Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

পিরোজপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৭৯জন দেখেছেন

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দশম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯ টার দিকে উপজেলার বড়ইবুনিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন বর‌ইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বাধীন এবং রহমত। এসময় আরেক শিক্ষার্থী তানভীর গুরুতর আহত হয়। তাকে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার রায় জানান, বিদ্যালয়ে আসার পর একটি মোটর সাইকেলযোগে দশম শ্রেণীর ওই তিন শিক্ষার্থী বড়ইবুনিয়া থেকে মাটিভাংগা যাওয়ার পথে মোল্লা বাড়ি নামক স্থানে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে স্বাধীন এবং রহমান মারা যায়। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তানভীরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদার জানান, একটি মোটরসাইকেলযোগে তিন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে মাটিভাংগা যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আঘাত করে। এসময় দুই শিক্ষার্থী মারা যায় এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়।


আরও খবর



অবশেষে সারদায় পুলিশ একাডেমীর প্রশিক্ষণার্থী কনষ্টেবলদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: অবশেষে সব ধরণের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর ১৬৭ তম প্রশিক্ষনার্থী কনষ্টেবলদের সমাপণী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৩বার সমাপণী কুচকাওয়াজের তারিখ পরিবর্তন করে অবশেষে রোববার সেই কাংখিত সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন অভিবাদন গ্রহণ ও বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী টিআরসিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) মাসুদুর রহমান ভ‚ঞা বিপিএম।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, নবীন পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মক্ষেত্রে তাদের মেধা, মনন ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে মানব সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবে। মাদক, সন্ত্রাস বন্ধে আইনের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে ন্যায়নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। মনে রাখবেন আপনারা জনগনের সেবক। তাই জনদরিদী পুলিশি দায়িত্ব পালন করে জনবান্ধব পুলিশে নিজেদের রুপান্তরিত করবেন।

এর আগে প্রধান অতিথি মাসুদুর রহমান ভুঞা প্রশিক্ষণে ৩শ৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী হিসেবে মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম,বেস্ট একাডেমিক হিসেবে মোঃ সুমন আলী, বেস্ট ইন ফিল্ড এক্টিভিটিজ এবং বেস্ট শ্যুটার পৌরব চন্দ্র রায় নির্বাচিতদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন।

