Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

খুব দ্রুত নতুন কাজের খবর দেব: সাফা কবির

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: টানা কয়েক দিন বৃষ্টি। কখনো ঝুম, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি। আবার মাঝে নিচ্ছে অবসরও। এই বৃষ্টিতে স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত কাজে ঘটছে ব্যাঘাত। বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও যেন খানিকটা অবসর পেয়েছেন। কারণ প্রবল বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়েছে শুটিং। অনেকে বৃষ্টিভেজা ছবি দিয়ে জানান দিচ্ছেন দারুণ সময় কাটাচ্ছেন তারা। যেমন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাফা কবির বেশ কয়েকটি বৃষ্টিভেজা ছবি পোস্ট করেছেন তার ফেসবুক পেজে। খয়েরি কালো শাড়িতে বৃষ্টিভেজা ছবিগুলো দেখে তার ভক্তরাও বেশ উপভোগ করছেন। ছবির ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘অল্প অল্প মেঘ থেকে হালকা হালকা বৃষ্টি হয়। ছোট্ট ছোট্ট গল্প থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়।’ ছবি আর ক্যাপশন মিলিয়ে ভক্তরাও বেশ উচ্ছ্বসিত। তারা মন্তব্য করে প্রশংসা করছেন ছবিগুলোর। অনেকে আবার সাফা কবির প্রেমে পড়েছেন বলেও ধারণা করছেন। ছবির সূত্র ধরে কালের কণ্ঠ’র কথা হয় সাফা কবিরের সঙ্গে। বলেন, ‘বৃষ্টিতে আমার অনেক ভেজা হয়, কিন্তু কখনো বৃষ্টিতে ভিজে ছবি তোলা হয় না। আজকে দেওয়ার কারণে হয়তো সবাই আজকে দেখতে পারছেন। আসলে আমি যখন বাসায় থাকি এবং শুটিং না থাকে আর বৃষ্টি নামে তাহলে আমিও ভিজতে নেমে যাই। বৃষ্টির সঙ্গে কফি আমার ভীষণ প্রিয়।’ প্রকৃতির বৃষ্টির পাশাপাশি অভিনয়ের কারণে কৃত্রিম বৃষ্টিতেও ভিজেছেন এই নায়িকা। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই বলেন, ‘অভিনয় করতে গিয়ে অনেক বৃষ্টিতে ভিজেছি সত্যি। সেটা কৃত্রিম হলেও ভালো লাগে। বৃষ্টির সিকোয়েন্স হলেই আগ্রহ নিয়ে করি। তবে আরেকটা ঘটনা ঘটে, বৃষ্টিতে শুটিং করতে করতে আমার ঠাণ্ডা লেগে যায়। আর সৃষ্টিকর্তার বৃষ্টির তো তুলনা হয় না।’ সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনে সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেকোনো ন্যায়সংগত আন্দোলনে শিল্পী হিসেবে যতটুকু পাশে থাকা দরকার, ততটুকু সব সময়ই থাকব। এখন যে সরকার আছে তাদের কাছে প্রত্যাশাও আছে আমাদের। দেশটা যেন সুন্দর, আধুনিক, নিরাপদ হিসেবে সামনে এগিয়ে যায় সেই দিকটি যেন তারা দেখেন। দেশে কোনো বৈষম্য না থাকুক।’ বলে রাখা ভালো, শোবিজ অঙ্গনে সাফা কবিরের পথচলার সময়টা কয়েক বছরের। নিয়মিত কাজ করছেন। দীর্ঘ এই সময়ে অভিনেত্রীর সহকর্মী, বন্ধু অনেকেই বিয়ে করেছেন। কারো কারো সন্তানও রয়েছে। তবে সাফা এখনো ব্যাচেলর জীবনই পার করছেন। বিয়ে প্রসঙ্গে বলেন, ‘সবার জানতে চাওয়ার আগ্রহ দেখে আমার ভালোই লাগে। এটা আগ্রহ হিসেবে থাকুক। যখন হবে তখন সবাইকে জানিয়েই করব।’ কথা শেষ করার আগে আগে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব দ্রুত নতুন কাজের খবর দেব। কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে শুধু।’সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনে সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেকোনো ন্যায়সংগত আন্দোলনে শিল্পী হিসেবে যতটুকু পাশে থাকা দরকার, ততটুকু সব সময়ই থাকব। এখন যে সরকার আছে তাদের কাছে প্রত্যাশাও আছে আমাদের। দেশটা যেন সুন্দর, আধুনিক, নিরাপদ হিসেবে সামনে এগিয়ে যায় সেই দিকটি যেন তারা দেখেন। দেশে কোনো বৈষম্য না থাকুক।’ বলে রাখা ভালো, শোবিজ অঙ্গনে সাফা কবিরের পথচলার সময়টা কয়েক বছরের। নিয়মিত কাজ করছেন। দীর্ঘ এই সময়ে অভিনেত্রীর সহকর্মী, বন্ধু অনেকেই বিয়ে করেছেন। কারো কারো সন্তানও রয়েছে। তবে সাফা এখনো ব্যাচেলর জীবনই পার করছেন। বিয়ে প্রসঙ্গে বলেন, ‘সবার জানতে চাওয়ার আগ্রহ দেখে আমার ভালোই লাগে। এটা আগ্রহ হিসেবে থাকুক। যখন হবে তখন সবাইকে জানিয়েই করব।’ কথা শেষ করার আগে আগে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব দ্রুত নতুন কাজের খবর দেব। কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে শুধু।’


