পটুয়াখালীতে গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত
ময়মনসিংহে ৩ উপজেলায় পানিবন্দি ৩৩ হাজার পরিবার
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃত্যু বেড়ে ৭
রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ
ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ঈমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মাজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
নামাজেই ঈমানের পরিচয় : পবিত্র কোরআনে মুমিন-মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে ঈমানের পরই নামাজের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(মুত্তাকি তারা) যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যা কিছু দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর সন্তোষজনক কাজে) ব্যয় করে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ৩) নামাজই ঈমানের পরিচয় বহন করে। যে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে সেই প্রকৃত মুমিন। যে নামাজ আদায় করে না সে পূর্ণ মুমিন নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনরা সফলকাম হয়েছে। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১-২) নামাজ সবার জন্য সব সময় : ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ ও রোজা ধনী-গরিব সবার জন্যই ফরজ। তবে হজ ও জাকাতের বিধান শুধু ধনী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। শারীরিক অসুস্থতাসহ কিছুকিছু ক্ষেত্রে ফরজ রোজা ভঙ্গ করার হুকুম রয়েছে এবং পরে তা আদায় করে নেওয়া যায়। রোজা ভঙ্গের পর কাফ্ফারা আদায় করার বিধানও রয়েছে। তবে নামাজের ক্ষেত্রে কাজা করার হুকুম শুধু বিশেষ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে না পারে; সে যেন বসে নামাজ আদায় করে। যদি কারো বসে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয়; সে যেন শুয়ে নামাজ আদায় করে। দেহে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো অবস্থায় কোনো ব্যক্তির জন্য নামাজ বাদ দেওয়ার বিধান নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১) নামাজের বিধান ঊর্ধ্বলোকে : মহান আল্লাহ নবী (সা.)-কে সাত আসমান পার করে ঊর্ধ্বলোকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়ে নামাজের বিধান দিয়েছেন। অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। সুতরাং নামাজ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মিরাজের রাতের প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, অতঃপর আল্লাহ আমার উম্মাতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দেন। অতঃপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মুসা (আ.)-কে অতিক্রম করি; তখন তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বলেন, আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে ফিরে যান; কেননা আপনার উম্মত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ তাআলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আ.)-কে পুনরায় অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন, আর আমি বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনি পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা (আ.)-কে অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন। বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বলেন, এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) ৫০ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোনো রদবদল হয় না। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৩) নামাজ পরিশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যম : নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ। নামাজের মাধ্যমেই মানুষ সব পাপ থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবন যাপন করতে পারে। নামাজ আদায় করতে থাকলে একসময় এই নামাজই মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫) নামাজ পাপ থেকে মুক্তির উপায় : নামাজ মানুষকে পাপ মুক্ত করে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে। হাদিসে এসেছে-আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা তোমরা বলো তো-যদি কারোর বাড়ির দরজার সামনে একটি নদী থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থেকে যাবে?’ সাহাবিরা বলেন, কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না। তিনি বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণও তেমনই। এর দ্বারা আল্লাহ পাপরাশি নিশ্চিহ্ন করে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫২৮) নামাজ সব সমস্যার সমাধান : আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতি হলো-নামাজের মাধ্যমে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। যেকোনো বিপদণ্ডআপদে ও সমস্যায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নামাজে মগ্ন হওয়া চাই। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকভাবেও চেষ্টা করতে হবে। এতে আল্লাহর সাহায্য ও সহযোগিতা সহজে পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৫৩) হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩১৯) গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ আদায় : কোরআন মাজিদে যেভাবে নামাজিদের প্রশংসা করা হয়েছে, তেমনি নামাজে অবহেলাকারীদের প্রতি ধমকি ও হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যও এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘আর দুর্ভোগ ওই নামাজিদের জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা : মাউন, আয়াত : ৪-৫) এজন্য খুব গুরুত্বসহ সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে, জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজে মনোযোগ ফেরাতে ইহসানের বিকল্প নেই। ইহসানের ব্যাখ্যায় হাদিসে বলা হয়েছে-উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, জিবরাইল (আ.) নবীজি (সা.)-কে বলেন, ‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’ তিনি (সা.) বলেন, ইহসান হলো-‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছো। আর তুমি যদি তাকে না-ও দেখো, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫০)
কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য
বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪
যেসব কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ
মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪
‘ক্ষতিগ্রস্ত’ নেতাকর্মীদের তালিকা করবে আ.লীগ
অনলাইন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। গত ৫ আগস্ট দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘মব’ জাস্টিসের নামে পিটিয়ে হত্যা বা আহত করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ক্ষমতা থাকা দলটির নেতাকর্মীদের। অনেকের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, হচ্ছে লুটপাট।সরকার পতনের পর থেকে যেসব নেতাকর্মী নিহত বা আহত হয়েছেন, যাদের বাড়িঘর ভাঙচুর কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে, সেই সব নেতাদের তালিকা করবে আওয়ামী লীগ। টানা ১৫ বছরের অধিক সময় ক্ষমতায় থাকা দলটির শীর্ষপর্যায়ের একাধিক নেতা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা সাবেক ভূমি মন্ত্রী আটক
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
নরওয়ে-সুইডেনসহ ৩ দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
লেবাননকে ১০ কোটি ডলারের ত্রাণ সহায়তা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরব আমিরাতের লেবাননকে ১০ কোটি ডলারের জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
বিবৃতিটিতে ত্রাণ সহায়তা ঘোষণার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে বিবৃতিটিতে। লেবাননের ঐক্য, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে দেশটির, তাও পুনঃনিশ্চিত করা হয়েছে সেখানে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা বেড়েছে। লেবাননের দক্ষিণে ও রাজধানী বৈরুতের অংশবিশেষে ইসরায়েল মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালিয়েছে।
এর আগে, হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকিটকির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। তাতে আহত হন আরও কয়েক হাজার মানুষ।
চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করা উচিত: ট্রাম্প
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ এ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর।’
‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। আজ (৭ অক্টোবর) দিবসটি পালিত হবে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে বেগবান ও টেকসই করার লক্ষ্যে এ সব প্রতিকূলতাকে নির্মূল করার জন্য সরকার সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের অনেক শহরের মতোই বাংলাদেশের শহর বা নগরগুলো এখনো অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই নগর উন্নয়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারে নাই। দারিদ্র্য, বৈষম্য, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা, নাগরিক নিরাপত্তাহীনতা, পরিবেশগত বিপর্যয় তথা জলবায়ু পরিবর্তনের নানা অভিঘাতে ভুগছে এদেশের ছোটো-বড় বিভিন্ন শহর।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্য শক্তি, সাহস ও পরিবর্তনের প্রতীক। বৈষম্যহীন, শোষণহীন ও কল্যাণকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার বিগত দিনের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণই প্রমাণ করে তারুণ্যকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। এখনকার তরুণেরা অনেক বেশি আধুনিক এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী।
তিনি তরুণদের অদম্য মেধা, পরিশ্রম, ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও সততা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করবে বলে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন।
মুহাম্মদ ইউনূস প্রযুক্তিগত জ্ঞান, উৎকর্ষ ও তরুণদের উদ্যোগ আর প্রবীণ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান আমাদের দেশে উন্নত ও নিরাপদ নগর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় ‘বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪’ উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটির সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছে। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবারকে বিশ্ব বসতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, তার পরের বছর থেকেই বিশ্বব্যপী পালন হয়ে আসছে দিবসটি।
আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪
দুর্গাপূজা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের নিরাপত্তা পরামর্শ
রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪
আমানতের খেয়ানত করলে কী হয়?
