Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

রংপুরকে ঠেলে তিনে পাঠালো চিটাগং

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক: প্লে-অফের আগে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ; যেখানে টেবিল টপার ফরচুন বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের বাজিমাত। হ্যাটট্রিক জয়ের ফলে কোয়ালিফায়ার খেলার টিকিট পেল চিটাগং, রংপুর নেমে গেল দুই থেকে তিনে। সমান জয়ে পয়েন্ট সমান হলেও নেট রানরেট ভালো থাকায় রংপুরকে টপকে দুইয়ে উঠে কিংসরা। টেবিল টপার ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে চিটাগং কিংসের নিশ্চিত করল শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা। টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচেও চিটাগং কিংসের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। আর এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্স খেলবে খুলনা টাইগার্সের বিরুদ্ধে। চিটাগং কিংসের ব্যাটিং ইনিংসে ঝড় তোলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ৪১ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন, ৮ ছক্কার বিপরীতে ইমন এদিন চার হাঁকান কেবল ১টি। শেষদিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি, হায়দার আলির ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পায় বন্দরনগরীর দলটি। ২০৭ রানের বিশাল টার্গেট টপকাতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের বেশি করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল।

২৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠল মোহাম্মদ মিঠুনের দল। কিংসের পেসার বিনুরা ফার্নান্দো প্রথম ওভার মেডেন দিয়ে তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবালের উইকেট। তামিম ডাক হয়ে ফিরলেও আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয় ১১ বলে করেন ৯ রান। ধীরগতির ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ২২ বল খেলে পান ২৪ রান। তবে তিনে নামা ডেভিড মালান অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। প্রথমে মুশফিক, এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গী হিসেবে পান ডেভিড মালান। তবে আলিস আল ইসলাম পরপর দুই ওভারে মুশফিক ও মালানকে ফিরিয়ে চিটাগংকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্রেকথ্রু। ৩৪ বল খেলা মালান প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৬ ছক্কা ও পাঁচ চারে রান করেন ৬৭। এরপর আরাফাত সানি স্পিন ঘূর্ণিতে ডাক বানান মোহাম্মদ নবীকে। রিশাদ হোসেন উইকেট হারান ব্যক্তিগত ১১ রানে।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের পুঁজি চিটাগং কিংসের। দুই ওপেনার খাজা নাফে ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়েও রানের চাকা সচল রাখেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্লার্ক-ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৭০ রান। ৪১ বলে ৭৫ রান করা ইমন ফেরেন এবাদতের বলে জেমস ফুলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্ক। ২১ বলে ২৬ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রান করেই তাইজুলের বলে হারান উইকেট। এরপর হায়দার আলি ও শামীম হোসেন পাটওয়ারি ইনিংস শেষ করেন তাণ্ডব চালিয়ে। ১২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। আরেক প্রান্তে ২৩ বলে ৪২ রান আসে হায়দারের ব্যাট থেকে।


