Logo
আজঃ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম

মোবাইল রিচার্জে ১০০ টাকার মধ্যে ৫৬ টাকাই ভ্যাট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের খরচ বাড়ছে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে। এবার এই সেবার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছিল। সেটি এখন আরও বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।


সে অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোবাইলে ১০০ টাকার রিচার্জ করলে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ দিতে হয় ২৮ দশমিক ১ টাকা, রেভেনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স দিতে হয় ৬ দশমিক ১ টাকা, পরোক্ষ কর দিতে হয় ২০ দশমিক ৪ টাকা।

অর্থাৎ, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর দিতেন ৫৪ দশমিক ৬ টাকা।


অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূরক শুল্ক আরও ৩ শতাংশ বাড়ালে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা। যার মধ্যে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ কাটবে ২৯ দশমিক ৮ টাকা। রেভিনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স কাটবে ৬ দশমিক ১ টাকা, পরোক্ষ কর কাটবে ২০ দশমিক ৪ টাকা।

অর্থাৎ, সামনে থেকে গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা।

ফলে এখন গ্রাহক ১০০ টাকায় ব্যবহার করতে পারবেন মূলত মাত্র ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা।

এদিকে, মোবাইলে ফোন সেবায় দফায় দফায় খরচ বাড়ায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমছে। তাছাড়া অনেকে ডাটা ব্যবহারের খরচে কাটছাঁট করছেন। এতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বদলে উল্টোপথে হাঁটছে দেশের মানুষ।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী—গত নভেম্বর মাসে মুঠোফোনের গ্রাহক ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ, যা গত জুনের চেয়ে ৭৩ লাখ কম। অন্যদিকে জুনের চেয়ে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৭ লাখ কমে ১৩ কোটি ২৮ লাখে নেমেছে।

ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ডাটায় নতুন করে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এনবিআরের ওপর ফ্যাসিবাদ সরকারের আত্মা ভর করেছে। সেজন্যই নতুন করে গ্রাহকদের ওপর অনৈতিকভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। আমরা মনে করি এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত একমাত্র তারাই নিতে পারে যাদের ওপর বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের ছায়া রয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবায় আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তলানিতে আছি কিন্তু ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে। যেখানে দেশের এখনো ৪৮ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট সেবার বাইরে আছে সেখানে নতুন করে এই উচ্চ কর নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে। এমন সিদ্ধান্ত নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।

জনগণের পকেট কাটার জন্য এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছিল জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র ও সেবামূলক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সরকার এবং এনবিআর সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ যোগানোর জন্য জনগণের পকেট কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা হঠকারী, অযৌক্তিক এবং ফ্যাসিবাদী আচরণের অংশ। এমন সিদ্ধান্ত থেকে তাদের সরে আসতে হবে।

: ফের খরচ বাড়ছে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে। এবার এই সেবার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছিল। সেটি এখন আরও বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।


সে অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোবাইলে ১০০ টাকার রিচার্জ করলে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ দিতে হয় ২৮ দশমিক ১ টাকা, রেভেনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স দিতে হয় ৬ দশমিক ১ টাকা, পরোক্ষ কর দিতে হয় ২০ দশমিক ৪ টাকা।

অর্থাৎ, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর দিতেন ৫৪ দশমিক ৬ টাকা।


অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূরক শুল্ক আরও ৩ শতাংশ বাড়ালে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা। যার মধ্যে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ কাটবে ২৯ দশমিক ৮ টাকা। রেভিনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স কাটবে ৬ দশমিক ১ টাকা, পরোক্ষ কর কাটবে ২০ দশমিক ৪ টাকা।

অর্থাৎ, সামনে থেকে গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা।

ফলে এখন গ্রাহক ১০০ টাকায় ব্যবহার করতে পারবেন মূলত মাত্র ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা।

