Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম
হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধিনায়ক শান্ত-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ নীরবে বাগদান সারলেন ডুয়া লিপা

দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ২৭৭জন দেখেছেন

Image


নিউজ ডেস্ক:


ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন মার্কিন এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। 


বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তরে আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুল আলম এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।


গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটি তার প্রথম সফর। এ নিয়ে পঞ্চমবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু।



 গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল।


ডোনাল্ড লু’র এই সফরকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। তবে ডোনাল্ড লু’র এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।


সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের প্রথম দিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ও পরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। 


পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিন দিনের ঢাকা সফরের সময় ডোনাল্ড লুর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।


আরও খবর



দেশে আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়তেছে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

 দেশে করোনা সংক্রমণ আবারো বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা চালু হবে। যেসব হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে, শুধু সেখানেই শুরুতে এই সুবিধা মিলবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে প্রতিদিনই দেশে বাড়ছে করোনার নতুন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ। জনমনেও তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। ঈদের ছুটিতে থাকা ফাঁকা ঢাকায় করোনার সংক্রমণ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঈদের ছুটি শেষে জনসমাগম বাড়লে রাজধানীতে ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে তারা জানান, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গত এক সপ্তাহের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আক্রান্তের অধিকাংশই রাজধানী ঢাকায়। ঈদের ছুটি থাকার পরও ঢাকায় এমন সংক্রমণ বাড়ছে উদ্বেগও।

এদিকে ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন নগরবাসী। এতে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে ঢাকা। সাথে বাড়বে জনসমাগমও। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এতে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ার। তাই, ঢাকায় ফিরতি যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও জনসচেতনতা বাড়াতে এখনই সরকারি পদক্ষেপেরও জোর দিয়েছেন।

এদিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাব আছে সেখানে পরীক্ষা শুরু হবে বলেও জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ আজ বাসস’কে বলেছেন, যেসব হাসপাতালে আরটিুপিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেছেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে-তবে তা সীমিত পরিসরে। যাদের উপসর্গ থাকবে, তারাই পরীক্ষার সুযোগ পাবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর পক্ষ পাঠানো তথ্য থেকে জানা গেছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে তারাই শুধুমাত্র পরীক্ষার অনুমতি পাবেন।

হালিমুর রশীদ আরো বলেছেন, সংক্রমণের হার যদি আরো বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত একদিনে ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শতকরা হিসেবে অত্যন্ত উচ্চ শনাক্ত। এরইমধ্যে ৯ জুন থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে এবং বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশপথে হেলথ স্ক্রিনিং অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জনগণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের প্রত্যেকেই ঢাকা মহানগরী এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত ৯ জুন ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দু’জন। এর ফলে এই সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। 


আরও খবর



কোরবানির পশুর হাড় বিক্রি নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ২৪জন দেখেছেন

Image

পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭) 

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন- “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও।” (সুরা হজ, আয়াত :৩৪)

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল। কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ আছে কিনা?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- টোকাইরা  কোরবানির পশুর হাড় সংগ্রহ করে বিক্রি করলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; কাযীখান ৩/৩৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১)

কোরবানির মাংস, কোরবানির পশুর চামড়া, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে না। বিক্রি করলেও সেই টাকা সদকা করে দিতে হবে। হাদিসে এসেছে, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমাকে তাঁর (কোরবানির উটের) আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব।’ (বুখারি: ১/২৩২)


আরও খবর



গাইবান্ধায় আওয়ামীলীগ নেতা বারের সাবেক সভাপতি লাছু গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ জিল্লুর  রহমান 

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাড. আহসানুল করিম লাছুকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। লাছু গাইবান্ধা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ছিলেন। 

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুর ইসলাম তালুকদার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে আহসানুল করিম লাছুকে জেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।


আরও খবর



প্রথমবার এসি কেনার সময় যেসব বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার নতুন এসি কিনতে চাচ্ছেন। এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ। তবে সঠিকভাবে এসি ব্যবহারে খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। যারা নতুন এসি কিনবেন তারা বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এতে খুব ভালো মানের এসি যেমন কিনতে পারবেন। তেমনি আপনার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই কিনতে সুবিধা হবে। আসুন কোন বিষয়গুলো নজর রাখবেন দেখে নিন-

