Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

সাগরের নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা নেই

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ আকারে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপ হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম। আর ঘূর্ণিঝড় হওয়ার তো কোনো সম্ভাবনাই নেই। এই নিম্নচাপটির প্রভাব বাংলাদেশে সেভাবে পড়বে না। তবে এটি যেখানে অবস্থান করছে, সে এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে। বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।

আবহাওয়া পূর্বাভাস নিয়ে এ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এর ফলে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।



আরও খবর



পুষ্পা টু’র প্রিমিয়ারে ভক্তের মৃত্যু, আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা টু’ ছবির প্রিমিয়ারে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ভক্তদের অতিরিক্ত হুড়োহুড়ির কারণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রেবতী নামের এক নারীর। তার এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনি ঝামেলায় পড়েছেন এই ছবির নায়ক আল্লু অর্জুন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, শুধু এই প্যান ইন্ডিয়ান তারকার বিরুদ্ধেই নয়, তার নিরাপত্তারক্ষী ও থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে হায়দরাবাদে আরটিসি ক্রসরোডসের চিক্কদপল্লীর সন্ধ্যা থিয়েটারে রাত সাড়ে নয়টায় ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের আয়োজন ছিল। থিয়েটারের বাইরে ভক্ত-অনুরাগীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। এমনকি, ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ।

যখন থিয়েটারের সামনে প্রবেশ করেন দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন, তখন তাকে সামনে থেকে দেখতে গিয়েই অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫ বছর বয়সী রেবতীর। সঙ্গে ছিল তার ৯ বছরের ছেলে শ্রীতেজ। থিয়েটারে অস্বাভাবিক ভিড়ের কারণে দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। শিশুটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

চিক্কদপল্লী পুলিশ স্টেশনে আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তারক্ষী ও প্রেক্ষাগৃহের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করেছে রেবতীর পরিবার। তাদের বক্তব্য, আল্লুর আগমনের কোনো আগাম খবর দেয়া হয়নি। ওই থিয়েটারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও রেবতীর পরিবারের অভিযোগ।

থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, অভিনেতা আল্লুর টিম কিংবা ওই প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পায়নি তারা। ফলে থিয়েটারে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ আগে থেকে মোতায়েন করা যায়নি।


আরও খবর



যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।

প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।

দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গেম ও অ্যাপ কাজেই এল না

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: আলাদা তিনটি কর্মসূচি নেয়ার পর আবার ৩৩০ কোটি টাকার মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি বেশির ভাগ গেম ও অ্যাপ কোনো কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঘুরেফিরে নিজেদের লোকদের কাজ দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের মোট অর্থের ১৭ শতাংশের বেশি শেখ পরিবারের নামে সিনেমা ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্প নেয়া হয়। তিন দফায় মেয়াদ বেড়ে এ প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। চলতি ডিসেম্বরে যা শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পটির পিসিআর প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পে প্রশিক্ষণ বাবদ ১৩৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। অ্যাপ ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয় ১৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি গেমিং ও অ্যাপস ল্যাব করা হয়েছে।

কাছের লোকদের জন্যই প্রকল্প

ডিজিকন টেকনোলজিসের সঙ্গে যৌথভাবে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড (এমসিসি) সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে। প্রকল্পে এই দুই কোম্পানি ৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার কাজ পায়।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমসিসি অনেক কাজ পেয়েছে। এমসিসিকে পরে এনডিই ইনফ্রাটেক কিনে নেয়।

এমসিসির প্রধান নির্বাহী ও এনডিই ইনফ্রাটেকের পরিচালক মো. আশরাফ খান দাবি করেন, সম্পর্ক নয়, তিনি প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ পেয়েছেন। ডিজিকন টেকনোলজিসের প্রধান ওয়াহেদ শরীফ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু বলে প্রচলিত রয়েছে। আইসিটি খাতে তার একচেটিয়া প্রভাব ছিল। সরকার পতনের আগেই তিনি বিদেশে চলে গেলেও প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।

ওয়াহেদ শরীফ দাবি করেন, নিয়ম মেনেই তার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। মোবাইল গেম প্রকল্পে বেশি কাজ পাওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- প্রাইম টেক সল্যুশন, ইজি টেকনোলজি ও স্পিনঅফ স্টুডিও।

তথ্যপ্রযুক্তি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নাটোরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসরুল আলম (মিলন) আইসিটি বিভাগে কমিশন–বাণিজ্য করতেন। শেষ দিকে এসে তিনি নিজেই কোম্পানি খোলেন। অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি প্রাইমটেক, স্পিনঅফসহ অন্যদের সঙ্গে কাজ করতেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাইমটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা রাশেদুল আলম বলেন, মাসরুল নিজের অভিজ্ঞতার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রায় একই কথা বলেন স্পিনঅফের প্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আসাদুজ্জামান। মাসরুলের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আবার পলকের ঘনিষ্ঠ মফিজুর রহমান ইজি টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আইসিটি বিভাগসহ পলকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনার একচেটিয়া কাজ করত ইজি টেকনোলজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা লাইভ। সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হয়ে গেছে।

বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, কাছের কিছু ব্যক্তির জন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল। এটা অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছিল।

অ্যাপ ও গেমের অবস্থা

গুগল প্লে স্টোরে এ প্রকল্পের নামে ১৫০টি অ্যাপ পাওয়া যায়। বেশির ভাগ অ্যাপের ডাউনলোডের পরিমাণ ১টি, ১০টি, ৫০টি ও ১০০টি করে। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার করে ডাউনলোড হয়েছে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা ও মুজিব ১০০ অ্যাপ।

করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালে এ প্রকল্পে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘লাইভ করোনা টেস্ট’ নামে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যার কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শেখ পরিবারকে নিয়ে ৫০ কোটি ব্যয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বানানো বিভিন্ন অ্যাপ ও গেমের পেছনে প্রকল্পের মোট বরাদ্দের সাড়ে ১৭ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ২৩টি উক্তি নিয়ে থ্রি–ডি হলোগ্রাম তৈরি হয়েছে এ প্রকল্পের টাকায়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রকিউরমেন্টের ৬৪টি কাজের তালিকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯টি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলকে নিয়ে বানানো অ্যানিমেশন ও গেম তৈরি। এতে চ্যাটবট, অভিধান, অ্যাপ ও অ্যানিমেশন সিনেমা রয়েছে।

২০২২ সালে শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ নামে একটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। সব মিলিয়ে এসব কাজে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়।

প্রকল্পে আট বছরে যত পরিচালক

মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে ১১ জন কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন এক থেকে দুই বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। ৫ জন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৯ মাস কাজ করেছেন। বাকি তিনজন এক মাসও কাজ করতে পারেননি। একজন ১৩ দিনও কাজ করেছেন।

আইসিটি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রকল্পে প্রচুর তদবির ও সুপারিশ আসত। তাই কেউ থাকতে পারতেন না।

প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাকে সরানোর জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ জনপ্রশাসনে ডিও লেটার দিয়েছিলেন।

এ প্রকল্প প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের ধারণা ও উদ্দেশ্য ভালো ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে সমস্যা ছিল। বাংলাদেশকে তুলে ধরে, বিশ্বমানের এমন অন্তত একটি গেম হলেও প্রকল্পটিকে সফল বলা যেত। কিন্তু তা হয়নি।


আরও খবর



দুর্নীতিতে যুক্ত নেতানিয়াহু , জানালেন ইসরাইলি তদন্ত কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিশ্চিতভাবে দুর্নীতিতে দোষী বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা। এলি আসায়াগ নামে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী দোষী।

পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়া আসায়াগ ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৯ সালের শুরু পর্যন্ত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ২০২১ সালের মার্চে দীর্ঘ ৩৬ বছরের চাকরি জীবন থেকে অবসর নেন।

এলি আসায়াগ বুধবার ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজকে বলেন, ‘আমি ৩৬ বছর পুলিশে কাজ করার পর ৫৮ বছর বয়সে অবসর নিয়েছি। আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। তবে বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকে আর পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে, আমি এ ধরনের সংবেদনশীল মামলাগুলো পরিচালনা করেছি’।

নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসায়াগ বলেন, তিনি এখনও মামলার সাক্ষী হতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রধানমন্ত্রী কখনও কখনও ‘রাগান্বিত হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন’।

এই মামলার তদন্তকে তিনি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দক্ষ এবং পেশাদার তদন্তগুলোর একটি বলে বর্ণনা করেছেন।

আসায়াগ বলেন, ‘নয় মাসেরও কম সময়ে আমরা তদন্ত সম্পন্ন করি এবং প্রতিবেদনটি স্টেট প্রসিকিউটরের দপ্তরে পাঠাই’। একই সঙ্গে তিনি একে ‘সাদা পোশাকধারী অপরাধের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত তদন্ত’ বলে উল্লেখ করেন।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি নেতানিয়াহুকে দোষী মনে করেন কি না? জবাবে আসায়াগ নিশ্চিতভাবে বলেন, ‘আমি যদি নিশ্চিত না হতাম, তবে অভিযোগগঠনের সুপারিশ করতাম না’।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলব্লিট নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় দুর্নীতির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।

নেতানিয়াহু আগামী মঙ্গলবার তেলআবিব জেলা আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা এসব দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সাক্ষ্য দেবেন।

নেতানিয়াহুর বিচার ২০২০ সালে জেরুজালেম জেলা আদালতে শুরু হয়। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


আরও খবর



ধর্মীয় নেতাদের সাথে সংলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান নানা ইস্যুতে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে বসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দেশের চলমান নানা ইস্যুতে সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা আজ ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং গতকাল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তিনিবৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয় ঐকোর ডাক দেন

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে যারা পছন্দ করেনি, তারা এই অভ্যুত্থানকে মুছে দিতে চায়। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে একজোট হয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

সূত্র : বাসস

 


আরও খবর