Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

মেলান্দহে কৃষি-খাদ্য-পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মোঃ শাহ জামাল, জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের মেলান্দহে ক্রমাগত মাটি লুটের ফলে কৃষি ও পরিবেশ হুমকির মুখে। এতে খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা বিদ্যমান। বিশেষ করে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর টপসয়েল হরিলুটের মহোৎসবের চিত্রই তা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। উপজেলায় ২৫টি ইটভাটা। এরমধ্যে নয়ানগর ইউনিয়নেই ৮টি। ইটভাটার মাটি খেকুরা কৃষককে এক ধরণের বø্যাক মেইল করে এই সুরক্ষিত মাটি অল্প টাকায় হাতিয়ে নিচ্ছে। টপসয়েলের বিপর্যয় কৃষিতে বড় ধরণের হুমকি এবং খাদ্য সংকটে ফেলবে। অনুমোদনহীন যানবাহনে মাটি বহন করায় ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাট পরিবেশও। ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করায় ক্ষতিগ্রহস্থ হচ্ছে নদ-নদী-কৃষি এবং প্রকৃতিও। সচেতন মহল মনে করছেন, এই বিপর্যয় রোধ এখন সময়ের দাবি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাজরাবাড়ি, ব্রাহ্মণপাড়া, ফুলকোচা, আদ্রা নামাবন্দ, কুলিয়া, দুরমুঠ, দাগি, বানিপাকুরিয়া, উদনাপাড়া, নয়াপাড়া, আলোকদিয়া, বন্দোরৌহা, শাহিন বাজার ছাড়াও প্রায় প্রতিটি গ্রামের টপসয়েল লুটে ব্যস্ত মাটি খেকুরা। আদ্রা বাজারের পাশে লৌহজংয়ের খননকৃত পাড়ের মাটি লুটও থেমে নেই। কৃষক মুনতাজ মিয়া (৫৬) জানান-ইতোপূর্বে এভাবে কৃষি জমিতে মাটি গর্ত করলে ফসল হবে না। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি আটকে থাকবো। 

হাজরাবাড়ি ব্রাহ্মণপাড়ায় ৮টি ভ্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলনকারিদের আব্দুল মজিদ (৪৩) ও মাসুদ (২৫) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জানান-প্রশাসনের লোকজন আসছিলেন। মাটিগুলো মাদারগঞ্জের ইটভাটায় বেশি যাচ্ছে। আন্নেরা ভ্যাকু মেশিন মালিক ও মাটির ডিলার সোলায়মান সাবের সাথে যোগাযোগ করেন। উনি হাজরাবাড়ি বাজারে থাকেন। সোলায়মান সাহেব সাংবাদিক আসার খবরে দ্রæত শটকে পড়েন। 

জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার পুকুর আছে। উপজেলার ২৫টি  ইটভাটা ছাড়াও ইসলামপুর, মাদারগঞ্জের ইটভাটায় মাটি যাওয়ার ফলে কোন কোন জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিলের সমান কিংবা তার চেয়েও বেশি গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে ফসল না হওয়ায়, অপরিকল্পিত পুকুর খননে বাধ্য হলেও; মাছ চাষে কাঙ্খিত লাভবান হচ্ছেন না কৃষক। এতে পুকুরের সংখ্যাও বাড়ছে। কমছে আবাদি জমিও। অথচ এসব জমিতে এক ফসলি, দু’ফসলি তিন ফসলি এমনকি বছর জুড়ে আবাদও ছিল। বারোমাসি ফসলের জমি এখন নাই বল্লেই চলে। 

মেলান্দহ বঙ্গমাতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক ড. মাহমুদুল হাসান জানান- পুকুর পাড়ের বিভিন্ন অংশে টপসয়েল থাকলে মাছ চাষ ভালো হয়। আদর্শ পুকুর হচ্ছে ৫-১০ ফুট উচ্চতার। অনিয়ন্ত্রিত পুকুরে মাছের রোগবালাই আক্রমন করে। মাছ বৃদ্ধি পায় কম। বাকৃবি’র গবেষক শিক্ষার্থী এস.এম. আল-ফাহাদের মতে কৃষি জমির মাটি উত্তোলনের পর, গর্তে অপরিকল্পিত পুকুর রূপ দিয়ে মাছ চাষে কৃষক না পাবে কাঙ্খিত মাছ। না পাবে ফসল। হারাবে ফসলি জমি এবং হারাবে পৃথিবীর গতি ও প্রকৃতি। 

