Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক বোয়ালমারীতে ভুল নকশায় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কারের দাবিতে গণ-চিৎকার সাউথখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ এর উদ্বোধন গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশুলিয়ায় গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় কমিটি ঘোষণা

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত প্রায় ৬২ হাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় হালনাগাদ করা হলো প্রাণহানির সংখ্যা। এখনও নিখোঁজ রয়েছে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। সেই হিসাবে, প্রাণহানির শঙ্কা ৬১ হাজার ৭০৯ জন ফিলিস্তিনির। খবর আল জাজিরার।

নিহতের তালিকায় প্রায় ১৮ হাজারই শিশু। ইসরায়েলি বর্বরতায় আহত হয়েছে কমপক্ষে এক লাখ ১২ হাজার ফিলিস্তিনি।

গাজা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭৬ শতাংশ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে ১৪ হাজারের বেশি মরদেহ। যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা হালনাগাদ করে মৃতদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। গাজা উপত্যকায়, ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও দুই শতাধিক সংবাদকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



ঘরে চাল নেই জ্বলে না চুলা উল্লাপাড়ার ৬০ বছরের বৃদ্ধার জমিলা খাতুনের

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মোঃ রুবেল সরকার : নাম তার জমিলা খান অবিবাহিত স্বামী সংসার হীন বৃদ্ধা ৬০ বছরের জমিলা খাতুনের গল্প বলবো।গল্পটি যখন বর্তমানে যুগে হার মানে বাস্তবে দেখা এক অজপাড়া গাঁয়ে অসহায় বৃদ্ধাকে দেখে ।  জমিলা খাতুন থাকেন পরিত্যাক্ত একটা ভাঙা ঝুপড়ি  ঘরে ,ছেঁড়া পলিথিন, প্লাটিকের বস্তা ও ভাঙা টিনের আদলে ঘরের চারপাশের বেড়া দেওয়া। ঘরে চাল নেই, তাই ঠিকমতো চুলাও জ্বলে না। এভাবেই খেয়ে-না খেয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূগানগর ইউনিয়নের রাজমান নিচিনপাড়ার নিঃসন্তান বৃদ্ধা ও সহজ সরল অসহায় ৬০ বছরের বৃদ্ধা  জমেলা খাতুনের। প্রচন্ড শীতে কোন রকম দিনাপাত করছেন তিনি। 

স্থানীয় এলাকার মোঃ মোস্তাক সরকার বলেন , উনি একজন অবিবাহিত জমিলা খাতুন স্বামী সংসার না থাকায় কোন রকম ভাবে বোনের বাসায় ঝুপড়ি  ঘর দিয়ে বসবাস করছে এবং চোখে ঠিকমতো দেখতে না পাওয়ায় গ্রামের লোকজনের কাছে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে চলছে তার জীবন । যখন কেউ খাবার দেয় না খাবার পেলে না খেয়ে থেকে এ ভাবেই চলছে তার জীবন যাপন। তার আছে এক ভাই এক বোন তারাও ছোট খটো ব্যবসা করে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খায় যতটকু পারে তাতের সাধ্যমত  সাহায্য করে। কিন্তু একজন মানুষের যতটুকু চলার জন্য যতটুকু খাবার ও বাসস্থান পাওয়ার দরকার তারা তা ঠিকমতো দিতে পারে না। তার ভাই বোনের অভাব অনটান থাকায় তাকে পর্যাপ্ত তাকে চিকিৎসা ও খাবার পর্যাপ্ত দিতে পারে না।শীর্ণ জীর্ণ  জবমিলার খাতুনের এমন করুণ চিত্র চোখে পড়ে।

অসহায় জমিলা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি  বলেন, যে জায়গায় ঝুপড়ি ঘর এটা আমার বোনের জায়গায় তুলে আছি। বর্ষায় বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে ঝর ঝর কইরা পানি পরে। শীতের সময় লাগে শীত। ভালো মতো ঘর তোলার টাহা পয়সা আমার নাই। একখান সরকারি ঘর পাইলে আমার আর কষ্টো থাকতো না। যে ঘরডায় থাহি তা মানষের টাহায় কোন রকম ঝুপড়ি ঘর তুলে আছি। সরকারি ঘর পামু কই! দেবে কেডা। এর আগে মেম্বার চেয়ারম্যানের দুয়ারে দুয়ারে বহুত ঘুরছি। শরীর যখন ভালা আছিলো মানুষের কাম কাইজ কইরা যা জোডে হেই দিয়াই চলেছি এহন আর কামকাজ করতে পারি না আর চোখে ছানি পড়ায় ঠিক মতো দেখবার পারি না। হৃদয়বান ব্যক্তিরা সহযোগিতা করলে শেষ বয়সে  ভালো থাকতে পারতাম। বিয়ে না করায় আল্লায় আমার স্বামী সংসার নাই এমনটাই  কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিলেন জমিলা খাতুন। তাই সকল মানবিক হৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসার আহব্বান রইলো বৃদ্ধা পাশে এসে দাঁড়ানোর।



আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




যে কাজগুলো করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইউটিউব চ্যানেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৫জন দেখেছেন

Image

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : ইউটিউব এখন শুধু বিনোদনের নয়, আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। অনেকেই ইউটিউবকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। তবে ইউটিউবে কাজ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যা অমান্য করলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি-

১. কপিরাইট লঙ্ঘন করা চলবে না

বারবার কপিরাইট লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট আপলোড করলে কপিরাইট স্ট্রাইকের সম্মুখীন হতে পারেন। তিনটি কপিরাইট স্ট্রাইক হলেই আপনার চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

২. কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করবেন না

ইউটিউব এর কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করা কন্টেন্ট যেমন- হেট স্পিচ, হ্যারাসমেন্ট বা বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ পোস্ট করলে স্ট্রাইক খেতে হবে। বারবার এমন স্ট্রাইক পেলে চ্যানেল বন্ধ হবে।

৩. ভুল তথ্য এবং স্প্যাম কন্টেন্ট এড়িয়ে চলুন

স্প্যামি, প্রতারণামূলক, বা ভুল তথ্য প্রচারকারী কন্টেন্ট আপলোড করলে ইউটিউব আপনার চ্যানেলকে ব্লক করতে পারে।

৪. অন্যের মতো দেখতে চ্যানেল তৈরি করবেন না

অন্যের চ্যানেলের সাথে মিলে যায় এমন চ্যানেল তৈরি করলেও ইউটিউব সেটি বন্ধ করে দিতে পারে।

৫. শিশুরক্ষা আইন মেনে চলুন

শিশুদের জন্য বিপজ্জনক বা অনুপযুক্ত কন্টেন্ট আপলোড করলে তাৎক্ষণিকভাবে চ্যানেল ব্লক হতে পারে।

৬. ক্ষতিকর কাজের প্রচার করবেন না

মাদক, নিজের ক্ষতি করা, বা বিপজ্জনক কাজের প্রচার করলে চ্যানেল পুরোপুরি নিষিদ্ধ হতে পারে।

সতর্কতার বার্তা : ইউটিউব আপনার আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন এবং সতর্ক থাকুন। নিজের চ্যানেল সুরক্ষিত রাখার জন্য নিয়মিত ইউটিউবএর আপডেটেড পলিসি চেক করুন।


আরও খবর



স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:  দীর্ঘ আন্দোলনের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দেশে থাকলেও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তাঁর উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের মনোবল সব সময় চাঙা রাখত। এমন সময়ে খালেদা জিয়া বিদেশে অবস্থান করছেন যখন তাঁর দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি করলেও সরকারঘনিষ্ঠ অনেকেই আগে সংস্কার পরে নির্বাচনের কথা বলছেন। দলের নেতা-কর্মীসহ জনমনে প্রশ্ন উঠছে খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবেন কিনা। আবার অনেকে মনে করছেন, উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে তিনি দেশে ফিরবেন। সঙ্গে আসবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনিও দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে দলে স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই রয়েছে।


জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুরনো তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে মানুষ এমনটা চিন্তা করছে। কিন্তু ভীত হওয়ার কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় এবং কারাগারে থাকার সময়েও রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যেত না। তখন হাজার মাইল দূর থেকে তারেক রহমানই এই দলকে সুসংগঠিত রেখে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এখনো সেভাবে দল এগিয়ে যাবে।


বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় আমরা বারবার আবেদন করেছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি, চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি। দেশের ১৬ কোটি মানুষের দোয়ায় আমাদের নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন, এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা।’


বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠিয়ে নির্যাতন করেছিল। তাঁকে চিকিৎসার ব্যবস্থা তো করেইনি বরং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট করকারের বিদায়ের পর দেশনেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। এতে দেশবাসী স্বস্তি অনুভব করছে। আমরা প্রত্যাশা করছি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দ্রুত দেশে ফিরবেন, ইনশাল্লাহ।’


বিএনপিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে চার মাস কেন সময় নিলেন, তা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। তবে ২ জানুয়ারি রাতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সস্ত্রীক খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশানের বাসভবনে দেখতে গেলে তখনই বলা হয় যে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাবেন। সে কারণেই সেনাপ্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেনাপ্রধান ৪০ মিনিটের মতো সেখানে ছিলেন। 


