Logo
আজঃ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম

ফাইনালের আগে জিমি নিশামকে দলে ভেড়ালো ফরচুন বরিশাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক : বিপিএলের ফাইনালের আগে দলের শক্তি বাড়াতে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশামকে ডেরায় ভিড়িয়েছে ফরচুন বরিশাল। তবে কার জায়গায় খেলবেন তিনি সেটি এখনও অনিশ্চিত।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে বরিশালের হয়ে খেলেছেন দাভিড মালান, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ নবী ও মোহাম্মদ আলী। ৫ উইকেট নিয়ে আলী হয়েছেন ম্যাচসেরা। আবার মাত্র ৮ ম্যাচ খেলে মালানের রান সংখ্যা ৩১৫। মাঝে আইএল টি-২০ খেললেও আবারও বিপিএলে ফিরেছেন বরিশালের নিয়মিত অলরাউন্ডার মায়ার্স।

১০ ম্যাচে মাত্র ৬৩ রান করা নবী উইকেট নিয়েছেন ৮টি। সেক্ষেত্রে নবীর জায়গায় খেলতে পারেন নিশাম। এর আগের বিপিএলে রংপুরের হয়ে খেলেছিলেন নিশাম। মিরপুরের মাঠে ৯৭ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংসও আছে তার।


আরও খবর

বিপিএলের পাঁচ দলের নাম প্রকাশ করল বিসিবি

বৃহস্পতিবার ০৬ নভেম্বর ২০২৫




বাগেরহাটের শরনখোলার ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ( সাবেক) কমান্ডার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ১১০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাটের পতিনিধিঃ

বাগেরহাটের শরনখোলার  ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ( সাবেক) কমান্ডার 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বেপারী।

তিনি ১১ অক্টোবর দুপুরে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে গভীর  শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন:

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল 

বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক 

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু


আরও খবর



বিজয়নগর উপজেলা মানব পাচারকারী লিটন মিয়ার চক্রে পরে অনেক পরিবার নিঃস্ব।

প্রকাশিত:বুধবার ২২ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৪৮৯জন দেখেছেন

Image

জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মানব পাচারকারী লিটন মিয়া চক্রের পরে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। গোপন ভিত্তিতে জানা যায় লিটন নামে এক ব্যক্তি অনেক পরিবারে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কারনে  অভিযোগ উঠেছে। এসব মানব পাচারকারী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক পরিবারের ভুক্তভোগীরা বলেন পাচারকারী লিটন মিয়াকে আইনের আওতায় আনা হওক।বিজয় নগরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন, অতি শীগ্রই এলাকাবাসী কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। এবং এর পাশাপাশি আর কোন ভাবে জেন প্রতারণা না করতে পারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি।জারা এই চক্রটির সাথে জড়িত আছে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক এবং কঠিন শাস্তি দেওয়া হওক।

ভুক্তভোগীর নাম ও ঠিকানা: মো: জুনায়েদ মিয়া, পিতা জাকির মিয়া, গ্রাম আখাউড়া কলেজপাড়া, থানা আখাউড়া। 

জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া — তিনি জানান, মানব পাচারকারী লিটন মিয়া (পিতা রহমত আলী, গ্রাম পূর্ব  কেশবপুর  পত্তন থানা  বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এবং রাকিব মিয়া (পিতা ধনু মিয়া গ্রাম হুরকি, থানা মাধবপুর, হবিগঞ্জ;। বর্তমান শ্বশুরবাড়ি নোয়াগাঁও থাকায় অবস্থায়  আখাউড়া এক ব্যক্তি থেকে সার্বিয়া  পাঠানোর কথা বলে তার কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা নেন।