 সাইজ বা এসির মাপ বাছাই করুন প্রথমেই। আসলে এসির সাইজ নির্ভর করবে আমাদের ঘরের মাপের উপরেই। ছোট্ট ঘরের জন্য একটা ১ টন এসিই যথেষ্ট। আর বড় ঘরের জন্য আদর্শ হলো ১.৫ টন থেকে ২ টন এসি।

 ঘর ছোট্ট আকৃতির হলে উনন্ডো এসিই যথেষ্ট। আর এটি ইনস্টল করাও বেশ সহজ। কিন্তু বড় ঘরের জন্য আদর্শ হল স্পিল্ট এসি। আর এর থেকে আওয়াজও তেমন বেরোয় না।

এসি কেনার সময় এর স্টার রেটিং দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ ৫-স্টার রেটিং এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য তা বিদ্যুতের বিলের বোঝাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

 নিজের বাজেট অনুযায়ী এসির দাম ধার্য করা উচিত। এর পাশাপাশি ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আর এসি কেনার জন্য সব সময় অফারের জন্য অপেক্ষা করে যাওয়া উচিত। কারণ উৎসবের মরশুমে এসির উপর প্রচুর ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাওয়া যায়।

 ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে হবে। যা ভালো ওয়ারেন্টি এবং ভালো পরিষেবা প্রদান করতে পারে। ভবিষ্যতে এই বিষয়টিই নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

 বর্তমানে প্রায় সব এসিতেই একাধিক অ্যাডভান্সড ফিচার দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো ক্লিন এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার ইত্যাদি। নিজের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী ফিচার বেছে নিতে হবে।

 এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া আবশ্যক। এতে প্রোডাক্টের গুণমান এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫




জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

করিডোর ইস্যু ও সীমান্ত নিরাপত্তা ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো কার্যক্রমে সেনাবাহিনী কখনোই সম্পৃক্ত হবে না। সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের সহযোগিতায় দেশ ও জাতির স্বার্থে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলেও আশ্বস্ত করেছে সেনাসদর।

ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত একাধিক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ সময় করিডোর, কেএনএফ, সীমান্ত পরিস্থিতি এবং যৌথ অভিযানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকায় সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে করিডোর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর অবস্থান পরিষ্কার করে বলা হয়, এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এই বিষয়ে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ কিংবা মতপার্থক্য নেই। বরং, তারা ‘ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে’ কাজ করছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “এই দেশ আমাদের সবার। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সেনাবাহিনী কোনো আপস করে না। করিডোর ও বর্ডার পরিস্থিতি দুটি ভিন্ন বিষয়, এদের একসঙ্গে মেশানো অনুচিত।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের এক পোশাক কারখানায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর নামে প্রায় ৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তদন্ত চলছে—এই পোশাক কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং এর সঙ্গে অন্য কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “বম কমিউনিটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। সেক্ষেত্রে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কারা ব্যবহার করবে, তা খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না, বরং জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেনা কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে রাখাইন অঞ্চলের প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমারে কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের অস্তিত্ব বিলীন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুভমেন্ট অস্বাভাবিক নয়, তবে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি, করবও না। যতক্ষণ শরীরে শক্তি থাকবে, আমরা দেশের সীমানা রক্ষা করব। এই দেশ আমাদের সকলের।”

সীমান্তে আরসা বাহিনীর টহল নিয়ে তিনি বলেন, “অবশ্যই এটি উদ্বেগজনক। তবে আমরা সতর্ক এবং বিজিবি ও সেনাবাহিনী একযোগে কাজ করছে। পুশইন কোনোভাবেই কাম্য নয়, প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী সরাসরি মাঠে নামবে।”

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৭০৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র এবং ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানায়, মাদকবিরোধী অভিযানে আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০০ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী ও ডাকাতও রয়েছে।

ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চিংড়িতে জেলি মেশানো এবং ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব অভিযানের ফলে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন সেনা কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তারা আরও বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করবে”—এমন গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আলোচনাও হয়নি। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনী দুই সপ্তাহব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় টহল ও চেকপোস্ট বসানো হবে, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা হবে।


আরও খবর