Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত- ২৫ তেলের দাম নেমেছে ৭০ ডলারে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি, বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবাসী রেমিট্যান্স আয়ে সিলেট বিভাগ তৃতীয় স্থানে ভারতের সঙ্গে চলমান প্রকল্প নিয়ে কোনো সংকট নেই বললেন অর্থ উপদেষ্টা শ্রীপুরে মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রচার, বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন ভারত সিরিজের সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে শর্ত ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু

মোবাইল-ল্যাপটপ রেখে ছাত্রদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান হাফিজের

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২৫জন দেখেছেন

Image

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ মোবাইল-ল্যাপটপ রেখে ছাত্রদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা দলের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সমাবেশে তিনি এ আহ্বান করেন।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, গণতন্ত্রের চেতনা আওয়ামী লীগের কখনো ছিলো না। এখনো নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়। এ সরকার বৈধ নয়। আমাদের কর্তব্য বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া।

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে আন্দোলন করছে না জানিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ করেছি তা ব্যর্থ করেছে আওয়ামী। তাই মোবাইল ল্যাপটপ-রেখে ছাত্রদের রাজপথে নেমে আসতে হবে। প্রস্তুত থাকুন বিজয় আমাদের। 


আরও খবর

হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীতে গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক ১১ মন্ত্রী-এমপিসহ ৩১ জনের সম্পদের তথ্য চাইল অন্তর্বর্তী সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

সদরুল আইনঃ


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ছয় প্রভাবশালী মন্ত্রী, ৫ জন সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) ও তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সহযোগীসহ ৩১ জনের অর্থ সম্পদের তথ্য সংগ্রহের পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। 


এর মধ্যে দেশে ও বিদেশে থাকা সব ধরনের অর্থ-সম্পদের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।


এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ওইসব ব্যক্তি ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্ল্যেখ করে তাদের অর্থ-সম্পদের তথ্য চেয়ে বিদেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে।



বিএফআইইউ এসব তথ্য সংগ্রহ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সরবরাহ করবে। তারা নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্র অনুযায়ী তদন্ত করবে। ইতোমধ্যে এসব সংস্থাগুলো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে কাজ শুরু করেছে।


গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ছয়জন সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রীর তথ্য চেয়ে বিদেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 


এর মধ্যে রয়েছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ। 


এদের প্রত্যেকের স্ত্রী, সন্তান, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্ল্যেখ করে বিদেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে এদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর কোনও সম্পদ থাকলে তা জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।



এমপিদের মধ্যে রয়েছেন, জামালপুর-৩ আসনের মির্জা আজম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের জান্নাত আরা হেনরী, ময়মনসিংহ-১০ আসনের ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুল ও পিরোজপুর-১ আসনের মহিউদ্দিন মহারাজ। 


সাবেক এমপিদের প্রত্যেকের স্ত্রী, সন্তান, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ-সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রী, এমপি মিলে রয়েছেন ১১ জন। তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সহযোগীসহ রয়েছেন আরও ২০ জন। ৩১ জনের অর্থ সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।


মন্ত্রী-এমপি ছাড়া আরও রয়েছেন আইনমন্ত্রীর সহযোগী সিটিজেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান তৌফিকা আফতাব, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী ও সন্তান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দুই সন্তান, আইনমন্ত্রীর স্ত্রী ও দুই সন্তান, ভূমি প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী ও দুই সন্তান, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রীর স্ত্রী ও দুই সন্তান, তথ্য প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী। 


এদের প্রত্যেকের নাম উল্ল্যেখ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের নামেও অর্থ সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। ওই সময়ে তারা নানাভাবে দুর্নীতি, ঘুষ ও কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ সম্পদ গড়েছেন। এগুলোর বড় অংশই বিদেশে পাচার করেছেন। ওইসব সম্পদ দিয়ে তারা বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যও করছেন। 


এতে দেশের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। গত আড়াই বছর ধরে দেশে যে ডলার সংকট চলছে এবং তা থেকে মূল্যস্ফীতির লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি হয়েছে তার অন্যতম কারণ দেশ থেকে টাকা পাচার। দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নতুন সরকার পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। সেজন্য তাদের নামে অর্থ সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।


বিএফআইইউসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রাথমিক তদন্তে আলোচ্য ৩১ জনের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল অঙ্কের অর্থ-সম্পদের সন্ধান মিলেছে। যে কারণে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চাওয়া হয়েছে। বিদেশের পাশাপাশি তাদের নামে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।