তবে চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া ছাড়া আর কিছুই তখন জানানো হয়নি বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কবে ফিরবেন তা সুস্পষ্ট নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন তা-ও এখনো অনিশ্চিত। কারণ মামলাগুলো চলছে ধীরগতিতে। 


তাঁরা বলছেন, ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সময় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তখন রাজনীতিতে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা আলোচনায় ছিল এবং দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবার জন্য চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এবারও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ‘মাইনাস টু’র বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। 


তবে খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবেন কি না, এমন নানা আলোচনা ডালপালা মেললেও এসবের কোনো ভিত্তি নেই বলেই মনে করেন বিএনপির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।


আরও খবর



গাজায় ফিরেছে ২ লাখ বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইল নেটজারিম করিডোরের মধ্য দিয়ে রুট খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই ঘন্টায় ২ লাখ বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রিয়জনদের কাছে ফিরেছেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, অসংখ্য ফিলিস্তিনি কোলে সন্তান, কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে উত্তর দিকে হেঁটে রওনা হয়েছেন। কিন্তু যারা গাড়িতে রওনা হয়েছেন তাদের বিভিন্ন চেক পোস্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

গাজার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপি’র সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ক্রসিং খোলার মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে ২ লাখের ও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ হেঁটে হেঁটে উত্তর গাজায় ফিরেছেন। পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

ফিরে এসে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি বাড়ি ঘরের ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাননি। তারপর ও ফিরে আসার আনন্দ ছিল চোখে মুখে। কাঁধে বেশ কয়েকটি ব্যাগ ঝুলিয়ে উত্তর গাজায় ফেরা আহমেদ নামে এক বাস্তুচ্যুত তরুণ বলেছেন, ‘আমরা আমাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে চাই। আমি আমার মা এবং বাবাকে দেখতে চাই। আমরা ১৫ মাস ধরে তাদের দেখিনি।’ 

আহমেদ (১৯) আরো বলেছেন, ‘আমি দেড় বছর ধরে আমার পরিবারের সাথে দেখা করিনি। আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি। আমরা ক্লান্ত। আমরা গাজায় যেতে চাই। আমরা আর কোথাও যেতে চাইনা।’

গত ২৫ জানুয়ারি শনিবার ফিলিস্তিনিদের উত্তরে ফিরে আসার কথা ছিল, কিন্তু ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়াহুদকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তারা আটকে পড়েন।  এর আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে হেঁটে আল-রশিদ স্ট্রিট এবং সকাল ৯টা থেকে যানবাহনে সালাহ আল-দিন স্ট্রিট পার হতে হবে।

গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুর করে ইসরাইল। দীর্ঘ দেড় বছরের যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। যাদের বেশির ভাগই ছিল নারী ও শিশু। অবশেষে গত ১৯ জানুয়ারি রোববার ইসরাইল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। জাতিসংঘের হিসেবে গাজা যুদ্ধে প্রায় ১৭ হাজার শিশু প্রাণ হারিয়েছে।


আরও খবর



মনোহরদীতে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে ৫০.০০০/-টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়,রবিবার(১২ জানুয়ারী)শেষ রাতে নরসিংদী জেলাধীন মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা,বাংলাদেশ খেলাফত আন্দলন কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও নরসিংদী জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাও.গাজী ইসমাঈল হোসেন ভাঁওয়ারী বাড়ী-ঘরে ও পার্শ্ববর্তী আঃমান্নান এর বাড়ীতে দুষ্কৃতিকারীরা আগুন দেয় এবং উভয় পরিবারের দুটি খড়ের গাঁদা পুড়ে ভষ্ম হয়ে যায়।এতে করে উভয় পরিবারের প্রায় ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার)টাকার ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আগুন নিভাতে অক্ষম হলে মনোহরদীতে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলেতারা প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।



ভুক্তভোগী আঃমান্নান জানান,শেষ রাতে হঠাৎ লেলিহান আগুন দেখে আমি  চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে মনোহরদী ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমার ধারণা বাড়ী-ঘর পুরে ফেলতে কিছু দুষ্কৃতিকারী আগুন লাগিয়েছে। 



আরেক ভুক্তভোগী গাজী ইসমাঈল ভাঁওয়ারী জানান,দুষ্কৃতিকারীরা আমার ঘর-বাড়ী পুরে আমাকে নিঃস্ব করতেই বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়।ইতিপূর্বে ও গত বছরের একই সময়ে আমার বাড়িতে তারা আগুন ধরিয়েছিল। আগুন নিভাতে সাহায্য করায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং দুষ্কৃতকারীরা যেন এধরণের কাজ আর করতে না পারে সে দিকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান। এ ছাড়াও তিনি দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।



মনোহরদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো.মনির হোসেন জানান,ট্রিপল নাইনে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হই। তবে কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা জানতে পারেনি


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