Logo
আজঃ বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়,আসাদকে আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিল বিএনপির ৩ সংগঠন

ফরিদপুরে মদ্যপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

ফরিদপুরে মদপানে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যুর পর এবার স্বপ্না বাওয়ালী (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের চর অযোধ্যা গ্রামের পঞ্চানন বাওয়ালীর মেয়ে। সে চরঅযোধ্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক রতন কুমার সাহা।

এর আগে রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনের ব্যবধানে মদপানে ফরিদপুরে তিনজনের মৃত্যু হলো।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বড় বোন সুস্মিতার সঙ্গে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরাঘুরির জন্য বের হয় স্বপ্না। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বাড়িতে ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে স্বপ্নার অসুস্থতার বিষয়টি লক্ষ্য করে তার কাছে জানতে চাইলে সে মদপানের কথা স্বীকার করে। তবে কখন কাদের সঙ্গে মদ পান করেছে তা জানায়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফফার বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল থেকে আমাদের জানানো হয়েছে মদপানে বিষক্রিয়ায় স্বপ্নার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এর আগে মদপানে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাগুরার শালিখা উপজেলার দেবিলা গ্রামের সাধন বিশ্বাসের মেয়ে পূজা বিশ্বাস (২০) ও একই কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থী ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রাম এলাকার রতন কুমার সাহার মেয়ে রত্না সাহা (২৬) মারা যান।


আরও খবর



শেষ যুগে যেভাবে চলতে বলেছেন নবীজি (সা.)

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সময় যত কেয়ামতের দিকে ঘনিয়ে যাবে, ততই ফিতনা বেড়ে যাবে। ঈমান ও ইসলামের ওপর টিকে থাকা তখন সবার পক্ষে সহজ হবে না। এমন কঠিন সময়ে হাদিসের নির্দেশনা হলো- নিজেকে নেক আমলে ব্যস্ত রাখা এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরের পরিবেশে না যাওয়া। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর চলমান ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। (মুসলিম : ৭১৩৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ফিতনার সময় ঈমানদারের করণীয় হলো- সর্বদা চুপ থাকা। এত পরিমাণ চুপ থাকা, যার কারণে কোনো ফিতনা তাকে আকৃষ্ট করতে না পারে। (আল ফিতান : ৭৩৫)। হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে তাকাবে, ফিতনা তাকে ঘিরে ধরবে। তখন কেউ যদি কোনো আশ্রয়ের জায়গা কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন আত্মরক্ষা করে। (বোখারি : ৭০৮১)

এ ছাড়া আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। হুজাইফা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষের ওপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মতো। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩৬৪৪৭)

অর্থাৎ নদীতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি যেভাবে বাঁচার আকুতি নিয়ে দোয়া করতে থাকে, সেভাবে দোয়া করা। পাশাপাশি নিজের নজরের হেফাজত করা। ফিতনার বিষয় সম্পর্কে জানতেও বের না হওয়া। ফিতনার দিকে দৃষ্টি বা উঁকি না দেওয়া। সবসময় সৎ কাজ আঁকড়ে ধরা, অসৎ কাজ পরিহার করা, সর্বসাধারণকে এড়িয়ে মুত্তাকিদের সঙ্গে চলাফেরা করা এবং পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করা ফিতনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন ফিতনা তীব্র আকার ধারণ করবে, তখন তোমরা সৎ কাজকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে, তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারণকে এড়িয়ে চলবে। (আল ফিতান : ৭২১)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ফিতনার যুগে কেউ যদি জান্নাতের উপযুক্ত হতে চায়, তার জন্য বিশেষ তিনটি করণীয় রয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, সেসময় নাজাতের উপায় কী? তিনি বললেন, নিজের জিহ্বা আয়ত্তে রাখবে, নিজের ঘরে পড়ে থাকবে এবং নিজের পাপের জন্য রোদন করবে। (মিশকাত : ৪৮৩৭)

সর্বযুগের অন্যতম বড় ফিতনা হচ্ছে নারীর ফিতনা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো নারীর ওপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বারবার দৃষ্টিপাত করো না; বরং দৃষ্টি অতিসত্বর ফিরিয়ে নিও। কারণ তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়। (মুসনাদে আহমদ : ১৩৬৯)। নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, পুরুষের জন্য নারী জাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোনো ফিত?না আমি রেখে যাইনি। (বোখারি : ৫০৯৬)

এ উম্মতের আরো একটি বড় ফিতনা হচ্ছে- ধন-সম্পদের ফিতনা, যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে মানুষকে গাফেল রাখে। হজরত কাব ইবনে ইয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোনো না কোনো ফিতনা ছিল। আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ। (তিরমিজি : ২৩৩৬)

ফিতনার যুগে গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, যা না থাকলে যেকোনো সময় ফিতনা গ্রাস করে ফেলতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা আঁকড়ে ধরে থাকো, তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (আত-তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৪০)

দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে করণীয় : পাপ সবসময় বর্জনীয়। পাপের চূড়ান্ত শাস্তি আখেরাতে হলেও অনেক সময় দুনিয়াতেও আল্লাহতায়ালা শাস্তি দিয়ে থাকেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জাতির মধ্যে আত্মসাৎ বৃদ্ধি পেলে সে জাতির লোকদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করা হয়। কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। কোনো সম্প্রদায়ের লোকরা পরিমাপ ও ওজনে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করা হয়। কোনো জাতির লোকরা অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করলে তাদের মধ্যে রক্তপাত বিস্তৃতি লাভ করে। কোনো জাতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর শত্রুদল চাপিয়ে দেন।’ (মুয়াত্তা মালেক : ১৩২৩)

আল্লাহর দেওয়া দুনিয়াবি শাস্তির ধরন নানারকম হয়ে থাকে। কারো অসুস্থতার মাধ্যমে, কাউকে অসহায়ত্বের মাধ্যমে, কারো আবার ঈমান হরণের মাধ্যমে। গুনাহের প্রথম শাস্তি হলো মানসিক অস্থিরতা। এরপর নানা আপদে পতিত হতে হয় পাপিকে।

প্রথম শাস্তি মানসিক অশান্তি বড় এক আপদ। এই আপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তওবা ও নেক আমল। এ ছাড়া প্রশান্তির কোনো উপায় নেই। এ মহা নেয়ামত আল্লাহতায়ালা তার রাসুলকে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, আমি কি আপনার অন্তর প্রশান্ত করিনি? (সুরা ইনশিরাহ : ১)

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কঠিন ফিতনার দিনে ঈমান ঠিক রাখার তাওফিক দান করুন। দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ আমল করারও তাওফিক দিন। আমিন।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




‘পুষ্পা ২’-এর প্রযোজককে দেয়া হলো মারার হুমকি

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে পুষ্পা ২: দ্য রুল। মাত্র চার দিনেই আটশো কোটি টাকার বেশি আয় করে ফেলেছে সিনেমাটি। তাও আবার দ্রুততম ভারতীয় সিনেমা হিসেবে। আলোচিত এই সিনেমাটি একদিকে যেমন বক্স অফিসের পাচ্ছে তুমুল সাফল্য, অন্যদিকে নানা রকম বিতর্কও নিচ্ছে পিছু। গত কয়েকদিন আগেই ‘পুষ্পা-২’ র প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছে শিশুসহ এক নারী। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এছাড়া প্রেক্ষাগৃহে বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানো, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে এ ছবি নিয়ে। এদিকে এবার নতুন বিপদ ক্ষত্রিয় প্রতিবাদ। ছবির প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসরে নামতে চলেছেন রাজপুত নেতা ‘রাজ শেখাওয়াত’। ছবিতে ‘শেখাওয়াত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তাতেই নাকি খেপেছে রাজপুত কুল। তাদের দাবি—অপমান করা হয়েছে রাজপুত ক্ষত্রিয়দের। অভিযোগকারীদের হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুলেছেন রাজ শেখাওয়াত। এক্সে এক ভিডিওবার্তায় তিনি হুমকি দিয়েছেন— শেখাওয়াত উপাধিকে নেতিবাচকভাবে ‘পুষ্পা ২’-তে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি ক্ষত্রিয়দের অপমান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শব্দটি ছবিতে একাধিকবার ব্যবহৃত হয়েছে। শিগগিরই সরিয়ে না ফেললে প্রযোজককে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এখানেই শেষ নয়; রাজ শেখাওয়াত উসকেছেন করণী সেনাদেরও। তিনি বলেন, বিনোদনের উপকরণ হিসেবে আরও একবার ক্ষত্রিয়রা অপমানিত। খুব দুর্বলভাবে ‘শেখাওয়াত’দের দেখানো হয়েছে। আপনারা তৈরি থাকুন। আমাদের নির্দেশ না মানলে যে কোনো সময় প্রযোজককে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। প্রয়োজনে প্রযোজকের বাড়ির ভেতরে ঢুকে মারধর করারও হুমকি দিয়েছেন রাজ শেখাওয়াত। প্রসঙ্গত, পরিচালক সুকুমারের ‘পুষ্পা ২’ ছবিতে এসপি ‘বনওয়ার সিংহ শেখাওয়াত’-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফহাদ ফাসিল।



আরও খবর



১৫ মিনিট স্লো ঘড়ি, বাস মিস ও এরপর ম্যাচসেরা—গল্পটা জর্জ লিন্ডার

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, কলম্বো। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন স্পিন অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডা। ব্যাটিংয়ে করেন ২৪ বলে ১৮। হারের পর জাতীয় দলের হয়ে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে লিন্ডাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন বছর, তিন মাস দুই দিন। চাইলে সঙ্গে আরও ১৫ মিনিট যোগ করতে পারেন।


সেই ১৫ মিনিটের ব্যাখ্যাটা বেশ মজার। ডারবানে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ১১ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ সেই বিরতি কাটিয়ে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন লিন্ডা।


সেই পথেই ৩৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনারের দেরি হয়েছে ১৫ মিনিট। নির্ধারিত সময়ে সতীর্থদের সঙ্গে হোটেল থেকে বের হয়ে টিম বাসে উঠতে পারেননি। পরে পুলিশের সাহায্যে ধরেছেন বাস। এই পথেই ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে লিন্ডার।


তবে মাঠে নামার পর তিন বছরের বেশি সময়ের অপেক্ষা লিন্ডা যেন মিটিয়েছেন সুদে-আসলে। আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮৩ রানের পুঁজিতে সাতে নেমে ২৪ বলে ৪৮ রান করেন। এরপর বল হাতে ২১ রানে নেন ৪ উইকেট। প্রোটিয়াদের ১১ রানের জয়ে লিন্ডা স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে সময়মতো টিম বাস ধরতে না পারা নিয়ে লিন্ডা যা বললেন, তা–ও বেশ মজার।


লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’


লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’




আরও খবর



২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

বানিজ্য ডেস্ক: আগামী বছর থেকে মুদ্রানীতিতে ‘যথাযথ শিথিলতা’ আনবে চীন। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে নীতি প্রণয়নে আরও সক্রিয় হবে দেশটি। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো এই তথ্য জানিয়েছে।


পলিটব্যুরোর শীর্ষ কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের প্রতিবেদন উল্লেখ করে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিনহুয়ার খবর, দেশটি নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধিতে জোর দেবে। আসন্ন বার্ষিক সেন্ট্রাল ইকোনমিক ওয়ার্ক কনফারেন্সের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই সময় কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। জানা গেছে, এই সম্মেলনে ২০২৫ সালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ও নীতি নির্ধারণ করা হবে। খবর রয়টার্স


পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, আর্থিক নীতি প্রণয়নে আরও সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি মুদ্রানীতিতে যথাযথ শিথিলতা থাকা উচিত। সেই সঙ্গে অন্যান্য নীতিগত সংস্কার ও ব্যবস্থা নেওয়ায় জোর দিয়েছে পলিটব্যুরো। তারা আরও জানিয়েছে, আবাসন বাজার ও শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে হবে, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি।


খবরে বলা হয়, পলিটব্যুরোর বৈঠকের বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পর চীনের শেয়ারবাজার চাঙা হয়েছে, বেড়েছে চীনের সরকারি বন্ডের দামও। হংকংভিত্তিক হ্যাং সেং সূচক ২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।

পলিটব্যুরোর বৈঠকে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের পর এই প্রথম চীনের মুদ্রানীতি শিথিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা সংস্থা এএনজেডের চীনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কৌশলবিদ শিং ঝাওপেং বলেন, ঘোষণা শুনে মনে হচ্ছে, বড় ধরনের আর্থিক প্রণোদনা, সুদ হার কমানো ও সম্পত্তি কেনাবেচায় প্রণোদনা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পে চীনের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির হুমকি দিয়েছেন, সেই হুমকির বিরুদ্ধে চীন শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।


রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, চলতি বছর চীনের অর্থনীতি হোঁচট খেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই চীন সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতি চাঙা রাখার চেষ্টা করছেন। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসেও প্রণোদনা দেওয়া হয়।


কেন্দ্রীয় ব্যাংক মহামারির পর থেকে সবচেয়ে আগ্রাসীভাবে মুদ্রানীতি শিথিলকরণের পদক্ষেপ নেয়, যেমন নীতি সুদহার কমানো ও আর্থিক খাতে ১ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ইউয়ান ছাড়া।


এ ছাড়া চলতি বছরের নভেম্বর মাসে চীন ১০ লাখ কোটি ইউয়ানের ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর লক্ষ্য ছিল স্থানীয় সরকারগুলোর অর্থায়ন সংকট কমানো এবং অর্থনীতি স্থিতিশীল করা। তবে এর উদ্দেশ্য ছিল মূলত দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে পৌরসভার আর্থিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা, সরাসরি অর্থনীতিতে অর্থ ঢালা নয়।


চীন হয়তো এ বছর প্রায় ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে; কিন্তু ২০২৫ সালে সেই গতি বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং হবে।


কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসছেন এবং চীনের পণ্যে ৬০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।


ফলে আগামী বছর চীন কীভাবে তা মোকাবিলা করে, দেশটির প্রবৃদ্ধির গতি তার ওপর নির্ভর করছে।


আরও খবর

রোজার আগেই চড়া হলো ছোলার বাজার

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।

প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।

দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