এদিকে, মোবাইলে ফোন সেবায় দফায় দফায় খরচ বাড়ায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমছে। তাছাড়া অনেকে ডাটা ব্যবহারের খরচে কাটছাঁট করছেন। এতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বদলে উল্টোপথে হাঁটছে দেশের মানুষ।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী—গত নভেম্বর মাসে মুঠোফোনের গ্রাহক ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ, যা গত জুনের চেয়ে ৭৩ লাখ কম। অন্যদিকে জুনের চেয়ে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৭ লাখ কমে ১৩ কোটি ২৮ লাখে নেমেছে।

ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ডাটায় নতুন করে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এনবিআরের ওপর ফ্যাসিবাদ সরকারের আত্মা ভর করেছে। সেজন্যই নতুন করে গ্রাহকদের ওপর অনৈতিকভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। আমরা মনে করি এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত একমাত্র তারাই নিতে পারে যাদের ওপর বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের ছায়া রয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবায় আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তলানিতে আছি কিন্তু ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে। যেখানে দেশের এখনো ৪৮ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট সেবার বাইরে আছে সেখানে নতুন করে এই উচ্চ কর নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে। এমন সিদ্ধান্ত নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।

জনগণের পকেট কাটার জন্য এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছিল জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র ও সেবামূলক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সরকার এবং এনবিআর সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ যোগানোর জন্য জনগণের পকেট কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা হঠকারী, অযৌক্তিক এবং ফ্যাসিবাদী আচরণের অংশ। এমন সিদ্ধান্ত থেকে তাদের সরে আসতে হবে।


আরও খবর



শাল্লায় কালনীর ভাঙনে দিশেহারা নদী তীরের মানুষ।

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ২৪জন দেখেছেন

Image

স্ট্যাফ রিপোর্টার:

​সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪ নং শাল্লা ইউনিয়নের গ্রাম শাল্লায় বয়ে যাওয়া কালনী নদীর ভয়াবহ ভাঙনে এক চরম মানবিক বিপর্যয় ও অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।


গত কয়েক মাসের তীব্র ভাঙনে নদীর তীরবর্তী ঐতিহ্যবাহী এই গ্রামটি এখন চরম ঝুঁকিতে।


ইতোমধ্যে অন্তত অনেক গুলো পরিবার তাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে এবং গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার মুখে।


৫ অক্টোবর বুধবার স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সরজমিন পরিদর্শন গেলে দেখা যায় ভাঙনের তীব্রতায় গ্রামের নৌকা ঘাট সম্পূর্ণরূপে ভেঙে গেছে এবং বহু মানুষের ভিটা জমি, এমনকি শাল্লা মাদ্রাসা পুকুর পর্যন্ত নদীর স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে।

 

​গ্রামবাসীদের আশঙ্কা যে গতিতে নদী ভাঙছে, তাতে আর কিছুদিন এভাবে চললে গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মাদ্রাসা এবং এলাকার বহু মানুষের জীবন-জীবিকার কেন্দ্র শাল্লা বাজারটিও নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।


​শাল্লা গ্রামের একজন উদ্বিগ্ন বাসিন্দা বলেন, "নদী আমাদের সব নিয়ে গেল! মাদ্রাসা পুকুরও ভেঙে গেছে। যেভাবে ভাঙছে, তাতে আমাদের বাজার আর মাদ্রাসাটাও রক্ষা করা কঠিন হবে। আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না, কখন আমাদের ঘরটাও ভেঙে যায় সেই ভয়ে আছি।"


​ক্ষতিগ্রস্তরা আরও বলেন দীর্ঘদিনের এই ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পরিস্থিতি আজ এমন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।​


শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা তাফছির আলম চৌধুরী জানান, ভাঙন এখন গ্রাম শাল্লা বাজারের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এর আগেও কালনী নদীর ভাঙনে শাল্লার বিভিন্ন গ্রামের সরকারি স্কুল, রাস্তাঘাট, এমনকি অন্যান্য বাজারও বিলীন হয়েছে।​

 

