Logo
আজঃ রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

প্রার্থী হওয়ায় ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৯৪জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ছোট ভাই শাহদাত হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা।

কাদের মির্জা একইসঙ্গে বসুরহাট পৌরসভার মেয়রও।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার সরকারি মিলনায়তনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের সমর্থনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।


তার ছোট ভাই শাহদাত হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তারা দুজনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

‘কুলাঙ্গার’ ছাড়াও শাহদাত হোসেন তার ভাই নন বলে তিনি মন্তব্য করেন কাদের মির্জা। তার বক্তব্যটি স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক ফেসবুকে লাইভে প্রচার করেন। ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দেওয়া কাদের মির্জার ওই বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।


শাহদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার পর হলফনামায় মামলার তথ্য না দেওয়ায় এবং আয়-ব্যয়ের বিবরণী না থাকায় প্রথমে যাচাই-বাছাইয়ে পরবর্তী সময়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়।

এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও এখনো প্রতীক বরাদ্দ পাননি। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আজ ওবায়দুল কাদের ঘুমাতে পারেন না একটা ছেলের জন্য। সে আমার ভাই নয়, ওবায়দুল কাদেরের ভাই নয়। ওবায়দুল কাদের সাহেব স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন, কোনো মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না।

আমাদের ভাই নয় এই কুলাঙ্গার শাহদাত। তার কারণে আজ ওবায়দুল কাদের অসহায়, সাংবাদিকদের সামনে গেলে চেহারা কালো হয়ে যায়। শেখ হাসিনার কাছে জবাব দিতে পারে না।

কাদের মির্জা বলেন, সে (শাহদাত) আজ কোর্টে কোর্টে ঘুরছে। কাদের ইঙ্গিতে এ ষড়যন্ত্র হচ্ছে একদিন প্রকাশ হবে ইনশা আল্লাহ। ওবায়দুল কাদেরের ইজ্জত যে ছেলে নষ্ট করে, সে ছেলেকে যদি ভোটে আসে, ভোট দেওয়া যায়?...না। আল্লাহর গজব পড়বে এই ছেলের ওপর।

ছোট ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটা সালিস তার জন্য করতে পারি না পৌরসভায়। সালিসে রায় দিলে যে হেরে যায়, সে তার পক্ষ হয়। সালিস বাস্তবায়ন করতে পারি না এই ছেলের কারণে।

এই ছেলেকে ঘৃণাভরে যদি প্রত্যাখ্যান না করেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি মারা যান, তার আত্মার শান্তি পাবে না।


আরও খবর



অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

বৈধ নথি ছাড়া বসবাসের অভিযোগে বেশ কিছু ভারতীয়কে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চার্টার্ড বিমান ভাড়া করে গত সপ্তাহে তাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। তবে ঠিক কত জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি আমেরিকা।বলা হয়েছে, বেআইনি অভিবাসন ও মানবপাচার বন্ধ করার লক্ষ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শনিবার (২৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র একটি চার্টার্ড ফ্লাইট ভাড়া করে দেশে অবস্থানরত অবৈধ ভারতীয় নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ভারত সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।গত শুক্রবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ আরও জানিয়েছে, চার্টার্ড ফ্লাইটটি গত ২২ অক্টোবর ভারতে পাঠানো হয়েছিল।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ডেপুটি সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনকারী সিনিয়র কর্মকর্তা ক্রিস্টি এ ক্যানেগালো বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রে থাকার আইনগত ভিত্তি ছাড়া অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত অপসারণ করা হবে এবং চোরাকারবারীদের মিথ্যাচারের শিকার হওয়া উচিত নয় অভিবাসীদের।”আর এরপর থেকে আমেরিকা অনুপ্রবেশকারীদের কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু, মিসর, উজবেকিস্তান, ভারত, চীন-সহ বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন এই নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অভিবাসন নীতি। জো বাইডেন ও কমালা হ্যারিসের অভিবাসন নীতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসীতে ছেয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে আসছে ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির।

এছাড়া অভিবাসীরা পোষ্য প্রাণী মেরে খেয়ে ফেলে বলে সম্প্রতি ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন। তার এই মন্তব্যে আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে অনেক।

অন্যদিকে কমালা হ্যারিস এক আমেরিকান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নীতিগত ভাবে হয়তো তিনি আগের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেন।

আর অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, কমালা প্রেসিডেন্ট হলে অভিবাসন নীতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের থেকে অনেক কঠোর হতে পারেন।





আরও খবর



রমরমিয়ে চলছে দেবের ‘টেক্কা’

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

এ বছর দুর্গাপূজায় মুক্তি পেয়েছে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারস প্রযোজিত ছবি ‘টেক্কা’। এখনও রমরমিয়ে চলছে সেই ছবি। ছবি মুক্তির পর সম্প্রতি বান্ধবী রুক্মিণী মৈত্রকে নিয়ে বিদেশ থেকে ঘুরে এলেন দেব। 

