Logo
আজঃ শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

ইসরায়েলের বিমান হামলার পরও বেঁচে আছেন হিজবুল্লাহ প্রধান

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, নাসরুল্লাহ এই হামলায় আহত অথবা নিহত হয়েছেন।

তবে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন। নাসরুল্লাহর খুব কাছের লোকদের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।হিজবুল্লাহর আরেকটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, নাসরুল্লাহ ভালো আছেন।



আরও খবর



উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান তারা।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এতে রাস্তার উভয় পার্শ্বে কয়েক কিলোমিটারের যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। পরে এক ছাত্রসমাবেশের মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য নিয়োগের আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক ছেড়ে আন্দোলন স্থগিত করেন তারাএর আগে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কে এসে অবরোধ করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ‘বিশ্বমানের ভিসি চাই’, ‘সংস্কারমনা ভিসি চাই’, ‘সেশনজটের কবর দে’, ‘ইবির আঙ্গিনায় দুর্নীতিবাজের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।

ছাত্রসমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুখলেচুর রহমান সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবীর সৌরভ, নাহিদ হাসান, সায়েম আহমেদ।



আরও খবর



ফ্লপ চঞ্চলের ‘পদাতিক’

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: ছোট পর্দা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যার অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ দুই বাংলার অগণিত দর্শক। তার সিনেমা মানেই অন্যরকম চমক। চলতি বছরের ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পায় চঞ্চল অভিনীত ছবি ‘পদাতিক’। ছবিটির পরিচালনায় ছিলেন ওপার বাংলার সৃজিত মুখার্জী। কিন্তু ভারতের খ্যাতিমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মৃণাল সেনের এই বায়োপিক দর্শকদের থেকে তুমুল প্রশংসিত হলেও বক্স অফিসে সেই অর্থে চলেনি। এরপরও ছবিটি নিয়ে গর্বিত সৃজিত; সেটির ব্যাখ্যাও দিলেন এই পরিচালক।  সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ‘পদাতিক’ এর একটি দৃশ্যের ছবি পোস্ট করেন সৃজিত। সেখানে ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন,‘পদাতিকের আজ ৫০ দিন পূর্ণ হল। এটা আমার ২২ তম বাংলা ছবি। অনেকেই যারা আমার এই ছবিটি দেখেছেন তারা জানিয়েছেন এটা আমার করা সেরা ছবি। আমি এর আগে বেশ কিছু ছবি করেছি যেগুলো দর্শকদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছে। কিন্তু এই ছবিটি যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে তেমনই আনন্দ দিয়েছে। এটি আমার করা এখনও পর্যন্ত যে ৩ টে ছবি বক্স অফিসে ডুবেছে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হল, জাতিস্মর, নির্বাক এবং শাহজাহান রিজেন্সি। কিন্তু ওই তিনটের ব্যর্থতার মতো কষ্ট হয়নি। পদাতিকের ব্যর্থতা আমায় প্রচণ্ড গর্বিত করেছে।’ এরপর পরিচালক কারণ ব্যাখ্যা করে লেখেন, ‘মৃণাল সেনের এল ডোরাডো ২০২৪ সালে তাকে ঠিক সেভাবেই উদ্যাপন করেছে যেভাবে তাকে পাওয়া যেত, রাস্তায়, প্রতিবাদে।’ ‘পদাতিক’ যখন মুক্তি পায় তার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই কলকাতায় আরজি কর কা- ঘটে যায়। এতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতায় শহর, রাস্তায় নেমে পড়ে সাধারণ মানুষ। পথে প্রতিবাদের ঢল নামে। বিচারের দাবিতে রাত দখল, জমায়েত, মিটিং, মিছিল চলতে থাকে। আর সেটার খানিকটা প্রভাব বিনোদন জগতের ওপর পড়ে। আসলে তখন কেউই সিনেমা উপভোগ করার অবস্থায় ছিলেন না। আর এই লেখার মাধ্যমে এদিন সৃজিত মুখার্জী সেই কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। পদাতিক ছবিটিতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কোরক সামন্ত (অল্প বয়সের) এবং চঞ্চল চৌধুরী (প্রাপ্ত বয়স্কের)। মৃণাল সেনের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেছে মনামী ঘোষকে। সত্যজিৎ রায় হয়ে ধরা দিয়েছিলেন জিতু কমল। উল্লেখ্য, চঞ্চল চৌধুরী ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ এবং ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। 


আরও খবর

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে থাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ আসতে হয়।

