Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

মোবাইল ফোনের নেশা কাটাতে যা করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৭জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: মোবাইল ফোন ধরে বসে থাকাটা আজকাল আর অভ্যাস নয়, রীতিমতো ‘খারাপ অভ্যাসে’ পরিণত হয়েছে। কিন্তু উপায়ান্তরই বা কোথায়— অচেনা এলাকা চিনতে হোক কিংবা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা, অফিসের প্রজেক্ট সময়ের মধ্যে পাঠানো হোক কিংবা সিনেমা দেখা— সবই তো করতে হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এমনকি অ্যালার্ম দেওয়ার প্রয়োজন হলেও হাত বাড়িয়ে দিই মোবাইল ফোনের দিকে। তা হলে ফোন থেকে নজর এড়িয়ে চলবেন কী করে? এ বিষয়ে ব্রুকলিনের ‘বেস্টসেলিং’ লেখিকা লিজ মুডির গবেষণায় যা উঠে এসেছে। আমাদের সামাজিকতাকে বিসর্জন দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে সরে আসার কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে— মোবাইল ফোনে আসক্তি বা ডিজিটাল আসক্তি থেকে শরীর ও মেধার ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় চিকিৎসকরাও মোবাইল আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অথচ ডিজিটাল সমাজের রাশ হাতে রেখেও কীভাবে আসক্তির মুশকিল আসান হবে, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ব্রুকলিনের ‘বেস্টসেলিং’ লেখিকা লিজ মুডি অবশ্য বলেছেন, সমাধান মিলেছে। একটি গবেষণাতেই উঠে এসেছে সেই ‘কার্যকরী’ উপায়। যার সাহায্যে মাত্র ৬ মিনিটেই মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত লেখিকা লিজ। আবার তার নিজস্ব পডকাস্টের চ্যানেলও রয়েছে। সেই চ্যানেলেই তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন। লিজ বলেছেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে— মাত্র ৬ মিনিট বই পড়লেই আমাদের মানসিক চাপ ৬৮ শতাংশ কমে যায়। শুধু তা-ই নয়, পড়ার অভ্যাস মনকে হালকা করার পাশাপাশি মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তিনি বলেন, স্মার্টফোন আসার আগে বই পড়ার অভ্য়াস ছিল। কিন্তু ইদানীং সেই অভ্যাস অধিকাংশই মানুষ ভুলতে বসেছেন। গবেষণার কথা মেনে দিনের একটা সময় মোবাইল ফোন থেকে ৬ মিনিটের জন্য চোখ সরালে চাপমুক্তির পাশাপাশি আরও একটা ভালো কাজ হবে। মন একমুখী বা বলা ভালো— ফোনমুখী না হয়ে অন্য পথে চালিত হবে। আর কে বলতে পারে, মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পড়ার অভ্যাস হয়তো আমাদের মোবাইল আসক্তিকেও দূর করবে। লিজ যে গবেষণার কথা বলছেন, সেই গবেষণা করা হয়েছিল সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাইন্ডল্যাব ইন্টারন্যাশনালের গবেষকরা কগনিটিভ নিউরোসাইকোলজিস্ট চিকিৎসক ডেভিড লুইয়ের নেতৃত্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। পরে সেই গবেষণা বিজ্ঞানবিষয়ক পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি বহু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি প্রসঙ্গে ডেভিড অবশ্য বলেছিলেন—বই পড়লে যে আমাদের মন অন্য পথে চালিত হয়, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো— সাদা পাতায় ছাপার অক্ষরগুলো আমাদের কল্পনাশক্তির সঙ্গে জুড়ে আমাদের মধ্যে থাকা সৃষ্টিশীলতাকেও জাগিয়ে তুলতে পারে।


আরও খবর



রংপুরকে ঠেলে তিনে পাঠালো চিটাগং

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক: প্লে-অফের আগে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ; যেখানে টেবিল টপার ফরচুন বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের বাজিমাত। হ্যাটট্রিক জয়ের ফলে কোয়ালিফায়ার খেলার টিকিট পেল চিটাগং, রংপুর নেমে গেল দুই থেকে তিনে। সমান জয়ে পয়েন্ট সমান হলেও নেট রানরেট ভালো থাকায় রংপুরকে টপকে দুইয়ে উঠে কিংসরা। টেবিল টপার ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে চিটাগং কিংসের নিশ্চিত করল শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা। টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচেও চিটাগং কিংসের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। আর এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্স খেলবে খুলনা টাইগার্সের বিরুদ্ধে। চিটাগং কিংসের ব্যাটিং ইনিংসে ঝড় তোলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ৪১ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন, ৮ ছক্কার বিপরীতে ইমন এদিন চার হাঁকান কেবল ১টি। শেষদিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি, হায়দার আলির ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পায় বন্দরনগরীর দলটি। ২০৭ রানের বিশাল টার্গেট টপকাতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের বেশি করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল।

২৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠল মোহাম্মদ মিঠুনের দল। কিংসের পেসার বিনুরা ফার্নান্দো প্রথম ওভার মেডেন দিয়ে তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবালের উইকেট। তামিম ডাক হয়ে ফিরলেও আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয় ১১ বলে করেন ৯ রান। ধীরগতির ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ২২ বল খেলে পান ২৪ রান। তবে তিনে নামা ডেভিড মালান অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। প্রথমে মুশফিক, এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গী হিসেবে পান ডেভিড মালান। তবে আলিস আল ইসলাম পরপর দুই ওভারে মুশফিক ও মালানকে ফিরিয়ে চিটাগংকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্রেকথ্রু। ৩৪ বল খেলা মালান প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৬ ছক্কা ও পাঁচ চারে রান করেন ৬৭। এরপর আরাফাত সানি স্পিন ঘূর্ণিতে ডাক বানান মোহাম্মদ নবীকে। রিশাদ হোসেন উইকেট হারান ব্যক্তিগত ১১ রানে।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের পুঁজি চিটাগং কিংসের। দুই ওপেনার খাজা নাফে ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়েও রানের চাকা সচল রাখেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্লার্ক-ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৭০ রান। ৪১ বলে ৭৫ রান করা ইমন ফেরেন এবাদতের বলে জেমস ফুলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্ক। ২১ বলে ২৬ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রান করেই তাইজুলের বলে হারান উইকেট। এরপর হায়দার আলি ও শামীম হোসেন পাটওয়ারি ইনিংস শেষ করেন তাণ্ডব চালিয়ে। ১২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। আরেক প্রান্তে ২৩ বলে ৪২ রান আসে হায়দারের ব্যাট থেকে।


আরও খবর



সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত আসে।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত হয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি, তারা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের অভিযোগ অনুযায়ী তিনি দুর্ব্যবহার করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড়ে অবরোধ গড়ে তোলেন এবং পরবর্তীতে মিছিল নিয়ে প্রোভিসির বাসভবনের দিকে রওনা হন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং পুলিশের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে তিনি ঘোষণা দেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত হয়ে সাত কলেজ ‘সম্মানজনক পৃথকীকরণ’-এর আওতায় আসবে এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই কলেজগুলো আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোয় পরিচালিত হবে।

পরবর্তীতে মঙ্গলবারের বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হয় এবং স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টারা তাদের আশ্বস্ত করেন যে,

১. সাত কলেজের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

২. উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজ সংশ্লিষ্ট কোনো কার্যক্রমে আর সম্পৃক্ত থাকবেন না।

৩. ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবের ওপর হামলার বিষয়ে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রবেশে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

বৈঠকের পর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মঈনুল ইসলাম জানান, “আমাদের ছয় দফার একটি দাবি পূরণ করা হয়েছে এবং বাকিগুলো মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এসব দাবির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।”

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌ বলেন, “আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছি, এটি আমাদের আন্দোলনের বড় অর্জন। তবে সেশনজট নিরসনে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”

অবশেষে, সব পক্ষের আশ্বাস ও সমঝোতার ভিত্তিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ঘোষিত কর্মসূচি—নিউ মার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তবে শিক্ষার্থীরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হলে তারা আবারো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।


