Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image



চ্যানেল 23 রিপোর্ট:


অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ফাইনালে ওঠেছিল স্পেন। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে সেই ধারা অব্যাহত রেখে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে স্প্যানিশরা।


 ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১২ ইউরোপ সেরার মুকুট নিজেদের করে নিলো স্পেন।



রোববার (১৪ জুলাই) অলিম্পিয়াস্টাডিয়ন বার্লিন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মাঠে নামে দু'দল। ম্যাচের ১২ মিনিটে বাম দিক থেকে আক্রমণে ওঠে স্পেন। ডি বক্সের ভেতর থেকে উইলিয়ামসের নেওয়া শট রুখে দেন ইংলিশ ডিফেন্ডার।


এরপরও আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকপ স্পেন। অন্যদিকে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে তাদের আক্রমণ আটকে যায় অ্যাটাকিং থার্ডে। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দু'দল।


বিরতি থেকে ফিরেই গোলের দেখা স্পেন। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডেড লক ভাঙ্গেন উইলিয়ামস। তার গোলে ম্যাচে লিড নেয় স্প্যানিশরা। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা।



ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে বল জালে জড়ান বদলি নামা পালমার। তার গোলে ম্যাচে ফিরে ইংল্যান্ড। 


এরপর ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ের দিকে যাচ্ছিলো তখন আবারও গোলেট দেখা পায় স্পেন। চমৎকার ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান মাইকেল ওয়ারজাবাল। তার গোলে ফের লিড পায় স্পেন। 


এরপর আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে স্পেন।


আরও খবর



গাজা যুদ্ধ: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, পশ্চিমা চাপ ও নেতানিয়াহুর জবাব

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ভয়াবহতা এবং তাতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করা হতে পারে। একইসঙ্গে ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারাও সরাসরি ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে টালমাটাল হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক আবহাওয়া।

সোমবার (১৯ মে) ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, “ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার পাশে থাকবে না।” প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

তবে এই দাবিকে “হাস্যকর” ও “অমূলক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রশাসনের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “মতপার্থক্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইসরায়েলকে ত্যাগ করবে না।” ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিও এই বক্তব্যকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে এবং সেখানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে চান। তিনি বলেন, “মানুষ সেখানে অনাহারে মরছে, ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এর অবসান চান।”

এর আগেও গোপন আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত মার্কিন সেনা এডান আলেকজান্ডারকে মুক্ত করে এনেছে। এই আলোচনায় ইসরায়েলকে সম্পৃক্ত না করায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নেতানিয়াহু সরকারের ভেতরেও।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও চাপ বাড়ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সোমবার ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্স এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় চলমান সামরিক অভিযান ও ত্রাণপ্রবাহে বাধা দেওয়ায় ইসরায়েলের সমালোচনা করে। তারা সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, “মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। প্রয়োজনে আমরা ব্যক্তিবিশেষ বা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব।”

এই তিন দেশ ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবাহের দাবি জানায়।

তবে এই বক্তব্যের জবাবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর হামলার পর ইসরায়েলের আত্মরক্ষাকে উপেক্ষা করে সন্ত্রাসীদের পুরস্কৃত করছে। এভাবে তারা ভবিষ্যতের আরও রক্তপাতকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যতক্ষণ না পূর্ণ বিজয় অর্জন করছে, ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে। আমরা হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং সব জিম্মির মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত পিছু হটব না।”

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সেখানে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে সংকটাপন্ন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় গাজার সব বাসিন্দা।

এই ভয়াবহতার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর চাপ। মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবিক সঙ্কটের দায়ে ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করার পথে হাঁটছে অনেক পশ্চিমা দেশ। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই ঘটনাগুলো বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক রাজনৈতিক সংকট কাটাতে টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ১৮জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হবে। এই বৈঠকটি রাজনৈতিক সংকট কাটাতে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলেও উল্লেখ করছেন তিনি।

আজ রাজধানীর গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি (ড. ইউনূস) যে হোটেলে উঠেছেন সেখানেই বৈঠক হবে।’

আগামী ১৩ জুন শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংকটগুলো রয়েছে, সেগুলোয় এই বৈঠক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা অবস্থান, তাতে এটা একটা বড় ইভেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে এটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা (বৈঠক) আমরা বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই যখন থেকে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যাবেন সিদ্ধান্ত হয়েছে তখন থেকেই মোটামুটি একটু আলোচনা হচ্ছিল যে, সেখানে যেহেতু আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন সেখানে একটা সাক্ষাৎ হতে পারে। 

এটা একটা সম্ভাবনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল। এখন এটা পরিপর্ক্ক হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে আমাদের স্ট্যাডিং কমিটির মিটিংও হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেছেন। তারেক রহমানকে ফরমালি দাওয়াত করা হয়েছে মিটিংয়ের জন্যে। ১৩ তারিখ ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত (লন্ডন স্থানীয় সময়) প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই সময়টা দেয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মিটিংয়ের জন্য আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

আমরা প্রত্যাশা করছি যে, এটা বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে পজেটিভ ভূমিকা রাখতে পারে।’