আগামী ৮ অক্টোবর দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এখনো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কোনো সুপারিশ করেনি। সুপারিশ পেলে রপ্তানিকারকদের নাম ও রপ্তানির পরিমাণ উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে স্বীকৃত ইলিশ। টানা পাঁচ বছর ধরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ। যদিও ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ ছিল। ২০১৯ থেকে ভারতে আবার ইলিশ রপ্তানি চালু হয়। প্রায় প্রতিবছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়ে থাকেন ভারতের কলকাতার ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ চেয়ে আবেদন করেছে। পরে উপহাইকমিশন বিষয়টি বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিনের মাথায় গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটা দামি মাছ। আমরা দেখেছি যে আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারে না। কারণ, সব ভারতে পাঠানো হয়।’

এর পর থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো কাজ করেনি বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন ইলিশ উৎপাদিত হয়। তা থেকে রপ্তানি যেটুকু হয়, তা খুবই সামান্য। এ কারণে দাম ও সরবরাহে খুব একটা প্রভাব পড়ে না বাজারে। মাঝখান থেকে আয় হয় ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার সমান বৈদেশিক মুদ্রা।




আরও খবর



লাল তালিকামুক্ত হলো পাকিস্তানের সব পণ্য

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য ‘লাল তালিকাযুক্ত’ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দীর্ঘদিন পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটির পণ্যগুলো ‘লাল তালিকামুক্ত’ করা হয়েছে।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফের দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটি থেকে আনা পণ্যগুলো ‘লাল তালিকামুক্ত’ করার পদক্ষেপ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানের পণ্য এ ‘রেড লেনে’ ছিল। ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় পণ্যগুলোকে ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ পণ্যে কঠোরতা রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতির পথে হাঁটছে এনবিআর। এতে করে দেশে উৎপাদনমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে কোনো রকম জটিলতা থাকবে না। পাকিস্তান থেকে আগত সব পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়া কর্তৃক শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে রেড লেন থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বহির্ভূত রাখার জন্য বলা হয়েছে। 

গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করার আহ্বান জানান। ওই সময় সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান এখন আবার বাণিজ্য শুরু করতে আগ্রহী।



আরও খবর



ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আলেমদের মতামত

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা.-এর জন্মদিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করা হয় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশে। তবে এই দিবস পালন নিয়ে মুসলিম বিশ্বের আলেম ও ফকীহদের মাঝে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। আলেমদের মতে বর্তমানে ১২ রবিউল আওয়ালকে যেভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী বা মহানবী সা.-এর আগমন দিবস হিসেবে পালন করা হয় তা রাসূল সা.-এর সুন্নতের পরিপন্থী এবং একে তারা বেদয়াত বলে গণ্য করেছেন।

কারণ, রাসূল সা. এভাবে কখনো তারিখ নির্ধারণ করে তার জন্মদিন পালন করেননি। বরং তিনি প্রতি সপ্তাহের সোমবার রোজা রাখতেন। এই রোজা রাখার কারণ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি তাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য রোজা রাখি।

আবু কাতাদাহ রা. বলেন, নবীজিকে তাঁর সোমবার সিয়াম পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন, এদিন আমি জন্মলাভ করেছি (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)।

হাদিসের আলোকে আলেমরা মহানবী সা.-এর জন্মদিন পালনের পদ্ধতিকে বেদয়াত বলেন। এছাড়াও রাসূল সা.-এর মিলাদ বা জন্মদিনের নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। এখানে ঐতিহাসিকদের মতামতগুলো তুলে ধরা হলো—

ইবনে হিশাম, ইবনে সা‘দ, ইবনে কাসীর, কাসতাল্লানী ও অন্যান্য ঐতিহাসিক ও সীরাতুন্নবী লিখকগণ এ বিষয়ে বলেছেন—১.কারো মতে, তাঁর জন্ম তারিখ অজ্ঞাত, তা জানা যায় নি, এবং তা জানা সম্ভব নয়। তিনি সোমবারে জন্মগ্রহণ করেছেন এটুকুই শুধু জানা যায়, জন্ম মাস বা তারিখ জানা যায় না। এ বিষয়ে কোন আলোচনা তারা অবান্তর মনে করেন। 

২. কারো কারো মতে, তিনি মুহাররম মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। 

৩. অন্য মতে, তিনি সফর মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। 

৪. কারো মতে, তিনি রবিউল আউআল মাসের ২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় হিজরী শতকের অন্যতম ঐতিহাসিক ও মাগাযী প্রণেতা মুহাদ্দিস আবু মা‘শার নাজীহ ইবন আব্দুর রহমান আস-সিনদী (১৭০হি:) এই মতটি গ্রহণ করেছেন। 

