Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

মিরপুরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের গাড়িতে আগুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় বিভিন্ন দাবিতে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়কে নামেন। এ সময় শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ইট-পাটেল নিক্ষেপ করা হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা রাস্তায় এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল দশটার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের আন্দোলনে কচুক্ষেত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত করতে এলে প্রথমে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।

এদিকে, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণ নিভিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে কচুক্ষেতে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের দুটি ইউনিট দিয়ে গাড়ি দুটির আগুন নেভায়।




আরও খবর



অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় বন্ধ করবেন না এই অভিনেত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: পর্দায় নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে তরুণ প্রজন্মের কাছে সিডনি সুইনির পরিচিতি এইচবিওর দুই আলোচিত সিরিজ ‘ইউফোরিয়া’ও ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ দিয়ে। এই দুই সিরিজে বিশেষ করে ‘ইউফোরিয়া’য় সুইনির নগ্ন দৃশ্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। তবে ডেডলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যত আলোচনা-সমালোচনাই হোক, নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় বন্ধ করবেন না তিনি।

‘ইউফোরিয়া’ সিরিজের স্রষ্টা স্যাম লেভিনসন। সুইনি সাক্ষাৎকারে বলেন, এই নির্মাতার কাজ তাঁর খুবই পছন্দের। তাই তিনি যে চিত্রনাট্যে যা রাখবেন, সে অনুযায়ী অভিনয় করতে তাঁর আপত্তি নেই।

পর্দায় নগ্ন দৃশ্য নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে সিডনি বলেন, ‘এটা তো অদ্ভুত একটা কথা। আমি একজন অভিনয়শিল্পী, যাকে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়।’

গত বছর মুক্তি পাওয়া ক্রাইম ড্রামা ঘরানার সিনেমা ‘রিয়েলিটি’তে একেবারে গ্ল্যামারহীন চরিত্রে অভিনয় করেন সুইনি। এ ছবিতে কোনো অন্তরঙ্গ দৃশ্যও নেই।

তবে সিডনি সুইনি জানেন, তিনি যত ভালোই অভিনয় করেন না কেন, মানুষ কেবল তাঁর শরীর নিয়েই কথা বলে। এ জন্য কৈশোর থেকেই চেষ্টা করেছেন এমন কিছু করতে, যাতে মানুষ তাঁর কাজ নিয়েই কেবল কথা বলে। তিনি বলেন, ‘আমি স্কুলে যত বেশি সম্ভব খেলায় অংশ নিতাম, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতাম, যাতে মানুষ ভাবতে না পারে যে আমি শরীরসর্বস্ব।’

সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, আলোচনা-সমালোচনা যা–ই হোক, চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি পর্দায় নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করা বন্ধ করবেন না।

গত বছর সিডনি সুইনির জীবনে আরও একটি বিব্রতকর ঘটনা ঘটে। তাঁর অভিনীত বিভিন্ন অন্তরঙ্গ দৃশ্যের স্ক্রিনশট নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ট্যাগ করেছেন, যা নিয়ে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
অভিনেত্রীকে সামনে বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজ ও সিনেমায় দেখা যাবে।


আরও খবর



শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মুসনাদে আহমদে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল।’ বায়হাকিসহ অনেকের বর্ণনায় এভাবে এসেছে, ‘শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল; কারণ শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ অর্থাৎ সহজে অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদতের সুযোগ লাভের কারণে শীতকাল মুমিনের জন্য বসন্তকাল হয়ে ওঠে। আমের ইবনে মাসউদ বর্ণনা করেন, নবিজি (সা.) বলেছেন, শীতল গনিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা। (সুনানে তিরমিজি) এ ছাড়া ওমরসহ (রা.) অনেক সাহাবীদের থেকেও এ রকম বক্তব্য বর্ণিত রয়েছে। ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি বলেছেন, ‘শীত ইবাদতকারীদের গনিমতস্বরূপ।’ (হিলয়াতুল আউলিয়া) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, শীত এলে তিনি বলতেন, ‘স্বাগতম শীতকাল! শীতকালে বরকত অবতীর্ণ হয়। নামাজের জন্য শীতের রাতগুলো দীর্ঘ হয়, রোজার জন্য দিনগুলো সংক্ষীপ্ত হয়।’ এ বক্তব্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, শীতকালকে আমাদের অনুসরণীয় সাহাবিরা সহজে ইবাদতের বিরাট সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতেন। রাতের একটি অংশে জেগে নামাজ পড়তেন, দিনে রোজা রাখতেন। আমরাদেরও উচিত শীতকালে বেশি বেশি ইবাদত করা, নামাজ পড়া, রোজা রাখা, যেন নবিজি (সা.) ও তার সম্মানিত সাহাবিদের মতো শীতকাল আমাদের জীবনেও ইবাদতের বসন্তকাল হয়ে উঠতে পারে। নামাজ-রোজার পাশাপাশি শীতকালে শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দান করেও আমরা বিপুল সওয়াব লাভ করতে পারি। রাসুল (সা.) বলেছেন, কোন মুসলিম তার কোন বিবস্ত্র মুসলিম ভাইকে কাপড় পরিধান করালে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের সবুজ পোশাক পরিধান করবেন। কোন মুসলিম তার ক্ষুধার্ত মুসলিম ভাইকে খাবার খাওয়ালে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। কোন মুসলিম তার কোন তৃষ্ণার্ত মুসলিম ভাইকে পানি পান করালে আল্লাহ তা’আলা তাকে মোহরাঙ্কিত স্বর্গীয় সুধা পান করাবেন। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিজি)