এ ছাড়া অন্যান্য সম্পদের তথ্যও নেওয়া হচ্ছে। এসব তথ্য সংগ্রহ করে বিএফআইইউ থেকে দুদক ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সরবরাহ করা হবে। এর আলোকে সংস্থাগুলো আরও তদন্ত করে অভিযুক্তদের নামে মামলা করবে।


আরো জানা যায়, বিএফআইইউ ওইসব ব্যক্তির নামে মানি লন্ডারিং নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের কাছে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। বিশ্বের ১৭৭টি দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটগুলো এই গ্রুপের সদস্য। 


বাংলাদেশে থেকে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি টাকা পাচার হচ্ছে সেসব দেশ এ গ্রুপের সদস্য। এ গ্রুপের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো দেশ তথ্য চাইলে তারা সংশ্লিষ্ট সদস্য দেশগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে বিএফআইইউ অনেক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করেছে।


এ ছাড়া বিএফআইইউ ৮১টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় দেশ ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে।


জানা গেছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের প্রয়াত বাবা আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নামে লন্ডনে বাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। 


এগুলোকে পরে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ আরও বাড়িয়েছেন। দুবাইয়ে তিনি একটি পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ করছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে তার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 


গত নির্বাচনের আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, সরকারের একজন মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ ও ব্যবসা রয়েছে। পরে জানা যায়, ওই মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।


শফিকুল ইসলামের স্ত্রীর নামে নাটোরে জান্নাতি প্যালেস নামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি কানাডায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক হিসাবেও রয়েছে অর্থ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে নামে-বেনামে সম্পদ রয়েছে।


এর বাইরে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আরও সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও ব্যবসায়ী নেতাদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল অর্থ-সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। বিএফআইইউ সেগুলো নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে তদন্ত করছে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চাওয়া হবে বলে জানা যায়।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ত্রাণের অপেক্ষায় বানভাসী মানুষ, খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য হাহাকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


কেউ বুক পানিতে, কেউ বা হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে  ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন একটু সাহায্যের আশায়। বানের তোড়ে জীবনের ঝুঁকিতে থাকা ঘরহারা বন্যার্তদের চোখে মুখে নিদারুণ আকুতি, শঙ্কা আর অজানা আতঙ্ক। 


হেলিকপ্টারে দুগর্ম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছে বিমান বাহিনী। ত্রাণের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।


দৃষ্টিসীমা যতদূর যায় তত দূরই বিস্তৃত ঢলের পানি। গ্রাম, লোকালয়, শহর, হাট-গঞ্জ আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। যে বাড়ির উঠান ভর্তি ছিল শিশুর হাসি, পরিবারের কর্মমুখরতা, যে ফসলি মাঠে ছিল কৃষকের সোনাঝরা ফসল সেখানে এখন হানা দিয়েছে থৈ থৈ পানি।



আকাশের ওপর থেকে দেখা যায় নীচে দাঁড়িয়ে সারি সারি অসহায় মুখগুলো। দুঃসহ আতঙ্কে কেউ হয়তো ঘুমায়নি গেল দু’ রাত। কারো ঘর ডুবেছে, কারো বা হারিয়েছে স্বজন। অভুক্ত শিশু নিয়ে কোনো মা হয়তো দাঁড়িয়ে আছেন বুক সমান পানিতে। সবারই অপেক্ষা যদি কেউ আসে। যদি মেলে দুমুঠো খাবার।


থৈ থৈ পানিতে যাওয়ার জায়গাও নেই মানুষের। ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, সোনাগাজী এলাকার সবখানেই থৈ থৈ পানি। ঢলের ঢেউ এসব মানুষের এক জীবনের সঞ্চয় কেড়ে নিয়েছে।


বাংলাদেশ বিমানবাহীনির পক্ষ থেকে দুগর্ম স্থানে দুগর্ত বানভাসিদের মাঝে বিভিন্ন স্থানে হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয় গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট)। ত্রাণ পেতে ছুটে আসে দুর্গত মানুষ। অসহায় মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রী এখনো অপর্যাপ্ত। 


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান হেলিকপ্টারে ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকেও দেওয়া হয় ত্রাণসামগ্রী।


আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জুলাই হত্যাকাণ্ডের পাল্টা বিচার চাইলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


সহিংস প্রতিবাদের ফলে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।


 আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারনোর পর এবারই প্রথম সরব হলেন তিনি। খবর আলজাজিরার।



শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন ঘটনার ধারাবাহিকতায় একপর্যায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাতের আন্দোলনে পরিণত হয়। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় মারা যায় তিন শতাধিক মানুষ।


মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শেখ হাসিনার এই লিখিত বিবৃতিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলার সময় গুলিতে একজন মুদি দোকানদার নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনার ভূমিকা নিয়ে আদালতের নির্দেশে তদন্তের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই বিবৃতি প্রকাশ হলো।


বিবৃতিতে ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা বলেন, জুলাই মাসে ‘বিপ্লবের নামে’ অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়। তিনি বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিষয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমি এবং সে অনুযায়ী অপরাধীদের চিহ্নিত করে যেন শাস্তি দেওয়া হয়।


ক্ষমতাচ্যুত এই নেত্রী তার সমর্থকদের আগামী বৃহস্পতিবার তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় জনসমাগম করার জন্যও আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ আগস্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে জাতীয় শোক দিবস পালনের আবেদন জানাচ্ছি।’


১৯৭৫ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে আততায়ীর হাতে নিহত শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবিার্ষিকী আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)। তার নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ওই দিনটিকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছিল।



শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকায় তার শৈশবের স্মৃতি বিজরিত স্থান ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও দোয়ার মাধ্যমে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় তার সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান। 


এই বাড়িটি তার বাবার স্মরণে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু এ মাসের শুরুর দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক কারণে ঘোষণা করা এদিনের ছুটিও গতকাল বাতিল করেছে।


শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলাটি শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতে গ্রহণ করা হয়েছে এবং পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


এই মামলায় আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং কয়েকজন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুদি দোকানদার আবু সাঈদ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিক্ষোভ চলার সময় রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে গত ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন। অভিযোগে শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করে বলা হয়, তিনি সংঘাত দমনে পুলিশকে কঠোর হতে ও গুলি করতে বলেছিলেন।


 আমির হামজা আবু সাঈদের আত্মীয় না হলেও আদালতে এই মামলা উত্থাপন করেন, কেননা সাঈদের পরিবারের মামলা চালানোর সঙ্গতি নেই।


এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আমির হামজা বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিবেকের তাড়নায় আমি শেখ হাসিনার অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই মামলা করেছি। আমি মামলার শেষ পর্যন্ত দেখব।’


শেখ হাসিনার সরকারে থাকা আরও কিছু লোকের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। পুলিশ জানিয়েছে, দুজন লোকের হত্যাকাণ্ডে প্ররোচণার দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে তার শাসনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জন্য অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।


অন্যদিকে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিলে তার মা দেশে ফিরে আসবেন।



আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যায় বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় যে সতর্কতা মানা উচিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘর-বাড়ি, পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া লাখো মানুষ জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে আশে-পাশের আশ্রয়কেন্দ্রে।বন্যার সময় পানিতে ডুবে যাওয়া, বিশুদ্ধ পানীয়সহ খাবার এবং নানা-ধরনের স্বাস্থ্য সংকটে পড়েন বন্যার্তরা। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দেয় বন্যা পরবর্তী সময়ে। সে সময়ে নানা ধরণের রোগ-বালাইসহ বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অনেক রকমের দূর্ভোগে পড়েন মানুষ।বিশেষ করে বন্যার সময় বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বন্যা পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

জেনে রাখতে হবে বন্যার আগে ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।

বন্যার আগে

বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ার আগেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সুইচবোর্ড, ইলেকট্রনিক ডিভাইস সব নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। পাশাপাশি বাড়ির বৈদ্যুতিক প্রধান সুইচ বন্ধ করে রাখা উচিত। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগে অবশ্যই ঘরের বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করে যাবেন। 

বন্যার পর

১. বন্যা পরবর্তী সময়ে ভেজা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন, এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে।

২. বাড়িতে পৌঁছেই মেইন সুইচ চালু করে দেওয়া উচিত নয়। সবকিছু ভালোমত পরীক্ষা করে তারপর বিদ্যুৎ চালু করা উচিত।

৩. বাড়িতে ফিরে ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক সুইচ ধরবেন না বা বিদ্যুতের কোন কাজ করবেন না।

৪. ভেজা মাটিতে খালি পায়ে বৈদ্যুতিক কোন কাজ করার চেষ্টা করবেন না। এতে করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

৫. সম্ভব হলে পুরো বাসা ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।৬. ইলেকট্রিশিয়ান বাসার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরাপদ বললে তারপর বাসায় বিদ্যুৎ চালু করা উচিত।

৭. যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ভিজে গেছে সেগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।  







আরও খবর



দেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান অপসারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


দেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। 


চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করবেন।


রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে৷



উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের বলা হয়, অপসারণ করা চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।


এর আগে গত ১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে।


একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।


এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।


 


 


 




আরও খবর

নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