এদিকে টালিগঞ্জ ছেড়ে মুম্বাইতে পাড়ি দিলেন অভিনেতা দেব। এবার কি তবে হিন্দি ছবিতে পা রাখলেন বাংলার সুপারস্টার? শুটিংয়ের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই এই সুখবর ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন।

মেকআপ ভ্যান থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দেব লিখেছেন, ‘হ্যালো মুম্বই।’ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দেবের সঙ্গে রয়েছেন তার টিমের সদস্যরা। অর্থাৎ মুম্বাইতে যে নতুন কাজ শুরু করলেন তা এক প্রকার পরিষ্কার। কিন্তু বিটাউনে কী কাজ করতে চলেছেন? তাও খোলাসা করেছেন দেব নিজেই। একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের শুটিং করতেই মুম্বাইতে হাজির হয়েছেন দেব। তবে শুধুই কি বিজ্ঞাপনের শুটিং, নাকি ছবির জন্যও এবার বলিউডে পথ চলা শুরু করবেন?ইতোমধ্যেই রুক্মিণী মৈত্র বলিউডে প্রথম কাজ করে ফেলেছেন। তাহলে কি এবার দেবের পালা? যদিও ঘটনাচক্রে মায়ানগরীতে নিজের ছোটবেলা কাটিয়েছেন দেব। 

বলিউডের ক্যান্টিনে কাজ করতেন গুরুপদ অধিকারী, তাই সেইভাবে দেখতে গেলে বলিপাড়া তার কাছে নতুন নয়। তবে কি টলিউডের পাশাপাশি এবার বলিউডেও তিনি কাজ করবেন? সময়ই বলে দেবে সেই উত্তর। আপাতত বিজ্ঞাপনের শুটিং নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত অভিনেতা।




আরও খবর



সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ বছর পর্যন্ত কর সুবিধা

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে সব কোম্পানিকে আয়কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানিগুলো ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়া কোম্পানিকে ১০ বছরের জন্য শর্ত সাপেক্ষে এ অব্যাহতি সুবিধা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপধারা (১) অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশের আওতায় বিওও ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যেসব কোম্পানির বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আরম্ভ হবে, সেই সব কোম্পানি শর্ত সাপেক্ষে কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাণিজ্যিক উৎপাদন আরম্ভ হতে প্রথম ৫ বছর পর্যন্ত (প্রথম থেকে পঞ্চম বছর) শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে। পরবর্তী ৩ বছর (ষষ্ঠ হতে অষ্টম) অব্যাহতি সুবিধা ৫০ শতাংশ ও পরবর্তী ২ বছর (নবম ও দশম) ২৫ শতাংশ কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে।

শর্তের মধ্যে রয়েছে—আয়কর আইনের সব বিধানাবলি পরিপালন করতে হবে, প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশ-এ নির্ধারিত সব শর্তাবলি পূরণ করতে হবে এবং পলিসিতে বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসারে কোম্পানিগুলো পরিচালিত হতে হবে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে এ অব্যাহতি সুবিধা কার্যকর হবে।


আরও খবর

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪




‘সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই’

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

তিনি বলেন, সাহাবুদ্দিন যেকোনো সময় পদত্যাগ করবেন। তার পদত্যাগ করা উচিত। তার রাষ্ট্রপতি হওয়ারই যোগ্যতা নেই। তিনি আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রিপন বলেন, বাংলাদেশে কেউ রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হয়। চুপ্পু সিঙ্গাপুরের নাগরিক। এসব জায়গায় নাগরিক হতে হলে অনেক টাকা লাগে। এসব টাকা কীভাবে পেলেন। মানিলন্ডারিং ছাড়া এসব টাকা নেওয়া যাবে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা শুনেছি তিনি বার্বাডোসের নাগরিক হয়েছেন। অন্যদেশের নাগরিক রাষ্ট্রপতি হয় এটা মনে হয় শুধু বাংলাদেশেই হয়।  চুপ্পু সাহেব দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে কেন বানানো হয়েছিল কারণ পদ্মা সেতুতে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মনে করে, আমরাও মনে করি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন তদন্তে আসে এটা জেনেই শেখ হাসিনা চুপ্পুকে ওখানে বসিয়ে দিলেন। এরপর সেই মেয়াদ শেষ হলে ওনাকে ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান করলেন। এরপর সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন। উনি নাকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এটা কিন্তু কেউ জানেন না। ওবায়দুল কাদেরও জানতেন না। 

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এটা না জানা এটা একটা সিন্ডিকেট। বিচার বিভাগ, পুলিশ সব জায়গাতেই তারা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন। যাতে তারা ভিন্নমত দমন করতে পারে।

রিপন বলেন, একটা ডামি সরকার পদত্যাগ করবে কি করবে না এটা নিয়ে এত আলোচনার কি আছে। উনি (শেখ হাসিনা) তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত হননি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ওনাকে পদ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। উনি তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না। তাই উনি পদত্যাগ করলেন কি করলেন না সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। 