আরও খবর

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ফ্লপ চঞ্চলের ‘পদাতিক’

শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪




এবার দুরন্ত ফিচার্সের বৈদ্যুতিক বাইক আনছে বিএমডব্লিউ

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল গাড়ি সংস্থা বিএমডব্লিউ। চার চাকার পাশাপাশি দুই চাকার যান বাজারে এনেছে সংস্থা। সবশেষ বৈদ্যুতিক স্কুটার এনেছে সংস্থা। এবার নতুন বাইক বাজারে আনছে তারা। অসংখ্য ফিচারের সুবিধা পাবেন এই বাইকে। সংস্থার নতুন বাইক হচ্ছে বিএমডাব্লিউ এফ ৯০০ জিএস। দুটি মডেল আসছে এই বাইকের। আরেকটি মডেল হচ্ছে বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস অ্যাডভেঞ্চার। বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস এবং বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস অ্যাডভেঞ্চার উভয়ই একটি ৮৯৫ সিসির টু-ইন সিলিন্ডার লাইন ইঞ্জিন রয়েছে। এই ইঞ্জিনটি ৮৫০০ আরপিএমে ১০৩ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন করে। অন্যদিকে ৬৭৫০ আরপিএমে এই বাইকে ৯৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনের পাশাপাশি এই বাইকে রাখা হয়েছে একটি ৬ স্পিডের ইউনিট গিয়ার বক্স। স্ট্যান্ডার্ড এফ ৯০০ জিএস অফ-রোড রাইডিংয়ের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যেখানে থাকবে নূন্যতম র্যালি-স্টাইল বডিওয়ার্ক এবং ২২৬ কেজি ওজনের কার্ব ও একটি ছোট ১৪.৫ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক। অন্যদিকে অ্যাডভেঞ্চার মডেলে একটি বড় ২৩ লিটারের জ্বালানি ট্যাঙ্ক এবং বড় আসন পাবেন। উভয় মডেলই বিএমডব্লিউর স্ট্যান্ডার্ড ফিচারের সঙ্গে সজ্জিত, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক রাইডিং এবং পাওয়ার মোড, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, এবিএস, একটি দ্বি-দিকনির্দেশক কুইক শিফটার এবং একটি ৬.৫ ইঞ্চির টিএফটি টাচস্ক্রিন থাকছে, যা কেবল বাইক সম্পর্কিত সব তথ্যই দেবে না বরং নেভিগেশনের ফিচার্সও দেবে। এই অত্যাধুনিক জিএস মডেল দুটি স্ট্যান্ডার্ড রাইডিং মোড রেইন ও রোড সহ আনা হয়েছে। এর সঙ্গে বাইকটিতে ডায়নামিক ট্রাকশন কন্ট্রোল এবং একটি ডায়নামিক ব্রেক লাইটও লাগানো হয়েছে। বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস সাও পাওলো ইয়েলো এবং একটি স্পোর্টি জিএস ট্রফি ভ্যারিয়ান্ট অফ হোয়াইট ও রেসিং ব্লু মেটাল এই তিন রঙে বাজারে আসে। আর অন্যদিকে জিএস অ্যাডভেঞ্চার ভ্যারিয়ান্টটি ব্ল্যাক স্টর্ম এবং হোয়াইট অ্যালুমিনিয়াম ম্যাট কালারের সঙ্গে বাজারে আসে। বর্তমানে বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএসএর এক্স শোরুম দাম ভারতে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার রুপি। বিএমডব্লিউ এফ ৯০০ জিএস অ্যাডভেঞ্চারের এক্স শোরুম দাম ১৪ লাখ ৭৫ হাজার রুপি।


