Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

ইসির সাবডোমেইনে থাকবে সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নির্বাচন সংস্কার বিষয় কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আমরা যথাসময়ে কাজ শুরু করেছি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এই ওয়েবসাইট নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এটা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই করা হবে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এখন আইনকানুন বিধিমালা পর্যালোচনা করছি। যাতে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয় এবং সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে যাতে সংস্কার করতে পারি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে, আমাদের ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ এগুলো আমরা চাইবো। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাইবেন, সংবিধান নিয়ে কোনো আলোচনা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবো, সেদিন এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যায়ে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ‘ল’। এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে, এরকম অনেকগুলো আইন আছে। আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে৷ নির্বাচন পর্যবেক্ষক এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো। সরকার যখন চাইবে আমরা আশা করি তখনই আমরা ওনাদের একটা খসড়া দিতে পারবো।বিগত তিন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী অগ্রাধিকার দেবেন, এমন প্রশ্নে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অবশ্যই যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে, এগুলো আমরা চিহ্নিত করবো। ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও আমরা চিহ্নিত করবো। নির্বাচনি প্রক্রিয়াটা তো একদিনের বিষয় নয়। এটা একটা সাইকেল। এই সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা করেছে তা চিহ্নিত করে সুপারিশ করবো। স্থানীয় নির্বাচন কখন হবে, এটাও আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত।

অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবেন কি-না, এমন প্রশ্নে সুজন সম্পাদক বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করবো।

‘না’ ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নেবো। যত মতামত আসবে যত পর্যালোচনা করবো। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যেকোনো মতামত দিতে পারবেন। উন্মুক্ত মতামত নেওয়া হবে। আমরা তো নিশ্চিত করতে পারবো না যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গার্ডরেইল তৈরি করবো। সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন বেরিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়৷ কিন্তু কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নাই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়। দি পিপল অব দিস কান্ট্রি ডিজার্ভ ইট।





আরও খবর



খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বাশার আল–আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, একজন সিনিয়র রুশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার মার্কিন সম্প্রচারক এনবিসিকে এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় অবস্থান করছে। মস্কো আসাদের অবস্থান সম্পর্কে এই প্রথম জনসাধারণকে জানাল। 

রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ মঙ্গলবার এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ‘বিদ্রোহীদের ত্বরিত অগ্রযাত্রার মুখে বাশার আল–আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এর আগে ক্রেমলিন প্রাথমিকভাবে আল-আসাদকে দেশে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মস্কো দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে।

রায়াবকভ রাশিয়ায় আল-আসাদ ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তার বিশদ বিবরণ দেননি। তিনি বলেন, ‘এখন তার সঙ্গে ঠিক কী ঘটছে তা আমি জানি না।

তিনি আরো বলেন, ‘কী ঘটেছে এবং কীভাবে এর সমাধান করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’

 

সমালোচকদের নিখোঁজ হওয়া এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করাসহ অভিযোগের কারণে বাশার আল–আসাদকে এখন বিচারের জন্য ফেরত দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ–সংক্রান্ত সনদের অংশীজন নয় রাশিয়া।’

সমালোচকদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করাসহ সিরিয়ায় গত রবিবার বাশার আল–আসাদের সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে ওই দিন ভোরের দিকে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি।

এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। বাবা হাফিজ আল-আসাদ ও ছেলে বাশার আল-আসাদ মিলে টানা ৫৩ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।
 

রাশিয়া সিরিয়ায় একটি নৌ ও বিমান ঘাঁটি এখনও নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, যদিও আল-আসাদের পতনের পর তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

গণতন্ত্রের দাবিতে ২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে বাশার আল-আসাদ সহিংসতার পথ বেছে নেন।

এর জেরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া অর্ধেক জনগণ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ বিদেশে আশ্রয় পেয়েছিল।


আরও খবর



যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।

প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।

দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ সমতায় টেস্ট সিরিজ শেষ করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : তাইজুল ইসলাসের ঘূর্ণিতে জ্যামাইকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানে পরাজিত করে ১-১ সমতায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ইনিংসে ১৫তম বারের মত পাঁচ উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাইজুল।

সাবিনা পার্কে জাকের আলির টেস্ট সেরা ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে চতুর্থ দিন ২৬৮ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের জন্য ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ রানেই গুটিয়ে যায়। তাইজুল ৫০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ৫ উইকেট দখল করেছিলেন। রানার ঐ বোলিং তোপেই বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে। দ্বিতীয় ইনিংসে রানা শামার জোসেফের একমাত্র উইকেটটি নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।

ম্যাচ সেরা তাইজুল বলেছেন, ‘বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের আনন্দই আলাদা। যা আমরা সাধারনত করতে পারিনা। দলের প্রত্যেকেই তাদের সাধ্যমত দেবার চেষ্টা করেছে।’

পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট দখল করেছেন। দুই টেস্টে সব মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে তাসকিন হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৫ রান সংগ্রহ করেছেন কাভেম হজ। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ওপেনিংয়ে নেমে ৬৩ বলে দলের হয়ে ৪৩ রানের অবদান রেখেছেন।

কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনে স্বাগতিকরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারেনি। মাত্র ৫০ ওভারেই উইন্ডিজের ইনিংস গুটিয়ে যায়।

ম্যাচ শেষে স্বাগতিক অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট বলেছেন, ‘আমরা ইতিবাচক খেলতে চেয়েছি। আমি মনে করি শুরুটা ভালই হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি।’

২০০৯ সালের পর ১৫ বছরে এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট ম্যাচে জয় পেল বাংলাদেশ।

এর আগে দিনের শুরুতে জকেরের ১০৬ বলে আট বাউন্ডারি ও পাঁচ ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ৯১ রানের ইনিংসটি ছিল ম্যাচ জয়ের মূল কারিগর। আগেরদিন ৫ উইকেটে ১৯৩ রানে দিন শেষ করা বাংলাদেশের জন্য ২৬ বছর বয়সী ডান হাতি ব্যাটার জাকেরের চতুর্থ দিনে ৭৫ রানের ৬২ রান দলের জয়ে দারুন অবদান রেখেছে।

আলজারি জোসেফ ও কেমার রোচ ৩টি করে উইকেট দখল করেছেন। জোসেফের বলে ডিপ মিড উইকেটে এ্যাথানাজেকে ক্যাচ দিয়ে জাকেরের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।

আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে দুই দল। এরপর তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজও রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৭১.৫ ওভারে ১৬৪/১০ (সাদমান ৬৪, মিরাজ ৩৬, সিলেস ৪/৫)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস : ৬৫ ওভারে ১৪৬/১০ (কার্টি ৪০, ব্র্র্যাথওয়েট ৩৯, রানা ৫/৬১)।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ৫৯.৫ ওভারে ২৬৮/১০ (জাকের ৯১, সাদমান ৪৬, মিরাজ ৪২, রোচ ৩/৩৬, জোসেফ ৩/৭৭)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস : ৫০ ওভারে ১৮৫/১০ (হজ ৫৫, তাইজুল ৫/৫০, হাসান ২/২০, তাসকিন ২/৪৫)

ফল : বাংলাদেশ ১০১ রানে জয়ী

সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১’এ সমতা

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তাইজুল ইসলাম (বাংলাদেশ)

ম্যান অব দ্য সিরিজ : তাসকিন আহমেদ (বাংলাদেশ), জেইডেন সিলেস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।


আরও খবর



৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গেম ও অ্যাপ কাজেই এল না

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: আলাদা তিনটি কর্মসূচি নেয়ার পর আবার ৩৩০ কোটি টাকার মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি বেশির ভাগ গেম ও অ্যাপ কোনো কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঘুরেফিরে নিজেদের লোকদের কাজ দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের মোট অর্থের ১৭ শতাংশের বেশি শেখ পরিবারের নামে সিনেমা ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্প নেয়া হয়। তিন দফায় মেয়াদ বেড়ে এ প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। চলতি ডিসেম্বরে যা শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পটির পিসিআর প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পে প্রশিক্ষণ বাবদ ১৩৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। অ্যাপ ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয় ১৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি গেমিং ও অ্যাপস ল্যাব করা হয়েছে।

কাছের লোকদের জন্যই প্রকল্প

ডিজিকন টেকনোলজিসের সঙ্গে যৌথভাবে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড (এমসিসি) সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে। প্রকল্পে এই দুই কোম্পানি ৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার কাজ পায়।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমসিসি অনেক কাজ পেয়েছে। এমসিসিকে পরে এনডিই ইনফ্রাটেক কিনে নেয়।

এমসিসির প্রধান নির্বাহী ও এনডিই ইনফ্রাটেকের পরিচালক মো. আশরাফ খান দাবি করেন, সম্পর্ক নয়, তিনি প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ পেয়েছেন। ডিজিকন টেকনোলজিসের প্রধান ওয়াহেদ শরীফ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু বলে প্রচলিত রয়েছে। আইসিটি খাতে তার একচেটিয়া প্রভাব ছিল। সরকার পতনের আগেই তিনি বিদেশে চলে গেলেও প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।

ওয়াহেদ শরীফ দাবি করেন, নিয়ম মেনেই তার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। মোবাইল গেম প্রকল্পে বেশি কাজ পাওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- প্রাইম টেক সল্যুশন, ইজি টেকনোলজি ও স্পিনঅফ স্টুডিও।

তথ্যপ্রযুক্তি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নাটোরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসরুল আলম (মিলন) আইসিটি বিভাগে কমিশন–বাণিজ্য করতেন। শেষ দিকে এসে তিনি নিজেই কোম্পানি খোলেন। অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি প্রাইমটেক, স্পিনঅফসহ অন্যদের সঙ্গে কাজ করতেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাইমটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা রাশেদুল আলম বলেন, মাসরুল নিজের অভিজ্ঞতার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রায় একই কথা বলেন স্পিনঅফের প্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আসাদুজ্জামান। মাসরুলের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আবার পলকের ঘনিষ্ঠ মফিজুর রহমান ইজি টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আইসিটি বিভাগসহ পলকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনার একচেটিয়া কাজ করত ইজি টেকনোলজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা লাইভ। সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হয়ে গেছে।

বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, কাছের কিছু ব্যক্তির জন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল। এটা অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছিল।

অ্যাপ ও গেমের অবস্থা

গুগল প্লে স্টোরে এ প্রকল্পের নামে ১৫০টি অ্যাপ পাওয়া যায়। বেশির ভাগ অ্যাপের ডাউনলোডের পরিমাণ ১টি, ১০টি, ৫০টি ও ১০০টি করে। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার করে ডাউনলোড হয়েছে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা ও মুজিব ১০০ অ্যাপ।

করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালে এ প্রকল্পে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘লাইভ করোনা টেস্ট’ নামে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যার কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শেখ পরিবারকে নিয়ে ৫০ কোটি ব্যয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বানানো বিভিন্ন অ্যাপ ও গেমের পেছনে প্রকল্পের মোট বরাদ্দের সাড়ে ১৭ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ২৩টি উক্তি নিয়ে থ্রি–ডি হলোগ্রাম তৈরি হয়েছে এ প্রকল্পের টাকায়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রকিউরমেন্টের ৬৪টি কাজের তালিকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯টি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলকে নিয়ে বানানো অ্যানিমেশন ও গেম তৈরি। এতে চ্যাটবট, অভিধান, অ্যাপ ও অ্যানিমেশন সিনেমা রয়েছে।

২০২২ সালে শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ নামে একটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। সব মিলিয়ে এসব কাজে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়।

প্রকল্পে আট বছরে যত পরিচালক

মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে ১১ জন কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন এক থেকে দুই বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। ৫ জন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৯ মাস কাজ করেছেন। বাকি তিনজন এক মাসও কাজ করতে পারেননি। একজন ১৩ দিনও কাজ করেছেন।

আইসিটি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রকল্পে প্রচুর তদবির ও সুপারিশ আসত। তাই কেউ থাকতে পারতেন না।

প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাকে সরানোর জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ জনপ্রশাসনে ডিও লেটার দিয়েছিলেন।

এ প্রকল্প প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের ধারণা ও উদ্দেশ্য ভালো ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে সমস্যা ছিল। বাংলাদেশকে তুলে ধরে, বিশ্বমানের এমন অন্তত একটি গেম হলেও প্রকল্পটিকে সফল বলা যেত। কিন্তু তা হয়নি।


আরও খবর



জাতীয় সংলাপের ঐক্যের মাধ্যমে ভারতকে বার্তা দিল অন্তর্বর্তী সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

একটি বিশেষ পরিস্থিতি বা উত্তেজনার মধ্যে দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে এক জায়গায় আনার উদ্যোগ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পতিত আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা ছাড়া দেশের সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন পর্বের বৈঠকগুলো জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টার নিরিখে কার্যকর ও সফল হয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে যে মত ও পথের ভিন্নতা সত্ত্বেও দেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ।

একজন হিন্দুধর্মীয় নেতাকে গ্রেপ্তারের পর ভারতের হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন ও গোষ্ঠী সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায়। এ নিয়ে একধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনীতিকসহ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন।

সরকার ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, হিন্দু সম্প্রদায়কে ঘিরে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, এর পেছনে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার ভূমিকা রয়েছে। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে।

এ পরিস্থিতিতে সংলাপের আয়োজন করে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থক ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে দুটি বার্তা দিতে চেয়েছে। একটি হলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে সরকার আপসহীন। দ্বিতীয়টি হলো, ফ্যাসিবাদ হটাতে গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব পক্ষ তাদের প্রতিহত করতে এখনো এককাট্টা। এই ঐক্য ধরে রেখে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় আগামী দিনে স্বৈরাচারী শাসনমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এগোতে চায় রাজনৈতিক দলগুলো।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার, তাঁর জামিন আবেদন নাকচকে কেন্দ্র করে আইনজীবী হত্যা, ভারতীয় গণমাধ্যমে উসকানিমূলক নানা অপপ্রচার, এর জের ধরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং জাতীয় পতাকার অবমাননা, বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরজিসহ বেশ কিছু ঘটনা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

এই সংলাপ সম্পর্কে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে বিভক্তি সৃষ্টির পেছনে বাইরের শক্তির প্রভাব, দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো ঘটনা এভাবে অতীতে কখনো ঘটেনি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেশের স্বাধীন অস্তিত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য থাকতে হয়, এ বৈঠকে সেটিই হয়েছে। সংলাপে জাতীয় ঐক্যের একটা প্রকাশ ঘটেছে।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশনসহ অভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে। এর মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শেষ হবে।

বুধবারের সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান নেতা জোনায়েদ সাকি। সেদিনের রাজনৈতিক সম্মিলনের নির্যাস সম্পর্কে তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ—এটি ছিল মূল কথা। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আমরা সব শক্তি আমাদের গর্বিত অর্জনকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রক্ষা করতে চাই, এই বৈঠক সেটিরই একটি প্রকাশ।’

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁরা সরকারকে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচার এবং অপতথ্যের বিরুদ্ধে সরকারের দিক থেকে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন প্রায় সবাই।

এ ছাড়া জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় সম্প্রীতি সমাবেশ করা, জাতীয় ঐক্যের প্রতীকী সংহতি হিসেবে সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে সম্মিলিত কর্মসূচি করা এবং সারা দেশে একযোগে একই সময়ে যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনেরও প্রস্তাব দেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সদস্যসচিব মুজিবুর রহমানসহ অনেকে। শিগগিরই সম্মিলিত কোনো কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের যে মিথ্যা প্রচারণা, বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা ছাড়া জাতি যে ঐক্যবদ্ধ আছে, এই বার্তা দেশে এবং বহির্বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন ছিল। সে বার্তাটি গেছে। একই সঙ্গে এই সংলাপে বিভিন্ন বিষয়ে যে প্রস্তাব এসেছে, যেমন সবাই মিলে একটি সমাবেশ করা, পলিটিক্যাল কাউন্সিল করা, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল করা—এগুলো বিবেচনার অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ আর নতজানু নীতি মেনে নেবে না, আমরা সম–অধিকার ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব চাই।


আরও খবর