Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক : সকালে জাতীয় দলের বড় পরাজয়ে শুরু হলেও দিন শেষে দুর্দান্ত জয়ে দিনটি রাঙিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে জুনিয়র টাইগ্রেসরা।

বৃষ্টির কারণে ১৩ ওভারের নেমে আসা ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানরা নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ৫৪ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৬ রান করেন অমৃতা রামতাহাল। এছাড়া নাইজান্নি কুমারব্যাচ ১৩ এবং আসাবি ক্যালেন্ডার ১১ রান করেন। বাকিরা দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে ব্যর্থ হন।

৫৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে বাংলাদেশের ওপেনারদের কোনো সমস্যা হয়নি। ফাহমিদা ছোঁয়া ও জুয়াইরিয়া ফেরদৌসের ব্যাটে ভর করে ৮.৫ ওভারেই জয় তুলে নেয় টাইগ্রেসরা। ফাহমিদা ২৫ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন, আর জুয়াইরিয়া ২৮ বলে অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।

এর আগে, বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ঝলক দেখান নিশিতা আক্তার নিশি। তিনি তিনটি উইকেট নিয়েছেন। আনিসা আক্তার সোবা শিকার করেন দুটি উইকেট। যদিও আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সুমাইয়া আক্তারের দলের। তবে শেষ ম্যাচের এই বড় জয় কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে দলকে।


আরও খবর



কৌতুক করে মিথ্যা বলা প্রসঙ্গে ইসলাম কী বলে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: মিথ্যা বলা মহাপাপ। মিথ্যুক ব্যক্তি ইহকাল ও পরকালে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে। এর বিপরীতে সত্যবাদিতা হলো মানুষের নৈতিক গুণাবলির অন্যতম। এটি দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা ও মুক্তির অন্যতম প্রধান কারণ।

এ জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদের সত্যবাদিতার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গ অবলম্বন করো।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১৯)

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সত্য নেকির দিকে পরিচালিত করে আর নেকি জান্নাতে পৌঁছায়। মানুষ সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে অবশেষে ‘সিদ্দিক’-এর দরজা লাভ করে।

আর মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায়। পাপ তাকে জাহান্নামে পৌঁছায়। মিথ্যা বলতে বলতে মানুষ অবশেষে আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হয়ে যায়।” (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০৯৪)

এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি এর পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত লাভের ব্যাপারেও অবহিত করেছেন।
এরপর তিনি মিথ্যার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করে বলেন, মিথ্যার পরিণতি হলো জাহান্নাম। সুতরাং এই হাদিস আমাদের সত্যবাদিতার প্রতি উৎসাহিত এবং মিথ্যা থেকে সতর্ক করে।

কৌতুকস্বরূপ মিথ্যা : হাসিঠাট্টা অথবা কৌতুক করেও মিথ্যা বলা যাবে না। মুয়াবিয়া ইবনে হায়দা কুশাইরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সে ব্যক্তির ধ্বংস অনিবার্য, যে কথা বলে এবং লোক হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে। তার জন্য ধ্বংস।

তার জন্য ধ্বংস।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৩১৫)
অন্য হাদিসে আবু উমামা বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হাসিঠাট্টার ছলেও মিথ্যা বলে না, আমি তার জন্য জান্নাতের মধ্যস্থলে একটি ঘরের জিম্মাদার।’ (মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৮৭৮)

বাচ্চাদের সঙ্গে মিথ্যা : অনেকেই বাচ্চাদের মিথ্যা প্রলোভন দেখায়। এর দ্বারা বাচ্চারা মিথ্যাচারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তাই এটা নিষিদ্ধ। এ ছাড়া এটা গুনাহের কাজও। আবদুল্লাহ ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একবার আমার মা আমাকে ডাকেন, যখন রাসুল (সা.) আমার ঘরে অবস্থান করছিলেন। আমার মা আমাকে বলেন, তুমি এখানে এসো, আমি তোমাকে দেবো। রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কী দিতে চাও? তিনি বললেন, আমি তাকে খেজুর দেবো। একথা শুনে রাসুল (সা.) বলেন, তুমি যদি তাকে কিছু না দিতে, তবে তোমার জন্য একটা গুনাহ লেখা হতো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৬)

মিথ্যা প্রশংসা : কারো সামনে তার মিথ্যা প্রশংসা করা নিষিদ্ধ। কারো জন্য অনুপযুক্ত উপাধি ব্যবহার করাও দূষণীয়। এভাবে যখন কোনো পাপাচারী নিকৃষ্ট ব্যক্তির প্রশংসা করা হয়, তখন আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো পাপাচারী ব্যক্তির প্রশংসা করা হয়, তখন আল্লাহ তাআলা রাগান্বিত হন এবং তাঁর আরশ কেঁপে ওঠে।’ (শুআবুল ইমান, হাদিস : ৪৮৮৬)

মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা : বানিয়ে বানিয়ে স্বপ্নের মিথ্যা বর্ণনা দেওয়াও অপরাধ। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন স্বপ্ন দেখার ভান করল, যা সে দেখেনি, তাকে (পরকালে) দুটি যবের দানায় গিঁট লাগানোর জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে তা কখনোই পারবে না (ফলে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে)।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫৬৫)

অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, যা সে দেখেনি, তা দেখার দাবি করা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩২৫৯)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সব ধরনের মিথ্যাচার থেকে হেফাজত করুন।

 


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




প্রযুক্তি বিশ্বের মাথা ব্যথার নতুন কারণ ডিপসিক এআই

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশ্বে আলোচনায় এসেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ‘ডিপসিক’। কয়েকদিনেই নতুন এই এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রযুক্তিপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট গুলো কাছে যা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালে চীনের হ্যাংঝো শহর থেকে যাত্রা শুরু করা ‘ডিপসিক’-এর কারণে ধস নেমেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে। যার প্রধান কারণ ব্যাপক জনপ্রিয়তা। প্রথম দিকে ছোট পরিসরে কাজ শুরু করলেও ২০২৪ সালে এর নতুন মডেল ‘আর-ওয়ান’ উন্মুত্ত করা হয়। কম সময়েই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে এই এআই অ্যাপ। ডিপসিকের সাফল্যের পেছনে রয়েছে যেসব কারণ রয়েছে-

ফ্রি পরিষেবা: যেখানে চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করতে নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়, সেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডিপসিকের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। সহজ ব্যবহার: সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এর ইন্টারফেস অনেক সহজ।

উন্নত পারফরম্যান্স: ইউজারদের মতে, এই এআই মানুষের চিন্তাভাবনার সঙ্গে আরও বেশি মিল রেখে উত্তর দিতে পারে।দ্রুতগতির প্রযুক্তি: প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলোর তুলনায় এটি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।

এদিকে ডিপসিকের জনপ্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, চীনা সংস্থার তৈরি ডিপসিক আমাদের প্রযুক্তি বাজারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের টেক জায়ান্টদের এখন ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।


আরও খবর



দিনাজপুরে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম, অধিক ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার ভুট্টার চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। শীতের প্রকোপ কম থাকা, সঠিক সময়ে বৃষ্টি এবং রৌদ্রের প্রখরতা না থাকায় ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।

দিনাজপুর আঞ্চলিক কৃষি অধিদপ্তরের ভুট্টা চাষ নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল হুদা আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর রবি মৌসুমে জেলার ১৩ টি উপজেলায় ৭৫ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৯৯ মেট্রিক টন ভুট্টা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৯ লক্ষ ৮ হাজার ২৬৬ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা নির্ধারণ করা হয়।

কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায়, এবারে জেলায় অনুকূল আবহাওয়া ও সুস্থ পরিবেশ চলমান থাকায় জেলা ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবারে রবি মৌসুমে মোট ৭৯ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ অর্জিত হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ফলল উৎপাদন হবে ৪৩ হাজার ৭৬৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ভুট্টা।

কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায়, গত বছর জেলায় ৭৫ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারে ৩ হাজার ৬৮৬ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, গত বছর জেলায় বাজারে প্রতি মণ কাঁচা ভুট্টা ৯'শত থেকে এক হাজার টাকা দরে কৃষকেরা বিক্রি করেছে। শুকনা ভুট্টা প্রতি মণ এক হাজার ২'শত থেকে এক হাজার ৪'শত টাকা পর্যন্ত কৃষকেরা বিক্রি করেছে। গত বছর ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় জেলায় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া বলেছেন, তিনি গত কয়েক দিন জেলার ১৩টি উপজেলার এবারে সরেজমিনে ভুট্টা চাষের বিষয় ঘুরে দেখেছেন। জেলার উঁচু জমিসহ নদীর ধারে চরগুলোতে ব্যাপক হারে কৃষকেরা ভুট্টা চাষ করেছে। জেলার নদীগুলোর দু'পাশে চরের  জমিতে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ভুট্টার ক্ষেতের মনোরম দৃশ্য ফুটে উঠেছে।