আরও খবর

যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দা উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক সড়কের সাহাপুকুর নামক স্থানে ডাম্পট্রাকের সাথে প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জনের প্রাণহানি হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুইজন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সাপাহার উপজেলার চৌধুরীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আলভী রাব্বানী জিহান ও মাহিন আহমেদ সাগর। আহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

মান্দা থানার ওসি মনছুর রহমান জানান, হতাহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন। তারা রাজশাহী থেকে নওগাঁ যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ডাম্পট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান জিহান ও সাগর।

মরদেহগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।


আরও খবর



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই পোষ্য কোটায় ভর্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও একটি ‘রিভিউ কমিটি’ গঠন করেছেন। তবে স্নাতক পর্যায়ে পোষ্য কোটা ভর্তির তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে পোষ্য কোটায় ভর্তির হার আরও বেশি। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটা শতকরা ৪ শতাংশ থাকলেও স্কুল পর্যায়ে ভর্তিতে এই কোটার হার ৮৭ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য। ক্যান্টনমেন্ট স্কুলগুলোতে যেমন সেখানকার নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সন্তানরাই লেখাপড়া করতে পারেন। সেই একই উদ্দেশ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবুও বাইরের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। যদিও সেটা খুবই নগণ্য। তবে বর্তমান ছাত্রনেতারা বলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পোষ্য কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

গত ২০ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ১২০টি আসন সংখ্যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ১০৫ এবং বহিরাগত ১৫ টি। বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যন্তরীণ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী/সহায়ক/সাধারণ কর্মচারী/নিয়মিত মাস্টাররোল কর্মচারী ও ডাইনিং কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। অন্যদিকে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, তাদেরকে প্রতিপাল্য বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নেই জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, গত জুলাই-আগস্টে আমাদের হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, এই শহিদদের একটাই দাবি ছিল কোটা প্রথা নিপাত যাক। আমি একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে এই কোটা আর দেখতে চাই না। সবাই ক্লাসে একই মেধাতে ক্লাস করবে। দুইটা ভিন্ন মেধার শিক্ষার্থী একই ক্লাস বুঝতে পারেন না। যে শিক্ষার্থী কোটায় ভর্তি হয়, তার সঙ্গে মেধায় ভর্তি শিক্ষার্থীর জ্ঞানের পার্থক্য থাকে। ওই প্রেক্ষাপট থেকে বর্তমানে কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমি মনে করি অবশ্যই এটা বৈষম্য। ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লবের পরে সব জায়গায় মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাবে এটাই আমরা দেখতে চাই। একজন দিন মজুরের ছেলে যেভাবে মেধার ভিত্তিতে চান্স পায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তানও যেন সেভাবেই সুযোগ-সুবিধাটা পায় এটাই আমাদের চাওয়া।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য। ১৯৬৬ সাল থেকে পোষ্য কোটার জন্য আলাদা আলাদা বরাদ্দ রাখার বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে। সেই অনুযায়ী পোষ্য কোটা নিয়েই ভর্তি চলছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল এখানকার যারা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের সন্তানরা পড়ালেখা করবে।


আরও খবর



মালয়েশিয়ার প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মো. শুহাদা অথমান আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলে তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, নতুন হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তির অন্যতম গন্তব্যস্থল।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তি উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তালিকাভুক্ত যে ১৮ হাজার শ্রমিক নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তারা যেন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ সময় ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আগামী মাসে মালয়েশিয়া আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরো আশা প্রকাশ করেন, আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেবে। সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর