নিজস্ব প্রতিবেদক
আদিকাল থেকে মাটিতে তরজমুজ চাষ হয়ে আসছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে। এবারেই প্রথম উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় উপজেলার ৮জন কৃষক বাঁশের মাচায় বিভিন্ন রংঙের তরমুজ চাষে সফলতা হয়েছেন।
উপজেলার ভিমলপুর গ্রামের আব্দুল হামিদসহ ৮ জন কৃষকের বাঁশের মাচায় হলুদ, কালো ও সবুজ রঙের তরমুজ, চাষ করে দৃষ্টি কেড়েছে উপজলার অন্যন্য কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খরিফ-১ মৌসুমে প্রথমবার এবছর উপজেলায় ১ দশমিক ৬ একর জমিতে মাচা পদ্ধতিতে তৃপ্তি, অনুভব ও করি দেশী জাতের তরমুজ চাষ প্রদর্শনী করা হয়েছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার ৮জন কৃষক, ২০ শতক করে জমিতে এই প্রদর্শনী করেছেন। এ চাষে কৃষকদের বীজ, জৈব সার, জৈব বালাই নাশকসহ সার্বিক পরামর্শ প্রদান করছেন কৃষি অধিদপ্তর।
এছাড়াও ফসল পরিচর্যার জন্য প্রতিটি কৃষককে ৩ হাজার করে টাকা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা। প্রদর্শনী ছাড়াও নিজ উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন অনেক কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খরিফ-১ মৌসুমে প্রথমবার এবছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায় ১ দশমিক ৬ একর জমিতে মাচা পদ্ধতিতে তৃপ্তি, অনুভব ও করি দেশী জাতের তরমুজ চাষ প্রদর্শনী করা হয়েছে। কৃষকদের বীজ, জৈব সার, জৈব বালাই নাশকসহ সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল বিকেলে ভিমলপুর মাঠে তরমুজ প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের জেলা প্রশিক্ষক জাফর ইকবাল, প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক রাকিবুজ্জামান, মনিটরিং ও ইভালুয়েশন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রুম্মান আক্তার, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শাহানুর রহমান।
ফুলবাড়ীতে বাঁশে মাচায় রং বে রং এর তরমুজ চাষে সফল কৃষক।
ফুলবাড়ীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন, বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
রাণীনগরে আতব ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ ॥ ক্ষতিতে কৃষকরা
মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়
ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।
প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।
দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।
শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শেষ যুগে যেভাবে চলতে বলেছেন নবীজি (সা.)
রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
দুর্নীতিতে যুক্ত নেতানিয়াহু , জানালেন ইসরাইলি তদন্ত কর্মকর্তা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিশ্চিতভাবে দুর্নীতিতে দোষী বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা। এলি আসায়াগ নামে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী দোষী।
পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়া আসায়াগ ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৯ সালের শুরু পর্যন্ত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ২০২১ সালের মার্চে দীর্ঘ ৩৬ বছরের চাকরি জীবন থেকে অবসর নেন।
এলি আসায়াগ বুধবার ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজকে বলেন, ‘আমি ৩৬ বছর পুলিশে কাজ করার পর ৫৮ বছর বয়সে অবসর নিয়েছি। আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। তবে বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকে আর পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে, আমি এ ধরনের সংবেদনশীল মামলাগুলো পরিচালনা করেছি’।
নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসায়াগ বলেন, তিনি এখনও মামলার সাক্ষী হতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রধানমন্ত্রী কখনও কখনও ‘রাগান্বিত হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন’।
এই মামলার তদন্তকে তিনি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দক্ষ এবং পেশাদার তদন্তগুলোর একটি বলে বর্ণনা করেছেন।
আসায়াগ বলেন, ‘নয় মাসেরও কম সময়ে আমরা তদন্ত সম্পন্ন করি এবং প্রতিবেদনটি স্টেট প্রসিকিউটরের দপ্তরে পাঠাই’। একই সঙ্গে তিনি একে ‘সাদা পোশাকধারী অপরাধের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত তদন্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি নেতানিয়াহুকে দোষী মনে করেন কি না? জবাবে আসায়াগ নিশ্চিতভাবে বলেন, ‘আমি যদি নিশ্চিত না হতাম, তবে অভিযোগগঠনের সুপারিশ করতাম না’।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলব্লিট নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় দুর্নীতির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।