তিনি বলেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের পরামর্শে ভালো ফসল পেতে কৃষকরা ভুট্টা ক্ষেতের গাছের আগা ও পাতা ছেঁটে ফেলেছেন। যেন ভুট্টা গাছের ফলের গায়ে রোদের তাপ ভালো করে লাগতে পারে। এছাড়া ভুট্টা গাছের সব ধরনের পরিচর্যায় কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব মিলিয়ে এবার জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন অর্জিত হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগের সূত্রটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে দূরবর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলার আদর্শ কৃষক শামসুর রহমান জিন্না (৬৭) বলেন, ভুট্টা চাষে লাভ বেশি টেনশন কম থাকে। ধান চাষ করলে ধান ক্ষেতে যত ধরনের বালাই আক্রমণ মোকাবেলা করতে হয় এবং ধান কাটা শ্রমিকের সংকটের পাশাপাশি মজুরি বেশি। তাই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে অনেক বেশি লাভ হচ্ছে। তিনি বলেন ভুট্টা পরিপক্ক হওয়ার পর জমি থেকে ভুট্টার মশা নিষ্কাশন করে আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে সহজে মাড়াই করা যায়। তাই প্রতি বছর ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

দিনাজপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভুট্টার আবাদ। গত ৫ বছরে জেলা শহরে গড়ে উঠা ৫টি ফিড মিল স্থাপন করা হয়েছে। ওই সব মিলগুলোতে চাহিদা বেড়েছে ভুট্টার। ফলে ভুট্টার চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা আবাদে ঝুঁকেছেন ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সাধারণত নদীর ধারে পলিমিশ্রিত ঢালু জমি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। দীর্ঘদিন যে জমিগুলো অনাবাদি থাকত, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সেসব জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। তাছাড়া ভুট্টার আবাদ বাড়াতে সরকারি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকদের কৃষি প্রণোদন দেওয়া হচ্ছে।

চলতি রবি মৌসুমে এ জেলায় সাড়ে ১২ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ভুট্টার বীজ ও ২০ কেজি ডিএফপি ১০ কেজি এমওপি রাসায়নিক সারসহ প্রতিজন কৃষককে ৩০ কেজি করে সার সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি প্রণোদনায় এসব কৃষক ৫০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করতে পারছেন। ফলে কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  

সূত্র : বাসস


আরও খবর



ফুলছড়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

পৌষের কনকনে শীতে জবুথবু উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ।  এই জেলায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি। তাই পৌষ মাসের শুরু থেকে এই জেলায় কনকনে শীত ও ঠান্ডা বাতাস বইছে। এতে বেশি কাবু হয়েছে শিশু ও বয়স্করা। তীব্র এই শীতকে উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ  এর দিক নির্দেশনায় শীতের রাতে ফুলছড়ি  গাইবান্ধা । ফুলছড়ি  হাফেজিয়া  মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতের উষ্ণ কাপড় (কম্বল) বিতরণ করেন  জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  জগৎ বন্ধু মন্ডল। রাত্রী সাড়ে আটটার দিকে ফুলছড়ি এতিমখানা ও মাদ্রাসায়   অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের  শীত বস্ত্র কম্বল   বিতরণ করেন এবং শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। রাতে কম্বল বিতরণকালে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ইসতে খাইরুল ইসলাম সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।মোঃ জিল্লুর রহমান


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এখনও স্বস্তিতে ফিরেনি চালের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪২জন দেখেছেন

Image

অর্থনীতি ডেস্ক : এখনও স্বস্তিতে ফিরেনি চালের বাজার। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং আলুর দাম। এছাড়াও পেঁয়াজের পাইকারি দাম কিছুটা বাড়লেও এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েনি। সবজির দামে স্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো বাজারে সরবরাহ কম বোতলজাত সয়াবিন তেলের।

