Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

রমজানে দান-সদকার ফজিলত ও গুরুত্ব

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪২৩জন দেখেছেন

Image

ইসলাম ধর্মে দান সদাকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। আর রমজান মাসে দানের গুরুত্ব ও সওয়াব অনেক বেশি। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমান। আর একটি ফরজ ইবাদত করলে সত্তর গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। 

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, যে মানুষের উপকার করে’ (তাবারানি)। রসুল (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় দানশীল। আর রমজান মাসে তিনি সবচেয়ে বেশি দান সদাকা করতেন। জিবরাইল (আ.) এ সময়ে তাঁর কাছে আসতেন এবং পরস্পরকে কোরআন শোনাতেন। রসুল (সা.) তখন প্রবাহিত বাতাসের চেয়ে অধিক দান-খয়রাত করতেন (মুসলিম)। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি তোমাদের দানকে প্রকাশ করো ভালো কথা, তাতে কোনো দোষ নেই, তবে যদি তোমরা তা গোপন রাখো এবং চুপে চুপে তা অসহায়দের দিয়ে দাও, তবে তা হবে তোমাদের জন্য বেশি উত্তম। এ দানের কারণে আল্লাহ তোমাদের বহুবিধ গুনাহ খাতা মুছে দেবেন, আর তোমরা যাই কর না কেন, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত আছেন’ (সুরা বাকারা-২৭১)। সুবহানাল্লাহ। সুতরাং বেশি বেশি দান-খয়রাত করা আমাদের উচিত। কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে। 

আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমরা যা দান-সদাকা কর তা তোমাদের জন্যই কল্যাণকর, কারণ তোমরা তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই খরচ কর। তোমরা আজ যা কিছু দান করবে আগামীকাল তার পুরোপুরি বিনিময় আদায় করে দেওয়া হবে (সুরা বাকারা-২৭২)।’ যারা দিন রাত গোপনে প্রকাশ্যে নিজেদের মাল সম্পদ ব্যয় করে তাদের মালিকের দরবারে তাদের এ দানের প্রতিফল সুরক্ষিত রয়েছে। তাদের ওপর কোনোরকম ভয়ভীতি থাকবে না, তারা সেদিন চিন্তিতও হবে না (সুরা বাকারা-২৭৪)। সাহায্য-সহযোগিতা দান-সদাকা করতে হবে দীন-দরিদ্র, ফকির-মিসকিন, এতিম, অন্ধ, বিধবা, অসহায় ও গরিব আত্মীয়স্বজনকে। রসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাওয়া হলো দান সদাকার উপযুক্ত পাত্র কারা? 

আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘তারা তোমার কাছে জানতে চাইবে তারা কি খাতে খরচ করবে? তুমি তাদের বলে দাও, যা কিছুই তোমরা তোমাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অসহায়, মিসকিন এবং মুসাফিরের জন্য খরচ করবে, তাই আল্লাহ গ্রহণ করবেন। যা ভালো তোমরা করবে, আল্লাহ তা অবশ্যই জানতে পারবেন’ (সুরা বাকারা-২১৫)। অসহায়দের প্রতি সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করে বিপুল সওয়াব লাভের শ্রেষ্ঠ সময় রমজান। আমাদের সমাজে অনেক গরিব-দুঃখী আছেন যারা দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাহরি ও ইফতারের সামান্য খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান। বছরের এই সময়ে তাদের জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ ধরনের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া আমাদের প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ধনসম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের উদাহরণ হচ্ছে একটি বীজের মতো, যে বীজটি বপন করার পর তা থেকে সাতটি শিস বেরোলো, এর প্রতিটি শিষে রয়েছে ১০০ করে শস্যদানা, আল্লাহ যাকে চান তার জন্য এটাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন’ (সুরা বাকারা - ২৬১)। এই রমজানে গরিব আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নিন, তাদের মধ্যে কেউ আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলে তাকে সাহায্য করুন। আপনজনদের ভালোবাসুন। গরিবদের সম্মান করুন। রসুল (সা.) বলেছেন, যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ো, যে তোমার প্রতি অবিচার করে তাকে ক্ষমা কর’ (মুসলিম)। রহমত ও মাগফিরাতের মাসে দয়া ও ক্ষমার অনুশীলন করুন। এতিম, অসহায়, বিধবাদের খোঁজখবর নিন। তাদের মুক্তহস্তে দান করুন। তাহলে আল্লাহ খুশি হবেন। নাজাত পাওয়ার রাস্তা সহজ হবে। দান-খয়রাত সদাকা প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হোন।


আরও খবর



ঢাবির ফিন্যান্স বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপিত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ফিন্যান্স বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।


শনিবার (১১ জানুয়ারি) এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মিলনমেলা, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা প্রদান, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টের আয়োজন করা হয়।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এইচ এম মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম হাবিবুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক শাবনাজ আমিন এবং সহকারী অধ্যাপক কাজী গোলাম রব্বানী মাওলা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।


উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই বিভাগের অনেক অবদান রয়েছে। এই বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গর্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।


আরও খবর



হাইকোর্টের রায়ে ৬৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট একই পদে তৃতীয় ধাপে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিলেন। আদালতের অভিমত ছিল, কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে আদালত রুলও জারি করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৬,৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এদিকে, গত ২৮ মে হাইকোর্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) সহকারী শিক্ষক পদে মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে গণমাধ্যমে। আদালত এই অভিযোগ তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।

হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে হবে এবং উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ, নিয়োগপ্রত্যাশী প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



সাত মাসে রফতানি আয় বাড়লো ১১.৬৮ শতাংশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

অর্থনীতি ডেস্ক : গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রফতানি আয় এসেছে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি ৯৫ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৬৮ শতাংশ বেশি। সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে বেড়েছে দেশের রফতানি আয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৯৩ কোটি কোটি ৮৯ লাখ ডলার।

জুলাই-জানুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ২০ লাখ ডলারে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে এ আয় ছিল ২ হাজার ১০২ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।

তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১ হাজার ২৬৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি বেড়েছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৬ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে।

আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। জুলাই-জানুয়ারিতে রফতানি হয়েছে ৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে।

উল্লেখ্য, সদ্যবিদায়ী জানুয়ারি মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।


আরও খবর



কর্মবিরতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িযায় রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩২জন দেখেছেন

Image

শফিকুল হক শাকিল : মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের রানিং স্টাফরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে রেল পথে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িযা থেকে কোনো প্রকার ট্রেন ছেড়ে না যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে যাতায়েতকারী কয়েক হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

অনেক যাত্রীরা বিশেষ কাজের জন্য ঢাকা, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্ব অঞ্চলে যাতায়াত করেন। কর্মবিরতির কারনে বিকল্প পথ হিসেবে সড়ক পথকেই বেছে নিয়েছেন অনেকেই।

তবে অনলাইনে টিকেট কাটা যাত্রীদের টাকা ফেরত পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এদিকে রেল পথ বন্ধ থাকায় ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন অংশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। 


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মন্দ আচরণের পরিণতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : কিছু মানুষ এমন আছে, যারা অন্যের সঙ্গে কটু ভাষায় কথা বলে আনন্দবোধ করে। তারা মনে করে, এই রূঢ় আচরণ তাদের ব্যক্তিত্বতে পাকাপোক্ত করে। তারা অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তারে তাদের আরেকটি কৌশল হলো, তারা খুব সূক্ষ্মভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যকে দমিয়ে রাখার জন্য নুন থেকে চুন খসলে অভিশাপও দিয়ে থাকে, অথচ রহমাতুল্লিল আলামিন, সরদারে দো আলম মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতে, কোনো মুমিনের জন্য এ ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়া সমীচীন নয়। আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৭) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পর একে অপরকে অভিসম্পাত, তার গজব ও জাহান্নামের বদদোয়া  কোরো না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৬) অন্যকে অভিশাপ দেওয়া এতটাই ভয়ানক বিষয় যে তা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশাপ দাতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন কোনো বান্দা কোনো বস্তুকে অভিশাপ দেয়, তখন ওই অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে ওঠার পথকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তা আবার দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওনা হয়; কিন্তু দুনিয়ায় আসার পথও বন্ধ করে দেওয়ায় সে ডানে-বাঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোনো পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, তার কাছে ফিরে আসে। তখন সেই বস্তু যদি অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার ওপর ওই অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর ওপরই তা পতিত হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৫) এগুলো অভিশাপকারীর দুনিয়াবি ক্ষতি। আখিরাতেও শুধু অভিশাপ দেওয়ার প্রবণতার কারণে বহু মানুষ জাহান্নামে যাবে। যেমনটা নবীজি (সা.) নারীদের উদ্দেশ করে বলেছিলেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত, একবার ঈদুল আজহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমার সদকা করতে থাকো। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাকো আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। (বুখারি, হাদিস : ৩০৪) তাই কখনো এ ধরনের রূঢ় আচরণ ও অহেতুক অভিসম্পাতকারীর কবলে পড়লে তার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত না হয়ে তাকে এড়িয়ে চলাই মুমিনের কাজ। এতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবি মদদ পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছে। 

আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখি, কিন্তু তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাদের উপকার করি, কিন্তু তারা আমার ক্ষতি করে। তারা আমার সঙ্গে মূর্খের আচরণ করে, কিন্তু আমি তা সহ্য করি।’ তিনি বলেন, যদি তোমার বক্তব্য সঠিক হয়, তবে তুমি যেন তাদের মুখে উত্তপ্ত ছাই পুরে দিচ্ছ। তোমার কারণে তাদের দুর্ভোগ আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি এরূপ করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী তাদের মোকাবেলায় তোমার সঙ্গে থাকবেন। (আদাবুল মুফরাদ, আয়াত : ৫২)


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