ভুক্তভোগীর দাবি, তারা জাল ভিসা দিয়ে ৭লক্ষ টাকা  প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে দিতে পারনি। গোপন ভিত্তিতে কিছু তথ্য পাওয়া যায় মানব পাচারকারী দালালের সাথে বড় একটা সিন্ডিকেট রয়েছে  গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কিছু করতে পারে নাই। কয়ে দিন পর পর  তারিখ  পরিবর্তন করে,টাকা দেবার কথা বলে গ্রামে থেকে কৌশলে চক্রটি পালিয়ে যাই। অনেক ভুক্তভোগিরা শত শত  কুটি  টাকা আত্মসাৎ করেছে,গ্রামবাসী জানিয়েছেন।  টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে পাচারকারীরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও আরও একজন মানব পাচারকারী সাইফুজ্জামান, পিতা ইলিয়াস হোসাইন   বাড়ি ঝিনাইদহ — তিনিও এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী জুনায়েদ মিয়া বলেন,  “আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি।  এই মানব পাচারকারী চক্রকে দ্রুত আইনেরচ আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দেওয়া হওক।জেন সাধারণ মানুষ  প্রতারণার শিকার না হয়।


আরও খবর



গাইবান্ধায় টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিংয়ের ওপর দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান : অদক্ষ জনসম্পদকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে রোববার প্রশিকা ইনস্টিটিউট অফ স্কীলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট (প্রশি) গাইবান্ধায় পলাশবাড়ীতে তিনমাস মেয়াদী সম্পূর্ণ বিনা খরচে টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিংয়ের ওপর দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু  হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে ২৪ জন প্রশিক্ষানার্থী অংশ গ্রহণ করে। জাতীয় দক্ষতা বিষয়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) কর্তৃক অনুমোদিত, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এমসএসইটি-আইএসআইএসসি ইবিটি প্রোগ্রামের দ্বিতীয় ধাপে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পলাশবাড়ি যুব উন্নয়ন অফিসার মো: আব্দুল ওয়াহাব সরকার।

প্রশিকা ইনস্টিটিউট অফ স্কীলস্ ফর এমপ্লমেন্ট (প্রশি) পলাশবাড়ীর হেড অফ এসটিপি আনন্দ মোহনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক মো: হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রশিকা পলাশবাড়ী উন্নয়ন এলাকার এলাকা ব্যবস্থাপক মো: সিদ্দিকুল আলম মৃধা। প্রধান অতিথি প্রশিকার এই কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করে বিস্তারিত আলোচনা করেন। 

উল্লেখ্য, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ১৯৭৬ সাল থেকে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও কাজ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও দক্ষতা বিষয়ক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রশিকার প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলামের পৃষ্টপোষকতায়, উপপ্রধান নির্বাহী মো: কামরুল হাসান কামাল ও মো: আব্দুল হাকিম, পরিচালক রিজুওয়ানুস শামীম রাজীবের নির্দেশনায় এই কর্মসূচি প্রশিকার বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।



আরও খবর



বৈশ্বিক নতুন অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ আবশ্যক: বক্তারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, পরিবর্তনশীল তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ক্রমশ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। যা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অধিক হারে মনোনিবেশ করা জরুরি।

এছাড়াও দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয় সাধনের পাশাপাশি শিক্ষা ও শিল্পখাতের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।

আজ রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে স্মার্ট মানবসম্পদ উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী।

ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বলেন, প্রশিক্ষণ প্রদানে নিয়োজিত সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা রয়েছে। 

সেই সঙ্গে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে সকল স্তরের সচেতনতার অভাবের বিষয়টিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এনএসডিএ নিজের আইনগত কাঠামো, ভৌত ও প্রশাসনিক অবকাঠামোর ওপর নজর দিলেও বর্তমানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণের ওপর বেশি মনোযোগী হয়েছে।

নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, জাপানে ১ লাখ দক্ষ বাংলাদেশি প্রেরণের লক্ষ্যে সরকারি ও শিক্ষাখাতের সহায়তায় জাপানি ভাষা শেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ করে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপর তিনি জোরারোপ করেন। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়টি সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কেবল প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নয় বরং উৎপাদন ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শ্রমবাজারে গভীর ও মৌলিক রূপান্তর এনেছে, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের শিল্প ও সেবাখাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।

