Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

কলাপাড়ায় সবুজ ও ন্যায্য রূপান্তরের দাবিতে জমায়েত

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩৫৩জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :  বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম এর সম্মেলনকে সামনে রেখে সবুজ ও ন্যায্য রূপান্তরের দাবিতে ১৬ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আন্দারমানিক নদীর তীরে এক জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি),উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন), প্রান্তজন, কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চ এবং আমরা কলাপাড়াবাসী যৌথভাবে এই জমায়েত আয়োজন করেছে।

কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য সচিব এবং কলাপাড়া পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস, এম, মোশারফ হোসেন মিন্টু, পরিবেশ কর্মী মেজবাহ উদ্দিন মাননু ,নেছারউদ্দিন আহমেদ টিপু, মিলন কর্মকার রাজু, জসীম পারভেজ, মো.নাহিদুল হক,আমরা কলাপাড়াবাসী এর প্রতিষ্ঠাতা আল ইমরান এবং বর্তমান সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ ।  এ সময় বক্তারা বলেন, চীনা ঋণের সকল চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।

চীনা ঋণের আওতায় জীবাশ্ম জ্বালানিতে সকল বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। বাস্তবায়িত প্রকল্পে পরিবেশ প্রতিবেশ মানবাধিকার শ্রমাধিকার রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত, নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

 বাংলাদেশে ২০৫০ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিনিয়োগ করতে হবে। তারা আরো বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে চীনের বেইজিংয়ে তৃতীয় সম্মেলন শুরু হবে, ১৯০টিরও বেশি দেশকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে এই সম্মেলনে।

 ২০১৬ সালে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্র্রকল্পে যোগ দেয় বাংলাদেশ। অনেকের ধারণা চীন এই প্র্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত এবং দরিদ্র দেশগুলোতে বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করে দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চায়। এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর। এছাড়াও লাওস, অ্যাংগোলা, জিবুতি, কেনিয়া, মালদ্বীপ,পাকিস্তান ইতোমধ্যে চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ে গিয়েছে।

এই প্র্রকল্পের অর্থায়নে যাতে বাংলাদেশকে কোনও ঋণের জালে জড়িয়ে না ফেলে সে দিকেও বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে। এই প্র্রকল্পের আওতায় বিশ্বজুড়ে দরিদ্র দেশগুলোর অবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন আধিপত্য বিস্তার করে চলছে।


আরও খবর



শেষ যুগে যেভাবে চলতে বলেছেন নবীজি (সা.)

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সময় যত কেয়ামতের দিকে ঘনিয়ে যাবে, ততই ফিতনা বেড়ে যাবে। ঈমান ও ইসলামের ওপর টিকে থাকা তখন সবার পক্ষে সহজ হবে না। এমন কঠিন সময়ে হাদিসের নির্দেশনা হলো- নিজেকে নেক আমলে ব্যস্ত রাখা এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরের পরিবেশে না যাওয়া। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর চলমান ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। (মুসলিম : ৭১৩৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ফিতনার সময় ঈমানদারের করণীয় হলো- সর্বদা চুপ থাকা। এত পরিমাণ চুপ থাকা, যার কারণে কোনো ফিতনা তাকে আকৃষ্ট করতে না পারে। (আল ফিতান : ৭৩৫)। হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে তাকাবে, ফিতনা তাকে ঘিরে ধরবে। তখন কেউ যদি কোনো আশ্রয়ের জায়গা কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন আত্মরক্ষা করে। (বোখারি : ৭০৮১)

এ ছাড়া আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। হুজাইফা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষের ওপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মতো। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩৬৪৪৭)

অর্থাৎ নদীতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি যেভাবে বাঁচার আকুতি নিয়ে দোয়া করতে থাকে, সেভাবে দোয়া করা। পাশাপাশি নিজের নজরের হেফাজত করা। ফিতনার বিষয় সম্পর্কে জানতেও বের না হওয়া। ফিতনার দিকে দৃষ্টি বা উঁকি না দেওয়া। সবসময় সৎ কাজ আঁকড়ে ধরা, অসৎ কাজ পরিহার করা, সর্বসাধারণকে এড়িয়ে মুত্তাকিদের সঙ্গে চলাফেরা করা এবং পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করা ফিতনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন ফিতনা তীব্র আকার ধারণ করবে, তখন তোমরা সৎ কাজকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে, তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারণকে এড়িয়ে চলবে। (আল ফিতান : ৭২১)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ফিতনার যুগে কেউ যদি জান্নাতের উপযুক্ত হতে চায়, তার জন্য বিশেষ তিনটি করণীয় রয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, সেসময় নাজাতের উপায় কী? তিনি বললেন, নিজের জিহ্বা আয়ত্তে রাখবে, নিজের ঘরে পড়ে থাকবে এবং নিজের পাপের জন্য রোদন করবে। (মিশকাত : ৪৮৩৭)

সর্বযুগের অন্যতম বড় ফিতনা হচ্ছে নারীর ফিতনা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো নারীর ওপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বারবার দৃষ্টিপাত করো না; বরং দৃষ্টি অতিসত্বর ফিরিয়ে নিও। কারণ তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়। (মুসনাদে আহমদ : ১৩৬৯)। নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, পুরুষের জন্য নারী জাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোনো ফিত?না আমি রেখে যাইনি। (বোখারি : ৫০৯৬)

এ উম্মতের আরো একটি বড় ফিতনা হচ্ছে- ধন-সম্পদের ফিতনা, যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে মানুষকে গাফেল রাখে। হজরত কাব ইবনে ইয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোনো না কোনো ফিতনা ছিল। আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ। (তিরমিজি : ২৩৩৬)

ফিতনার যুগে গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, যা না থাকলে যেকোনো সময় ফিতনা গ্রাস করে ফেলতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা আঁকড়ে ধরে থাকো, তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (আত-তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৪০)

দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে করণীয় : পাপ সবসময় বর্জনীয়। পাপের চূড়ান্ত শাস্তি আখেরাতে হলেও অনেক সময় দুনিয়াতেও আল্লাহতায়ালা শাস্তি দিয়ে থাকেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জাতির মধ্যে আত্মসাৎ বৃদ্ধি পেলে সে জাতির লোকদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করা হয়। কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। কোনো সম্প্রদায়ের লোকরা পরিমাপ ও ওজনে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করা হয়। কোনো জাতির লোকরা অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করলে তাদের মধ্যে রক্তপাত বিস্তৃতি লাভ করে। কোনো জাতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর শত্রুদল চাপিয়ে দেন।’ (মুয়াত্তা মালেক : ১৩২৩)

আল্লাহর দেওয়া দুনিয়াবি শাস্তির ধরন নানারকম হয়ে থাকে। কারো অসুস্থতার মাধ্যমে, কাউকে অসহায়ত্বের মাধ্যমে, কারো আবার ঈমান হরণের মাধ্যমে। গুনাহের প্রথম শাস্তি হলো মানসিক অস্থিরতা। এরপর নানা আপদে পতিত হতে হয় পাপিকে।

প্রথম শাস্তি মানসিক অশান্তি বড় এক আপদ। এই আপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তওবা ও নেক আমল। এ ছাড়া প্রশান্তির কোনো উপায় নেই। এ মহা নেয়ামত আল্লাহতায়ালা তার রাসুলকে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, আমি কি আপনার অন্তর প্রশান্ত করিনি? (সুরা ইনশিরাহ : ১)

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কঠিন ফিতনার দিনে ঈমান ঠিক রাখার তাওফিক দান করুন। দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ আমল করারও তাওফিক দিন। আমিন।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করলে মানুষ তার উচিত জবাব দেবে: কর্নেল অলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা নয়, সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ সুসম্পর্ক রাখতে চায়। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করলে মানুষ তার উচিত জবাব দেবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অলি আহমদ বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বন্ধ করতে ভারতের প্রতি আহ্বান রইলো। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে এটাই প্রত্যাশা করে বাংলাদেশের জনগণ। বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ভারতে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে ভারতের দালাল মন্তব্য করে কর্নেল অলি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনের সময়টুকু ছাড়া বাকিরা ভারতের দালাল ছিল। বর্তমানে ভারতের দালাল হিসেবে আমরা কাউকে কাজ করতে দেবো না। আমার ভারতের বিপক্ষে না, আমরা কোনো দেশের বিরুদ্ধে না, যারা আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তবে বেশি গুতাগুতি করলে কাউকে ছাড় দেব না। 