আরও খবর

গুগল ড্রাইভ খালি করার কৌশল

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




তাসবিহে ফাতেমি পাঠের ফজিলত

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল তাসবিহে ফাতেমি, যা মুমিনরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে করে থাকে। তাসবিহে ফাতেমি হলো বিশেষ কিছু জিকির, যা নবীজি (সা.) তাঁর কলিজার টুকরা কন্যাকে শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, আলী (রা.) বলেন, একবার ফাতিমা (রা.) জাঁতা ব্যবহারে তাঁর হাতে যে কষ্ট পেতেন তার অভিযোগ নিয়ে নবী (সা.)-এর কাছে এলেন। কেননা তাঁর কাছে নবী (সা.)-এর নিকট কিছু দাস আসার খবর পৌঁছে ছিল। কিন্তু তিনি নবী (সা.)-কে পেলেন না। তিনি তাঁর অভিযোগ আম্মাজান আয়েশার কাছে বলেন। নবী (সা.) ঘরে এলে আয়েশা (রা.) বিষয়টি তাঁকে জানালেন। আলী (রা.) বলেন, রাতে আমরা যখন শুয়ে পড়েছিলাম, তখন তিনি (নবীজি) আমাদের কাছে এলেন। আমরা উঠতে চাইলাম, কিন্তু তিনি বলেন, তোমরা উভয়ে নিজ স্থানে থাকো। তিনি এসে আমার ও ফাতিমার মাঝখানে বসলেন। এমনকি আমি আমার পেটে তাঁর দুই পায়ের শীতলতা উপলব্ধি করলাম। তারপর তিনি বললেন, তোমরা যা চেয়েছ তার চেয়ে কল্যাণকর বিষয় সম্পর্কে তোমাদের কি জানাবো না? তোমরা যখন তোমাদের শয্যাস্থানে যাবে, অথবা বললেন, তোমরা যখন তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ’, তেত্রিশবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং চৌত্রিশবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে। এটা খাদেম অপেক্ষা তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৬১) সুবহানাল্লাহ, এই বিশেষ জিকিরগুলো, বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে করার নির্দেশনা হাদিসে পাওয়া যায়, প্রতিটিতেই এই আমলটির বিশেষ ফজিলত আছে। যেমন প্রতি নামাজের পর এই আমল করলে সাগরের ফেনা পরিমাণ গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্ত নামাজের শেষে তেত্রিশবার আল্লাহর তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) বা পবিত্রতা বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার আল্লাহর তামহিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বা আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং তেত্রিশবার তাকবির বা আল্লাহর মহত্ত্ব (আল্লাহু আকবার) বর্ণনা করবে আর এভাবে নিরানব্বইবার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারিকা লাহু লাহুল মুল্‌কু ওয়ালাহুল হাম্‌দু ওয়াহুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়িন্‌ ক্বদির’ অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক ও তাঁর কোনো অংশীদার নেই। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তিনিই। সব প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি সব কিছু করতে সক্ষম-তার গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (মুসলিম, হাদিস : ১২৩৯) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, কাব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এমন কতগুলো তাসবিহ রয়েছে যার পাঠকারী তার সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে না। প্রত্যেক সালাতের পর সে সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবর ৩৪ বার বলবে। (নাসায়ি, হাদিস : ১৩৪৯) মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই আমলের ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনকারী কয়েকজন মুসলিম মনীষী
১. আলী ইবনে আবি তালিব (রা.), রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে সর্বপ্রথম হাতেব ইবনে বালতায়া (রা.)-এর দাসীর ওপর নজরদারি করার জন্য নিয়োগ দেন। পরবর্তী তিন খলিফার সময়ও তিনি মদিনার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
২. কায়েস ইবনে সাদ ইবনে উবাদা (রা.), রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সময় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন।
৩. খারিজা বিন হুজাফা আস-সাহমি (রা.), মিসরের গভর্নর আমর ইবনুল আস (রা.) তাঁকে মিসরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দেন।
৪. মুসআব ইবনে আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.), মারওয়ান ইবনে হাকাম তাকে মদিনার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।
৫. জাহহাক ইবনে কায়েস, মুয়াবিয়া (রা.)-এর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অন্যতম ছিলেন।
৬. আমর ইবনে সায়িদ, উসমান (রা.) তাঁকে কুফার গভর্নর ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।
৭. বিলাল ইবনে আবি বুরদা বিন মুসা আশআরি (রা.), খলিফা হিশাম ইবনে আবদুল মালিকের সময় তিনি ইরাকের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এক রাতে নিহত ৬৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ইসরায়েলের সেনা বাহিনীর অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক রাতে নিহত হয়েছেন ৬৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ঘটেছে নিহত এবং আহতের এসব ঘটনা।