উল্লেখ্য সমাপণী  কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণকারী ৬ মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষনার্থী কনষ্টেবলদের প্রশিক্ষণ আজ থেকে ২/৩ মাস আগেই শেষ হয়েছে। তবে নানা ধরণের জটিলতায় তাদের সমাপণী কুচকাওয়াজের তারিখ কয়েক বার পরিবর্তন করা হয়। এতে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রোববার সকালে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কাংখিত সমাপণী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিদ্যুৎখাতে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : দেশের বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগে ক্ষেত্রে নীতি বদল করেছে সরকার। এতোদিন দেশে বেসরকারি খাতের সব বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাস্তবায়ন চুক্তি বা ইমপ্লিমেন্ট এগ্রিমেন্ট (আইএ) করার বাধ্যবাধকতা ছিলো। কিন্তু সমপ্রতি ১০টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আহ্বান করা দরপত্রে তা বাতিল করা হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ারও শঙ্কা রয়েছে। তাতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। তাছাড়া সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লোকসানও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাস্তবায়ন চুক্তি বা ইমপ্লিমেন্ট এগ্রিমেন্টকে (আইএ) বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌম গ্যারান্টির মতো বা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সম্পূরক চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের নিশ্চয়তা পায়। আর বাস্তবায়নকারী কোম্পানি স্বল্প সুদে ঋণসহ দাতা সংস্থা থেকে বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকে। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম হয় এবং দামও কম থাকে। বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সম্পূরক চুক্তি হিসেবে আইএ করার বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে যতো বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার সবগুলোতেই আইএ ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইএ বাতিল হওয়ায় বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে ওই খাতে বাধাগ্রস্ত হবে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)। ইতিমধ্যেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আইএ না থাকার কারণে বিদ্যুৎখাতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলার কথা জানিয়েছে। কারণ বাংলাদেশে বিনিয়োগকে তারা আর নিরাপদ মনে করছেন না। তাছাড়া আইএ বাতিল হলে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোও দেবে না ঋণ সহায়তা। তাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কোম্পানির ব্যয় বাড়বে। আর ওই বাড়তি ব্যয় উৎপাদন খরচের সঙ্গে যোগ হয়ে গ্রাহকের কাঁধে পড়বে। ফলে শিল্প খাতের উৎপাদন খরচও বাড়বে। সূত্র জানায়, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে পিডিবিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করতে হবে। তাতে সংস্থাটির লোকসান বাড়বে ও ভর্তুকি বাড়বে। কারণ আইএ বিধান বাদ দেয়ায় দরপত্রে অংশ নেওয়ার সময়ই বিনিয়োগকারীদের ব্যয় বেশি দেখাবে। আর তাতে পিডিবি বিপাকে পড়বে। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর পিডিবি আইএ বিধান ছাড়া ৩২৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। আর চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো ১০টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চালু হওয়ার পর সরকার ২০ বছরের জন্য একটি নির্দিষ্ট দামে বিদ্যুৎ কিনতে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) স্বাক্ষর করবে। কিন্তু সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিদ্যুৎ খাতের বেসরকারি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আইএ বাতিল করায় বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ খাতে নেয়া প্রকল্পগুলোর জন্য ডাকা দরপত্রে দেশিবিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের অংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। এদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিউনিয়েবেল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আল মাহমুদ জানান, আইএ ও পিপিএ আন্তর্জাতিকভাবে একটি পরিচিত ব্যবস্থা। বিনিয়োগকারীরাও এর সঙ্গে পরিচিত এবং অভ্যন্ত। এরই মধ্যে ৪০টি কোম্পানি এ খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত করে এর ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ফেলেছে। কিন্তু এই প্রকল্পগুলো রিভিজিট না করে দায়িত্বপ্রাপ্তরা অন্য ব্যবস্থায় চলে গেছেন। বিনিয়োগকারীদের আইএ না থাকলে এ খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। আইএ বাতিল হলে তারা আর বিনিয়োগে যাবেন না বলেও জানিয়েছে। কারণ তারা বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করছে না। আর এ মুহূর্তে বিদেশি বিনিয়োগ ছাড়া এতো বড় লক্ষ্য অর্জনও সম্ভব না। কিন্তু সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার চাইলেও কাজ ও কথার মধ্যে মিল পাওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের (বিপা) সভাপতি জানান, আইএ বাদ দিয়ে সরকার খুব বেশি লাভবান হবে না। আবার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছেও বাংলাদেশের একেকবার একেক সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি নেতিবাচক বার্তা দেবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাবে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, সরকার এ দায়িত্ব আর নিতে পারছে না। আইপিপিগুলোকে টাকা দিতে পারছে না। সরকারের যে সার্বভৌম গ্যারান্টির প্রতিশ্রুতি তার মূল্য তো থাকতে হবে। এখন থেকে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়া হবে না, যা সরকার রাখতে পারবে না।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন দাবানল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেস, ২৩ জানুয়ারি: যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চলসহ বিশাল এলাকা গ্রাস করেছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে ইতোমধ্যে ৩৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে গেছে এবং এর প্রভাব আরও বিস্তার পাচ্ছে। 

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কাস্টেইক লেক এলাকা থেকে প্রায় ৩১ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, আরও ২৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগুনের প্রভাবে বাসিন্দাদের জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি হওয়ায় কর্তৃপক্ষ রেড-ফ্ল্যাগ সতর্কতা জারি করেছে।

দাবানলটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে স্থানীয় দমকলকর্মীরা প্রবল বাতাস এবং শুকনো ঝোপঝাড়কে দায়ী করছেন। এই দাবানল ইতোমধ্যে আগের ইটন ফায়ারের অর্ধেক আকার ধারণ করেছে, যা এই মাসের শুরুর দিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলগুলির মধ্যে একটি ছিল।

ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ (ক্যাল ফায়ার) জানায়, ১,১০০ দমকলকর্মী দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন স্থানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছে। এছাড়া, অ্যাঞ্জেলেস ন্যাশনাল ফরেস্ট বিভাগ তাদের ৭ লাখ একর বন দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় গত ৯ মাসে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি, যা দাবানলের পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে। তবে পূর্বাভাস রয়েছে, শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত কিছু বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা দমকল কর্মীদের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনতে পারে।


আরও খবর

আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত!