বাজার মসজিদের ইমাম আশরাফুল ইসলাম জানান"মেইন নদীর পাড় বর্তমান ভাঙনের প্রায় ২৫০ ফুট ভেতরে ছিল। এই ২৫০ ফুটের ভিতরে অনেক পরিবার ছিল। নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন মাদ্রাসা পুকুরে চলে আসছে।" তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে ভাঙন রোধ করা না গেলে শাল্লা গ্রামের জনবসতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।


এ ছারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি (সুনামগঞ্জ ২) এমদাদুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন পূর্বে আমরা ভাঙন এলাকায় বস্তুায় মাটি ভর্তি করে ভাঙন রোধে পেলেছিলাম শিগ্রী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিগত বর্ষার মাঝা মাঝির সময়ে এরকম একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে ইমারজেন্সি সাপোর্টের একটি ব্যবস্থা করেছি, আবার ভাঙন শুরু হয়েছে এই ভাঙন শুরু হওয়া আমাদের নলেজে এসেছে আমরা যতা যত কতৃপক্ষের নিকট লিখত ভাবে জানিয়েছি।

 

​শাল্লা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও ওবায়দুল হক দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি নদী ভাঙনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। নদী পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।"

 

 

চিন্ময় দাশ :

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি


আরও খবর



জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ২৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনে পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

উপদেষ্টা আজ দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান।

সভায় মাদক প্রতিরোধ, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সীমান্ত পরিস্থিতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণসহ দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব কর্মকর্তা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবেন বা কাউকে অবৈধ সুবিধা দিবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নির্বাচনে পুলিশ কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ‘ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে কারো কোনোরকম অবহেলা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, আগে এক্ষেত্রে জিডি করে রাখা হতো। এবার কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। 

তিনি এ সময় জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এ বক্তব্যগুলোর বেশিরভাগ সময় সত্যতা থাকে না। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রতিবেদন সাধারণত সত্য হয়ে থাকে। তিনি এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সঠিক ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির অনুরোধ জানান।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



বাগেরহাটের শরনখোলার ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ( সাবেক) কমান্ডার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ১১০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাটের পতিনিধিঃ

বাগেরহাটের শরনখোলার  ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ( সাবেক) কমান্ডার 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বেপারী।

তিনি ১১ অক্টোবর দুপুরে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে গভীর  শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন:

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল 

বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক 

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু


আরও খবর



ছাতকের 'তারা বিলের' মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

ছাতকের 'তারা বিলে'র মুক্ত জলাশয়ে মৎস্যজীবী মালিক পক্ষের অর্থায়নে পোনা মাছ অবমুক্ত করেছেন ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম খান। শনিবার  দুপুরে  অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জন কুমার ঘোষ।


অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম খান এসময়  বলেন, 

“কারেন্ট জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ যদি কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরতে চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


মাছের বংশবৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম খানের বক্তব্যে স্হানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।



আরও খবর



শরণখোলায় মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু: বাগেরহাটের শরণখোলায় মাদক কারবারি ও মাদক সেবিকে গ্রেফতার করেছে শরণখোলা থানা। শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের পরিত্যাক্ত ভবনে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাসহ মাদক সেবন করছে এই অভিযোগ ছিলো । শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রিয় গোপাল বিশ্বাসের চেষ্টায় শরণখোলা থানা পুলিশের সহায়তায় মাদক কারবারি ও মাদক সেবি মোঃ শফিকুল ইসলামকে (৩২) গ্রেফতার করে। শরণখোলা উপজেলার ৪ নং সাউথখালি ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের আবু ছাদেক হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত। শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্লাহ জানান মাদক কারবারি ও মাদক সেবীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। শরণখোলা থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা মাদক কারবারি ও মাদকসেবী মোঃ শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। মাদক কারবারি ও মাদকসেবী মোঃ শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ২২ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়। মাদক কারবারি ও মাদক সেবী মোঃ শফিকুল ইসলামের নামে  আরো ২টি মাদক দ্রব্য ও চুরির মামলা আছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর