Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

শাহবাগে অবরোধ করেছে রিকশাচালকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ চেয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন প্যাডেল চালিত রিকশা চালকরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 


রিকশাচলকরা জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের কথা না শোনায় আজ রাস্তায় নেমে এসেছেন। 



রিকশাচলকরা বলেন, অটোরিকশা চালকরা ১০০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা হলেই চলে যায়। তাদের জন্য প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা যাত্রী পান না এবং ন্যায্য ভাড়া পান না। সারাদিন রিকশা চালিয়ে তারা পর্যাপ্ত টাকা উপার্জন করতে পারেন না। 


তারা আরও বলেন, অটোরিকশা চলার অনুমতি নেই ঢাকায়। তারপরও দেদারছে চলছে অটোরিকশা। পায়ের রিকশার বৈধতা আছে, নাম্বার আছে। এর জন্য প্রতি বছর ৩০০ টাকা ফি দিতে হয়। এই শেখ হাসিনা অবৈধ অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দিয়ে আমাদের বৈধ রিকশাকে অচল করে দিয়েছে। 


ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাত বছরে মোট তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ থ্রি-হুইলার ও ইজিবাইক বন্ধ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে অটোরিকশার আমদানিও নিষিদ্ধ করা হয়। 




আরও খবর

আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




যেসব কারণে রিজিকের বরকত কমে যায়

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: রিজিক মহান আল্লাহর অন্যতম নেয়ামত। গুনাহের কারণে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিজিক কমিয়ে দেন। রিজিকে বরকত আসার জন্য মুমিনের তাকওয়া অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে রিজিকে সংকীর্ণতা নেমে আসবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আর যদি জনপদগুলোর অধিবাসীরা ইমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি অবশ্যই আসমান ও জমিন থেকে বরকতগুলো তাদের ওপর খুলে দিতাম; কিন্তু তারা অস্বীকার করল। অতঃপর তারা যা অর্জন করত, তার কারণে আমি তাদের পাকড়াও করলাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
গুনাহে লেগে থাকলে রিজিক কমে
গুনাহের কারণে মুমিন বান্দাকে অনেক সময় দুনিয়ায় শাস্তি ভোগ করতে হয়, যার ফলে তার ওপর বড় বিপদাপদ, অভাব-অনটন, অসুস্থতা ইত্যাদি চেপে বসতে পারে। প্রিয়নবী (স.)-এর হাদিসে এ ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছুতে তাকদির রদ হয় না। মানুষ তার পাপকাজের দরুন তার প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়। (ইবনে মাজাহ: ৪০২২) প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে যারা আল্লাহর ওপর ইমান আনেনি তাদের এত সম্পদ কোথা থেকে এলো? এর প্রথম জবাব হলো- রিজিকে বরকত আসার উদ্দেশ্য শুধু টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া নয়; রিজিকের বরকত কখনো উভয় জাহানের হতে পারে। যেমন মুমিনরা দুনিয়ার পাশাপাশি পরকালীন সওয়াব পাবেন। আর পরকালীন প্রতিদান দুনিয়ার তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু যারা আল্লাহর ওপর ইমান রাখে না, তারা তাদের ভালো কাজের প্রতিদান এবং পাপ না করার ফল দুনিয়ায়ই পেয়ে যায়। তারা দুনিয়ায় যা অর্জন করছে তা মুমিনের পরকালীন প্রতিদানের তুলনায় কিছুই নয়। 
আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীনতা রিজিক কমায়
মুমিন যখন আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল বা উদাসীন হন, তখনও রিজিকের বরকত উঠিয়ে নেওয়া হয়। উদাসীনতার ফলে একের পর এক অহেতুক বাসনা সৃষ্টি হয়, ফলে গুনাহ বেড়ে যায় এবং তা বরকত উঠে যাওয়ার কারণ হয়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। আর যারা এরূপ করে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৯) তাই সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদের মোহে পড়ে আল্লাহকে ভুলে গেলে চলবে না। বরং আল্লাহর দেখানো পথেই চলতে হবে।
সুদ
রিজিক কমে যাওয়ার আরেকটি বড় কারণ হলো সুদ। সুদখোর সর্বাবস্থায় আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধাবস্থায় থাকে। রাসুল (স.) সুদখোর, সুদদাতা ও সুদের সাক্ষী ও দলিল লেখককে অভিশাপ দিয়েছেন। এবং বলেছেন, তারা সবাই সমান অপরাধী। নবীজি (স.) বিদায় হজের ভাষণে সব ধরনের সুদকে নিষিদ্ধ করেছেন। মহান আল্লাহ মুমিনদের সুদ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমাদের যে সুদ বাকি আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা ঈমানদার হও। যদি তোমরা এমন না করো তাহলে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।’ (সুরা বাকারা: ২৭৮-২৭৯) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সুদকে হ্রাস করেন এবং সদকাকে বর্ধিত করেন। (সুরা বাকারা: ২৭৬) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরবিদরা বলেন, সুদ সম্পদের বরকত নষ্ট করে দেয়। রাসুল (স.) ইরশাদ করেন, প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, ‘যাদের মাঝে ব্যভিচার ও সুদ বিস্তার লাভ করলো, তারা নিজেদের উপর আল্লাহর আজাব নামিয়ে নিলো।’ (মুসনাদে আহমদ: ৩৮০৯; মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৪৯৮১)
অকৃতজ্ঞতা
রিজিক কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো অকৃতজ্ঞতা। আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া না করা। আল্লাহ অকৃতজ্ঞদের পছন্দ করেন না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব। আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, তবে মনে রেখো, আমার শাস্তি বড়ই কঠোর’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)। আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া যেমন ইবাদতের মাধ্যমে করা হয়, তেমনি তাঁর দেওয়া নিয়ামতকে তাঁর দেওয়া বিধান মোতাবেক পরিচালনার মাধ্যমেও করা যেতে পারে। আল্লাহর নিয়ামত শুধু টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়িই নয়, বরং মানুষ নিজেই আল্লাহর নিয়ামত। দুনিয়ার বুকে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর নেয়ামত। হাজারটা জীবনের তাঁর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা সম্ভব নয়। তবে আমাদের ব্যক্তিজীবন সাজানোর মাধ্যমে সর্বদা আল্লাহর দরবারে নত হয়ে থাকা উচিত।
জাকাত না দেওয়া
জাকাত না দিলেও রিজিক কমে যায়। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, একবার মহানবী (স.) আমাদের কাছে এলেন। অতঃপর বললেন, যারা নিজের ধন-সম্পদের জাকাত বন্ধ করে দেবে, তাদের জন্য আসমান থেকে বৃষ্টি বন্ধ রাখা হবে। এমনকি চতুষ্পদ জন্তু না থাকলে আদৌ বৃষ্টি হবে না।’ (হিলইয়াতুল আওলিয়া: ৩/৩২০; সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪০১৯)। 
ব্যভিচার
রিজিক কমে যাওয়ার আরেকটি বড় কারণ হলো- অশ্লীলতা ও ব্যভিচার। ব্যভিচারের কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে জাতির মাঝে ব্যভিচার বিস্তার লাভ করে, তাদের দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে পাকড়াও করা হয়।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৮১২; মেশকাত: ৩৫৮২) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গুনাহমুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। তাঁর শোকরগুজার এবং কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার তাওফিক দান করুন। মুমিনের দুনিয়া-আখেরাতের জীবন বরকতময় ও নেয়ামতপূর্ণ করুন। আমিন।


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




বাংলাদেশকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া নানা সংস্কারের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনৈতিক সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহনে সংস্কারের জন্য ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ বুধবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় দুপুরে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দেবেন বলে জানান। বৈঠকে ড. ইউনূস তার নেওয়ার সংস্কারমূলক কাজের জন্য বিশ্বব্যাংকের আরও সহায়তা চান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানান, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের বন্ধু বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ। তিনি বলেন, অন্তত দুই বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ দেওয়া হবে এবং বিদ্যমান ঋণ কর্মসূচি থেকে আরও দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে।


আরও খবর

আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




বাংলাদেশে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের চুক্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯৪জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের টেলিকমখাতের বিটিএসগুলোতে (বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন) ব্যবহারের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটন। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং ও ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম আজ ঢাকায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, গ্রামীণফোনের টেকনোলজি ডিভিশনের টাওয়ার ইনফ্রার পরিচালক ও প্রধান মো. আব্দুর রায়হান এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক/ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০ জন প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।


এই চুক্তির আওতায় ওয়ালটন আগামী সাত মাসের (সম্ভাব্য)  মধ্যে টেলিকম লিথিয়াম ব্যাটারি বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারজাত করবে। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৮০ হাজার ব্যাটারি উৎপাদনে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক ও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রোডাকশন লাইন তৈরি করার পাশাপাশি সারা দেশে এই ব্যাটারির বিক্রয় ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবা পরিচালনা করবে। লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, ডিজাইনের নির্দেশনা, কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবে হুয়াওয়ে।


