Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

লোকসান এড়াতে চুক্তিভিত্তিক ফার্মে ঝুঁকছেন ব্রয়লার খামারিরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বাজারে ব্রয়লার মুরগির দরপতন ঘটেছে। খামারিরা বাধ্য হচ্ছেন উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে মুরগি বিক্রি করতে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন এ খাতে বিনিয়োগকারী দেশের হাজার হাজার প্রান্তিক খামারি। তবে দুশ্চিন্তা নেই দেশীয় পোলট্রি শিল্পপ্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মসের চুক্তিভিত্তিক খামারিদের (কন্ট্রাক্ট ফার্মার)। তারা জানিয়েছেন, কোম্পানি কম দামে মুরগি বিক্রি করলেও উৎপাদন বাবদ আমরা ভালো মুনাফা পাচ্ছি। অন্যদিকে নিজস্ব বিনিয়োগে ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনকারী ময়মনসিংহের প্রান্তিক খামারিরা বলেছেন, ‘বাজারদর বেশি হলে ভালো লাভ করা যায়, কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে চলমান দরপতনে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে।’ ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকার খামারিরা জানান, নিজস্ব বিনিয়োগে খামার করতে স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে সব সময়ই চড়া দরে বাচ্চা, খাবার ও ওষুধ কিনতে হয়। তার ওপর ব্রয়লারের বাজারদর যেভাবে কমছে, তা চলতে থাকলে মুরগির খামার চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

জেলার দত্ত পাকুটিয়ার মো. সেলিম বলেন, ১৪ বছর ধরে ডিলারের সঙ্গে খামার চালাই। কখনো লাভ, কখনো লোকসান হয়েছে। তবে লোকসানের অঙ্কই বড়। এভাবেই চলছিল বছরের পর বছর। সবকিছুর দাম বাড়ায় এখন প্রতি কেজি মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪৪ টাকার ওপরে। গত কয়েক মাস ধরে খরচের চেয়েও কম দামে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ১১৮ টাকা দরে মুরগি বিক্রি করেছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে খামার বন্ধ করে দিনমজুরের কাজ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সব এলাকায় অনেক ক্ষুদ্র খামারি নিজস্ব বিনিয়োগ ছেড়ে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে (কন্ট্রাক্ট ফার্মিং) মুরগি উৎপাদন করছেন। এর মধ্যে কাজী ফার্মসের চুক্তিভিত্তিক খামারিদের মুরগির বাজারদরের পরিবর্তে উৎপাদন পরিমাপের ভিত্তিতে মুনাফা (গ্রোয়িং চার্জ) দেওয়া হয়। বাজারে ব্রয়লারের দাম যতই কমুক, কোম্পানি তার দায় বহন করে খামারিদের বেশি উৎপাদনে বেশি লাভ দেয়। ফলে দাম কমলেও লোকসানের কোনো ভয় নেই চুক্তিভিত্তিক খামারিদের।

ফুলবাড়িয়ার দশমাইল বাজারের নারী উদ্যোক্তা আফরোজা খাতুন। নিজস্ব বিনিয়োগের খামার ব্যবসা ছেড়ে দুই বছর ধরে কাজী ফার্মসের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মুরগি উৎপাদন করছেন তিনি। আফরোজা খাতুন বলেন, আগে নিজের বিনিয়োগে খামার করে অধিকাংশ সময় লোকসান হতো। স্বামীর টাকার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তবে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং শুরুর পর থেকে ৮০০ মুরগির খামারে যে ব্যাচে সবচেয়ে কম মুনাফা পেয়েছি, তাও ১৫ হাজার টাকা। জেলার অপর থানা ভালুকার ধলিয়া এলাকার তরুণ খামারি সাব্বির হোসেন জানান, লোকসান এড়িয়ে ঝুঁকিবিহীন খামার চালাতে সচেতন খামারিরা কোম্পানির সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে যুক্ত হচ্ছেন। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের এ শিক্ষার্থী বলেন, দুর্যোগ, মহামারি ও দরপতনের বাজারে খামারি হিসেবে নিজের সুরক্ষায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের চেয়ে উত্তম আর কিছু দেখছি না। কারণ কোম্পানি যে নীতিতে মুরগি উৎপাদন করায়, তাতে খামারিদের কখনোই লোকসানের দায় নিতে হয় না।

