
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সংসদকে জানিয়েছেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে ১৭০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনায় ৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল সোমবার সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
সরকারদলীয় এমপি বেগম সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী জানান, পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য বিশদ নকশা প্রণয়ন ও দরপত্র দলিল প্রস্তুতসহ সমীক্ষা প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়েছে। অর্থায়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগী অনুসন্ধানে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল প্রকল্পের পিডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে ইআরডি ও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নির্ধারিত হলে ভাঙ্গা থেকে পায়রা হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানান, বিনা টিকিটে ট্রেন ও ট্রেনের ছাদে ওঠা বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে। এতে টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সমন্বয়ে নিয়মিত টিকিট চেকিং কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া স্টেশন প্ল্যাটফরম ও ট্রেনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে বিনা টিকিটের যাত্রী ও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে।