Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

ইসির সাবডোমেইনে থাকবে সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নির্বাচন সংস্কার বিষয় কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আমরা যথাসময়ে কাজ শুরু করেছি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এই ওয়েবসাইট নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এটা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই করা হবে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এখন আইনকানুন বিধিমালা পর্যালোচনা করছি। যাতে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয় এবং সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে যাতে সংস্কার করতে পারি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে, আমাদের ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ এগুলো আমরা চাইবো। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাইবেন, সংবিধান নিয়ে কোনো আলোচনা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবো, সেদিন এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যায়ে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ‘ল’। এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে, এরকম অনেকগুলো আইন আছে। আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে৷ নির্বাচন পর্যবেক্ষক এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো। সরকার যখন চাইবে আমরা আশা করি তখনই আমরা ওনাদের একটা খসড়া দিতে পারবো।বিগত তিন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী অগ্রাধিকার দেবেন, এমন প্রশ্নে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অবশ্যই যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে, এগুলো আমরা চিহ্নিত করবো। ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও আমরা চিহ্নিত করবো। নির্বাচনি প্রক্রিয়াটা তো একদিনের বিষয় নয়। এটা একটা সাইকেল। এই সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা করেছে তা চিহ্নিত করে সুপারিশ করবো। স্থানীয় নির্বাচন কখন হবে, এটাও আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত।

অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবেন কি-না, এমন প্রশ্নে সুজন সম্পাদক বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করবো।

‘না’ ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নেবো। যত মতামত আসবে যত পর্যালোচনা করবো। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যেকোনো মতামত দিতে পারবেন। উন্মুক্ত মতামত নেওয়া হবে। আমরা তো নিশ্চিত করতে পারবো না যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গার্ডরেইল তৈরি করবো। সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন বেরিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়৷ কিন্তু কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নাই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়। দি পিপল অব দিস কান্ট্রি ডিজার্ভ ইট।





আরও খবর



ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

 সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)’র উপকূলের কাছে ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে একটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লেগে যাওয়া ট্যাঙ্কার থেকে ২৪ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড।

মঙ্গলবার ইউএই কোস্টগার্ড ও একটি শিপিং কোম্পানি এ তথ্য জানিয়েছে।

দুবাই থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সামুদ্রিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান অ্যাম্ব্রে জানায়, সংঘর্ষের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। 

তবে এ ঘটনাটি ‘নিরাপত্তাজনিত নয়’ বলে জানিয়েছে তারা।

শিপিং কোম্পানি ফ্রন্টলাইন জানায়, সংঘর্ষের পর তাদের মালিকানাধীন ‘ফ্রন্ট ইগল’ ট্যাংকারে আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এই ট্যাংকারটির সঙ্গে ‘আডালিন’ নামের অপর একটি তেলবাহী জাহাজের সংঘর্ষ হয়। 

উপসাগরীয় ওমান উপকূল থেকে প্রায় ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে এ সংঘর্ষ ঘটেছে।

কোম্পানিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সংঘর্ষের পর ‘আডালিন’ ট্যাংকারেও আগুন লাগার খবর পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দূষণের তথ্য পাওয়া যায়নি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোস্টগার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায়  জানায়, ওমান উপসাগরে দুটি জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের পর তেলবাহী জাহাজ আডালিন-এর ২৪ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে।

কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। 

উল্লেখ্য, এই জলপথটি আরব উপদ্বীপ ও ইরানের মধ্যে অবস্থিত এবং বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের এক-পঞ্চমাংশ এই পথ দিয়ে পরিবহন করা হয়।


আরও খবর



ঘোড়া কোরবানি করা নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image

ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়; উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণের মাংস খাওয়া হালাল হলেও হরিণ কোরবানি করা যায় না। একইভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া অনেকের মতে হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।


ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?

ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কারণ খাদ্যের চেয়ে বাহন হিসেবে ঘোড়ার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡكَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি সৃষ্টি করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই। (সুরা নাহল: ৮)


বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খেলে যদি বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হানাফি মাজহাবের অন্য দুই বড় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও মুহাম্মাদ (রহ.) এবং অন্যান্য মাজহাবের ইমামগণ ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পুরোপুরি হালাল বলেছেন। তাদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) খায়বারের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২, সহিহ মুসলিম: ১৯৪১)


আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) যুগে একটি ঘোড়া জবাই করে তা খেয়েছিলাম। (সহিহ বুখারি: ৫১৯১, সহিহ মুসলিম: ১৯৪২)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফর করেছিলাম। ওই সফরে আমরা ঘোড়ার মাংস খেতাম এবং তার দুধ পান করতাম। (দারাকুতনি ও বায়হাকি)


আরও খবর



আগামী মাসে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: গভর্নর

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১১১জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বুধবার পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, 

“আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য সময়ের প্রয়োজন।”

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও যোগ করে বলেন, 

“২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে। 

সবশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


আরও খবর



ঢাকা জেলার দোহারে গণধর্ষণ মামলার আসামী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৪জন দেখেছেন

Image

 ভিকটিম তার খালাতো বোন এর সাথে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন জয়পাড়া কালেমা চত্বর হোটেলে রাতের খাবার খেতে যায়। এরপর তারা বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে জয়পাড়া কলেজে পৌছালে আসামী সিফাত হোসেন @ মনি (২২)’সহ অপরাপর আসামীগণ ভিকটিম ও তার খালাতো বোনকে ডাক দিয়ে তাদেরকে জুস খেতে দেয়। পরবর্তীতে আসামীগণ তাদেরকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে দুই মোটরসাইকেলে দুইজনকে উঠাইয়া ভিকটিমদের বাসার দিকে নিয়ে যায়। আসামীগণ ভিকটিমদেরকে তাদের বাড়ির সামনে না নামিয়ে দ্রæত মোটরসাইকেল যোগে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় ভিকটিমের খালাতো বোন মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। ভিকটিমের খালাতো বোনের কাছ থেকে ভিকটিমের বাবা নাঈম হোসেন (৩৮) ঘটনার বিস্তারিত শুনতে পেরে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় ভিকটিম বাড়িতে ফিরে আসে। ভিকটিমের নিকট হতে তার বাবা জানতে পারে যে, আসামী সিফাত হোসেন @ মনিসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিমকে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন খাড়াকান্দা পালবাড়ী ব্রীজ এলাকায় নিয়ে গিয়ে গত ১৪/০৫/২০২৫ তারিখ অনুমান ২২.৩০ ঘটিকা হতে গত ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আসামীরা ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ঢাকা জেলার দোহার থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ১৪, তারিখ- ১৬/০৫/২০২৫ খ্রি., ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত/২০২০) এর ৯(৩)। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গণধর্ষণে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র‌্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫/০৬/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমান ১২.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী সিফাত হোসেন @ মনি (২২), পিতা- খোকা মিয়া, সাং- উত্তর জয়পাড়া, থানা- দোহার, জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করে।  

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

 নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(আ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী। তবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক ব্যাখ্যা না করেই আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(অ)(আ) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে গণ্য করে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের একই আইনের ৬(২)(আ) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় জঙ্গিদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করি, আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

এছাড়া হাইকোর্ট তার রায়ে আরো বলেন, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২২ জনকে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্ত করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ‘নব্য জেএমবি’র সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় সংশোধন করে সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

হাইকোর্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।


আরও খবর