Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ২৫ তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি, বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে সিলেট বিভাগ তৃতীয় স্থানে ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বললেন অর্থ উপদেষ্টা শ্রীপুরে মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রচার, বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন ভারত সিরিজের সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে শর্ত ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু

রাজধানীতে মাদক জব্দ, গ্রেফতার ৩২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৭৯জন দেখেছেন

Image

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছে থেকে ৫৯৫২ পিস ইয়াবা, ৩ কেজি গাঁজা, ৪৭ গ্রাম হেরোইন, ৮ লিটার দেশিমদ ও ১০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।

সোমবার সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৪টি মামলা হয়েছে।


আরও খবর

কানপুরেই হবে ভারত–বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিতে গভর্নরকে চিঠি

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ারহোল্ডারসহ গ্রাহকরা। চিঠিতে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।


রোববার (১৮ আগস্ট) তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে এই পৃথক চিঠি জমা দেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও জঘন্য।



 দীর্ঘদিন লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য তাঁরা দ্রুত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানান।


এক চিঠিতে ৮১ গ্রাহকের পক্ষ হয়ে সৈয়দ মেজবাহ উদ্দীন উল্লেখ্য করেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক। আড়াই কোটি গ্রাহকের এ ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কূটকৌশলে ব্যাংকের তহবিল পাচার এবং লুটপাটের ভয়ঙ্কর চিত্র বিভিন্ন সময় অসংখ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। 



এ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন। আমাদের বিশ্বাস, লুটপাটের বাস্তব চিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশিত অবস্থার চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন এই অনিয়ম ও লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকটির প্রতি আমানতকারীসহ গণমানুষের নিকট এ ব্যাংকের ইমেজ সংকট দেখা দিয়েছে।


প্রকৃত অর্থে, এ ব্যাংকটি দীর্ঘদিন যাবৎ আপামর জনগণের আস্থার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে সেবা দিয়ে আসছিল। তাই, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সকল শেয়ারহোল্ডার তথা স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার পাশাপাশি দেশের শক্তিশালী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান দুর্নীতিগ্রস্ত পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া জরুরি। 



জাতীয় স্বার্থেই যোগ্য, সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে অথবা সাবেক পরিচালকদের মধ্য হতে কতিপয় ব্যক্তিকে নিয়ে বোর্ড পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনি দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আপনার দ্রুত পদক্ষেপের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।


অপর এক চিঠিতে ইসলামী ব্যাংকের আইপিওর শেয়ারহোল্ডার ড. এম কামাল উদ্দীম জসীম উল্লেখ্য করেন, আপনি (গভর্নর) ইতোমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। ব্যাংকটির বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ও কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার সহায়তায় ব্যাংকের বিপুল অর্থপাচার ও লোপাটের ভয়ঙ্কর চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।



 আমি মনে করি, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও জঘন্য। দীর্ঘদিন এই অনিয়ম ও লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকায় ব্যাংকটির প্রতি আমানতকারীদের/গণমানুষের এবং শেয়ারহোল্ডাদেরও আস্থায় ফাটল ধরেছে। অথচ ইতোপূর্বে, এ ব্যাংক বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক The Strongest Bank in Bangladesh হিসেবে স্বীকৃত ছিলো। প্রতি বছর প্রায় ডজন খানেক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হতো এ ব্যাংক। 


তাছাড়া বাংলাদেশের এক মাত্র ব্যাংক, যা একাধারে বিগত ১২ বছর যাবৎ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘দি ব্যাংকার’ কর্তৃক বিশ্বসেরা এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় স্থান লাভ করে আসছিল।


অতএব আপনার নিকট আবেদন, ইসলামী ব্যাংকের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সকল শেয়ার হোল্ডার তথা স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে দেশের আপামর জনগণের নিকট আস্থাভাজন এমন দক্ষ, সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে বোর্ড গঠন জরুরি। 


তাছাড়া সাবেক পরিচালকদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়েও বোর্ড পুনর্গঠন করা যেতে পারে। সুতরাং, আপামর জনগণের স্বার্থে অতিসত্বর এ ব্যাংকটি রক্ষার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে আপনার প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ রইলো।



আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাফলার বিলে সাদা শাপলার সমারোহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের রনচন্ডী ইউনিয়নে অবস্থিত বাফলা গ্রাম। ১৩ কিলোমিটারের ৩৫০ বিঘা খাস জমির ওপর এই বিল।

এ বিলের নাম গ্রামের নামে নামকরণ করা হয়েছে ‘বাফলার বিল’।  

বর্তমানে এই বিলের পানিতে ফুটেছে অসংখ্য সাদা শাপলা ফুল। দৃষ্টিনন্দন এই শাপলার সমারোহ দেখতে প্রতিদিন বিলপাড়ে ভিড় করছেন মানুষ।  

