Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

কানপুরে মারধরের শিকার ‘টাইগার রবি’কে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : কানপুরে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করা ‘টাইগার রবি’কে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। চিকিৎসা ভিসায় ভারতে গিয়ে নাকি কানপুরে টেস্ট দেখতে গেছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রবিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এখন তাকে হেফাজতে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের উদ্যোগেই দিল্লি হয়ে রবি ফিরবেন ঢাকায়। চেন্নাইয়ে চিকিৎসা ভিসায় গিয়ে ম্যাচ দেখতে যাওয়ায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে পাঁচ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। রবিকে মারা হয়েছে কিনা, সেটাই এক বিতর্কের বিষয়। শুক্রবার রবি কিল-ঘুষি খেয়েছেন বলে দাবি করার পর ভারতীয় প্রশাসন তা উড়িয়ে দেয়। ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রবির দাবি উড়িয়ে দেয়ার পর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে এই বলে যে, রবিকে মারা হয়নি। অসুস্থ বলে কয়েকবার মূর্ছা যান তিনি। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে নিকটস্থ এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল থেকেই শুক্রবার লাইভে এসে ঘটনার বর্ণনা দেন এই বাংলাদেশি। গণমাধ্যমের খবরকে মিথ্যা প্রচারণা বলে উল্লেখ করেন রবি। তিনি বলেন, প্রিয় বন্ধুরা। আপনারা দেখেছেন মিডিয়া ইতিমধ্যে আমার নামে মিথ্যা প্রচারণা করেছে। আমি কাল রাত থেকে ঘুমাইনি। মাঠে গিয়েছিলাম। দুই তলা থেকে আমি ৬ নম্বর গেটের পিচের নিচে আসি। তখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সেই সময় পিঠে দুই তিনটা ঘুষি মারে। বিশ্বাস না হলে ডেইলি ক্রিকেটের মিলন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন, উনি ছিলেন। পরে আমার কাছে (ভারতীয় ওই সমর্থক) ক্ষমা চায়।’ ওই লাইভেই নিজেকে সুস্থ দাবি করেন রবি, চান দোয়াও। তিনি জানান, আমাকে পেছন থেকে আঘাত করা হয়। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। এখন সুস্থ আছি। আপনাদের জন্য দোয়া করি। আমার জন্যও দোয়া করবেন।


আরও খবর



আমানতের খেয়ানত করলে কী হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: মুসলমানদের একে অপরের বিশ্বস্ত হতে হবে- রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই অসত্য এবং অন্যায়ের স্থান থাকতে পারে না। একজন মানুষ অপর মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণামূলক আচরণ করবে না এটি ইসলামি সমাজের কাক্সিক্ষত ও কাম্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন : ‘যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সঙ্গে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।’ (-সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য। (-আবু দাউদ ও তিরমিজি)। সততা হলো মানবজীবনের প্রধান মূলধন। যারা এ সম্পদে সমৃদ্ধ তারা সমাজের সবার আস্থার পাত্র।