তিনি জানান, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের তথ্য মতে আগামী পাঁচ বছরে বর্তমান চাকরির বাজার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বদলে যাবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৭ কোটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হলেও একই সময়ে ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে স্মার্ট মানবসম্পদই হবে বাংলাদেশের একমাত্র হাতিয়ার। তবে তাদেরকে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন যুগের কর্মসংস্থানে নিজেদের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন, কারিগরি শিক্ষার ওপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ এবং শিক্ষা ও শিল্পখাতের সমন্বয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, এটুআই ও ইউএনডিপি’র ২০১৯ সালের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্য ও কৃষি, ফার্নিচার, পর্যটন ও হসপিটালিটি খাতে প্রায় ৫৩ লাখ ৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের কর্মরত মানবসম্পদকে প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করতে হবে।

তিনি সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের যুগোপযোগীকরণের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। এছাড়াও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিতের ওপর জোরারোপ করেন নিয়াজ আসাদুল্লাহ।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের যুগ্ম-সচিব (আইসিটি ডিভিশন) মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান, দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)-এর সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ট্রান্সকম গ্রুপের কর্পোরেট মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এম সাব্বির আলী, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর রিজিওনাল সিনিয়র ম্যানেজার খান মোহাম্মদ শফিকুল আলম, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসরুর আলী এবং ব্রেইন স্টেশন ২৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাইসুল কবীর অংশগ্রহণ করেন।

হাই-টেক পার্কগুলোতে একক ও যৌথ বিনিয়োগের জন্য দেশীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ সাইফুল হাসান।

অধ্যাপক ড. শামস রহমান বলেন, শিল্পখাতের চাহিদার নিরিখে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারছে না। তাই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষা-শিল্পখাতের সমন্বিত কার্যক্রম জরুরি।

আইসিএমএবি সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মাত্র ২০ শতাংশ তাদের দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি পেয়ে থাকে এবং প্রায় ২ মিলিয়ন শিক্ষার্থী বেকার রয়েছে। এ অবস্থা মোকাবেলায় কারিগরি শিক্ষার ওপর জোরারোপ ও সমাজের সকল স্তরের মানসিকতা পরিবর্তনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

তথ্যপ্রযুক্তি ও অটোমেশনের ফলে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে উদ্যোক্তাদের আরও সচেতনতা বাড়ানো, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নজরদারির জন্য একটি আলাদা জাতীয় কাউন্সিল স্থাপনের প্রস্তাব করেন এম সাব্বির আলী।

খান মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, দক্ষতা উন্নয়নে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা কারিকুলামের যুগোপযোগীকরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার জরুরি।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসরুর আলী বলেন, গ্রাম ও শহরের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষামানে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক স্তর থেকেই বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, তাই শিক্ষার সকল স্তরে মান নিশ্চিত করা জরুরি।

রাইসুল কবীর বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত ও মানসম্মত কাজের চাহিদা বাড়ছে। এর কারণে কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে ভবিষ্যতের চাহিদার নিরিখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ খাতের মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে।

মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি এম আবু হোরায়রাহ বিদেশে দক্ষ মানবসম্পদ প্রেরণের ওপর জোরারোপ করেন। যার মাধ্যমে আরও বেশি হারে রেমিট্যান্স আহরণ সম্ভব, সেই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণের ওপর তিনি জোরারোপ করেন।

এছাড়াও ডিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ জমশের আলী, স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক মীর শাহরুক ইসলাম প্রমুখ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



৭০ বছরের বৃদ্ধার ধর্ষণ ঘটনার বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় ৭০ বছর বয়সী নারী কে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায়  সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের গ্রেফতার করে  দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিতে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরীফ আল রাজীবের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় ৭০ বছর বয়সী নারী ছাগল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারীটি  গুরুতর অসুস্থ হয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নির্যাতিত নারীটি এখনও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে ধর্ষণের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে  স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

পুলিশ সুপার গ্রহণকালে মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে  কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। 

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি মাহফুজা খানম মিতা, সাধারণ সম্পাদক রিকতু প্রসাদ, লিগ্যাল এইড সম্পাদক নিয়াজ আক্তার ইয়াসমিন।

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি।



আরও খবর