অনুষ্ঠেয় বৈঠকটিকে এই সময়ের বড় ‘পলিটিক্যাল ইভেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক সুযোগও তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। নতুন একটা দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস তিনি দেখা করবেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি দল চালাচ্ছেন এতোদিন ধরে। যিনি রাজনীতিতে প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হয়ে আছেন বাংলাদেশে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যেও একটা প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। 

তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হওয়াটা আমি বড় ইভেন্ট বলে মনে করি। ‘ইটস এ মেজর পলিটিক্যাল ইভেন্ট।’

তিনি বলেন,  আমার মনে হয় যে, এই সময়ের মধ্যে সবচাইতে ইম্পরটেন্ট ইভেন্ট, এই মিটিংয়ে গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি মনে করি জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এটা গুরুত্ব অনেক বেশি।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেছেন, ‘আপনাদের পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিকদের মধ্যে বহু আলোচনা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলছে। এর মধ্যে এই মিটিংটা হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতৃবৃন্দের (মুহাম্মদ ইউনুস-তারেক রহমান) উপরে তারা কিভাবে সেই সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের দলের তরফ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ অথোরিটি দিয়েছি তার, সাফল্য প্রার্থনা করেছি।’

বৈঠকের স্থান কোথায় জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ লন্ডনে যে হোটেলটিতে (হোটেল ডোরচেস্টার) উনি প্রধান উপদেষ্টা আছেন সেটাতেই ভেন্যু। ওখানেই তার সঙ্গে ‘ইংল্যান্ডের হাউজ অব কমন্সের ডেপুটি লিডার অব দি হাউজ’ দেখা করবেন তারেক রহমান সাহেবের বৈঠকের পরে। এরপরে অন্যান্য নেতা যারা আছেন তারা ওখানেই দেখা করবেন। 


আরও খবর



জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

করিডোর ইস্যু ও সীমান্ত নিরাপত্তা ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো কার্যক্রমে সেনাবাহিনী কখনোই সম্পৃক্ত হবে না। সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের সহযোগিতায় দেশ ও জাতির স্বার্থে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলেও আশ্বস্ত করেছে সেনাসদর।

ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত একাধিক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ সময় করিডোর, কেএনএফ, সীমান্ত পরিস্থিতি এবং যৌথ অভিযানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকায় সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে করিডোর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর অবস্থান পরিষ্কার করে বলা হয়, এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এই বিষয়ে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ কিংবা মতপার্থক্য নেই। বরং, তারা ‘ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে’ কাজ করছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “এই দেশ আমাদের সবার। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সেনাবাহিনী কোনো আপস করে না। করিডোর ও বর্ডার পরিস্থিতি দুটি ভিন্ন বিষয়, এদের একসঙ্গে মেশানো অনুচিত।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের এক পোশাক কারখানায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর নামে প্রায় ৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তদন্ত চলছে—এই পোশাক কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং এর সঙ্গে অন্য কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “বম কমিউনিটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। সেক্ষেত্রে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কারা ব্যবহার করবে, তা খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না, বরং জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেনা কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে রাখাইন অঞ্চলের প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমারে কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের অস্তিত্ব বিলীন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুভমেন্ট অস্বাভাবিক নয়, তবে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি, করবও না। যতক্ষণ শরীরে শক্তি থাকবে, আমরা দেশের সীমানা রক্ষা করব। এই দেশ আমাদের সকলের।”

সীমান্তে আরসা বাহিনীর টহল নিয়ে তিনি বলেন, “অবশ্যই এটি উদ্বেগজনক। তবে আমরা সতর্ক এবং বিজিবি ও সেনাবাহিনী একযোগে কাজ করছে। পুশইন কোনোভাবেই কাম্য নয়, প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী সরাসরি মাঠে নামবে।”

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৭০৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র এবং ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানায়, মাদকবিরোধী অভিযানে আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০০ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী ও ডাকাতও রয়েছে।

ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চিংড়িতে জেলি মেশানো এবং ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব অভিযানের ফলে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন সেনা কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তারা আরও বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করবে”—এমন গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আলোচনাও হয়নি। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনী দুই সপ্তাহব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় টহল ও চেকপোস্ট বসানো হবে, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা হবে।


আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

 নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(আ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী। তবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক ব্যাখ্যা না করেই আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(অ)(আ) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে গণ্য করে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের একই আইনের ৬(২)(আ) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় জঙ্গিদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করি, আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

এছাড়া হাইকোর্ট তার রায়ে আরো বলেন, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২২ জনকে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্ত করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ‘নব্য জেএমবি’র সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় সংশোধন করে সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

হাইকোর্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।


আরও খবর



স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

 স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বুধবার রাত ১১টা ১৭ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশ্য রওনা দেন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার গুলশানের বাসভবন থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে যান।

বেগম খালেদা জিয়ার হাসাপাতালে যাওয়াকে কেন্দ্র করে গুলশান থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পুরো রাস্তায় হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত হন। এসময় নেতা-কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন পুরো পরিবেশ।


আরও খবর