অনলাইন ডেস্ক: মুসলমানদের একে অপরের বিশ্বস্ত হতে হবে- রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই অসত্য এবং অন্যায়ের স্থান থাকতে পারে না। একজন মানুষ অপর মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণামূলক আচরণ করবে না এটি ইসলামি সমাজের কাক্সিক্ষত ও কাম্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন : ‘যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সঙ্গে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।’ (-সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য। (-আবু দাউদ ও তিরমিজি)। সততা হলো মানবজীবনের প্রধান মূলধন। যারা এ সম্পদে সমৃদ্ধ তারা সমাজের সবার আস্থার পাত্র।
যে কারণে ইসলাম ব্যক্তিগত সততাকে গুরুত্ব দিয়েছে। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আমানতের খেয়ানতকারীকে হাজির করে বলা হবে- ‘তোমার কাছে গচ্ছিত আমানত ফিরিয়ে দাও। সে জবাব দেবে, ইয়া পরওয়ারদেগার! কীভাবে তা ফিরিয়ে দেব? পৃথিবী তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা জিনিসটি যেভাবে রাখা হয়েছিল ঠিক অনুরূপ আকারে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাকে দেখানো হবে। অনন্তর তাকে বলা হবে- যাও, ওখানে নেমে ওটা তুলে আন। অতঃপর সে নেমে গিয়ে সেটি কাঁধে বয়ে নিয়ে আসবে। তার কাছে জিনিসটির ওজন পৃথিবীর সব পর্বত অপেক্ষা বেশি মনে হবে। তার ধারণা হবে, তুলে আনলেই সে দোজখের আগুন থেকে নাজাত পাবে। কিন্তু সে যখন জাহান্নামের শেষ প্রান্তে চলে আসবে, অমনি ওই জিনিসটি নিয়ে পুনরায় জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে যাবে। এভাবে সে চিরকালই জাহান্নামে থাকবে। অনন্তর হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘নামাজ, অজু, গোসল, পরিমাপ ও পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা সবই আমানতের শামিল, আর কারও রক্ষিত জিনিস সর্বাপেক্ষা বড় আমানত। প্রত্যেক মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি যেমন বিশ্বস্ত হতে হবে তেমন আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালনেও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।’ (-সুরা আনফাল-২৭)। এ আয়াতের শানে নজুল সম্পর্কে ইমাম ওয়াহেদি (রহ.) বলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু লুবাবা (রা.) এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসলমানগণ যখন বনু কুরায়যাকে অবরোধ করে রেখেছিলেন, আর বনু কুরায়যার মহল্লায় লুবাবার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা অবস্থান করছিল।
রসুল (সা.) তখন কোনো এক বিশেষ প্রয়োজনে আবু লুবাবা (রা.)-কে বনু কুরায়যার কাছে পাঠালেন। কুরায়যা গোত্রের লোকেরা জানতে চাইল : আবু লুবাবা! সা’দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যদি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসি, তাতে আমাদের কী পরিণতি হবে বলে তুমি মনে কর?’ আবু লুবাবা (রা.) আপন গলার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চাইলেন, তোমাদের সবার গলা কেটে ফেলা হবে, কাজেই তোমরা তা করতে যেও না। তার এ আচরণ ছিল আল্লাহ ও রসুলের খেয়ানতের পর্যায়ভুক্ত। আবু লুবাবা (রা.) নিজেই স্বীকারোক্তি করেন, ‘আমি পা স্থানচ্যুত করার পূর্বেই বুঝতে সক্ষম হলাম, আমি আল্লাহ ও তার রসুলের খেয়ানত করে ফেলেছি।’ (এরপর হজরত আবু লুবাবা (রা.) দীর্ঘ ছয় দিন মসজিদে নববীর একটি কাঠের খামের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখেন এবং তওবা মঞ্জুর হওয়ার ঘোষণা আসার পরই তিনি বাঁধনমুক্ত হন।) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।’ অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না। হজরত কালবি (রা.) বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের অবাধ্যচারিতাই হচ্ছে খেয়ানত। আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের ব্যাপারে প্রত্যেকেই আমানতদার। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোনাফেকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কিছু গচ্ছিত রাখা হয়, তখন তা খেয়ানত করে। (-বোখারি ও মুসলিম)। আহমাদ, বাযযার ও তাবারানির বর্ণনায় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তার ভিতর দীন নেই। সব ব্যাপারেই খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা দোষণীয়। তবে একটা অন্যটা অপেক্ষা বেশি দোষণীয় হতে পারে। যে লোক ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করল, আর যে কারও অর্থ-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা বা আরও বড় কোনো অপরাধ করল, তারা উভয়ে সমান নয়।
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ
সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪
কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য
বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