নেতানিয়াহু আগামী মঙ্গলবার তেলআবিব জেলা আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা এসব দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সাক্ষ্য দেবেন।
নেতানিয়াহুর বিচার ২০২০ সালে জেরুজালেম জেলা আদালতে শুরু হয়। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু
মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
১৫ মিনিট স্লো ঘড়ি, বাস মিস ও এরপর ম্যাচসেরা—গল্পটা জর্জ লিন্ডার
খেলা ডেস্ক: ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, কলম্বো। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন স্পিন অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডা। ব্যাটিংয়ে করেন ২৪ বলে ১৮। হারের পর জাতীয় দলের হয়ে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে লিন্ডাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন বছর, তিন মাস দুই দিন। চাইলে সঙ্গে আরও ১৫ মিনিট যোগ করতে পারেন।
সেই ১৫ মিনিটের ব্যাখ্যাটা বেশ মজার। ডারবানে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ১১ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ সেই বিরতি কাটিয়ে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন লিন্ডা।
সেই পথেই ৩৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনারের দেরি হয়েছে ১৫ মিনিট। নির্ধারিত সময়ে সতীর্থদের সঙ্গে হোটেল থেকে বের হয়ে টিম বাসে উঠতে পারেননি। পরে পুলিশের সাহায্যে ধরেছেন বাস। এই পথেই ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে লিন্ডার।
তবে মাঠে নামার পর তিন বছরের বেশি সময়ের অপেক্ষা লিন্ডা যেন মিটিয়েছেন সুদে-আসলে। আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮৩ রানের পুঁজিতে সাতে নেমে ২৪ বলে ৪৮ রান করেন। এরপর বল হাতে ২১ রানে নেন ৪ উইকেট। প্রোটিয়াদের ১১ রানের জয়ে লিন্ডা স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে সময়মতো টিম বাস ধরতে না পারা নিয়ে লিন্ডা যা বললেন, তা–ও বেশ মজার।
লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’
লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’
আইরিশদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
রুটের ৩৬তম সেঞ্চুরির দিনে সিরিজ জয় ইংল্যান্ডের
রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
চিন্ময়ের গ্রেফতারে দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। আর শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করত ভারত। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।
আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে কিভাবে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্ত পান করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বোঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।
‘সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কী ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার! কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।’
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এই ধরনের অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। ভারতকে মনে করতাম সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হতো, যেই ভারতকে জ্ঞানীগুণী দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে সেই দেশে হিংস্র ঘাতক এবং রক্ত পিপাসু মানুষেরা বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।’
তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশে লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, এটি একটি ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কী নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে! কী হিংস্র আচরণ করেছে! আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখলে মনে হয়, কোনো হরর সিনেমার দৃশ্য! শেখ হাসিনা এইরকম কর্মকাণ্ড করে গেছে! আজ তার জন্য এত মায়াকান্না! তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।
তিনি আরো বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না।
রিজভী বলেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতার বিরোধী। সার্বভৌমত্বের বিরোধী। জনগণের বিরোধী।
আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