ফিলিস্তিনের বেতার সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব প্যালেস্টাইন এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের গণসংযোগ দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর অভিযান। গাজার খান ইউনিস ও তার আশপাশের এলাকায় ৪০ জন কে হত্যা এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে আহত করার পর উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটির দিকে অগ্রসর হয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তাদের অভিযানে নিহত হয় আরও ২২ জন।

এছাড়া ফিলিস্তিনের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির নুসেইরাতের একটি স্কুলে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়েছে ইসরয়েলি সেনারা। সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন আরও ৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন। ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্য, নুসেইরাতের এই স্কুলটি কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করাছিল হামাস।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধার করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে।

বুধবার যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের সংখ্যা হিসেবে ধরে এক বিবৃতিতে গাজার বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গত প্রায় এক বছরের অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হাজার ৬৮৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৬২৫ জন।


আরও খবর



শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সমর্থন জানিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সমাবেশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।তাদের প্রত্যাশা, রাষ্ট্র সংস্কার করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার’ করার দাবিও জানান বিএনপি নেতারা।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য গিয়াস আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন, অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসকে ফ্লোরিডা থেকে অভিনন্দন  জানাতে আসেন ফ্লোরিডা স্টেট বিএনপির সভাপতি ও  মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইমরানুল হক চাকলাদার, সেলিম রেজা প্রমুখ।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পোর্ডিয়ামে দাঁড়িয়ে যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভাষণ দিচ্ছেন তখন সদর দপ্তরের বাইরে তার সমর্থনে সমাবেশ করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা ড. ইউনূসের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। দেশের তরুণ সমাজকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের হাত থেকে বাংলাদেশ বাঁচানোর জন্য ডক্টর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান তারা।