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মনোহরদীতে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতিনিধি (নরসিংদী) : মনোহরদীতে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার(১৫ জানুয়ারী)বিকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মনোহরদী সরকারি কলেজ মাঠে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকায় ট্রাইবেকারে মনোহরদী জোন গোতাশিয়া জোনকে ৪-৩ গোলে পরাজিত করে শিরোপা অর্জন করে। 

উক্ত ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম.এ মুহাইমিন আল জিহান। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)সজিব হাসান,মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান সরকার দোলন,মনোহরদী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আঃহান্নান,মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান সোহাগসহ অন্যান্য দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ইসলাম ও সংস্কৃতির সমন্বয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : ইসলাম একটি জীবনব্যবস্থার নাম। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ সাধনের নির্দেশ দেয় ইসলাম। শুধু আধ্যাত্মিকতা কিংবা জড়বাদী বিশ্বাসের নাম ইসলাম নয়। তাই আলিজা আলী ইজেতবেগোভিচ তাঁর বিখ্যাত ‘ইসলাম বিটুইন ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘ইসলাম এমন একটি নাম, যা বস্তুবাদ ও আধ্যাত্মিকতা উভয়ের ওপর প্রযোজ্য। তা মানুষের আচার-ব্যবহারের সুউচ্চ মাধ্যম। ’ (পৃষ্ঠা : ৫০) খেলাধুলা ও আনন্দ-বিনোদন মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যদি তাতে ইসলামি বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন না হয় এবং ব্যক্তি বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর না হয় তাহলে ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণকর এমন সব কিছুই ইসলামে অনুমোদিত। এরই দৃষ্টিকোণ থেকে দৈহিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে খেলাধুলা খুবই প্রশংসনীয়। মহানবী (সা.) নিজেও স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দুবার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, মক্কার রুকানা বিন ইয়াজিদের সঙ্গে চারবার মল্লযুদ্ধে জিতেছেন এবং সাহাবিদের তীর নিক্ষেপে পারদর্শী হতে উৎসাহ দিয়েছেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৩৭; আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৭৮) এমনকি তিনি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের পুরস্কার দিয়েছেন এবং শিশুদের দ্রুত হাঁটার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছেন। শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে মহানবী (সা.) উৎসাহ দিয়েছেন। তার মানে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব লক্ষণীয়। এসব ক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব তৈরিতে পেশিশক্তির চেয়ে কোমল-শক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিভাষার প্রথম প্রবক্তা মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ নাই । এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, ‘বাধ্যবাধকতা বা আর্থিক লেনদের বদলে আকর্ষণ তৈরির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করাই কোমল শক্তি। আর এ আকর্ষণ তৈরির অন্যতম উপাদান হচ্ছে মূল্যবোধ ও আচার-ব্যবহার। ’ যেমন তিনি বিশ্বব্যাপী আমেরিকান প্রভাব তৈরিতে শিল্প, নাটক, সংগীত, শিক্ষা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যাপক চর্চাকে প্রধান উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (সফট পাওয়ার : দ্য মিনস টু সাকসেস ইন ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ল্ড পলিটিকস, পৃষ্ঠা : ১৩-৪৬)। সবার সঙ্গে সুন্দর আচার-ব্যবহার ও উন্নত মূল্যবোধ ধারণের নির্দেশনা দেয় ইসলাম। ইতিহাসে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কঠিন মুহূর্তে ইসলামের সুন্দর আচার-ব্যবহার দেখে অন্যরা প্রভাবিত হয়েছে। ইসলামি খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে হামলা করে মোগলরা বিজয়ী হলেও ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল। টমাস আর্নল্ড (ঞযড়সধং ডধষশবৎ অৎহড়ষফ) বর্ণনা করেছেন, ‘যে সময়ে ইসলামের সমর শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেই সময়েও তা আধ্যাত্মিক যুদ্ধে সফল হয়েছিল। ইতিহাসে বড় বড় এমন দুটি ঘটনা আছে। একাদশ শতাব্দীতে বর্বর তুর্কি সেলজুক বাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুসলিম বাহিনীকে তারা পদদলিত করে পরাজিত করেছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মোগল বাহিনীও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হলেও উভয় শক্তি পরাজিত বাহিনীর ধর্ম ও সংস্কৃতি গ্রহণ করেছিল। ’ (দ্য প্রিসিং অব ইসলাম, অ্যা হিস্টরি অব দ্য প্রপোগেশন অব দ্য মুসলিম ফেইথ, পৃষ্ঠা : ২৬) ইসলামের এই আকর্ষণ শক্তির ব্যাখ্যায় ঐতিহাসিকরা দিশাহারা। তাদের কাছে এর কোনো যথার্থ ব্যাখ্যা নেই। কারণ ইতিহাসের চিরন্তন রীতি হলো, পরাজিত শক্তি সব সময় বিজয়ীদের আচার-ব্যবহার, চালচলন, পোশাক, চলাফেরাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুকরণ করতে ভালোবাসে। কিন্তু ইসলামের ঐতিহাসিক কিছু ঘটনায় এর বিপরীত দৃশ্য দেখা গেছে। বিভিন্ন ঘটনায় বিজয়ীরা পরাজিতদের অনুকরণ করেছে। শুধু তা-ই নয়; বরং ধর্ম গ্রহণ করেও তারা জীবনের সব ক্ষেত্রে পরাজিতদের সব কিছু অনুসরণ করেছে। (আল-মুকাদ্দিমাহ, পৃষ্ঠা : ১৮৪) অনেক গবেষকের মতে, ইসলামের এ আকর্ষণ ও প্রভাব শুধু আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং বস্তুগত উন্নতি ও অগ্রগতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব লক্ষ্যণীয়। এ কারণে অভূতপূর্ব অগ্রগতির জন্য পশ্চিমাবিশ্ব ইসলামের কাছে ঋণী। সেই সময় যদি ইসলাম না থাকত বর্তমান বিশ্বে আধুনিক সভ্যতার কোনো প্রভাবই থাকত না। ফরাসি নৃবিজ্ঞানী রবার্ট ব্রিফল্ট (জড়নবৎঃ ইৎরভভধঁষঃ) বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আরবদের উপস্থিতি না থাকলে আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতা কখনো আলোর মুখ দেখত না। তারা না থাকলে উন্নতির সব স্তর উত্তীর্ণ হওয়ার সামর্থ্য রাখে এমন ‘আত্মস্পৃহা’ পাওয়া যেত না। তাই ইউরোপের অগ্রগতির সব ক্ষেত্রেই আপনি ইসলামি সংস্কৃতির গভীর প্রভাব লক্ষ্য করবেন। ’ (দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটি, পৃষ্ঠা : ১৯০) আলবার্ট এইচ হোরানি

এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘উপাসনার যেকোনো দৃশ্যমান কাজের একটি সামাজিক দিক থাকে। মুসলিমরা একসঙ্গে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে। রমজানে তাদের বার্ষিক রোজা শুধু ব্যক্তির দৈহিক অনুশীলনে ভূমিকা রাখে এমন নয়; বরং এর সামাজিক ভূমিকা অনেক বড়। তা ছাড়া সাদা কাপড়ে একই সময়ে মক্কা হজ পালনের দৃশ্যও একই প্রভাব ফেলে। ইসলামের রীতি শুধু আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে বলে না; বরং মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক করার নির্দেশ দেয়। তাই ইসলাম শুধু উপাসনার বিধি-নিষেধ পালনের নাম নয়; তা পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্য নিশ্চিতে সামাজিক সম্পর্ক তৈরির নির্দেশ দেয়। ’ (অ্যারাবিক থট বিয়ন্ড দ্য লিবারেল এইজ : টুওয়ার্ডস অ্যান ইন্টেলেকচুয়াল হিস্টরি অব নাহদা, পৃষ্ঠা : ১২-১৩)। মোটকথা ইসলাম একটি সার্বজনীন জীবনব্যবস্থার নাম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর প্রভাব লক্ষণীয়। এর সব বিধানে ইহকাল ও পরকালের সমন্বয় রয়েছে। তাই যুগে যুগে ইসলামের দৃশ্যমান নৈতিকতাবোধ ও শিষ্টাচারে মুগ্ধ হয়ে অসংখ্য মানুষ এর ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ইসলামের এসব দিক যথাযথভাবে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। যেন মানুষ বিশুদ্ধভাবে তা যথাযথভাবে গ্রহণ করে। কারণ শক্তি থাকলেই নিজের ইচ্ছামতো তা প্রয়োগ করা যায় না; বরং এর জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা, আকর্ষণীয় নকশা ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব জরুরি। পেশিশক্তির চেয়ে কোমল শক্তির জন্য সুদক্ষ ব্যাখ্যাকার ও সুপ্রস্তুত অন্তরের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি। অর্থাৎ কোরআন ও সুন্নাহর সঠিক ব্যাখা এবং তা যথাযথভাবে গ্রহণ করা যেমন জরুরি, তেমনি নানা উপায় ও পন্থা অবলম্বন করে অন্যের মধ্যেও এর আকর্ষণ তৈরি করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আলেম-প্রাজ্ঞ ইসলামি ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা রাখতে হবে।


সূত্র : এফএনএস


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