আরও খবর



ইসলাম ও সংস্কৃতির সমন্বয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : ইসলাম একটি জীবনব্যবস্থার নাম। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ সাধনের নির্দেশ দেয় ইসলাম। শুধু আধ্যাত্মিকতা কিংবা জড়বাদী বিশ্বাসের নাম ইসলাম নয়। তাই আলিজা আলী ইজেতবেগোভিচ তাঁর বিখ্যাত ‘ইসলাম বিটুইন ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘ইসলাম এমন একটি নাম, যা বস্তুবাদ ও আধ্যাত্মিকতা উভয়ের ওপর প্রযোজ্য। তা মানুষের আচার-ব্যবহারের সুউচ্চ মাধ্যম। ’ (পৃষ্ঠা : ৫০) খেলাধুলা ও আনন্দ-বিনোদন মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যদি তাতে ইসলামি বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন না হয় এবং ব্যক্তি বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর না হয় তাহলে ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণকর এমন সব কিছুই ইসলামে অনুমোদিত। এরই দৃষ্টিকোণ থেকে দৈহিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে খেলাধুলা খুবই প্রশংসনীয়। মহানবী (সা.) নিজেও স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দুবার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, মক্কার রুকানা বিন ইয়াজিদের সঙ্গে চারবার মল্লযুদ্ধে জিতেছেন এবং সাহাবিদের তীর নিক্ষেপে পারদর্শী হতে উৎসাহ দিয়েছেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৩৭; আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৭৮) এমনকি তিনি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের পুরস্কার দিয়েছেন এবং শিশুদের দ্রুত হাঁটার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছেন। শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে মহানবী (সা.) উৎসাহ দিয়েছেন। তার মানে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব লক্ষণীয়। এসব ক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব তৈরিতে পেশিশক্তির চেয়ে কোমল-শক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিভাষার প্রথম প্রবক্তা মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ নাই । এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, ‘বাধ্যবাধকতা বা আর্থিক লেনদের বদলে আকর্ষণ তৈরির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করাই কোমল শক্তি। আর এ আকর্ষণ তৈরির অন্যতম উপাদান হচ্ছে মূল্যবোধ ও আচার-ব্যবহার। ’ যেমন তিনি বিশ্বব্যাপী আমেরিকান প্রভাব তৈরিতে শিল্প, নাটক, সংগীত, শিক্ষা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যাপক চর্চাকে প্রধান উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (সফট পাওয়ার : দ্য মিনস টু সাকসেস ইন ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ল্ড পলিটিকস, পৃষ্ঠা : ১৩-৪৬)। সবার সঙ্গে সুন্দর আচার-ব্যবহার ও উন্নত মূল্যবোধ ধারণের নির্দেশনা দেয় ইসলাম। ইতিহাসে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কঠিন মুহূর্তে ইসলামের সুন্দর আচার-ব্যবহার দেখে অন্যরা প্রভাবিত হয়েছে। ইসলামি খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে হামলা করে মোগলরা বিজয়ী হলেও ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল। টমাস আর্নল্ড (ঞযড়সধং ডধষশবৎ অৎহড়ষফ) বর্ণনা করেছেন, ‘যে সময়ে ইসলামের সমর শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেই সময়েও তা আধ্যাত্মিক যুদ্ধে সফল হয়েছিল। ইতিহাসে বড় বড় এমন দুটি ঘটনা আছে। একাদশ শতাব্দীতে বর্বর তুর্কি সেলজুক বাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুসলিম বাহিনীকে তারা পদদলিত করে পরাজিত করেছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মোগল বাহিনীও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হলেও উভয় শক্তি পরাজিত বাহিনীর ধর্ম ও সংস্কৃতি গ্রহণ করেছিল। ’ (দ্য প্রিসিং অব ইসলাম, অ্যা হিস্টরি অব দ্য প্রপোগেশন অব দ্য মুসলিম ফেইথ, পৃষ্ঠা : ২৬) ইসলামের এই আকর্ষণ শক্তির ব্যাখ্যায় ঐতিহাসিকরা দিশাহারা। তাদের কাছে এর কোনো যথার্থ ব্যাখ্যা নেই। কারণ ইতিহাসের চিরন্তন রীতি হলো, পরাজিত শক্তি সব সময় বিজয়ীদের আচার-ব্যবহার, চালচলন, পোশাক, চলাফেরাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুকরণ করতে ভালোবাসে। কিন্তু ইসলামের ঐতিহাসিক কিছু ঘটনায় এর বিপরীত দৃশ্য দেখা গেছে। বিভিন্ন ঘটনায় বিজয়ীরা পরাজিতদের অনুকরণ করেছে। শুধু তা-ই নয়; বরং ধর্ম গ্রহণ করেও তারা জীবনের সব ক্ষেত্রে পরাজিতদের সব কিছু অনুসরণ করেছে। (আল-মুকাদ্দিমাহ, পৃষ্ঠা : ১৮৪) অনেক গবেষকের মতে, ইসলামের এ আকর্ষণ ও প্রভাব শুধু আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং বস্তুগত উন্নতি ও অগ্রগতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব লক্ষ্যণীয়। এ কারণে অভূতপূর্ব অগ্রগতির জন্য পশ্চিমাবিশ্ব ইসলামের কাছে ঋণী। সেই সময় যদি ইসলাম না থাকত বর্তমান বিশ্বে আধুনিক সভ্যতার কোনো প্রভাবই থাকত না। ফরাসি নৃবিজ্ঞানী রবার্ট ব্রিফল্ট (জড়নবৎঃ ইৎরভভধঁষঃ) বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আরবদের উপস্থিতি না থাকলে আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতা কখনো আলোর মুখ দেখত না। তারা না থাকলে উন্নতির সব স্তর উত্তীর্ণ হওয়ার সামর্থ্য রাখে এমন ‘আত্মস্পৃহা’ পাওয়া যেত না। তাই ইউরোপের অগ্রগতির সব ক্ষেত্রেই আপনি ইসলামি সংস্কৃতির গভীর প্রভাব লক্ষ্য করবেন। ’ (দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটি, পৃষ্ঠা : ১৯০) আলবার্ট এইচ হোরানি

এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘উপাসনার যেকোনো দৃশ্যমান কাজের একটি সামাজিক দিক থাকে। মুসলিমরা একসঙ্গে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে। রমজানে তাদের বার্ষিক রোজা শুধু ব্যক্তির দৈহিক অনুশীলনে ভূমিকা রাখে এমন নয়; বরং এর সামাজিক ভূমিকা অনেক বড়। তা ছাড়া সাদা কাপড়ে একই সময়ে মক্কা হজ পালনের দৃশ্যও একই প্রভাব ফেলে। ইসলামের রীতি শুধু আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে বলে না; বরং মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক করার নির্দেশ দেয়। তাই ইসলাম শুধু উপাসনার বিধি-নিষেধ পালনের নাম নয়; তা পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্য নিশ্চিতে সামাজিক সম্পর্ক তৈরির নির্দেশ দেয়। ’ (অ্যারাবিক থট বিয়ন্ড দ্য লিবারেল এইজ : টুওয়ার্ডস অ্যান ইন্টেলেকচুয়াল হিস্টরি অব নাহদা, পৃষ্ঠা : ১২-১৩)। মোটকথা ইসলাম একটি সার্বজনীন জীবনব্যবস্থার নাম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর প্রভাব লক্ষণীয়। এর সব বিধানে ইহকাল ও পরকালের সমন্বয় রয়েছে। তাই যুগে যুগে ইসলামের দৃশ্যমান নৈতিকতাবোধ ও শিষ্টাচারে মুগ্ধ হয়ে অসংখ্য মানুষ এর ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ইসলামের এসব দিক যথাযথভাবে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। যেন মানুষ বিশুদ্ধভাবে তা যথাযথভাবে গ্রহণ করে। কারণ শক্তি থাকলেই নিজের ইচ্ছামতো তা প্রয়োগ করা যায় না; বরং এর জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা, আকর্ষণীয় নকশা ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব জরুরি। পেশিশক্তির চেয়ে কোমল শক্তির জন্য সুদক্ষ ব্যাখ্যাকার ও সুপ্রস্তুত অন্তরের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি। অর্থাৎ কোরআন ও সুন্নাহর সঠিক ব্যাখা এবং তা যথাযথভাবে গ্রহণ করা যেমন জরুরি, তেমনি নানা উপায় ও পন্থা অবলম্বন করে অন্যের মধ্যেও এর আকর্ষণ তৈরি করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আলেম-প্রাজ্ঞ ইসলামি ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা রাখতে হবে।


সূত্র : এফএনএস


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিয়ে-চাকরি হারালেন সাইফকাণ্ডে ভুলে আটক হওয়া যুবক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপরে হামলার অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমদিকে আটক হন আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া নামের এক যুবক। তখনই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে সংবাদমাধ্যমে তার আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই একে একে দু:সংবাদ পেতে থাকেন ওই যুবক। ঘটনার জের ধরে তিনি চাকরি হারিয়েছেন, বিয়েও ভেঙে গেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।

আকাশ কৈলাশ বলেন, আটকের পর যখন পুলিশ ছেড়ে দেয় তখন মায়ের সঙ্গে কথা বললে- অবিলম্বে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। কেননা সংবাদমাধ্যমে আমার ছবি দেখানো হয়েছে। অফিসের বস কাজে যোগ না দেয়ার জন্য জানিয়ে আমাকে বলেন, আপনি আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন, আপনার কারণে আমি সমস্যায় পড়তে চাই না। যদিও তিনি আমার কোনো ব্যাখ্যা শুনতে রাজি হননি।

বিয়ে প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তারপর আমার দাদি আমাকে জানান যে, টিভিতে খবর দেখে হবু বউয়ের পরিবার বিয়ে ভেঙে দিতে চেয়েছে। যা আমার সঙ্গে ঘটেছে তাতে আমি নিশ্চিত নই যে, ভবিষ্যতে বিয়ে করতে পারব কি না।

উল্লেখ্য, মুম্বাইয়ে পশ্চিম রেলওয়েতে কর্মরত একটি ট্যুর সংস্থায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন কৈলাশ। গত ১৭ জানুয়ারি মুম্বাই থেকে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন ছত্তিশগড়ের পৈত্রিকবাড়িতে যাওয়ার জন্য। কারণ তার দাদি অসুস্থ। তাছাড়াও এ যাত্রায় কৈলাশের হবু বউয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করারও কথা ছিল। কিন্তু যাত্রা পথে আটক হন কৈলাশ।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সাইফ আলি খানের বাড়ির ভেতরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্ত। এতে গুরুতর আহত হন বলিউডের ‘নবাব’। ভোররাতে তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে চারজনকে আটক করেছিল মুম্বাই পুলিশ। সর্বশেষ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের বাংলাদেশি এক তরুণকে আটক করে পুলিশ।


আরও খবর

অবশেষে আসছে ‘ম্যায় হু না’র সিক্যুয়েল

বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মনপুরার বিচ্ছিন্ন দুর্গম জনপদের জেলেদের সাথে মতবিনিময় করলেন দুই সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি :  ভোলার মনপুরার বিচ্ছিন্ন দুর্গম জনপদের কয়েকশত জেলে ও মৎস্যজীবিদের সাথে মতবিনিময় করেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের ঢালচরে এই মতবিনিময় সভা হয়।

এসময় প্রান্তিক মৎস্যজীবি জেলেদের পেশাগত উন্নয়ন, জেলেদের মাছ ধরার কৌশল, এবং জেলেদের সুযোগ সুবিধা প্রদানে মতবিনিময় করা হয়। সভায় জেলেদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ও সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। সভায় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহতাব উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ কামাল হোসেন, মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শুভ দেবনাথ, মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আহসান কবির ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী। পরে সচিবদ্বয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন কর্মসূচী পরিদর্শন করেন। এবং মনপুরার ঢালচরে নবনির্মিত লঞ্চঘাট রক্ষায় ৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ ঘোষনা করে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান।

আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ইলিয়াস, তৌহিদ, মুন্নার মতো পরিণতি আর দেখতে চাই না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যা দেখতে চায় না, কুমিল্লার ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস, রাজধানীর উত্তরায় নিহত ছাত্রদল নেতা মুন্না এবং যৌথবাহিনীর হাতে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মতো ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি বিএনপি চায় না বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এমনটাই জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, যারা দখলদারিত্ব করবে তারা দল ও দেশের শত্রু। আওয়ামী লীগ হলেই তার কাছে গিয়ে মাস্তানি করা যাবে না। এটা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসা অর্জন না করলে দেশ পরিচালনা করতে পারবে না বিএনপি। সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। এসময় মহাসচিব ছাত্রদের নতুন দল গঠনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারে থেকে দল করলে মানুষ তা মেনে নেবে না। অযথা সংঘাতমূলক কোন কথা রাজনীতিতে আনতেও নিষেধ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে। ঐক্যকে অনেকে ভাঙার চেষ্টা চলছে তাই আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেয়া যাবে না।


আরও খবর



আল জাজিরায় প্রতিবেদন: যুক্তরাজ্যে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা অপকর্ম নিয়ে ২০২১ সালে অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’—শিরোনামে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনের পর বেশ আলোচনা তৈরি হয় দেশে। প্রতিবেদনটিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নানা কীর্তি ও তার মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা পোক্ত করার নানা ঘটনা উঠে আসে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য সানডে টাইমস জানিয়েছে, চাঞ্চল্যকর ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পেছনে থাকা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেসময় ব্রিটেনের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার ডেসমন্ড ব্রাউন কেসি’র পরামর্শ নিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা মানহানি মামলার বিশেষজ্ঞ ব্রাউনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সম্প্রতি শেখ হাসিনার সাবেক বাসভবন গণভবন থেকে একটি দুমড়ানো-মুচড়ানো নথি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে সম্মত হন ব্রাউন। পরে তাদেরকে একজন সলিসিটরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই সলিসিটর ব্রিটিশ আদালতে মামলা শুরু করতে পারতেন। সাক্ষাতের পরের মাসে এই দুজন শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেন।

এই বৈঠকের কয়েকদিন আগেই আল-জাজিরা ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক ডকুমেন্টারিটি প্রচার করেছিল। তাতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই প্রকাশ্যে গর্ব করে বলেন, তিনি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের উঠিয়ে নিতে পারেন এবং ঘুষ নিয়েই কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারেন।

এই ডকুমেন্টারি প্রচারের পর জেনারেল আজিজ ও তার ভাইয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ইউটিউবে প্রায় দশ মিলিয়ন (এক কোটি) ভিউ পাওয়া ওই ডকুমেন্টারি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জেতে। শেখ হাসিনার শাসনামলের সর্বব্যাপী দুর্নীতির প্রমাণ উঠে আসে প্রতিবেদনটিতে। কিন্তু হাসিনার প্রশাসন ওই ডকুমেন্টারিকে প্রকাশ্যে ‘মিথ্যা, মানহানিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে দাবি করে।

ডকুমেন্টারিটি প্রচারের পরপরই প্রতিবেদনের প্রধান হুইসেলব্লোয়ার জুলকারনাইন সায়ের খানের ভাইকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ডকুমেন্টারির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দেশ ছাড়তেও বাধ্য হন।

ঢাকায় শেখ হাসিনার বাড়িতে পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, ওই ডকুমেন্টারিতে অবদান রাখা ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা করছিল তার সরকার।

এই নথির তথ্য বলছে, হাসিনা সরকারের ‘লাইবেল ট্যুরিজম’, অর্থাৎ মানহানির জন্য বিদেশি আদালত ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল। এ পদ্ধতিতে বিদেশি বাদীরা ব্রিটিশ আদালতকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যের বাইরে অবস্থিত ব্যক্তি বা প্রকাশনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেন। অনেকেই মনে করেন, ব্রিটিশ আইনি ব্যবস্থা বাদীর প্রতি সহানুভূতিশীল, তাই দেশটির আদালতের মাধ্যমে অস্বস্তিকর তথ্য বা প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকানো সম্ভব। তবে হাউস অব কমন্স লাইব্রেরি ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, এ ধরনের কাজ ঠেকানোর জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর প্রভাব খুবই সীমিত।

সানডে টাইমস জানায়, শেখ হাসিনার পরিত্যক্ত বাসভবনে অপ্রয়োজনীয় উপকরণের ভাণ্ডারের মধ্যে উদ্ধার নথিগুলি ইঙ্গিত দেয়, হাই কমিশন আল জাজিরা এবং ব্রিটিশ তদন্তকারী প্রতিবেদক ডেভিড বার্গম্যানসহ অন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ব্রাউনের সহযোগিতায় চেয়েছিল।

২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ব্রাউন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের একজন আইনজীবী রাখার পরামর্শ দেন, যিনি তাকে মানহানির মামলা এগিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিতে পারেন। তিনি রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ আইনজীবী জেরেমি ক্লার্ক-উইলিয়ামসকে সুপারিশ করেছিলেন। জেরেমি আল জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখে পরবর্তীতে কর্মকর্তাদের সাথে দেখাও করেছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কর্মকর্তারা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং তথ্যচিত্রের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের বিকল্প বিষয়গুলোও অনুসন্ধান করেছিলেন। এমনকি তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে মামলা দায়েরের জন্য তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করার কথাও বিবেচনা করেছিল।

উদ্ধার হওয়া নথিগুলোকে উদ্ধৃত করে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে বার্গম্যানকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা ছিল। তাকে এই তথ্যচিত্রটি সাজানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বার্গম্যান এর আগে বাংলাদেশে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি দ্য সানডে টাইমসকে বলেন, গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময় শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে পতনের আগ পর্যন্ত তিনি গ্রেফতার হতে পারেন এমন কোনো তথ্য তার কাছে ছিল না।

তবে ব্যারিস্টার ব্রাউন তার সংক্ষিপ্ত সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করলেও বলেন, তিনি বা ক্লার্ক-উইলিয়ামস কেউই প্রাথমিক পরামর্শের বাইরে আর কোনও পদক্ষেপ নেননি। এ বিষয়ে ক্লার্ক-উইলিয়ামসের মন্তব্য জানতে চেয়ে দ্য সানডে টাইমসের তরফ থেকে একাধিকবার ফোন ও ইমেইল করা করেও সাড়া পায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকার পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। আল জাজিরার তথ্যচিত্রটি অপসারণের জন্য ইউটিউব এবং ফেসবুকের ওপর চাপ প্রয়োগের দিকে মনোযোগ দেন। তবে সেখানেও তিনি ব্যর্থ হন। ঢাকায় উচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও, ইউটিউব ও মেটা উভয় প্ল্যাটফর্মই তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তথ্যচিত্রটি বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে যায়।

সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যচিত্রটির ফলাফল সুদূরপ্রসারী পরিণতি এনেছিল। আজিজ আহমেদ এবং তার ভাই বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিলেন। অন্যদিকে হুইসেলব্লোয়ার এবং প্রতিবেদনটিতে যারা অবদান রাখে তাদেরকে হুমকি, সহিংসতা এবং নির্বাসন সহ্য করতে হয়েছিল।


আরও খবর