৫. অন্য মতে, তাঁর জন্ম তারিখ রবিউল আউআল মাসের ৮ তারিখ। আল্লামা কাসতাল্লানী ও যারকানীর বর্ণনায় এই মতটিই অধিকাংশ মুহাদ্দিস গ্রহণ করেছেন। এই মতটি দুইজন সাহাবী ইবনে আববাস ও জুবাইর ইবন মুতয়িম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও সীরাতুন্নবী বিশেষজ্ঞ এই মতটি গ্রহণ করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেছেন। 
প্রখ্যাত তাবেয়ী ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিম ইবনে শিহাব আয-যুহরী (১২৫হি:) তাঁর উস্তাদ প্রথম শতাব্দীর প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও নসববিদ ঐতিহাসিক তাবেয়ী মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর ইবনে মুতয়িম (১০০হি:) থেকে এই মতটি বর্ণনা করেছেন। 

কাসতালানী বলেন, মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর আরবদের বংশ পরিচিতি ও আরবদের ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞ ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ সম্পর্কিত এই মতটি তিনি তাঁর পিতা সাহাবী জুবাইর ইবন মুতয়িম থেকে গ্রহণ করেছেন। 
স্পেনের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফকিহ আলী ইবনে আহমদ ইবনে হাযম (৪৫৬হি:) ও মুহাম্মাদ ইবনে ফাতুহ আল-হুমাইদী (৪৮৮হি:) এই মতটিকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন। স্পেনের মুহাদ্দিস আল্লামা ইউসূফ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল বার ( ৪৬৩ হি:) উল্লেখ করেছেন যে, ঐতিহাসিকগণ এই মতটিই সঠিক বলে মনে করেন। 

মীলাদের উপর প্রথম গ্রন্থ রচনাকারী আল্লামা আবুল খাত্তাব ইবনে দেহিয়া (৬৩৩ হি:) ঈদে মীলাদুন্নবীর উপর লিখিত ‘আত-তানবীর ফী মাওলিদিল বাশির আন নাযীর’ গ্রন্থে এই মতটিকেই গ্রহণ করেছেন। 

৬.অন্য মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১০ই রবিউল আউয়াল। এই মতটি ইমাম হুসাইনের পৌত্র মুহাম্মাদ ইবন আলী আল বাকের (১১৪হি:) থেকে বর্ণিত। দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আমির ইবন শারাহিল আশ শা‘বী (১০৪হি:) থেকেও এই মতটি বর্ণিত।

ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবন উমর আল-ওয়াকেদী (২০৭হি:) এই মত গ্রহণ করেছেন। ইবনে সা‘দ তার বিখ্যাত ‘‘আত-তাবাকাতুল কুবরা’’-য় শুধু দুইটি মত উল্লেখ করেছেন, ২ তারিখ ও ১০ তারিখ।

৭. কারো মতে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল। এই মতটি হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (১৫১হি:) গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাতীর বছরে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন। 

ইবনে ইসহাক সীরাতুন্নবীর সকল তথ্য সাধারণত: সনদসহ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু এই তথ্যটির জন্য কোন সনদ উল্লেখ করেননি। কোথা থেকে তিনি এই তথ্যটি গ্রহণ করেছেন তাও জানাননি বা সনদসহ প্রথম শতাব্দীর কোনো সাহাবী বা তাবেয়ী থেকে মতটি বর্ণনা করেননি। এজন্য অনেক গবেষক এই মতটিকে দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন। 

৮. অন্য মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ ১৭ই রবিউল আউয়াল। 

৯. অন্য মতে তাঁর জন্ম তারিখ ২২ শে রবিউল আউয়াল। 

১০. অন্য মতে তিনি রবিউস সানী মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। 

১১. অন্য মতে তিনি রজব জন্মগ্রহণ করেছেন। ।

১২. অন্য মতে তিনি রমজান মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। ৩য় হিজরী শতকের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক যুবাইর ইবনে বাক্কার (২৫৬ হি:) থেকে এই মতটি বর্ণিত। তাঁর মতের পক্ষে যুক্তি হলো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বসম্মতভাবে রমজান মাসে নবুয়ত পেয়েছেন। তিনি ৪০ বৎসর পূর্তিতে নবুয়ত পেয়েছেন। তাহলে তাঁর জন্ম অবশ্যই রমজানে হবে। 



আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