে বিএনপি নেতারা। গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের জমিতে আমরা চাষাবাদ করতে পারছি না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জবর দখলকৃত জমিতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে বিএনপি নেতারা। কৃষকদের মারধরসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা গাজী বলেন, আমি সরকারের পক্ষে কাজ করছি। কারও জমি দখল করা হয়নি। কাউকে মারধর করিনি। এসব সরকারি জমি। সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়াসহ বসে এসব সমাধান করবো আমরা। বিএনপির কেউ দখল কান্ডের সঙ্গে জড়িত নন।


আরও খবর



বোয়ালমারী থেকে বিস্ফোরক মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাবেক সদস্য সাইদুল ইসলাম সোহরাবকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে পাশ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় সোহরাবকে তার বোয়ালমারীস্থ বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহরাব হোসেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সদস্য ও বোয়ালমারী উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের মো. রুস্তুম শেখের ছেলে।

থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১৬ জানুয়ারি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সর্দার বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়। ওই বিস্ফোরক মামলার অজ্ঞাতনামা সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে সোহরাবকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে বোয়ালমারী থানা থেকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে ওইদিন রাতেই হস্তান্তর করা হয়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামীকে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। 

বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম রসুল বলেন, আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক মামলার সন্দেহজনক আসামী হিসেবে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, আলফাডাঙ্গা থানার বিস্ফোরক মামলার সন্দেহমূলক আসামী হিসেবে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বোয়ালমারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় গুনবহা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আলফাডাঙ্গায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার তাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। 


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মোবাইল ফোনের নেশা কাটাতে যা করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৬জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: মোবাইল ফোন ধরে বসে থাকাটা আজকাল আর অভ্যাস নয়, রীতিমতো ‘খারাপ অভ্যাসে’ পরিণত হয়েছে। কিন্তু উপায়ান্তরই বা কোথায়— অচেনা এলাকা চিনতে হোক কিংবা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা, অফিসের প্রজেক্ট সময়ের মধ্যে পাঠানো হোক কিংবা সিনেমা দেখা— সবই তো করতে হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এমনকি অ্যালার্ম দেওয়ার প্রয়োজন হলেও হাত বাড়িয়ে দিই মোবাইল ফোনের দিকে। তা হলে ফোন থেকে নজর এড়িয়ে চলবেন কী করে? এ বিষয়ে ব্রুকলিনের ‘বেস্টসেলিং’ লেখিকা লিজ মুডির গবেষণায় যা উঠে এসেছে। আমাদের সামাজিকতাকে বিসর্জন দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে সরে আসার কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে— মোবাইল ফোনে আসক্তি বা ডিজিটাল আসক্তি থেকে শরীর ও মেধার ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় চিকিৎসকরাও মোবাইল আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অথচ ডিজিটাল সমাজের রাশ হাতে রেখেও কীভাবে আসক্তির মুশকিল আসান হবে, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ব্রুকলিনের ‘বেস্টসেলিং’ লেখিকা লিজ মুডি অবশ্য বলেছেন, সমাধান মিলেছে। একটি গবেষণাতেই উঠে এসেছে সেই ‘কার্যকরী’ উপায়। যার সাহায্যে মাত্র ৬ মিনিটেই মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত লেখিকা লিজ। আবার তার নিজস্ব পডকাস্টের চ্যানেলও রয়েছে। সেই চ্যানেলেই তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন। লিজ বলেছেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে— মাত্র ৬ মিনিট বই পড়লেই আমাদের মানসিক চাপ ৬৮ শতাংশ কমে যায়। শুধু তা-ই নয়, পড়ার অভ্যাস মনকে হালকা করার পাশাপাশি মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তিনি বলেন, স্মার্টফোন আসার আগে বই পড়ার অভ্য়াস ছিল। কিন্তু ইদানীং সেই অভ্যাস অধিকাংশই মানুষ ভুলতে বসেছেন। গবেষণার কথা মেনে দিনের একটা সময় মোবাইল ফোন থেকে ৬ মিনিটের জন্য চোখ সরালে চাপমুক্তির পাশাপাশি আরও একটা ভালো কাজ হবে। মন একমুখী বা বলা ভালো— ফোনমুখী না হয়ে অন্য পথে চালিত হবে। আর কে বলতে পারে, মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পড়ার অভ্যাস হয়তো আমাদের মোবাইল আসক্তিকেও দূর করবে। লিজ যে গবেষণার কথা বলছেন, সেই গবেষণা করা হয়েছিল সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাইন্ডল্যাব ইন্টারন্যাশনালের গবেষকরা কগনিটিভ নিউরোসাইকোলজিস্ট চিকিৎসক ডেভিড লুইয়ের নেতৃত্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। পরে সেই গবেষণা বিজ্ঞানবিষয়ক পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি বহু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি প্রসঙ্গে ডেভিড অবশ্য বলেছিলেন—বই পড়লে যে আমাদের মন অন্য পথে চালিত হয়, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো— সাদা পাতায় ছাপার অক্ষরগুলো আমাদের কল্পনাশক্তির সঙ্গে জুড়ে আমাদের মধ্যে থাকা সৃষ্টিশীলতাকেও জাগিয়ে তুলতে পারে।


আরও খবর