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাকে পদত্যাগ পত্র দেওয়া হয়ছিল। সেখানে হয়ত এটাই লেখা ছিল যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তাই তিনি দিয়েছেন। এখন আড়াই মাস পর এসে বলেন পদত্যাগপত্র পাননি তিনি। এরমধ্যে কোনো উদ্দেশ্য আছে।

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমার সামনে যারা আছেন তখন অনেকেই ছোট ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত কোনো সংবাদপত্র কিছু লিখতে পারতো না। একটা দুইটা সংবাদপত্র কোনোরকম চেপে চুপে নিউজ করতো। যদি ৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসতে না পারতেন বা কর্নেল তাহেররা ক্ষমতা নিতেন তাহলে কি হত এই জাতির জানা নেই। 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের কাছে আমরা দুইভাবে ঋণী। একটা ২৭ মার্চ তার স্বাধীনতার ঘোষণা। আরেকটি তিনি ক্ষমতায় এসে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় আসতে পেরেছেন। তিনি গণতন্ত্র এনেছেন। এখন সাংবাদিক ভাইয়েরা লিখতে পারবেন। জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা এখন লেখা উচিত। এই জাতীয় প্রেসক্লাবও তার অবদান।

আমিনুর রহমান সালাম বলন, দেশ স্বাধীন, বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে। একটা বর্বর জাতি ১৮ বছর দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। দেশের মানুষ এখন নিঃশ্বাস নিতে পারছে। 

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে এই ফ্যাসিস্ট, বর্বর দলটি যেন আর ফিরে আসতে না পারে। সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।


আরও খবর



বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নজর অর্থ দৃষ্টি। আর বদনজর মানে হলো, কুদৃষ্টি বা মন্দচাহনি। হিংসার নিকৃষ্ট স্বভাব-মিশ্রিত বিষাক্ত দৃষ্টিপাতের প্রভাবে ব্যক্তি বা বস্তুর মাঝে যে ক্ষতি দেখা যায় তাকে বদনজর বলা হয়। বদনজর দুইভাবে হয়-মানুষের বদনজর ও জিনের বদনজর। যুগে যুগে বদনজরের সমস্যা ও সমধান ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা বদনজর থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। কেননা বদনজর সত্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৫০৮) বদনজরের প্রভাব বেশি পড়ে ছোট বাচ্চাদের ওপর। এ থেকে মুক্তি পেতে রাসুলুল্লাহ (সা.) রুকইয়া বা কোরআনি চিকিৎসা করতে আদেশ দিয়েছেন। ফলে এটি সুস্থতার নিয়ামত লাভ ও নিরাপদণ্ডসাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপনে সহায়ক হয়।
বদনজরের লক্ষণ
বদনজরের আক্রান্ত ছোট বাচ্চাদের বেশ কিছু লক্ষণ ফুটে উঠে। যেমন-শিশুরা মায়ের বুকের দুধ বা খাবার খেতে না চাওয়া, অনর্থক ভয় পাওয়া, অস্বাভাবিক কান্নাকাটি করা ইত্যাদি।
বদনজর থেকে বাঁচার আমল
বদনজরের রুকইয়া বা কোরআনি চিকিৎসা প্রধানত দুই পদ্ধতিতে করা যায়। এক. কোরআনের আয়াত বা হাদিসে বর্ণিত দোয়া লিখে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে, সে যেন ‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিং গদাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াতিনি ওয়া আই ইয়াহদরুন’-এই দোয়াটি পড়ে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর তার উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৯৩; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৮)
দুই. বিশেষ দোয়া বা সুরা পাঠ করে ঝাঁড়ফুক করা।
এই প্রসঙ্গে সহজ ও সংক্ষিপ্ত  চারটি আমল এই :
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পাঠ করবে, কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি এই-‘বিসমিল্লা হিল্লাজি লা-ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউং ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামাই ওয়াহুয়াস সামিউল আলীম।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৮)
দুই, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সকাল- সন্ধ্যা তিনবার করে এই দোয়া পাঠ করবে সে প্রত্যেক সৃষ্টবস্তুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে সাপ বিচ্ছুর অনিষ্ট থেকে রেহাই পাবে। দোয়াটি হলো-‘আউযু বিকালিমা তিল্লাহিত্তাম্মাতি মিং শাররি মা খলাক।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৬৩২)
তিন. রাসুলুল্লাহ (সা.) হাসান ও হুসাইন (রা.)-কে এই দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করতেন আর বলতেন তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.) এই দোয়ার মাধ্যমে (তাঁর সন্তানদের) ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো-‘আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তাম্মাতি মিং কুল্লি শাইতানিন ওয়াহাম্মাহ ওয়ামিং কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১৩২)
চার. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার সুরা ইখলাস, ফালাক এবং নাস পাঠ করবে। সবকিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৫)


আরও খবর

বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