আরও খবর

আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃষ্টি মহান আল্লাহর অপার রহমত। তিনি নিজেই একে নিজের রহমত বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তারা নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং স্বীয় রহমতকে ছড়িয়ে দেন। তিনিই অভিভাবক, প্রশংসিত।’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ২৮) পবিত্র কোরআনের এই আয়াত যেন বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে। কয়েক দিনের তীব্র গরমে নাকাল মানুষ যখন হতাশায় পড়ে গিয়েছিল, ঠিক তখনই মহান আল্লাহ তাঁর রহমতের বৃষ্টি ছড়িয়ে দিয়ে আবহাওয়া শীতল করে দিয়েছেন। প্রকৃতিকে সজীবতা দিয়েছেন। এভাবেই মহান আল্লাহ রহমতের বৃষ্টির মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেন। পশুপাখি ও উদ্ভিদকে বাঁচিয়ে রাখেন, তেমনি তিনি এই পানিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণও করেন। মহান আল্লাহ পানিকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আকাশে তুলে বৃষ্টিরূপে বর্ষণ করেন। যে পদ্ধতিকে আমরা পানিচক্র বলে থাকি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি বৃষ্টিসঞ্চারী বাতাস প্রেরণ করি, অতঃপর আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি। অতঃপর তা তোমাদের পান করতে দিই। তোমরা এর ভাণ্ডাররক্ষক নও।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ২২) পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে মহান আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষণের রহস্য উদঘাটন করেছেন। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তুমি কি দেখনি যে আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্তূপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্যে থেকে বৃষ্টির বের হয়। আর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন। তারপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছে আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছে তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৪৩) পবিত্র কোরআনের আয়াতগুলো দ্বারা বোঝা যায়, বৃষ্টি বর্ষণ ও মেঘ তৈরিতে বাতাসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। মহান আল্লাহ যদি এই বাতাস বন্ধ করে দেন, বা বাতাসের গতি পরিবর্তন করে দেন, তাহলে বৃষ্টিপাত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিজ্ঞানের মতেও বৃষ্টিপাতে বাতাসের ভূমিকা আছে। এ জন্যই বছরের সব সময় বৃষ্টি সমান হয় না। শীতকালে কম হয় এবং বর্ষাকালে বেশি হয়। শীতকালে উত্তর দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হয়। উত্তর দিক থেকে যে বাতাস আসে তাতে কোনো জলীয়বাষ্প থাকে না বিধায় ওই সময় বৃষ্টিপাত হয় না। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ দিক থেকে প্রবাহিত হয়, যার সঙ্গে সমুদ্র থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ভেসে আসে এবং তা দ্বারা প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বৃষ্টি এ সময় হয়। মহান আল্লাহর সৃষ্টির এই রহস্যগুলো যখন মানুষের কাছে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে, তখন মানুষ এগুলোকে কাজে লাগিয়ে এগুলো থেকে উপকৃত হতেও শুরু করেছে। এমনকি কয়েক দশক ধরে মানুষ কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতেও সক্ষম হয়েছে। কিছু দেশ উড়োজাহাজের মাধ্যমে মেঘের ওপর আয়োডাইডের ছোট ছোট কণা ছড়িয়ে দেয়, ফলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তা বৃষ্টিতে রূপান্তরিত হয়। যদিও এই পদ্ধতি কখনো কখনো বিপর্যয়ও নামাতে পারে। তারপরও বলতে হবে বাতাস, মেঘ ও বৃষ্টির এই রহস্য মানুষ অনেক দিন পর বুঝতে পারলেও মহান আল্লাহ দেড় হাজার বছর আগে পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে এর রহস্যের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। কোরআনের আরেকটি আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন। ফলে তা মেঘমালাকে (আকাশে) সঞ্চারিত করে। পরে তিনি মেঘমালা যেভাবে ইচ্ছে আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তা স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও, তার মধ্যে থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছে তা পৌঁছে দেন। তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সুরা : আর-রুম, আয়াত : ৪৮) অন্য আয়াতে বর্ণিত আছে, ‘তাঁর আরেকটি নিদর্শন হলো এই যে তুমি জমিনকে দেখতে পাও শুষ্ক-অনুর্বর, অতঃপর যখন আমি তার ওপর পানি বর্ষণ করি তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়। নিশ্চয়ই যিনি জমিনকে জীবিত করেন তিনি মৃতদেরও জীবিতকারী। নিশ্চয়ই তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (সুরা : হা-মিম সাজদা, আয়াত : ৩৯) এভাবেই মহান আল্লাহ তাঁর অসংখ্য নিদর্শনের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টিজগেক উপকৃত করেন এবং গোটা বিশ্বব্রহ্মা-কে তাঁর প্রবল শক্তির জানান দেন।


আরও খবর

যেসব কাজ ইসলামে নিষিদ্ধ

মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