বহু বছর ধরে বিটিএস টাওয়ার ব্যাকআপ পাওয়ারের উৎসের জন্য লেড-এসিড ব্যাটারির উপর নির্ভরশীল। এই ব্যাটারিগুলো লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতো পরিবেশবান্ধব নয়। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চেয়ে লেড ব্যাটারি ৫০% বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে। এছাড়া এগুলো বায়ু ও মাটির দূষণের জন্যও দায়ী। অন্যদিকে লেড-এসিড ব্যাটারির সক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে কম। এর কার্যকারিতা মাত্র ৮০-৮৫%। পাশাপাশি স্থায়ীত্ব ও ব্যাটারি এনার্জি ডেনসিটিও কম। বিটিএস-এ এগুলোর জন্য বেশি জায়গা প্রয়োজন হয়।


অপরদিকে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কার্যকারিতা প্রায় ১০০%। এই ব্যাটারি যেমন দীর্ঘস্থায়ী, তেমন এর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনও কম। পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি পরিবেশবান্ধব। এই কারণে বিটিএস টাওয়ারের ব্যাকআপ পাওয়ার হিসেবে লিথিয়াম ব্যাটারি টেলিকমখাতে ইতোমধ্যেই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।


 তবে বাংলাদেশের বাজারে এখনো নিম্ন মানের নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে। এইসব নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারির স্থায়ীত্ব কম এবং রক্ষণাবেক্ষণও বেশ জটিল। এছাড়া এনএমএস (নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এর মাধ্যমে এসব ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। এই ধরনের নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারি কোনো সাইট থেকে চুরি হলে টেলিকম অপারেটররা সময়মতো চুরির ঘটনা সনাক্ত করতে পারে না। ফলে সেই সাইটে ব্যাকআপ পাওয়ার থাকে না এবং অনেক সময় সাইটটি বন্ধও হয়ে যায়। এই কারণে সেই এলাকার ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হন।


 হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের চুক্তি এবং আগামীতে উৎপাদিত উচ্চমানের ইন্টেলিজেন্ট ব্যাটারি টেলিকম শিল্পে খরচ সাশ্রয়, পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি ও দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে। এছাড়া এর ব্যবহার বাংলাদেশকে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে।


 বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বর্তমানে সারাবিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির একটি বিপ্লব চলছে। ক্রমশ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার ফটোভোলটাইক ও বায়ুচালিত শক্তি মতো নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে উন্নয়নের জন্য লিথিয়াম এনার্জি স্টোরেজ প্রযুক্তি প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে আজকের চুক্তিটি এই প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা বিশ্বাস করি, উভয়পক্ষের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি ও রপ্তানি পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের জনগণকে উপকৃত করবে।”


 ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি বলেন, “আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে, উদ্ভাবনই অগ্রগতির চাবিকাঠি। এটি আমাদের প্রতিটি পণ্য, সল্যুশন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের পিছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগ হলো একটি অত্যাধুনিক লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদন কারখানা স্থাপন। এটি বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পে বর্তমানে ব্যবহৃত লেড অ্যাসিড ব্যাটারির উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে, যার ফলে সামগ্রিকভাবে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পাবে। এই প্রকল্পটি শুধুই একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়। সবুজ পৃথিবী রক্ষার যে অনুপ্রেরণা নিয়ে ওয়ালটন কাজ করে, এই চুক্তিটি সেই লক্ষ্যের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ। হুয়াওয়ের বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তির সাহায্যে লিথিয়াম ব্যাটারি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে আমরা একটি সবুজ দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবো। 


হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “হুয়াওয়ের লিথিয়াম ব্যাটারি ১৭০টির বেশি দেশে ৩৪০টিরও বেশি অপারেটর ব্যবহার করছে। অর্থাৎ, বিশ্বের টেলিকম খাতে ব্যবহৃত শক্তির এক-তৃতীয়াংশের জন্য এই ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ের লিথিয়াম ব্যাটারির বাজারের শেয়ার ৩৫ শতাংশ। অপরদিকে, ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্বাধুনিক বহুজাতিক ব্র্যান্ড, যা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বিশেষভাবে দক্ষ। বাংলাদেশে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ওয়ালটনের সাথে আমাদের একটি কৌশলগত চুক্তি হয়েছে।