বাফলার বিলের এই সাদা শাপলা মানুষকে মুগ্ধ করছে। বেড়াতে আসা লোকজন সেলফি তুলছেন। গ্রামীণ জনপদে এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিলটি নিয়ে কিছু করা যায় কিনা ভাবছে।এলাকার সাংবাদিক শামীম হোসেন জানান, এ বিলে বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন কয়েকশ মানুষ। ঐতিহ্যবাহী এ বাফলার বিল শীত মৌসুমে অতিথি পাখিতে ভরে যায়। আবার গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে স্থানীয়রা বোরো আবাদ করেন।  

তিনি বলেন, পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় সরকারি সহায়তা পেলে বিলটি পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে উঠবে।  

বিলের পাড়ে ঘুরতে আসা নীলফামারীর কলেজ ছাত্রী আনজুমান আরা বলেন, কিশোরগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। এসে শুনলাম বাফলার বিলে অনেক সাদা শাপলা ফুল ফুটেছে। তাই এসেছি এখানে। মনোরম পরিবেশ। ভালোই লাগছে।  

সৈয়দপুর থেকে আসা নওশাদ আনসারী বলেন, দারুণ একটি জায়গা। প্রকৃতির সান্নিধ্যে একেবারে হারিয়ে যাওয়া যায়। অনেক সেলফি তুলেছি।  

রনচন্ডী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী বাফলার বিল। এখানে সৌন্দর্য যেন অপরূপ মহিমা প্রকাশ করে। স্থানীয়রা এ বিলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শীতের সময়ে এখানে অতিথি পাখিদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে যায়। আর এখন শাপলা ফুলে বিলটির সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। বিলে স্থানীয়দের নৌকা আছে, কেউ ঘুরতে চায়লে মাঝিরা নৌকায় ঘোরায়। প্রত্যেকদিন কমবেশি অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। সরকারিভাবে বিলটিকে পর্যটনের উপযোগী করা দরকার এটিতে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

এখানকার সাদা শাপলার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য মন কেড়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের। অনেকেই ফুলের সঙ্গে ছবি ফ্রেমবন্দি করতে ছুটে আসছেন।  

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হক বলেন, বিলটির সৌন্দর্য রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি করার চেষ্টা করবো। আমি নতুন এসেছি। এখানকার মানুষের জন্য কাজ করবো অবশ্যই।


আরও খবর



সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


সচিবালয় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবনের আশপাশে সব ধরনের গণজমায়েত, সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।


রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।



গণবিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল (২৬ আগস্ট) থেকে  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন (যমুনা) এর আশপাশের এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।


 





আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক ১১ মন্ত্রী-এমপিসহ ৩১ জনের সম্পদের তথ্য চাইল অন্তর্বর্তী সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

সদরুল আইনঃ


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ছয় প্রভাবশালী মন্ত্রী, ৫ জন সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) ও তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সহযোগীসহ ৩১ জনের অর্থ সম্পদের তথ্য সংগ্রহের পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। 


এর মধ্যে দেশে ও বিদেশে থাকা সব ধরনের অর্থ-সম্পদের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।


এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ওইসব ব্যক্তি ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্ল্যেখ করে তাদের অর্থ-সম্পদের তথ্য চেয়ে বিদেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে।



বিএফআইইউ এসব তথ্য সংগ্রহ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সরবরাহ করবে। তারা নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্র অনুযায়ী তদন্ত করবে। ইতোমধ্যে এসব সংস্থাগুলো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে কাজ শুরু করেছে।


গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ছয়জন সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রীর তথ্য চেয়ে বিদেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 


এর মধ্যে রয়েছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ। 


এদের প্রত্যেকের স্ত্রী, সন্তান, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্ল্যেখ করে বিদেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে এদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর কোনও সম্পদ থাকলে তা জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।



এমপিদের মধ্যে রয়েছেন, জামালপুর-৩ আসনের মির্জা আজম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের জান্নাত আরা হেনরী, ময়মনসিংহ-১০ আসনের ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুল ও পিরোজপুর-১ আসনের মহিউদ্দিন মহারাজ। 


সাবেক এমপিদের প্রত্যেকের স্ত্রী, সন্তান, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ-সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রী, এমপি মিলে রয়েছেন ১১ জন। তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সহযোগীসহ রয়েছেন আরও ২০ জন। ৩১ জনের অর্থ সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।