আরও খবর



আল জাজিরায় প্রতিবেদন: যুক্তরাজ্যে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা অপকর্ম নিয়ে ২০২১ সালে অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’—শিরোনামে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনের পর বেশ আলোচনা তৈরি হয় দেশে। প্রতিবেদনটিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নানা কীর্তি ও তার মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা পোক্ত করার নানা ঘটনা উঠে আসে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য সানডে টাইমস জানিয়েছে, চাঞ্চল্যকর ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পেছনে থাকা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেসময় ব্রিটেনের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার ডেসমন্ড ব্রাউন কেসি’র পরামর্শ নিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা মানহানি মামলার বিশেষজ্ঞ ব্রাউনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সম্প্রতি শেখ হাসিনার সাবেক বাসভবন গণভবন থেকে একটি দুমড়ানো-মুচড়ানো নথি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে সম্মত হন ব্রাউন। পরে তাদেরকে একজন সলিসিটরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই সলিসিটর ব্রিটিশ আদালতে মামলা শুরু করতে পারতেন। সাক্ষাতের পরের মাসে এই দুজন শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেন।

এই বৈঠকের কয়েকদিন আগেই আল-জাজিরা ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক ডকুমেন্টারিটি প্রচার করেছিল। তাতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই প্রকাশ্যে গর্ব করে বলেন, তিনি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের উঠিয়ে নিতে পারেন এবং ঘুষ নিয়েই কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারেন।

এই ডকুমেন্টারি প্রচারের পর জেনারেল আজিজ ও তার ভাইয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ইউটিউবে প্রায় দশ মিলিয়ন (এক কোটি) ভিউ পাওয়া ওই ডকুমেন্টারি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জেতে। শেখ হাসিনার শাসনামলের সর্বব্যাপী দুর্নীতির প্রমাণ উঠে আসে প্রতিবেদনটিতে। কিন্তু হাসিনার প্রশাসন ওই ডকুমেন্টারিকে প্রকাশ্যে ‘মিথ্যা, মানহানিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে দাবি করে।

ডকুমেন্টারিটি প্রচারের পরপরই প্রতিবেদনের প্রধান হুইসেলব্লোয়ার জুলকারনাইন সায়ের খানের ভাইকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ডকুমেন্টারির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দেশ ছাড়তেও বাধ্য হন।

ঢাকায় শেখ হাসিনার বাড়িতে পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, ওই ডকুমেন্টারিতে অবদান রাখা ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা করছিল তার সরকার।

এই নথির তথ্য বলছে, হাসিনা সরকারের ‘লাইবেল ট্যুরিজম’, অর্থাৎ মানহানির জন্য বিদেশি আদালত ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল। এ পদ্ধতিতে বিদেশি বাদীরা ব্রিটিশ আদালতকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যের বাইরে অবস্থিত ব্যক্তি বা প্রকাশনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেন। অনেকেই মনে করেন, ব্রিটিশ আইনি ব্যবস্থা বাদীর প্রতি সহানুভূতিশীল, তাই দেশটির আদালতের মাধ্যমে অস্বস্তিকর তথ্য বা প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকানো সম্ভব। তবে হাউস অব কমন্স লাইব্রেরি ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, এ ধরনের কাজ ঠেকানোর জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর প্রভাব খুবই সীমিত।

সানডে টাইমস জানায়, শেখ হাসিনার পরিত্যক্ত বাসভবনে অপ্রয়োজনীয় উপকরণের ভাণ্ডারের মধ্যে উদ্ধার নথিগুলি ইঙ্গিত দেয়, হাই কমিশন আল জাজিরা এবং ব্রিটিশ তদন্তকারী প্রতিবেদক ডেভিড বার্গম্যানসহ অন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ব্রাউনের সহযোগিতায় চেয়েছিল।

২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ব্রাউন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের একজন আইনজীবী রাখার পরামর্শ দেন, যিনি তাকে মানহানির মামলা এগিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিতে পারেন। তিনি রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ আইনজীবী জেরেমি ক্লার্ক-উইলিয়ামসকে সুপারিশ করেছিলেন। জেরেমি আল জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখে পরবর্তীতে কর্মকর্তাদের সাথে দেখাও করেছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কর্মকর্তারা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং তথ্যচিত্রের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের বিকল্প বিষয়গুলোও অনুসন্ধান করেছিলেন। এমনকি তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে মামলা দায়েরের জন্য তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করার কথাও বিবেচনা করেছিল।

উদ্ধার হওয়া নথিগুলোকে উদ্ধৃত করে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে বার্গম্যানকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা ছিল। তাকে এই তথ্যচিত্রটি সাজানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বার্গম্যান এর আগে বাংলাদেশে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি দ্য সানডে টাইমসকে বলেন, গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময় শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে পতনের আগ পর্যন্ত তিনি গ্রেফতার হতে পারেন এমন কোনো তথ্য তার কাছে ছিল না।

তবে ব্যারিস্টার ব্রাউন তার সংক্ষিপ্ত সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করলেও বলেন, তিনি বা ক্লার্ক-উইলিয়ামস কেউই প্রাথমিক পরামর্শের বাইরে আর কোনও পদক্ষেপ নেননি। এ বিষয়ে ক্লার্ক-উইলিয়ামসের মন্তব্য জানতে চেয়ে দ্য সানডে টাইমসের তরফ থেকে একাধিকবার ফোন ও ইমেইল করা করেও সাড়া পায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকার পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। আল জাজিরার তথ্যচিত্রটি অপসারণের জন্য ইউটিউব এবং ফেসবুকের ওপর চাপ প্রয়োগের দিকে মনোযোগ দেন। তবে সেখানেও তিনি ব্যর্থ হন। ঢাকায় উচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও, ইউটিউব ও মেটা উভয় প্ল্যাটফর্মই তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তথ্যচিত্রটি বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে যায়।

সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যচিত্রটির ফলাফল সুদূরপ্রসারী পরিণতি এনেছিল। আজিজ আহমেদ এবং তার ভাই বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিলেন। অন্যদিকে হুইসেলব্লোয়ার এবং প্রতিবেদনটিতে যারা অবদান রাখে তাদেরকে হুমকি, সহিংসতা এবং নির্বাসন সহ্য করতে হয়েছিল।


আরও খবর



"সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য- কেনো, কোথায় ও কিভাবে!"

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) এই জিনিস টা বাংলাদেশ,ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। 


ধরেন আপনি ১ লিটারের কোকা-কোলা বাংলাদেশের যেকোনো দোকানে কিনবেন একই দাম দিয়ে। কিন্তু এই ১ লিটারের কোকা-কোলা ইউরোপ, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকমের দামে কিনতে হবে। 

মানে এখানে সাপ্লাই-ডিমান্ড বা ঐ দোকানের প্রাইসিং পলিসির এর ওপর মূল্য নির্ভর করে। 


সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পদ্ধতিটির কিছু বৈশিষ্ট্য:

• MRP খুচরা বিক্রেতাদের ওপর একরকম বাধা তৈরি করে, ফলে তারা নির্দিষ্ট টাকার বেশি লাভ করতে পারে না।


•অল্প সময়ের জন্য হলেও MRP মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে৷ যেহেতু পণ্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।


•এটা মুক্তবাজার (Free market) এর বিপরীত। 

এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কোনো পণ্যের মূল্য বাজারের মাধ্যমে(সাপ্লাই-ডিমান্ড) নির্ধারণ করা হয় না। সুতরাং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাজারের সাথে সামঞ্জস্য নাও হতে পারে।

অর্থাৎ ঐ পণ্যের মূল্য বাজার মূল্য অনুযায়ী কমও হতে পারে আবার বেশিও হয়ে যেতে পারে। 


এই MRP সাধারণত নির্ধারণ করে পণ্যের উৎপাদন বা আমাদনিকারক কোম্পানী।


একটি ছোট্ট তথ্য:

আমরা অনেক সময় পার্কে বা স্টেশনে কোনো দোকান থেকে চিপস, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি কিনতে গেলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য থেকে বেশি দাম চাওয়া হয়। 

এক্ষেত্রে একদমই সেই দামে কিনবেন না বরং দোকানদারকে বুঝিয়ে বলবেন যে, সে যদি এই কাজ করে তাহলে তার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় অনুর্ধ এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে।

এরপরও উনি কথা না শুনলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইনে ফোন করবেন!



-রিফাত রায়হান 

শিক্ষার্থী, ফাইন্যান্স বিভাগ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)


আরও খবর



কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র হলেন নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান মুখপাত্র হুসনে আরা শিখার স্থলাভিষিক্ত হন। বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরিফ হোসেন সহকারী পরিচালক পদে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সাইন্সে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি নিউপোর্ট ইউনিভার্সিটি ঢাকা ক্যাম্পাসে এমবিএ ডিগ্রি নেন।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র পদ থেকে নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেখানে নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখাকে নিযুক্ত করা হয়। হুসনে আরা শিখা রাজশাহীতে বদলি হওয়ায় নতুন মুখপাত্র নিয়োগ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর

সাত মাসে রফতানি আয় বাড়লো ১১.৬৮ শতাংশ

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