সদরুল আইন:
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ।
তার নাম মনে হলেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে হাসিখুশি সাবলীল এক গুণী অভিনেতার মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবেও পরিচিত।
মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময়ই রংপুর বেতারে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করতেন, অংশ নিতেন রেডিওর নাটকে। চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনার বরাতে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান। এখন অবসর। এই অবসরে অভিনয় আর পুরোপুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. এজাজুল হক এজাজ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমি হয়তো সবক্ষেত্রে সবার সহায়তা করতে পারি না। কারণ আমি তো সব ধরনের বিশেষজ্ঞ নই। তারপরেও যারা আমার কাছে আসেন, আমি তাদের সেই মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করি।
এরপর তার যেন খরচ কম হয়, ওই হাসপাতালে বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আমি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ফি নিই না। কারণ তাদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের সেবা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের।
একটা হাসপাতাল তৈরি করার স্বপ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গরিব রোগীদের বিনে পয়সায় চিকিৎসা হবে। ধরেন, কথার কথা আমি যদি কোনোভাবে ৫০ কোটি টাকা পেয়ে যাই-তাহলে আমি কিন্তু কানাডা বা দুবাইয়ে বাড়ি কিনব না। এমন অভিলাষ আমার নেই।
আমি সেই টাকা দিয়ে একটা হাসপাতাল করব। কিছুদিন আগে এক অর্থবান ভদ্রলোক এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন একটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে।
আমি বললাম আমার একটা শর্ত আছে, ওই হাসপাতালে একটা কর্নার করতে হবে যেখানে গরিব রোগীরা বিনে পয়সায়, বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। ওই ভদ্রলোক আর যোগাযোগ করেননি।
গাজীপুর চৌরাস্তায় রয়েছে এজাজ সেন্টার।সেখানে নিয়মিত রুগি দেখেন তিনি।নামমাত্র ফি নেন এই বরেন্য চিকিৎসক।তার ব্যবস্থাপত্রেও থাকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা ঔষধের নাম।অমায়িক আচরনের এই মানুষটি তার শিল্পী সত্ত্বা দিয়েই শুধু নয় চিকিৎসক হিসেবেও নাম কুড়িয়েছেন গাজীপুরসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত জনপদে।