খামারের মুরগির ন্যায্য মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সাব্বির জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন ব্যয় হয় ১৪৪ টাকা। এর ওপর কৃষক, সরবরাহকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে বাজারদর নির্ধারণ করা জরুরি। চুক্তিভিত্তিক খামার পরিচালনা ব্যবসায় বিশেষজ্ঞ ও প্রাণিসম্পদ চিকিৎসক হাফিজুর রহমান বলেন, চুক্তিভিত্তিক পোলট্রি খামার ব্যবসায় ফিড কনভার্সন রেশিও (এফসিআর) পদ্ধতি খামারিদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। চুক্তিভিত্তিক খামারে কেবল মুরগির উৎপাদন বাড়াতেই নয়, বরং খামারে স্বাস্থ্যবিধির কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে মুরগির মাংসের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে। যেখানে উৎপাদক ও ভোক্তাদের স্বার্থকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ব্রয়লারের দাম কমে যাওয়ায় নিজস্ব বিনিয়োগের খামারিরা লোকসানে মুরগি বিক্রি করলেও কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ খামারিদের কোনো লোকসান নেই, বরং তারা উৎপাদন অনুযায়ী আকর্ষণীয় কমিশন পাচ্ছেন। মুরগির মানসম্মত বেশি উৎপাদন উৎসাহিত করতে কোম্পানি চুক্তিভিত্তিক খামারের জৈব-নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলতে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় খামারিরা কোম্পানির প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন।

অন্যদিকে ব্যক্তি বিনিয়োগের খামারে অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার মুরগির উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়’ বলে জানান এই পোলট্রি খাত বিশেষজ্ঞ। এ প্রসঙ্গে কাজী ফার্মসের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, ব্যক্তি বিনোয়োগের প্রান্তিক খামারিদের স্থানীয় ডিলারের কাছ থেকে মুরগির বাচ্চা, খাবার ও ওষুধ কিনতে হয়। ডিলাররা নিছক নিজস্ব স্বার্থ বিবেচনায় অযাচিতভাবে খামারিদের বেশি বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেন। এতে প্রান্তিক খামারির মুরগির উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক খামারিদের (কন্ট্রাক্ট ফার্মার) সরাসরি কোম্পানি থেকে সুস্থ বাচ্চা, উন্নতমানের খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এসব খামারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির সুযোগ না থাকায় বাড়তি ব্যয় নেই, ফলে আমাদের খামারিরা তুলনামূলক কম খরচে মুরগি উৎপাদন করতে পারেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। 


আরও খবর

বাফলার বিলে সাদা শাপলার সমারোহ

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আদর্শবান নেতাকে নির্বাচিত করে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ভোটাররা বা জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে দুর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, আরেক ফ্যাসিবাদকে ক্ষমতায় না বসিয়ে আদর্শবান ও আল্লাহভীরু নেতাকে ক্ষমতায় বসালে দেশ ও জনগণ ভালো থাকবে। আদর্শবান নেতা ক্ষমতায় এলে দলে চোর-ডাকাত, লুটপাটকারী, পাচারকারী থাকবে না, দেশের সম্পদও লুটপাট হবে না, পাচার হবে না। এ জন্য রাসূল সা. বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে ফাতেমা (রা.) চুরি করলেও আমি তার হাত কেটে দিবো।’ এমন আদর্শবান ও তাকওয়াবান নেতাকে নির্বাচিত করলে দেশে দুর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাত থাকবে না। 

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, অনেকেই ইসলাম পছন্দ করেন না, কারণ কী? মাত্র কয়েকটা টাকার জন্য লম্পট, ধর্ষক, খুনিদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আখের ভালো হবে না। বিগত সময়ে আপনাদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগের এক নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। ৯৮ হাজার কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত করে ১৯ কোটি মানুষকে দেড় লাখ টাকার ঋণী বানিয়ে গেছে ফ্যাসিবাদী সরকার। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে দেশকে আর্থিকভাবে শেষ করে দিয়েছে। এমন নজির পৃথিবীতে নেই। তিনি বলেন, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, খুনি, অর্থপাচারকারীদের ভোট দিবেন না।



আরও খবর



কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃষ্টি মহান আল্লাহর অপার রহমত। তিনি নিজেই একে নিজের রহমত বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তারা নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং স্বীয় রহমতকে ছড়িয়ে দেন। তিনিই অভিভাবক, প্রশংসিত।’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ২৮) পবিত্র কোরআনের এই আয়াত যেন বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে। কয়েক দিনের তীব্র গরমে নাকাল মানুষ যখন হতাশায় পড়ে গিয়েছিল, ঠিক তখনই মহান আল্লাহ তাঁর রহমতের বৃষ্টি ছড়িয়ে দিয়ে আবহাওয়া শীতল করে দিয়েছেন। প্রকৃতিকে সজীবতা দিয়েছেন। এভাবেই মহান আল্লাহ রহমতের বৃষ্টির মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেন। পশুপাখি ও উদ্ভিদকে বাঁচিয়ে রাখেন, তেমনি তিনি এই পানিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণও করেন। মহান আল্লাহ পানিকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আকাশে তুলে বৃষ্টিরূপে বর্ষণ করেন। যে পদ্ধতিকে আমরা পানিচক্র বলে থাকি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি বৃষ্টিসঞ্চারী বাতাস প্রেরণ করি, অতঃপর আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি। অতঃপর তা তোমাদের পান করতে দিই। তোমরা এর ভাণ্ডাররক্ষক নও।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ২২) পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে মহান আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষণের রহস্য উদঘাটন করেছেন। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তুমি কি দেখনি যে আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্তূপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্যে থেকে বৃষ্টির বের হয়। আর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন। তারপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছে আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছে তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৪৩) পবিত্র কোরআনের আয়াতগুলো দ্বারা বোঝা যায়, বৃষ্টি বর্ষণ ও মেঘ তৈরিতে বাতাসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। মহান আল্লাহ যদি এই বাতাস বন্ধ করে দেন, বা বাতাসের গতি পরিবর্তন করে দেন, তাহলে বৃষ্টিপাত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিজ্ঞানের মতেও বৃষ্টিপাতে বাতাসের ভূমিকা আছে। এ জন্যই বছরের সব সময় বৃষ্টি সমান হয় না। শীতকালে কম হয় এবং বর্ষাকালে বেশি হয়। শীতকালে উত্তর দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হয়। উত্তর দিক থেকে যে বাতাস আসে তাতে কোনো জলীয়বাষ্প থাকে না বিধায় ওই সময় বৃষ্টিপাত হয় না। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ দিক থেকে প্রবাহিত হয়, যার সঙ্গে সমুদ্র থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ভেসে আসে এবং তা দ্বারা প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বৃষ্টি এ সময় হয়। মহান আল্লাহর সৃষ্টির এই রহস্যগুলো যখন মানুষের কাছে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে, তখন মানুষ এগুলোকে কাজে লাগিয়ে এগুলো থেকে উপকৃত হতেও শুরু করেছে। এমনকি কয়েক দশক ধরে মানুষ কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতেও সক্ষম হয়েছে। কিছু দেশ উড়োজাহাজের মাধ্যমে মেঘের ওপর আয়োডাইডের ছোট ছোট কণা ছড়িয়ে দেয়, ফলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তা বৃষ্টিতে রূপান্তরিত হয়। যদিও এই পদ্ধতি কখনো কখনো বিপর্যয়ও নামাতে পারে। তারপরও বলতে হবে বাতাস, মেঘ ও বৃষ্টির এই রহস্য মানুষ অনেক দিন পর বুঝতে পারলেও মহান আল্লাহ দেড় হাজার বছর আগে পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে এর রহস্যের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। কোরআনের আরেকটি আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন। ফলে তা মেঘমালাকে (আকাশে) সঞ্চারিত করে। পরে তিনি মেঘমালা যেভাবে ইচ্ছে আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তা স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও, তার মধ্যে থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছে তা পৌঁছে দেন। তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সুরা : আর-রুম, আয়াত : ৪৮) অন্য আয়াতে বর্ণিত আছে, ‘তাঁর আরেকটি নিদর্শন হলো এই যে তুমি জমিনকে দেখতে পাও শুষ্ক-অনুর্বর, অতঃপর যখন আমি তার ওপর পানি বর্ষণ করি তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়। নিশ্চয়ই যিনি জমিনকে জীবিত করেন তিনি মৃতদেরও জীবিতকারী। নিশ্চয়ই তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (সুরা : হা-মিম সাজদা, আয়াত : ৩৯) এভাবেই মহান আল্লাহ তাঁর অসংখ্য নিদর্শনের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টিজগেক উপকৃত করেন এবং গোটা বিশ্বব্রহ্মা-কে তাঁর প্রবল শক্তির জানান দেন।


আরও খবর

যেসব কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ

মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪




সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানা এলাকায় কিশোর আব্দুল মোতালিব (১৪) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় এ রিমান্ড দেন আদালত। 