আরও খবর



সুজানগরে গরু চুরি থামছেনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

পাবনা প্রতিনিধি : সুজানগরে মাঝে মধ্যেই গরু চুরি হচ্ছে। থানা পুলিশ গরু চুরি বন্ধে অভিযান চালালেও চুরি থামছেনা। গত এক মাসের ব্যবধানে উপজেলার চরসুজানগর, চরমানিকদীর এবং নিয়োগীরবনগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ১০টি গরু চুরি হয়েছে। জানা যায়, উপজেলা সদরে একটি সঙ্গবদ্ধ গরু চোর দল রয়েছে। ওই সব চোর সুযোগ বুঝে কখনও দিনে আবার কখনও রাতে বাড়ির গোয়াল ঘর এবং মাঠ থেকে গরু চুরি করে নিয়ে সটকে পড়ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, গরু চোরের ভয়ে তারা বাড়ির গোয়াল ঘরে তালা দিয়েও গরু রাখার সাহস পাঁচ্ছেনা। সঙ্গবদ্ধ চোরের দল গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার তাঁতীবন্দ গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ২টি এবং হাবিবুর রহমানের ১টি গরু চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই দু’টি পরিবার জানান, ওইদিন রাতে কোন একসময় সঙ্গবদ্ধ চোরের দল গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে গরু ৩টি চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সুজানগর থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাকিউল আযম বলেন গরু চুরি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই গরু চুরি বন্ধ হয়ে যাবে।


আরও খবর



ফ্লপ চঞ্চলের ‘পদাতিক’

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: ছোট পর্দা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যার অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ দুই বাংলার অগণিত দর্শক। তার সিনেমা মানেই অন্যরকম চমক। চলতি বছরের ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পায় চঞ্চল অভিনীত ছবি ‘পদাতিক’। ছবিটির পরিচালনায় ছিলেন ওপার বাংলার সৃজিত মুখার্জী। কিন্তু ভারতের খ্যাতিমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মৃণাল সেনের এই বায়োপিক দর্শকদের থেকে তুমুল প্রশংসিত হলেও বক্স অফিসে সেই অর্থে চলেনি। এরপরও ছবিটি নিয়ে গর্বিত সৃজিত; সেটির ব্যাখ্যাও দিলেন এই পরিচালক।  সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ‘পদাতিক’ এর একটি দৃশ্যের ছবি পোস্ট করেন সৃজিত। সেখানে ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন,‘পদাতিকের আজ ৫০ দিন পূর্ণ হল। এটা আমার ২২ তম বাংলা ছবি। অনেকেই যারা আমার এই ছবিটি দেখেছেন তারা জানিয়েছেন এটা আমার করা সেরা ছবি। আমি এর আগে বেশ কিছু ছবি করেছি যেগুলো দর্শকদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছে। কিন্তু এই ছবিটি যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে তেমনই আনন্দ দিয়েছে। এটি আমার করা এখনও পর্যন্ত যে ৩ টে ছবি বক্স অফিসে ডুবেছে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হল, জাতিস্মর, নির্বাক এবং শাহজাহান রিজেন্সি। কিন্তু ওই তিনটের ব্যর্থতার মতো কষ্ট হয়নি। পদাতিকের ব্যর্থতা আমায় প্রচণ্ড গর্বিত করেছে।’ এরপর পরিচালক কারণ ব্যাখ্যা করে লেখেন, ‘মৃণাল সেনের এল ডোরাডো ২০২৪ সালে তাকে ঠিক সেভাবেই উদ্যাপন করেছে যেভাবে তাকে পাওয়া যেত, রাস্তায়, প্রতিবাদে।’ ‘পদাতিক’ যখন মুক্তি পায় তার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই কলকাতায় আরজি কর কা- ঘটে যায়। এতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতায় শহর, রাস্তায় নেমে পড়ে সাধারণ মানুষ। পথে প্রতিবাদের ঢল নামে। বিচারের দাবিতে রাত দখল, জমায়েত, মিটিং, মিছিল চলতে থাকে। আর সেটার খানিকটা প্রভাব বিনোদন জগতের ওপর পড়ে। আসলে তখন কেউই সিনেমা উপভোগ করার অবস্থায় ছিলেন না। আর এই লেখার মাধ্যমে এদিন সৃজিত মুখার্জী সেই কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। পদাতিক ছবিটিতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কোরক সামন্ত (অল্প বয়সের) এবং চঞ্চল চৌধুরী (প্রাপ্ত বয়স্কের)। মৃণাল সেনের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেছে মনামী ঘোষকে। সত্যজিৎ রায় হয়ে ধরা দিয়েছিলেন জিতু কমল। উল্লেখ্য, চঞ্চল চৌধুরী ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ এবং ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। 


আরও খবর

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