অবৈধ বিদেশিদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
রোজার আগেই চড়া হলো ছোলার বাজার
নিজেস্ব প্রতিবেদক: রোজা এখনও তিন মাস দূরে থাকলেও ইফতারির সবচেয়ে মুখরোচক এ খাদ্যপণ্যের দাম উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভোক্তাদের। খোদ সরকারি সংস্থা টিসিবিই বলছে, গত এক বছরে ছোলার দর বেড়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে আমদানি বাড়ানো, সরবরাহ ব্যবস্থা ও বাজার তদারকি এবং টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন যে ছোলা বিক্রি হচ্ছে, তা গত বছর আমদানি করা। সেই সময় ডলারের দর ও বিশ্ববাজারে ছোলার দাম বেশি ছিল। রমজান উপলক্ষে নতুন করে ছোলা আমদানি শুরু হয়েছে। সহজে এলসি খুলতে পারলে আগামী জানুয়ারিতে আমদানি অনেক বেড়ে যাবে। ফলে দাম বাড়ার শঙ্কা নেই, বরং সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে কমতে পারে।
গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজার, চকবাজার, মহাখালীসহ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১১৭ টাকায়; যা খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। গত বছরের এই সময় খুচরা পর্যায়ে ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৫ টাকা।
টিসিবির বাজারদরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত এক মাসে প্রায় ৪ শতাংশ দর কমেছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে এখনও প্রায় ৪৯ শতাংশ দর বেশি।
কারওয়ান বাজারের তুহিন জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী রায়হান বলেন, ছোলার কেজি কয়েক দিন আগে ১৪০ টাকা উঠেছিল। তবে এখন কমে ১৩০ টাকায় এসেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে ছোলার চাহিদা বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টন। রমজানে চাহিদা থাকে এক লাখ টন। তবে আমদানিকারকরা এ তথ্য মানতে রাজি নন।
তাদের মতে, দেশে প্রতিবছর ছোলার চাহিদা দুই লাখ টনের মতো। শুধু রমজানেই দরকার হয় এক লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টন। দেশে বছরে মাত্র পাঁচ-সাত হাজার টন উৎপাদন হয়। ফলে চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ছোলা আমদানি হয়। পাশাপাশি ভারত, কানাডা, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন, তানজানিয়া, মিয়ানমার থেকেও আমদানি হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ভারত থেকেই বেশি আমদানি হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে জানা গেছে, গত জুলাই-অক্টোবরে ছোলা আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৬৮২ টন। গত বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ১১ হাজার ৩৬৬ টন। এ সময় আমদানি কম হওয়াকে অস্বাভাবিক মনে করছেন না ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, জানুয়ারিতে পুরোদমে রোজার জন্য ছোলা আমদানি হবে। ফলে সংকট হবে না।
বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও আফজাল হোসেন অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেইন বাবু বলেন, জানুয়ারিতে সবাই ছোলা আমদানি শুরু করবে। অস্ট্রেলিয়াতে ছোলার মৌসুম জানুয়ারি। তখন আমদানিকারকরা বিভিন্ন দেশের দর পর্যালোচনা করবেন। যে দেশে কম পাবেন, সেখান থেকেই আনবেন। তবে ব্যাংক ডলারের ন্যায্য দর দিলে এবং ব্যবসায়ীরা সময়মতো এলসি খুলতে পারলে আমদানি বাড়বে।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে ছোলা আনতে এক-দেড় মাস লাগে। তবে ভারত থেকে দ্রুত ছোলা আমদানি করা যায়। এখন ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে। সেখান থেকে এবার আমদানি করা যাবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।
খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, আমদানিকারকরা বসে নেই। সবাই কম-বেশি আমদানি করছেন। তবে রোজার আগে এলসি খোলা স্বাভাবিক থাকলে সংকট হবে না। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে দামও বাড়বে না, বরং কমতে পারে।
এ ব্যাপারে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আমদানি বাড়াতে এলসি সহজ করতে হবে। তবে রোজার আগে কিছু ব্যবসায়ী কারসাজির চেষ্টা করেন। সেজন্য বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে। এ ছাড়া ক্রেতারও একসঙ্গে বেশি পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত।
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
রাণীনগরে আতব ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ ॥ ক্ষতিতে কৃষকরা
মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