এদিন আরেক মামলায় সাতদিনের রিমান্ড শেষে মশিউর রহমানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম। তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৯শে সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা থেকে মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন ২০শে সেপ্টেম্বর তার ৭ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।


আরও খবর

জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




জিমেইল অ্যাকাউন্ট খালি করার টিপস

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : গুগল তাদের জিমেইল পরিষেবা ব্যবহারকীদের ১৫ জিবি স্পেস ফ্রি দেয়। যা দ্রুত ফুল হয়ে যায়। তখন জিমেইল ইনবক্সে নতুন করে ই-মেইল আসে না। এছাড়াও গুগল ড্রাইভে ছবি, ফাইল স্টোরেজ করা যায় না। স্টোরেজ পরিচালনা করা দক্ষ ই-মেইল যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। গুগল জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, গুগল ফটোজ জুড়ে সীমিত বিনামূল্যের সঞ্চয়স্থান অফার করলেও নিজেদের অ্যাকাউন্ট নিয়মিত পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্টোরেজ খালি করলে জিমেইল চালনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ই-মেইলগুলো ডিলিট করা, সংযুক্তিগুলো পরিচালনা করা এবং মূল্যবান সঞ্চয়স্থান পুনরুদ্ধার করতে গুগলের অন্তর্নির্মিত সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করাসহ জিমেইল অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার জন্য বেশ কয়েকটি কার্যকর উপায় রয়েছে।


জিমেইল অ্যাকাউন্ট খালি করার টিপস : 

অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল ডিলিট: আর প্রয়োজন নেই, এমন -ইমেইলগুলো ডিলিট দিয়ে শুরু করতে হবে। বড় বার্তা বা পুরনো থ্রেডগুলোতে মনোযোগ করতে হবে, যা আর কোনো উদ্দেশ্য পূরণ করে না। আকার বা সময় অনুসারে ই-মেইলগুলো খুঁজে পেতে এবং সেগুলোকে প্রচুর পরিমাণে ডিলিট করার জন্য জিমেইলের সার্চ ফাংশন ব্যবহার করতে হবে।

ট্র্যাশ এবং স্প্যাম ফোল্ডার খালি: মুছে ফেলা ই-মেইলগুলো ট্র্যাশ ফোল্ডারে সরানো হয়, যা এখনও ইউজারদের সঞ্চয়স্থান কোটার সঙ্গে গণনা করা হয়। নিজেদের ট্র্যাশ ফোল্ডারটি নিয়মিত খালি করতে হবে। এছাড়াও, অবাঞ্ছিত বার্তাগুলো স্থান দখল করছে কি না, তা নিশ্চিত করতে স্প্যাম ফোল্ডারটি খালি করতে হবে।

অ্যাটাচমেন্ট পরিচালনা: অ্যাটাচমেন্ট প্রায়ই উল্লেখযোগ্য স্থান গ্রহণ করে। বড় অ্যাটাচমেন্টসহ ই-মেইলগুলো শনাক্ত করতে সার্চ বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো পর্যালোচনা করতে হবে কিংবা ডিলিট করতে হবে। গুগল ড্রাইভে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাটাচমেন্ট সেভ এবং জিমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে সেগুলো সরানোর কথা বিবেচনা করতে হবে।

গুগলের স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার: গুগল স্টোরেজ পরিচালনার জন্য অন্তর্নির্মিত সরঞ্জাম সরবরাহ করে। কোন পরিষেবাগুলো সবচেয়ে বেশি জায়গা ব্যবহার করছে, তা দেখার জন্য গুগল ওয়ান স্টোরেজ ম্যানেজার (নিজেদের গুগল অ্যাকাউন্ট সেটিংসে উপলব্ধ) অ্যাক্সেস করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সেগুলো পরিচালনা করা প্রয়োজন।

পুরনো ই-মেইল স্টোরেজ: মুছে ফেলার পরিবর্তে, পুরনো ইমেলগুলোকে ইনবক্সে এলোমেলো না রেখে অ্যাক্সেসযোগ্য করতে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্টোরেজ করার সময় এটি একটি পরিষ্কার, আরও সংগঠিত ই-মেইল পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে।

অবাঞ্ছিত নিউজলেটার আনসাবস্ক্রাইব: নিয়মিত নিউজলেটার বা মেইলিং তালিকা আনসাবস্ক্রাইব করতে হবে। এটি ইনকামিং ইমেলের ভলিউম কমাবে এবং ভবিষ্যতে স্টোরেজ সমস্যা প্রতিরোধ করবে।