যে কারণে ইসলাম ব্যক্তিগত সততাকে গুরুত্ব দিয়েছে। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আমানতের খেয়ানতকারীকে হাজির করে বলা হবে- ‘তোমার কাছে গচ্ছিত আমানত ফিরিয়ে দাও। সে জবাব দেবে, ইয়া পরওয়ারদেগার! কীভাবে তা ফিরিয়ে দেব? পৃথিবী তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা জিনিসটি যেভাবে রাখা হয়েছিল ঠিক অনুরূপ আকারে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাকে দেখানো হবে। অনন্তর তাকে বলা হবে- যাও, ওখানে নেমে ওটা তুলে আন। অতঃপর সে নেমে গিয়ে সেটি কাঁধে বয়ে নিয়ে আসবে। তার কাছে জিনিসটির ওজন পৃথিবীর সব পর্বত অপেক্ষা বেশি মনে হবে। তার ধারণা হবে, তুলে আনলেই সে দোজখের আগুন থেকে নাজাত পাবে। কিন্তু সে যখন জাহান্নামের শেষ প্রান্তে চলে আসবে, অমনি ওই জিনিসটি নিয়ে পুনরায় জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে যাবে। এভাবে সে চিরকালই জাহান্নামে থাকবে। অনন্তর হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘নামাজ, অজু, গোসল, পরিমাপ ও পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা সবই আমানতের শামিল, আর কারও রক্ষিত জিনিস সর্বাপেক্ষা বড় আমানত। প্রত্যেক মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি যেমন বিশ্বস্ত হতে হবে তেমন আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালনেও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।’ (-সুরা আনফাল-২৭)। এ আয়াতের শানে নজুল সম্পর্কে ইমাম ওয়াহেদি (রহ.) বলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু লুবাবা (রা.) এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসলমানগণ যখন বনু কুরায়যাকে অবরোধ করে রেখেছিলেন, আর বনু কুরায়যার মহল্লায় লুবাবার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা অবস্থান করছিল।

রসুল (সা.) তখন কোনো এক বিশেষ প্রয়োজনে আবু লুবাবা (রা.)-কে বনু কুরায়যার কাছে পাঠালেন। কুরায়যা গোত্রের লোকেরা জানতে চাইল : আবু লুবাবা! সা’দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যদি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসি, তাতে আমাদের কী পরিণতি হবে বলে তুমি মনে কর?’ আবু লুবাবা (রা.) আপন গলার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চাইলেন, তোমাদের সবার গলা কেটে ফেলা হবে, কাজেই তোমরা তা করতে যেও না। তার এ আচরণ ছিল আল্লাহ ও রসুলের খেয়ানতের পর্যায়ভুক্ত। আবু লুবাবা (রা.) নিজেই স্বীকারোক্তি করেন, ‘আমি পা স্থানচ্যুত করার পূর্বেই বুঝতে সক্ষম হলাম, আমি আল্লাহ ও তার রসুলের খেয়ানত করে ফেলেছি।’ (এরপর হজরত আবু লুবাবা (রা.) দীর্ঘ ছয় দিন মসজিদে নববীর একটি কাঠের খামের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখেন এবং তওবা মঞ্জুর হওয়ার ঘোষণা আসার পরই তিনি বাঁধনমুক্ত হন।) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।’ অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না। হজরত কালবি (রা.) বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের অবাধ্যচারিতাই হচ্ছে খেয়ানত। আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের ব্যাপারে প্রত্যেকেই আমানতদার। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোনাফেকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কিছু গচ্ছিত রাখা হয়, তখন তা খেয়ানত করে। (-বোখারি ও মুসলিম)। আহমাদ, বাযযার ও তাবারানির বর্ণনায় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তার ভিতর দীন নেই। সব ব্যাপারেই খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা দোষণীয়। তবে একটা অন্যটা অপেক্ষা বেশি দোষণীয় হতে পারে। যে লোক ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করল, আর যে কারও অর্থ-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা বা আরও বড় কোনো অপরাধ করল, তারা উভয়ে সমান নয়।


আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




নিম্ন আয়ের পেশাজীবী ও স্কুলছাত্রদের জন্যঋণের তহবিল ২৫০ কোটি টাকা বাড়ল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: কম আয়ের প্রান্তিক ও ভূমিকহীন কৃষক, নারী, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী ও স্কুলছাত্রদের জন্য কম সুদহার ও সহজ শর্তের ঋণের তহবিল ২৫০ কোটি টাকা বাড়ল। আগে এ তহবিলের পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি টাকা। এ তহবিলের পরিমাণ দাঁড়াল ৭৫০ কোটি টাকা। এসব ঋণ ২০২৪ সালের প্রাকৃতিক দুর্যোগে (বন্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত মোট ২৭টি জেলাসহ অন্যান্য বন্যাদুর্গত এলাকার জনগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতরণ করতে হবে। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়। এ স্কিমের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ২০২৪ সালের প্রাকৃতিক দুর্যোগে (বন্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত মোট ২৭টি জেলাসহ অন্যান্য বন্যাদুর্গত এলাকার জনগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ সুবিধা প্রদান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা নারীদের জন্য ব্যাংক ঋণের সহজলভ্যতার পথ সুগম রাখা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ করার প্রয়োজন পরিলক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়া দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আয় উৎসারী কর্মকা-ে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে চলমান রাখতে এ তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৭৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হলো। জেলাগুলো হলো, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নেত্রকোনা, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ বাৎসরিক ৭ শতাংশ। এ ঋণের জন্য কোনো জামানত দিতে হবে না। তবে দুজন গ্যারান্টার থাকতে হবে। শুধু ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারীরা এই ঋণ নিতে পারবেন। আর ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ তিন বছর। ঋণের গ্রেস প্রিয়ড ৬ মাস। 


আরও খবর



নিত্যপণ্যের দাম নাগালে আনতে ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরে ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে চাল ও গম আমদানির জন্য ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং খাদ্য ভর্তুকির তিনটি প্রোগ্রামের জন্য ৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।  

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এ সময়ে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের বিষয়ে জাতিকে জানাতে এই ভাষণ দিচ্ছেন তিনি।  

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার লুটপাট করার জন্য নতুন করে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছেড়েছে। যার কারণে মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছে দেশের মানুষ। এই অতুলনীয় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পলিসি সুদের হার বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।



আরও খবর



পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গঠিত কমিটি বাতিল

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত ১০ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে প্রধান করে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান, সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান। আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল।

এই কমিটিতে থাকা এক শিক্ষা গবেষক ও ঢাবির দুই অধ্যাপককে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা শুরু হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ পালিত হয়। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন-ও এই কমিটির বিষয়ে আপত্তি তোলে।

এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান শায়খ আহমাদুল্লাহ। এরপর আজ শনিবার পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিলের কথা জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তান সিরিজের পর ছিলেন না দলের সঙ্গে। সাকিব আল হাসান টেস্ট সিরিজের পরেই উড়াল দেন ইংল্যান্ডে। কাউন্টি ক্রিকেটে সারের হয়ে খেলা ম্যাচে বল হাতে ভালো করেছেন। তবে ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচটা বাঁচাতে পারেননি এই বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। সেই ম্যাচ শেষেই অবশ্য যোগ দেয়ার কথা ছিল ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে। তবে পুরো দল ভারতে থাকলেও গতকাল পর্যন্ত দলের সঙ্গে অনুশীলনে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছিল সাকিব কোথায়? কবে যোগ দিবেন দলের সঙ্গে। তবে, দিন পেরিয়ে এলো স্বস্তির খবর। কয়েকদিনের অপেক্ষার পর চেন্নাইয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন টাইগার অলারাউন্ডার।

গতকাল মঙ্গলবার রাতেই টেস্ট দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের সঙ্গে থাকা টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। সবকিছু ঠিক থাকলে আজকের অনুশীলনে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে নামবেন সাকিব। যদিও সাকিবের ভ্রমণক্লান্তি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন থেকেই যায়। 

সাম্প্রতিক সময়টা কিছুটা কঠিনই যাচ্ছে সাকিবের জন্য। বিশেষ করে ব্যাট হাতে বড় রকমের দুঃসময় পার করছেন টাইগার ক্রিকেটের এই অলরাউন্ডার। তার ব্যাটে রানের দেখা নেই অনেকটা দিন ধরেই। যদিও বল হাতে দলের জন্য এখনো বিশ্বস্ত নাম তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে নিজের বোলিং নৈপুণ্য দিয়েই প্রথম টেস্টে দলকে টেনে নিয়েছিলেন জয়ের কাছাকাছি। আবার দ্বিতীয় টেস্টে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের জয়সূচক রানও আসে তার ব্যাট থেকেই। 


আরও খবর