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশার জানান-মাটির ৫টি লেয়ারের প্রথম স্তরের ২-৮ ইঞ্চি পর্যন্ত টপসয়েল। টপসয়েলে বেশি জৈব পদার্থ, হিউমাস উদ্ভিদ ও প্রাণীর পঁচা বা অবশিষ্টাংশ ডিকম্পোজ থাকে। এ ছাড়াও খনিজ উপাদান, পানি-বায়ুর সংমিশ্রণের ব্যবস্থাপনা থাকে। যা মাটির পুষ্টি উপাদানের ক্ষেত্রে প্রাণী ও উদ্ভিদের অনুজীব বেশি কার্যকর। পরিবেশ বান্ধব লেয়ারে থাকে মোহনীয় উর্বরা শক্তি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভান্ডার। যা মাটির পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। টপসয়েল না থাকলেই কৃষিতে বিপর্যয়ের আশংকা থাকে। কোন কোন জায়গায় ৪-৬ ফুট কিংবা আরো বেশি পর্যন্ত গভীর করলে মাটিতে পুষ্টি এবং ফসল করার মতো কিছুই থাকে না।



আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মনপুরার বিচ্ছিন্ন দুর্গম জনপদের জেলেদের সাথে মতবিনিময় করলেন দুই সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি :  ভোলার মনপুরার বিচ্ছিন্ন দুর্গম জনপদের কয়েকশত জেলে ও মৎস্যজীবিদের সাথে মতবিনিময় করেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের ঢালচরে এই মতবিনিময় সভা হয়।

এসময় প্রান্তিক মৎস্যজীবি জেলেদের পেশাগত উন্নয়ন, জেলেদের মাছ ধরার কৌশল, এবং জেলেদের সুযোগ সুবিধা প্রদানে মতবিনিময় করা হয়। সভায় জেলেদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ও সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। সভায় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহতাব উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ কামাল হোসেন, মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শুভ দেবনাথ, মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আহসান কবির ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী। পরে সচিবদ্বয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন কর্মসূচী পরিদর্শন করেন। এবং মনপুরার ঢালচরে নবনির্মিত লঞ্চঘাট রক্ষায় ৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ ঘোষনা করে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান।

আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবে বলে নিশ্চিত করেছেন অনশনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ জানুয়ারি) জবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।


সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে তারা অনশনরত রয়েছেন। এই সময়ে তারা পানাহার থেকে বিরত রয়েছেন। প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অনশনে অংশগ্রহণ করেছে বলে তারা জানান।



গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম জানান, ১৩ জন প্রাথমিকভাবে অনশনে বসেছি, অনশনকারীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে ৫০ জনের মতো হয়েছে। আরও অনেক শিক্ষার্থী যুক্ত হবে।


সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কেউ আসেনি কথা বলতে। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত যেই আসুক আমরা অনশন অব্যাহত রাখব। এখনো কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়নি। সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু সবার মধ্যেই ক্লান্তি রয়েছে।


এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা এই অনশনে বসেন। তাদের দাবিগুলো হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।


জবি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি কে এম রাকিব বলেন, আমরা ৩ দাবিতে গণ-অনশনে বসেছি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই তাই আমরা গণ-অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।


দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র সুকুল বলেন, অস্থায়ী আবাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে যে কোনো মূল্যে। আমরা লালফিতার দৌরাত্ম্য দেখতে চাই না, চিঠি বিলির কাহিনি আর শুনতে চাই না। আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না।


আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব উল ইসলাম বলেন, জবির ক্যাম্পাস আমাদের অধিকার, অনুগ্রহ নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা সীমাহীন জায়গা সংকট, অবকাঠামোর ঘাটতি, আবাসন সমস্যায় ভুগছি। পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর এবং জনবহুল পরিবেশে শিক্ষার মৌলিক চাহিদাগুলো কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকেই আমরা নতুন ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু গত দুই দশকে আমরা শুধু আশ্বাস পেয়েছি, বাস্তবায়ন নয়।


এ বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের পেছনে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মূলত আমাদের দাবির অংশ।