স্টোরেজ আপগ্রেড করার কথা বিবেচনা: কেউ যদি দেখেন যে, বিনামূল্যে পাওয়া যায়, তার তুলনায় আরও বেশি জায়গার প্রয়োজন, তাহলে তিনি একটি পেইড গুগল প্ল্যানে আপগ্রেড করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এটি সমস্ত গুগল পরিষেবা জুড়ে অতিরিক্ত স্টোরেজ প্রদান করে।


আরও খবর

গুগল ড্রাইভ খালি করার কৌশল

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তায় আসছে নতুন ফিচার

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত কয়েকশ কোটি ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান-প্রদান করছেন। আপনিও হয়তো প্রতিনিয়ত চ্যাট করছেন কারও না কারও সঙ্গে। ছবি, ভিডিও, ফাইল শেয়ার করছেন বন্ধুদের সঙ্গে। তবে এত এত চ্যাট করলেও কখনো হয়তো চ্যাট ব্যাকআপ নেননি। এতে পরবর্তিতে কোনো চ্যাট দেখতে চাইলে দেখতে পারেন না। এখন চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ নিতে পারবেন। এছাড়াও আইফোন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে এবার থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এবং ফিল্টার যোগ করতে পারবেন। ইউজারের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে মেসেজিং অ্যাপ। উচ্চস্তরের এনক্রিপশনের মাধ্যমে চ্যাটের ব্যাক আপ রাখতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। সবাই ঠিক মতো পারে না। এবার এই প্রক্রিয়াটিকেই সহজ করার কাজে হাত দিল হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন ফিচারের মাধ্যমে যে কেউ চ্যাটের ব্যাক আপ রাখতে পারবেন। এর জন্য প্রযুক্তি জ্ঞান না থাকলেও চলবে। ভুল হওয়ার ভয়ও থাকবে না। অনেকেই আবার পাসওয়ার্ড ভুলে যান। বারবার বদল করেন। তাদের জন্য ব্যাক আপ চ্যাটের পাসকি অপশন নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ। পাসকি বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি ফিচার ব্যবহার করে। ফলে পাসওয়ার্ড মনে রাখার দরকার পড়ে না। আইফোনে যেমন ফেস আইডি কিংবা অ্যানড্রয়েডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাক আপ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সাপোর্ট করে, তবে সেটা ইউজারকে ম্যানুয়ালি করতে হবে। সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যানড্রয়েড বিটা ভার্সন ২.২৪.১৮.১৩-এ পাসকি-এর মাধ্যমে ব্যাক আপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখার কাজ শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে টেক বিশেষজ্ঞরাও একমত। তবে এই ফিচারের উপর এখনও কাজ চলছে। জানা যায়, আগামী সপ্তাহে বিটা টেস্টারদের কাছে তা পাঠানো হবে। আশা করা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ব্যাক আপ সেটিংসে এই ফিচার থাকবে। ইউজাররা ম্যানুয়ালি চালু করতে পারবেন। পরিসংখ্যান বলছে, সব হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা চ্যাট ব্যাক আপ ব্যবহার করেন না। যারা গোপনীয়তা বজায় রাখতে এবং ব্যক্তিগত চ্যাট সংরক্ষণ করতে চান, তারাই তারা যে এনক্রিপশন আপগ্রেডকে দুই হাত তুলে স্বাগত জানাবেন তাতে সন্দেহ নেই। এখানেই শেষ নয়। আইফোন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে এবার থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এবং ফিল্টার যোগ করতে পারবেন। ইউজারের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে মেসেজিং অ্যাপ। এআর-এর মাধ্যমে কলিং অজ্ঞিতাও অন্য মাত্রায় পৌঁছাবে। একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ওয়াবেটাইনফো। তারা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে শিগগিরই এই ফিচার চালু হবে। নতুন ফিচার আইওএস বিটা সংস্করণ ২৪.১৫.১০.৭০-এ পরীক্ষা করা হচ্ছে। ওয়াবেটাইনফো আরও জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে ‘টাচ আপ’ এবং ‘লো লাইট’ নামে দুইটি মোড থাকবে। ইনস্টাগ্রামে যেমন ফেসিয়াল ফিল্টার থাকে, টাচ আপ কাজ করবে সেরকমভাবে। আর কম আলোতেও যাতে পরিস্কারভাবে মুখ দেখা যায়, তার জন্য থাকবে ‘লো লাইট’ মোড ফিচার।




আরও খবর

গুগল ড্রাইভ খালি করার কৌশল

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