Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

ফুলবাড়ীতে পূর্বশত্রুতার জেরে ২০০টি চারা আমগাছ বিনষ্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ২৯৯জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধ  

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রেজাউল আলম নামে একজন চিকিৎসকের আম ও আনারস বাগানের প্রায় ২০০টি ফলজ আমের গাছ উপড়ানোসহ আনারস ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌরসভার তেতুলিয়া গ্রামে স্বপ্নপুরি রোডে। এই ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক রেজাউল আলমের ছোট ভাই মোঃ খাদিমুল ইসলাম ফুলবাড়ী থানায় বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডাইরি করেন।
বাদী খাদেমুল ইসলাম জানান, তার ভাই রেজাউল আলম তেতুলিয়া মৌজার জে,এল ৫৪, খতিয়ান নং ২৮৯, ১২৬১ নং দাগের ৩৩ শতক ক্রয়কৃত জমিতে গত কয়েক বছর ধরে বাগান আকারে আম ও আনারসের চাষ করে আসতেছেন। তার ভাই পেশাগত কারনে রংপুরে থাকায় বাগানগুলো কাছে থেকে দেখাশুনা করা সম্ভব হয়না। গত দেড় বছর পূর্বে প্রায় ২০০ টি আমের গাছ সেখানে লাগানো হয়। বর্তমানে প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় আম ধরেছিল। কিন্তু গতকাল সকাল সাতটায় জমিতে গিয়ে দেখা যায় সব আমের গাছ উপড়ানো ও আনারসের  ক্ষেত লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে আছে। আম ও আনারসসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রতিবেশী মোঃ খেরাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রাকিব খান দীর্ঘদিন থেকে এই জমি ও বাগান নিয়ে শত্রুতা করে আসছিল বলে সে এই কাজটি করেছে বলে সন্দেহ পোষণ করছে ভুক্তভোগী। জানা যায়  ক্ষেতের পাশেই রাকিবের গোডাউন ঘর। সে প্রায় আমার ভাইয়ের জমির বেড়ার উপর মাটি দিয়ে আইল সরিয়ে দিত। এর প্রতিবাদে কিছু বলতে গেলে হুমকি দিত। যখন তখন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতো। তাছাড়া ঘটনার আগের দিন রাতে সে তার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সারারাত পিকনিক করে তার গোডাউন ঘরে। খাদিমুল ইসলাম এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায়।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ২০০ টি আম গাছ উপড়ানো ও আনারস ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



উত্তরণের একসেস প্রকল্পের ইউনিয়ন পর্যায়ের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত।

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু   :স্টাফ রিপোর্টার;

রায়েন্দায় উত্তরণের একসেস প্রকল্পের ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (২১ মে, ২০২৫) সকাল ১০ টায় রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপারেশন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উত্তরণ সংস্থার বাস্তবায়নে একসেসপ্রকল্পের আওতায় প্রকল্প অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডি আর-আর এন্ড ওয়াশ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ইমন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুর আলম, মনিরুজ্জামান তালুকদার, ইউপি সদস্য মোাঃ কাওসার হোসেন,  ইউপি সদস্য মাফিয়া বেগম, ইউপি সদস্য আকলিমা বেগম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুল ইসলাম এবং স্থানীয় পর্যায়ের পেশাজীবি এবং প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের এগ্রিকালচার এন্ড লাইভলিহুড কর্মকর্তা অভিক রঞ্জন মন্ডল, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা অনিত কুমার দাস এবং রুহুল আমিন। প্রকল্পের কর্মকর্তা বৃন্দ প্রকল্প নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন, পাশাপাশি সভার অংশগ্রহনকারীরা এলাকায় কাজের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।

উত্তরণের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দূর্যোগ ঝুঁকি নিরসণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও জীবিকায়ন, স্থানান্তরিত মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যকর পরিষেবা বিষয়ক কাজের পরিকল্পনা রয়েছে।


আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

 নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(আ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী। তবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক ব্যাখ্যা না করেই আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(অ)(আ) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে গণ্য করে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের একই আইনের ৬(২)(আ) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় জঙ্গিদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করি, আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

এছাড়া হাইকোর্ট তার রায়ে আরো বলেন, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২২ জনকে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্ত করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ‘নব্য জেএমবি’র সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় সংশোধন করে সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

হাইকোর্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।


আরও খবর



জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

করিডোর ইস্যু ও সীমান্ত নিরাপত্তা ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো কার্যক্রমে সেনাবাহিনী কখনোই সম্পৃক্ত হবে না। সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের সহযোগিতায় দেশ ও জাতির স্বার্থে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলেও আশ্বস্ত করেছে সেনাসদর।

ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত একাধিক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ সময় করিডোর, কেএনএফ, সীমান্ত পরিস্থিতি এবং যৌথ অভিযানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকায় সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে করিডোর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর অবস্থান পরিষ্কার করে বলা হয়, এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এই বিষয়ে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ কিংবা মতপার্থক্য নেই। বরং, তারা ‘ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে’ কাজ করছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “এই দেশ আমাদের সবার। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সেনাবাহিনী কোনো আপস করে না। করিডোর ও বর্ডার পরিস্থিতি দুটি ভিন্ন বিষয়, এদের একসঙ্গে মেশানো অনুচিত।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের এক পোশাক কারখানায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর নামে প্রায় ৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তদন্ত চলছে—এই পোশাক কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং এর সঙ্গে অন্য কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “বম কমিউনিটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। সেক্ষেত্রে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কারা ব্যবহার করবে, তা খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না, বরং জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেনা কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে রাখাইন অঞ্চলের প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমারে কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের অস্তিত্ব বিলীন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুভমেন্ট অস্বাভাবিক নয়, তবে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি, করবও না। যতক্ষণ শরীরে শক্তি থাকবে, আমরা দেশের সীমানা রক্ষা করব। এই দেশ আমাদের সকলের।”

সীমান্তে আরসা বাহিনীর টহল নিয়ে তিনি বলেন, “অবশ্যই এটি উদ্বেগজনক। তবে আমরা সতর্ক এবং বিজিবি ও সেনাবাহিনী একযোগে কাজ করছে। পুশইন কোনোভাবেই কাম্য নয়, প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী সরাসরি মাঠে নামবে।”

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৭০৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র এবং ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানায়, মাদকবিরোধী অভিযানে আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০০ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী ও ডাকাতও রয়েছে।

ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চিংড়িতে জেলি মেশানো এবং ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব অভিযানের ফলে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন সেনা কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তারা আরও বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করবে”—এমন গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আলোচনাও হয়নি। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনী দুই সপ্তাহব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় টহল ও চেকপোস্ট বসানো হবে, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা হবে।


আরও খবর



কেরানীগঞ্জে বাকি ১১.৪০ একর জমি বুঝে পেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

 কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য ২০০ একর জমির সবটুকুই বুঝে পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ এর নির্দেশে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাকি থাকা ১১.৪০ একর জমি দাপ্তরিকভাবে হস্তান্তর করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। 

ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, কানুনগো ও সার্ভেয়ার সরেজমিনে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের অধিগৃহীত ভূমির দখল প্রত্যাশী সংস্থা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিয়ে অধিগ্রহণের কাজ সমাপ্ত করেন। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, শিক্ষকবৃন্দ এবং উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এই জমিটুকু আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর বাকি ছিল। অবশেষে আমরা সেটাও বুঝে পেলাম। আশা করি দ্রুতগতিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে একনেক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০০ একরের নতুন ক্যাম্পাসের অনুমোদন পায়। তবে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১৮৮ দশমিক ৬০ একর জমি বুঝিয়ে দেয় ঢাকার জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন কারণে ১১ দশমিক ৪০ একর জমি তখন বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আজ সেটা সম্পন্ন করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঢাকার ৯/২০২২-২০২৩ নং এলএ কেস মূলে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কেরানীগঞ্জ উপজেলাধীন পশ্চিমদী মৌজায় ১১.৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে জেলা প্রশাসন, ঢাকা।  


উল্লেখ্য ইতোপূর্বে ২/২০১৮-২০১৯ নং এলএ কেস মূলে কেরানীগঞ্জ উপজেলাধীন পশ্চিমদী মৌজায় ১৮৮.৬০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে গত ২৩/০১/২০২০ তারিখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসন মোট ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দখল বুঝিয়ে দিয়েছে।

কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ২০০ একর জমির ওপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। গত ১৬ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ ‘অর্পিত ক্রয় কার্য’ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর এবং বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বাসসকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রাচীন বিদ্যাপীঠ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবটুকু জমি বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত। আশা করি এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পরবর্তী কার্যক্রম দ্রুততার সাথে শেষ করে ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পুরন করবে। 


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটরের মডেল নির্ধারণ করে দিল বোর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১৩জন দেখেছেন

Image

আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় হলে নির্ধারিত ৭টি মডেলের সায়েন্টিফিক নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি সাধারণ ক্যালকুলেটরও ব্যবহার করতে পারবে। ক্যালকুলেটরের নির্দিষ্ট মডেল উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা কেন্দ্র সচিব ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

সোমবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরীক্ষায় নির্ধারিত ৭টি মডেলের সায়েন্টিফিক নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটগুলো হলো-এফএক্স-১০০এমএস, এফএক্স-৯৯১ইএ, এফএক্স-৫৭০এমএস, এফএক্স-৮২এমএস, এফএক্স-৯৯১ইএক্স, এফএক্স-৯৯১এমএস এবং এফএক্স-৯৯১ইএস প্লাস।

উল্লিখিত মডেলের ক্যালকুলেটর ছাড়াও শিক্ষার্থীরা সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।


আরও খবর