আরও খবর



আইরিশদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক: তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড নারী দল। আগের দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সুযোগ ছিলো আজ। তবে সেটি করতে ব্যর্থ হয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষে সফরকারীদের ১২৪ রানের টার্গেট দেয় টাইগ্রেসরা। জবাবে ১ বল আগেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আইরিশ নারীরা।

নির্ধারিত রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দুর্দান্ত সূচনা পায় সফরকারীরা। দুই ওপেনার হান্টার-লুইস মিলে গড়েন অর্ধশতক রানের উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৫৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে তাদের।

প্রথম উইকেট পতনের পর কিছুটা খেই হারায় আইরিশরা। দলীয় স্কোরবোর্ডে আর ১৫ রান যোগ করতেই একে একে বিদায় নেয় আরও ৩ ব্যাটার। তবে ম্যাচের শেষ ওভারের তৃতীয় থেকে পঞ্চম বলে টানা তিনটি চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন আইরিশ ব্যাটার লরা ডেলানি।

বাংলাদেশের পক্ষে ১০ রানের খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন রাবেয়া খান। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান নাহিদা আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শারমিন আক্তার ও শোভনা মোস্তারীর ৭১ রানের জুটিতে ভর করে ১২৩ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে শোভনার ব্যাটে।

আইরিশদের পক্ষে ১৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন অরলা প্রেন্ডারগাস্ট।


আরও খবর



অবৈধ উপায়ে নিয়োগ ও পদোন্নতি কুয়েটের ৫ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

খুলনা প্রতিনিধি : অবৈধ উপায়ে নিয়োগ ও পদোন্নতি পাওয়ায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের (কুয়েট) ৫ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। 

গতকাল সোমবার রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে এই আদেশ জারি হয়। সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষকগণ হলেন, মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের প্রফেসর ড. মাসরুরা মোস্তফা, আইইএম বিভাগের প্রফেসর ড. সুব্রত তলাপাত্র, বিইসিএম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইকরামুল হক, ইএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিবিড় মন্ডল এবং মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহরিয়ার রোমান। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে নিয়োগ এবং পদোন্নতি পাওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, বরখাস্তকৃত শিক্ষকরা নিয়মিত অফিসে হাজিরা দেওয়া ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যকোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।


আরও খবর



খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বাশার আল–আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, একজন সিনিয়র রুশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার মার্কিন সম্প্রচারক এনবিসিকে এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় অবস্থান করছে। মস্কো আসাদের অবস্থান সম্পর্কে এই প্রথম জনসাধারণকে জানাল। 

রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ মঙ্গলবার এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ‘বিদ্রোহীদের ত্বরিত অগ্রযাত্রার মুখে বাশার আল–আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এর আগে ক্রেমলিন প্রাথমিকভাবে আল-আসাদকে দেশে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মস্কো দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে।

রায়াবকভ রাশিয়ায় আল-আসাদ ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তার বিশদ বিবরণ দেননি। তিনি বলেন, ‘এখন তার সঙ্গে ঠিক কী ঘটছে তা আমি জানি না।

তিনি আরো বলেন, ‘কী ঘটেছে এবং কীভাবে এর সমাধান করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’

 

সমালোচকদের নিখোঁজ হওয়া এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করাসহ অভিযোগের কারণে বাশার আল–আসাদকে এখন বিচারের জন্য ফেরত দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ–সংক্রান্ত সনদের অংশীজন নয় রাশিয়া।’

সমালোচকদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করাসহ সিরিয়ায় গত রবিবার বাশার আল–আসাদের সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে ওই দিন ভোরের দিকে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি।

এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। বাবা হাফিজ আল-আসাদ ও ছেলে বাশার আল-আসাদ মিলে টানা ৫৩ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।
 

রাশিয়া সিরিয়ায় একটি নৌ ও বিমান ঘাঁটি এখনও নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, যদিও আল-আসাদের পতনের পর তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

গণতন্ত্রের দাবিতে ২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে বাশার আল-আসাদ সহিংসতার পথ বেছে নেন।

এর জেরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া অর্ধেক জনগণ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ বিদেশে আশ্রয় পেয়েছিল।


আরও খবর