মন্ত্রী-এমপি ছাড়া আরও রয়েছেন আইনমন্ত্রীর সহযোগী সিটিজেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান তৌফিকা আফতাব, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী ও সন্তান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দুই সন্তান, আইনমন্ত্রীর স্ত্রী ও দুই সন্তান, ভূমি প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী ও দুই সন্তান, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রীর স্ত্রী ও দুই সন্তান, তথ্য প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী। 


এদের প্রত্যেকের নাম উল্ল্যেখ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের নামেও অর্থ সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। ওই সময়ে তারা নানাভাবে দুর্নীতি, ঘুষ ও কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ সম্পদ গড়েছেন। এগুলোর বড় অংশই বিদেশে পাচার করেছেন। ওইসব সম্পদ দিয়ে তারা বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যও করছেন। 


এতে দেশের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। গত আড়াই বছর ধরে দেশে যে ডলার সংকট চলছে এবং তা থেকে মূল্যস্ফীতির লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি হয়েছে তার অন্যতম কারণ দেশ থেকে টাকা পাচার। দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নতুন সরকার পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। সেজন্য তাদের নামে অর্থ সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।


বিএফআইইউসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রাথমিক তদন্তে আলোচ্য ৩১ জনের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল অঙ্কের অর্থ-সম্পদের সন্ধান মিলেছে। যে কারণে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চাওয়া হয়েছে। বিদেশের পাশাপাশি তাদের নামে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।


এ ছাড়া অন্যান্য সম্পদের তথ্যও নেওয়া হচ্ছে। এসব তথ্য সংগ্রহ করে বিএফআইইউ থেকে দুদক ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সরবরাহ করা হবে। এর আলোকে সংস্থাগুলো আরও তদন্ত করে অভিযুক্তদের নামে মামলা করবে।


আরো জানা যায়, বিএফআইইউ ওইসব ব্যক্তির নামে মানি লন্ডারিং নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের কাছে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। বিশ্বের ১৭৭টি দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটগুলো এই গ্রুপের সদস্য। 


বাংলাদেশে থেকে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি টাকা পাচার হচ্ছে সেসব দেশ এ গ্রুপের সদস্য। এ গ্রুপের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো দেশ তথ্য চাইলে তারা সংশ্লিষ্ট সদস্য দেশগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে বিএফআইইউ অনেক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করেছে।


এ ছাড়া বিএফআইইউ ৮১টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় দেশ ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে।


জানা গেছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের প্রয়াত বাবা আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নামে লন্ডনে বাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। 


এগুলোকে পরে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ আরও বাড়িয়েছেন। দুবাইয়ে তিনি একটি পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ করছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে তার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 


গত নির্বাচনের আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, সরকারের একজন মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ ও ব্যবসা রয়েছে। পরে জানা যায়, ওই মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।


শফিকুল ইসলামের স্ত্রীর নামে নাটোরে জান্নাতি প্যালেস নামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি কানাডায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক হিসাবেও রয়েছে অর্থ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে নামে-বেনামে সম্পদ রয়েছে।


এর বাইরে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আরও সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও ব্যবসায়ী নেতাদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল অর্থ-সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। বিএফআইইউ সেগুলো নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে তদন্ত করছে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চাওয়া হবে বলে জানা যায়।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ক্ষমতাচ্যুতরা চুপচাপ বসে থাকবে না : ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

তিনি বলেন, ‘এতদিন চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিলো। তাদের স্বপ্ন শিক্ষার্থীরা ভেঙে দিয়েছে। তারা কী এখন চুপচাপ বসে থাকবে? মোটেও না। খুব চেষ্টা করবে তোমাদেরকে যেন দুঃস্বপ্নের লুকিয়ে দেওয়ার। তারা চেষ্টার ত্রুটি করবে না। যেটা শুরু করছো সেই কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে বেরিয়ে যেও না।’

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাত ছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।শিক্ষার্থীদের দেখছি আর ভাবছি, কী একটা স্বপ্ন আমাদের সামনে, জাতির সামনে তোমরা নিয়ে এসেছ।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদেরকে স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারতো। কিন্তু সেই সুযোগ তাদেরকে দেওয়া হয়নি। যখন হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই তাকাতে কষ্ট হয়। একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট তার মাথা থেকে সরছে না। যতবার দেখি, মনে প্রশ্ন জাগে এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি?

‘কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।’ 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবার শুনি, যতবার দেখি, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। 

তিনি বলেন, আমি সাক্ষাতের সময় যে দৃশ্য দেখছি সেটা তো সবাই দেখছে না। যারা হাসপাতালে আসছেন তারা হয়তো অনুধাবন করতে পারছে। মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। কি নৃশংসতা ছিল।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