আরও খবর



স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:  দীর্ঘ আন্দোলনের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দেশে থাকলেও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তাঁর উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের মনোবল সব সময় চাঙা রাখত। এমন সময়ে খালেদা জিয়া বিদেশে অবস্থান করছেন যখন তাঁর দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি করলেও সরকারঘনিষ্ঠ অনেকেই আগে সংস্কার পরে নির্বাচনের কথা বলছেন। দলের নেতা-কর্মীসহ জনমনে প্রশ্ন উঠছে খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবেন কিনা। আবার অনেকে মনে করছেন, উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে তিনি দেশে ফিরবেন। সঙ্গে আসবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনিও দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে দলে স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই রয়েছে।


জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুরনো তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে মানুষ এমনটা চিন্তা করছে। কিন্তু ভীত হওয়ার কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় এবং কারাগারে থাকার সময়েও রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যেত না। তখন হাজার মাইল দূর থেকে তারেক রহমানই এই দলকে সুসংগঠিত রেখে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এখনো সেভাবে দল এগিয়ে যাবে।


বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় আমরা বারবার আবেদন করেছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি, চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি। দেশের ১৬ কোটি মানুষের দোয়ায় আমাদের নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন, এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা।’


বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠিয়ে নির্যাতন করেছিল। তাঁকে চিকিৎসার ব্যবস্থা তো করেইনি বরং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট করকারের বিদায়ের পর দেশনেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। এতে দেশবাসী স্বস্তি অনুভব করছে। আমরা প্রত্যাশা করছি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দ্রুত দেশে ফিরবেন, ইনশাল্লাহ।’


বিএনপিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে চার মাস কেন সময় নিলেন, তা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। তবে ২ জানুয়ারি রাতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সস্ত্রীক খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশানের বাসভবনে দেখতে গেলে তখনই বলা হয় যে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাবেন। সে কারণেই সেনাপ্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেনাপ্রধান ৪০ মিনিটের মতো সেখানে ছিলেন। 


তবে চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া ছাড়া আর কিছুই তখন জানানো হয়নি বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কবে ফিরবেন তা সুস্পষ্ট নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন তা-ও এখনো অনিশ্চিত। কারণ মামলাগুলো চলছে ধীরগতিতে। 


তাঁরা বলছেন, ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সময় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তখন রাজনীতিতে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা আলোচনায় ছিল এবং দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবার জন্য চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এবারও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ‘মাইনাস টু’র বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। 


তবে খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবেন কি না, এমন নানা আলোচনা ডালপালা মেললেও এসবের কোনো ভিত্তি নেই বলেই মনে করেন বিএনপির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে আবারও প্লেন দুর্ঘটনা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে আবারও ঘটলো মর্মান্তিক প্লেন দুর্ঘটনা। শুক্রবার রাতে ফিলাডেলফিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি আবাসিক এলাকায় একটি মেডেভাক প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। প্লেনটিতে ৬জন আরোহী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)।

এফএএ জানিয়েছে, লিয়ারজেট ৫৫ মডেলের প্লেনটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এটি মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।

জেট রেসকিউ নামে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানি এই উড়োজাহাজটি পরিচালনা করছিল। কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্লেনটিতে একজন শিশুরোগী, তার একজন অভিভাবক এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আরোহী জীবিত রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি।

তথ্য অনুযায়ী, উড্ডয়নের পর ১ হাজার ৬৫০ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল প্লেনটি। কিন্তু এরপর আকস্মিকভাবে প্রতি মিনিটে ১১ হাজার ফুট গতিবেগে নিচে নামতে শুরু করে।

একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার প্লেনটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বলেন, ‘মেডেভাক মেড সার্ভিস, উত্তর-পূর্ব টাওয়ার। আপনি কি ফ্রিকোয়েন্সিতে আছেন?’ কিন্তু কিছুক্ষণ পর কন্ট্রোলার ঘোষণা করেন, ‘আমরা একটি প্লেন হারিয়েছি।’


আরও খবর

আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত!

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নড়াইলে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: জেলায় ৩ দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সদর  উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলার উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার, উপজেলাকৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সৌরভ দেবনাথ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিএম জাহিদ শাকিলসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষাণ-কৃষাণীরা।

কৃষি প্রযুক্তি মেলায় রিলে পদ্ধতিতে ফসল চাষ, আন্তঃফসল,ফসল আইলে লতানো সবজি চাষ, বস্তায় সবজি ও আদা চাষ, নিরাপদ সবজি চাষ, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা,পলিমালচ, বালাইনাশক প্রভৃতি স্টল প্রদর্শন করা হয়েছে। মেলা উদ্বোধনের আগে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।


আরও খবর