Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক বোয়ালমারীতে ভুল নকশায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কারের দাবিতে গণ-চিৎকার সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ এর উদ্বোধন গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশুলিয়ায় গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় কমিটি ঘোষণা

মন্দ আচরণের পরিণতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : কিছু মানুষ এমন আছে, যারা অন্যের সঙ্গে কটু ভাষায় কথা বলে আনন্দবোধ করে। তারা মনে করে, এই রূঢ় আচরণ তাদের ব্যক্তিত্বতে পাকাপোক্ত করে। তারা অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তারে তাদের আরেকটি কৌশল হলো, তারা খুব সূক্ষ্মভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যকে দমিয়ে রাখার জন্য নুন থেকে চুন খসলে অভিশাপও দিয়ে থাকে, অথচ রহমাতুল্লিল আলামিন, সরদারে দো আলম মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতে, কোনো মুমিনের জন্য এ ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়া সমীচীন নয়। আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৭) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পর একে অপরকে অভিসম্পাত, তার গজব ও জাহান্নামের বদদোয়া  কোরো না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৬) অন্যকে অভিশাপ দেওয়া এতটাই ভয়ানক বিষয় যে তা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশাপ দাতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন কোনো বান্দা কোনো বস্তুকে অভিশাপ দেয়, তখন ওই অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে ওঠার পথকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তা আবার দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওনা হয়; কিন্তু দুনিয়ায় আসার পথও বন্ধ করে দেওয়ায় সে ডানে-বাঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোনো পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, তার কাছে ফিরে আসে। তখন সেই বস্তু যদি অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার ওপর ওই অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর ওপরই তা পতিত হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৫) এগুলো অভিশাপকারীর দুনিয়াবি ক্ষতি। আখিরাতেও শুধু অভিশাপ দেওয়ার প্রবণতার কারণে বহু মানুষ জাহান্নামে যাবে। যেমনটা নবীজি (সা.) নারীদের উদ্দেশ করে বলেছিলেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত, একবার ঈদুল আজহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমার সদকা করতে থাকো। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাকো আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। (বুখারি, হাদিস : ৩০৪) তাই কখনো এ ধরনের রূঢ় আচরণ ও অহেতুক অভিসম্পাতকারীর কবলে পড়লে তার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত না হয়ে তাকে এড়িয়ে চলাই মুমিনের কাজ। এতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবি মদদ পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছে। 

আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখি, কিন্তু তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাদের উপকার করি, কিন্তু তারা আমার ক্ষতি করে। তারা আমার সঙ্গে মূর্খের আচরণ করে, কিন্তু আমি তা সহ্য করি।’ তিনি বলেন, যদি তোমার বক্তব্য সঠিক হয়, তবে তুমি যেন তাদের মুখে উত্তপ্ত ছাই পুরে দিচ্ছ। তোমার কারণে তাদের দুর্ভোগ আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি এরূপ করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী তাদের মোকাবেলায় তোমার সঙ্গে থাকবেন। (আদাবুল মুফরাদ, আয়াত : ৫২)


আরও খবর

জাহান্নামীরা দেখতে যেমন হবে

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মনপুরার বিচ্ছিন্ন দুর্গম জনপদের জেলেদের সাথে মতবিনিময় করলেন দুই সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি :  ভোলার মনপুরার বিচ্ছিন্ন দুর্গম জনপদের কয়েকশত জেলে ও মৎস্যজীবিদের সাথে মতবিনিময় করেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের ঢালচরে এই মতবিনিময় সভা হয়।

এসময় প্রান্তিক মৎস্যজীবি জেলেদের পেশাগত উন্নয়ন, জেলেদের মাছ ধরার কৌশল, এবং জেলেদের সুযোগ সুবিধা প্রদানে মতবিনিময় করা হয়। সভায় জেলেদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ও সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। সভায় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহতাব উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ কামাল হোসেন, মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শুভ দেবনাথ, মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আহসান কবির ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী। পরে সচিবদ্বয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন কর্মসূচী পরিদর্শন করেন। এবং মনপুরার ঢালচরে নবনির্মিত লঞ্চঘাট রক্ষায় ৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ ঘোষনা করে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান।

আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে বছরে মৃত্যু লক্ষাধিক

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ দুই হাজার ৪৫৬ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশে সূক্ষ্মকণা বায়ু দূষণে জনস্বাস্থ্য প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বায়ুদূষণের কারণে পিএম ২.৫ ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশন ও লাং ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ছোট শিশুরা। প্রতি বছর পিএম ২.৫ সংশ্লিষ্ট লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশনে পাঁচ হাজার ২৫৮ শিশুর মৃত্যু হয়।

সিআরইএর বায়ুমান বিশ্লেষক ড. জেমি কেলি বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপরিণত শিশু, কম ওজনের শিশুর জন্ম এবং শিশু মৃত্যু ঘটছে। বায়ুদূষণ অর্থনীতিকেও দুর্বল করে, প্রতি বছর প্রায় ২৬৬ মিলিয়ন কর্মদিবসের ক্ষতি হয়।

২০২৩ সালে বিশ্বের দূষিত দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। সে বছর প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বালু কণার বার্ষিক গড় মান ছিল ৭৯ দশমিক নয় মাইক্রোগ্রাম; যা বার্ষিক জাতীয় মানদণ্ড ৩৫ মাইক্রোগ্রামের দ্বিগুণের বেশি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি।

সিআরইএ বলছে, বাংলাদেশের জাতীয় বায়ুমানের মানদণ্ড পূরণ করা সম্ভব হলেও মৃত্যুহার ১৯ শতাংশ, আয়ুষ্কালজনিত সমস্যা ২১ শতাংশ এবং অক্ষমতা নিয়ে বসবাসের বছর ১২ শতাংশ কমতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হলে প্রতি বছর ৮১ হাজার ২৮২ মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে।

এদিকে, এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে গড় আয়ু দুই বছর সাত মাস হ্রাস পেয়েছে। তবে বাংলাদেশে কমেছে আরও বেশি, চার বছর আট মাস।


আরও খবর



বিদ্যুৎখাতে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : দেশের বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগে ক্ষেত্রে নীতি বদল করেছে সরকার। এতোদিন দেশে বেসরকারি খাতের সব বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাস্তবায়ন চুক্তি বা ইমপ্লিমেন্ট এগ্রিমেন্ট (আইএ) করার বাধ্যবাধকতা ছিলো। কিন্তু সমপ্রতি ১০টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আহ্বান করা দরপত্রে তা বাতিল করা হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ারও শঙ্কা রয়েছে। তাতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। তাছাড়া সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লোকসানও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাস্তবায়ন চুক্তি বা ইমপ্লিমেন্ট এগ্রিমেন্টকে (আইএ) বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌম গ্যারান্টির মতো বা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সম্পূরক চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের নিশ্চয়তা পায়। আর বাস্তবায়নকারী কোম্পানি স্বল্প সুদে ঋণসহ দাতা সংস্থা থেকে বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকে। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম হয় এবং দামও কম থাকে। বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সম্পূরক চুক্তি হিসেবে আইএ করার বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে যতো বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার সবগুলোতেই আইএ ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইএ বাতিল হওয়ায় বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে ওই খাতে বাধাগ্রস্ত হবে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)। ইতিমধ্যেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আইএ না থাকার কারণে বিদ্যুৎখাতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলার কথা জানিয়েছে। কারণ বাংলাদেশে বিনিয়োগকে তারা আর নিরাপদ মনে করছেন না। তাছাড়া আইএ বাতিল হলে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোও দেবে না ঋণ সহায়তা। তাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কোম্পানির ব্যয় বাড়বে। আর ওই বাড়তি ব্যয় উৎপাদন খরচের সঙ্গে যোগ হয়ে গ্রাহকের কাঁধে পড়বে। ফলে শিল্প খাতের উৎপাদন খরচও বাড়বে। সূত্র জানায়, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে পিডিবিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করতে হবে। তাতে সংস্থাটির লোকসান বাড়বে ও ভর্তুকি বাড়বে। কারণ আইএ বিধান বাদ দেয়ায় দরপত্রে অংশ নেওয়ার সময়ই বিনিয়োগকারীদের ব্যয় বেশি দেখাবে। আর তাতে পিডিবি বিপাকে পড়বে। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর পিডিবি আইএ বিধান ছাড়া ৩২৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। আর চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো ১০টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চালু হওয়ার পর সরকার ২০ বছরের জন্য একটি নির্দিষ্ট দামে বিদ্যুৎ কিনতে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) স্বাক্ষর করবে। কিন্তু সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিদ্যুৎ খাতের বেসরকারি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আইএ বাতিল করায় বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ খাতে নেয়া প্রকল্পগুলোর জন্য ডাকা দরপত্রে দেশিবিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের অংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। এদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিউনিয়েবেল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আল মাহমুদ জানান, আইএ ও পিপিএ আন্তর্জাতিকভাবে একটি পরিচিত ব্যবস্থা। বিনিয়োগকারীরাও এর সঙ্গে পরিচিত এবং অভ্যন্ত। এরই মধ্যে ৪০টি কোম্পানি এ খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত করে এর ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ফেলেছে। কিন্তু এই প্রকল্পগুলো রিভিজিট না করে দায়িত্বপ্রাপ্তরা অন্য ব্যবস্থায় চলে গেছেন। বিনিয়োগকারীদের আইএ না থাকলে এ খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। আইএ বাতিল হলে তারা আর বিনিয়োগে যাবেন না বলেও জানিয়েছে। কারণ তারা বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করছে না। আর এ মুহূর্তে বিদেশি বিনিয়োগ ছাড়া এতো বড় লক্ষ্য অর্জনও সম্ভব না। কিন্তু সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার চাইলেও কাজ ও কথার মধ্যে মিল পাওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের (বিপা) সভাপতি জানান, আইএ বাদ দিয়ে সরকার খুব বেশি লাভবান হবে না। আবার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছেও বাংলাদেশের একেকবার একেক সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি নেতিবাচক বার্তা দেবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাবে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, সরকার এ দায়িত্ব আর নিতে পারছে না। আইপিপিগুলোকে টাকা দিতে পারছে না। সরকারের যে সার্বভৌম গ্যারান্টির প্রতিশ্রুতি তার মূল্য তো থাকতে হবে। এখন থেকে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়া হবে না, যা সরকার রাখতে পারবে না।


আরও খবর



আয়নাঘর পরিদর্শনে দেশি-বিদেশি মিডিয়াসহ যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যত দ্রুত সম্ভব আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ তিনি আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ, ব্যাপকহারে আমদানি ও সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, সভায় রমজানে লোডশেডিং না রাখা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়।


আরও খবর



ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ২৭১টি ভুয়া তথ্য প্রচারিত: রিউমার স্ক্যানার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৬জন দেখেছেন

Image
তথ্যভিত্তিক ভুলই ছিল ১১৫টি। ছবি কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৫৪টি এবং ভিডিও কেন্দ্রিক ভুল ছিল ১০২টি। শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে মিথ্যা হিসেবে ১৭৫টি, বিভ্রান্তিকর হিসেবে ৬৫টি এবং বিকৃত হিসেবে ৩১টি

অনলাইন ডেস্ক : ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের ২৭১টি প্রমাণ মিলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এসব ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। ক্যাটাগরিভিত্তিক ভুল তথ্য শনাক্ত ছাড়াও বিদায়ী মাসে দুইটি পরিসংখ্যান এবং একটি ফ্যাক্ট ফাইলও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গণনাকৃত এই সংখ্যার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ১১৪টি ভুল তথ্যে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে। যা মোট ভুল তথ্যের ৪২ শতাংশ। এছাড়াও জাতীয় বিষয়ে ৬৭টি, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ২৯টি, ধর্মীয় বিষয়ে ১৮টি, বিনোদন ও সাহিত্য বিষয়ে ১৫টি, শিক্ষা বিষয়ে নয়টি, প্রতারণা বিষয়ে ছয়টি, খেলাধুলা বিষয়ে পাঁচটি ভুল তথ্য শনাক্ত হয় ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, এসব ঘটনায় তথ্যভিত্তিক ভুলই ছিল ১১৫টি। ছবি কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৫৪টি এবং ভিডিও কেন্দ্রিক ভুল ছিল ১০২টি। শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে মিথ্যা হিসেবে ১৭৫টি, বিভ্রান্তিকর হিসেবে ৬৫টি এবং বিকৃত হিসেবে ৩১টি ঘটনাকে সাব্যস্ত করা হয়েছে।

রিউমার স্ক্যানারের  অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, প্লাটফর্ম হিসেবে গত মাসে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। যা সংখ্যার হিসেবে ২২৫টি। এছাড়াও এক্সে ৫৬টি, টিকটকে ৪৪টি, ইউটিউবে ৪২টি, ইন্সটাগ্রামে ১৯টি, থ্রেডসে অন্তত একটি ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে।

রিউমার স্ক্যানার জানায়, ভুল তথ্য প্রচারের তালিকা থেকে বাদ যায়নি দেশের গণমাধ্যমও। ১৬টি ঘটনায় দেশের একাধিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছে রিউমার স্ক্যানার।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল জানুয়ারিতে এই ধারাবাহিকতা দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। সংস্থাটি জানায়, গত মাসে ভারতীয় গণমাধ্যমে সাতটি ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। নয়টি ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক অপতথ্য প্রচারের বিষয়টি কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় রয়েছে। জানুয়ারিতে এমন ৩২টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এর মধ্যে ২৫টি ঘটনাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

রিউমার স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গেল মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে ১৩টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ভুল তথ্যগুলোর ধরন বুঝতে এগুলোকে রিউমার স্ক্যানার দুইটি আলাদা ভাগে ভাগ করেছে। 

সরকারের পক্ষে যায় এমন ভুল তথ্যের প্রচারকে ইতিবাচক এবং বিপক্ষে যায় এমন অপতথ্যের প্রচারকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে রিউমার স্ক্যানার দেখেছে, ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই এসব অপতথ্য সরকারের বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ রেখেছে। জানুয়ারিতে ১২টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও। সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে ড. আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাহিদ ইসলাম ও আ ফ ম খালিদ হোসেনকে জড়িয়ে ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানার গেল মাসের ফ্যাক্টচেকগুলো বিশ্লেষণে দেখেছে, এই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভুল তথ্যের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে দলটির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ। এই সময়ে দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে প্রচার হওয়া ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) জড়িয়ে ভুল তথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। এই সময়ে দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে গত মাসে অপতথ্য শনাক্ত করেছে। তবে এসব অপতথ্য  তাদের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ রেখেছে বলে রিউমার স্ক্যানার শনাক্ত করেছে।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, ভুল তথ্যের রোষাণল থেকে রক্ষা পায়নি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোও। গেল মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জড়িয়ে দুইটিসহ এই বাহিনীকে জড়িয়ে ১২টি ভুল তথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা মেট্রোপলিটনের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে জড়িয়ে একটিসহ পুলিশের বিষয়ে ছড়ানো চারটি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এর বাইরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জড়িয়ে দুইটি ভুয়া তথ্যের প্রচার ছিল জানুয়ারিতে।

কোটা আন্দোলন থেকে সরকার পতনের সময়কে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এ সংগঠনকে ও নেতাদের জড়িয়ে নিয়মিতই ভুয়া তথ্যের প্রচার শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচটি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। গত মাসে গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ৩৩টি ঘটনায় দেশি ও বিদেশি ২০টি সংবাদমাধ্যমকে জড়িয়ে ৩৯টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এসব প্রচার মিথ্যা ও ভুল তথ্যের বলে সনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।


সূত্র: বাসস


আরও খবর