Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

রমরমিয়ে চলছে দেবের ‘টেক্কা’

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

এ বছর দুর্গাপূজায় মুক্তি পেয়েছে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারস প্রযোজিত ছবি ‘টেক্কা’। এখনও রমরমিয়ে চলছে সেই ছবি। ছবি মুক্তির পর সম্প্রতি বান্ধবী রুক্মিণী মৈত্রকে নিয়ে বিদেশ থেকে ঘুরে এলেন দেব। 

এদিকে টালিগঞ্জ ছেড়ে মুম্বাইতে পাড়ি দিলেন অভিনেতা দেব। এবার কি তবে হিন্দি ছবিতে পা রাখলেন বাংলার সুপারস্টার? শুটিংয়ের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই এই সুখবর ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন।

মেকআপ ভ্যান থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দেব লিখেছেন, ‘হ্যালো মুম্বই।’ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দেবের সঙ্গে রয়েছেন তার টিমের সদস্যরা। অর্থাৎ মুম্বাইতে যে নতুন কাজ শুরু করলেন তা এক প্রকার পরিষ্কার। কিন্তু বিটাউনে কী কাজ করতে চলেছেন? তাও খোলাসা করেছেন দেব নিজেই। একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের শুটিং করতেই মুম্বাইতে হাজির হয়েছেন দেব। তবে শুধুই কি বিজ্ঞাপনের শুটিং, নাকি ছবির জন্যও এবার বলিউডে পথ চলা শুরু করবেন?ইতোমধ্যেই রুক্মিণী মৈত্র বলিউডে প্রথম কাজ করে ফেলেছেন। তাহলে কি এবার দেবের পালা? যদিও ঘটনাচক্রে মায়ানগরীতে নিজের ছোটবেলা কাটিয়েছেন দেব। 

বলিউডের ক্যান্টিনে কাজ করতেন গুরুপদ অধিকারী, তাই সেইভাবে দেখতে গেলে বলিপাড়া তার কাছে নতুন নয়। তবে কি টলিউডের পাশাপাশি এবার বলিউডেও তিনি কাজ করবেন? সময়ই বলে দেবে সেই উত্তর। আপাতত বিজ্ঞাপনের শুটিং নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত অভিনেতা।




আরও খবর



অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় বন্ধ করবেন না এই অভিনেত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: পর্দায় নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে তরুণ প্রজন্মের কাছে সিডনি সুইনির পরিচিতি এইচবিওর দুই আলোচিত সিরিজ ‘ইউফোরিয়া’ও ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ দিয়ে। এই দুই সিরিজে বিশেষ করে ‘ইউফোরিয়া’য় সুইনির নগ্ন দৃশ্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। তবে ডেডলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যত আলোচনা-সমালোচনাই হোক, নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় বন্ধ করবেন না তিনি।

‘ইউফোরিয়া’ সিরিজের স্রষ্টা স্যাম লেভিনসন। সুইনি সাক্ষাৎকারে বলেন, এই নির্মাতার কাজ তাঁর খুবই পছন্দের। তাই তিনি যে চিত্রনাট্যে যা রাখবেন, সে অনুযায়ী অভিনয় করতে তাঁর আপত্তি নেই।

পর্দায় নগ্ন দৃশ্য নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে সিডনি বলেন, ‘এটা তো অদ্ভুত একটা কথা। আমি একজন অভিনয়শিল্পী, যাকে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়।’

গত বছর মুক্তি পাওয়া ক্রাইম ড্রামা ঘরানার সিনেমা ‘রিয়েলিটি’তে একেবারে গ্ল্যামারহীন চরিত্রে অভিনয় করেন সুইনি। এ ছবিতে কোনো অন্তরঙ্গ দৃশ্যও নেই।

তবে সিডনি সুইনি জানেন, তিনি যত ভালোই অভিনয় করেন না কেন, মানুষ কেবল তাঁর শরীর নিয়েই কথা বলে। এ জন্য কৈশোর থেকেই চেষ্টা করেছেন এমন কিছু করতে, যাতে মানুষ তাঁর কাজ নিয়েই কেবল কথা বলে। তিনি বলেন, ‘আমি স্কুলে যত বেশি সম্ভব খেলায় অংশ নিতাম, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতাম, যাতে মানুষ ভাবতে না পারে যে আমি শরীরসর্বস্ব।’

সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, আলোচনা-সমালোচনা যা–ই হোক, চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি পর্দায় নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করা বন্ধ করবেন না।

গত বছর সিডনি সুইনির জীবনে আরও একটি বিব্রতকর ঘটনা ঘটে। তাঁর অভিনীত বিভিন্ন অন্তরঙ্গ দৃশ্যের স্ক্রিনশট নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ট্যাগ করেছেন, যা নিয়ে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
অভিনেত্রীকে সামনে বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজ ও সিনেমায় দেখা যাবে।


আরও খবর



রোজার আগেই চড়া হলো ছোলার বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিবেদক: রোজা এখনও তিন মাস দূরে থাকলেও ইফতারির সবচেয়ে মুখরোচক এ খাদ্যপণ্যের দাম উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভোক্তাদের। খোদ সরকারি সংস্থা টিসিবিই বলছে, গত এক বছরে ছোলার দর বেড়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে আমদানি বাড়ানো, সরবরাহ ব্যবস্থা ও বাজার তদারকি এবং টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন যে ছোলা বিক্রি হচ্ছে, তা গত বছর আমদানি করা। সেই সময় ডলারের দর ও বিশ্ববাজারে ছোলার দাম বেশি ছিল। রমজান উপলক্ষে নতুন করে ছোলা আমদানি শুরু হয়েছে। সহজে এলসি খুলতে পারলে আগামী জানুয়ারিতে আমদানি অনেক বেড়ে যাবে। ফলে দাম বাড়ার শঙ্কা নেই, বরং সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে কমতে পারে।

গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজার, চকবাজার, মহাখালীসহ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১১৭ টাকায়; যা খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। গত বছরের এই সময় খুচরা পর্যায়ে ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৫ টাকা।


আরও খবর



যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।

প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।

দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ সমতায় টেস্ট সিরিজ শেষ করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : তাইজুল ইসলাসের ঘূর্ণিতে জ্যামাইকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানে পরাজিত করে ১-১ সমতায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ইনিংসে ১৫তম বারের মত পাঁচ উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাইজুল।

সাবিনা পার্কে জাকের আলির টেস্ট সেরা ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে চতুর্থ দিন ২৬৮ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের জন্য ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ রানেই গুটিয়ে যায়। তাইজুল ৫০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ৫ উইকেট দখল করেছিলেন। রানার ঐ বোলিং তোপেই বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে। দ্বিতীয় ইনিংসে রানা শামার জোসেফের একমাত্র উইকেটটি নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।

ম্যাচ সেরা তাইজুল বলেছেন, ‘বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের আনন্দই আলাদা। যা আমরা সাধারনত করতে পারিনা। দলের প্রত্যেকেই তাদের সাধ্যমত দেবার চেষ্টা করেছে।’

পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট দখল করেছেন। দুই টেস্টে সব মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে তাসকিন হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৫ রান সংগ্রহ করেছেন কাভেম হজ। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ওপেনিংয়ে নেমে ৬৩ বলে দলের হয়ে ৪৩ রানের অবদান রেখেছেন।

কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনে স্বাগতিকরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারেনি। মাত্র ৫০ ওভারেই উইন্ডিজের ইনিংস গুটিয়ে যায়।

ম্যাচ শেষে স্বাগতিক অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট বলেছেন, ‘আমরা ইতিবাচক খেলতে চেয়েছি। আমি মনে করি শুরুটা ভালই হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি।’

২০০৯ সালের পর ১৫ বছরে এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট ম্যাচে জয় পেল বাংলাদেশ।

এর আগে দিনের শুরুতে জকেরের ১০৬ বলে আট বাউন্ডারি ও পাঁচ ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ৯১ রানের ইনিংসটি ছিল ম্যাচ জয়ের মূল কারিগর। আগেরদিন ৫ উইকেটে ১৯৩ রানে দিন শেষ করা বাংলাদেশের জন্য ২৬ বছর বয়সী ডান হাতি ব্যাটার জাকেরের চতুর্থ দিনে ৭৫ রানের ৬২ রান দলের জয়ে দারুন অবদান রেখেছে।

আলজারি জোসেফ ও কেমার রোচ ৩টি করে উইকেট দখল করেছেন। জোসেফের বলে ডিপ মিড উইকেটে এ্যাথানাজেকে ক্যাচ দিয়ে জাকেরের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।

আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে দুই দল। এরপর তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজও রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৭১.৫ ওভারে ১৬৪/১০ (সাদমান ৬৪, মিরাজ ৩৬, সিলেস ৪/৫)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস : ৬৫ ওভারে ১৪৬/১০ (কার্টি ৪০, ব্র্র্যাথওয়েট ৩৯, রানা ৫/৬১)।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ৫৯.৫ ওভারে ২৬৮/১০ (জাকের ৯১, সাদমান ৪৬, মিরাজ ৪২, রোচ ৩/৩৬, জোসেফ ৩/৭৭)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস : ৫০ ওভারে ১৮৫/১০ (হজ ৫৫, তাইজুল ৫/৫০, হাসান ২/২০, তাসকিন ২/৪৫)

ফল : বাংলাদেশ ১০১ রানে জয়ী

সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১’এ সমতা

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাইজুল ইসলাম (বাংলাদেশ)

ম্যান অব দ্য সিরিজ : তাসকিন আহমেদ (বাংলাদেশ), জেইডেন সিলেস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।


আরও খবর



রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ৮টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহবান জানান।  বিতর্কে শিক্ষকরা যদি পোষ্য কোটা নিয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে পারেন তাহলে এই কোটা বহাল থাকবে, অন্যথায় এই কোটা বাতিল করতে হবে।

এ সময় তারা- ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপস না মৃত্যু, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না, আর না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘মেধাবীদের একশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করার পরও আমাদের সঙ্গে বাবার কোটার ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা থাকবে না। হয় স্থিতিশীল বাংলাদেশ থাকবে নয়তো পোষ্য কোটা থাকবে। পোষ্য কোটা ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ একসঙ্গে থাকতে পারে না। জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, সকল প্রকার কোটার অবসান চেয়েছি। তাই এখনো পোষ্য কোটা বহাল থাকায় জুলাই বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সকল কোটা হারাম পোষ্য কোটা আমার তা হবে না। অন্য কোটা অবসান চান কিন্তু নিজেদের বেলায় কেনো নয়। পোষ্য কোটার কবর রচনা রাজশাহী থেকেই হবে। আপনারা যদি পোষ্য কোটা বহাল রাখতেই চান তবে আগামী পরশু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে উন্মুক্ত বিতর্কের আহবান রইলো। সেখানে আপনারা পোষ্য কোটার যৌক্তিক কারণ দেখাবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মারুফ বলেন, জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল কোনো প্রকার কোটা থাকবে না, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পোষ্য কোটা বিদ্যমান আছে। যদি রক্ত দিতে হয় রক্ত দেব তাও পোষ্য কোটা মেনে নেব না। এই পোষ্য কোটার কবর রাজশাহীতেই রচিত হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার সুমন বলেন, ১৪ নভেম্বর আমরা অনশনে বসেছিলাম ভিসি স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। কোটা বাতিলের জন্য আমাদের ভাই জীবন দিয়েছে। কোটা প্রথা সংস্কার না হলে আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটা এক প্রকার জুলুম। এ জুলুম নিরসনে আমরা বরাবরই সোচ্চার। জুলাই অভ্যুথানে রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা চেয়ারে বসেছেন। এখন তারাই স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাকে আপনারা সুবিধা বলছেন। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে দিয়ে কেউ চেয়ারে থাকতে পারবে না। পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও রাবি শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মিশকাত চৌধুরী বলেন, কোটা ইস্যু বাংলাদেশে একটা মীমাংসিত ইস্যু। নতুন করে যারা কোটাকে পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদের উৎখাত করা হবে। হাসিনা যে পথে পালিয়েছে তারাও সে পথে পালাতে বাধ্য হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত নাম্বার পেয়েও চান্স পায় না, পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীরা ফেইল করেও ভালো সাবজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পরে অমুক ভাইয়ের ছেলে তমুক ভাইয়ের মেয়ে নামে চাকরি পেয়ে যায়। এটা তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মত একটা বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের যে কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি সেখানে কোনো প্রকার কোটা প্রথা থাকবে না। কোনো অমেধাবী অযোগ্যরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না।  এসময় বিক্ষোভ  সমাবেশে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

 

আরও খবর