সম্প্রতি রাজধানীর কাওরান বাজার, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও তালতলা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও হাতিরপুল বাজার বিশ্লেষণে এমন তথ্য দিচ্ছে।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, গত দুই সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমতির দিকে। এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০-২১০ টাকা। এরপর সাত-আট দিন আগে কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছিল দাম। আর গতকাল তা আরও ১০ টাকা কমে ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ব্রয়লার, অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে দাম কমেছে ২০ টাকা।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সোনালির দাম ছিল ৩০০-৩৩০ টাকা। গতকাল এই প্রজাতির মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩১০ টাকা দরে। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা করে কমেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বাজারভেদে এক ডজন ডিমের দাম রাখা হয় ১২৫-১৩০ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে অবশ্য আরও ৫-১০ টাকা বেশি দাম রাখা হয়।

বাজারে এখন মূলত নতুন দেশি পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে। হাতে গোনা কিছু দোকানে আমদানি করা পেঁয়াজ পাওয়া যায়। আর সরবরাহ বেশি থাকায় পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম। খুচরা পর্যায়ে গতকাল এক কেজি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহেও একই ছিল। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত দুই দিনে পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম দুই-তিন টাকা করে বেড়েছে। যদিও এর প্রভাব এখনো খুচরায় দেখা যায়নি।

অন্যান্য মসলা পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি রসুন ২৩০-২৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি আদা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লবঙ্গ, দারচিনি, গোল মরিচের দাম অল্প বাড়লেও, এলাচের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

তবে বাজারে আলুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম। বাজারভেদে এক কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৩০ টাকা। অর্থাৎ, কেজিতে পাঁচ টাকা দাম কমেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে। গত বছরের তুলনায়ও আলুর দাম এখন কম।

মাসখানেক আগে বাজারে চালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। পরে সরকার চালের শুল্ক কমায় ও আমদানি করার অনুমতি দেয়। তবে এসব উদ্যোগেও চালের দাম কমেনি।

এ বিষয়ে বিক্রেতাদের ভাষ্য, ধানের দাম বাড়ার কারণে চালকলমালিকেরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। গতকাল ঢাকার তিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চাল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা ও মাঝারি ধরনের ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০-৬৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সবজির বাজার এখন ভোক্তাদের স্বস্তির জায়গা। শীত মৌসুম থাকায় বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো; দামও কম। অবশ্য তিন-চার সপ্তাহ ধরেই বাজারে কম দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজির মধ্যে বর্তমানে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শালগম, মুলা প্রভৃতি পণ্যের চাহিদা বেশি।

বাজারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ও ব্রকলি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি মুলা ২০ টাকা; মিষ্টিকুমড়া, শালগম ও পেঁয়াজ কলি ৩০-৩৫ টাকা; শিম ২০-৪০ টাকা; শসা, বেগুন, টমেটো ও লাউ ৩০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য বাজারে মাছ-মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। গতকাল প্রতি কেজি কই (চাষের) ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০ টাকা, রুই ৩৫০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া এক কেজি আকারের ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ২৭০০-২৮০০ টাকা।

রুই, তেলাপিয়া, পাঙাসসহ অন্যান্য মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ইলিশের দাম বেশ চড়া।

এদিকে রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না বললেই চলে। আর কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও সেগুলোতে গায়ে লেখা দামের চেয়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা।

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকটে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতা ধরতে অনেক বিক্রেতা এখন খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করেছেন। অনেকে আবার তেল রাখছেন শুধু নিয়মিত ক্রেতাদের জন্য।

একজন ডিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগামী রমজানের আগে তেলের দাম আরেক দফা বাড়াতে চায় কোম্পানিগুলো। ফলে তারা যেমন বাজারে সরবরাহ কমিয়েছে, আবার যেটুকু তেল বাজারে আসছে সেটাও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মজুত করছেন। আসন্ন রমজানে তেলের দাম বাড়বে, এটি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’।

গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলে ৮ টাকা বাড়িয়েছিল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। এছাড়া নতুন সরকার তেল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে। এতে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ককর ১০ থেকে ১১ টাকা কমেছে। এরপরও আমদানি বাড়েনি; বরং বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট তৈরি করেছে কোম্পানিগুলো।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সয়াবিনের এক, দুই ও পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে। পরিবেশকদের কাছে বারবার তাগাদা দিয়েও তেল পাচ্ছেন না তারা। কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ এসব বিক্রেতার।


আরও খবর