Logo
আজঃ রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম
আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত! লস অ্যাঞ্জেলসের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের ‘নীলচক্র’ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বিতর্কিত মাদ্রিদ ডার্বি সাবেক সিইসি আবদুর রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি কাবিন পদক ঘোষণা ও কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১ আজ থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লকি ফার্গুসনের উপস্থিতি অনিশ্চিত পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

দিনাজপুরে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম, অধিক ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার ভুট্টার চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। শীতের প্রকোপ কম থাকা, সঠিক সময়ে বৃষ্টি এবং রৌদ্রের প্রখরতা না থাকায় ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।

দিনাজপুর আঞ্চলিক কৃষি অধিদপ্তরের ভুট্টা চাষ নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল হুদা আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর রবি মৌসুমে জেলার ১৩ টি উপজেলায় ৭৫ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৯৯ মেট্রিক টন ভুট্টা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৯ লক্ষ ৮ হাজার ২৬৬ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা নির্ধারণ করা হয়।

কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায়, এবারে জেলায় অনুকূল আবহাওয়া ও সুস্থ পরিবেশ চলমান থাকায় জেলা ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবারে রবি মৌসুমে মোট ৭৯ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ অর্জিত হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ফলল উৎপাদন হবে ৪৩ হাজার ৭৬৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ভুট্টা।

কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায়, গত বছর জেলায় ৭৫ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারে ৩ হাজার ৬৮৬ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, গত বছর জেলায় বাজারে প্রতি মণ কাঁচা ভুট্টা ৯'শত থেকে এক হাজার টাকা দরে কৃষকেরা বিক্রি করেছে। শুকনা ভুট্টা প্রতি মণ এক হাজার ২'শত থেকে এক হাজার ৪'শত টাকা পর্যন্ত কৃষকেরা বিক্রি করেছে। গত বছর ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় জেলায় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া বলেছেন, তিনি গত কয়েক দিন জেলার ১৩টি উপজেলার এবারে সরেজমিনে ভুট্টা চাষের বিষয় ঘুরে দেখেছেন। জেলার উঁচু জমিসহ নদীর ধারে চরগুলোতে ব্যাপক হারে কৃষকেরা ভুট্টা চাষ করেছে। জেলার নদীগুলোর দু'পাশে চরের  জমিতে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ভুট্টার ক্ষেতের মনোরম দৃশ্য ফুটে উঠেছে।

তিনি বলেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের পরামর্শে ভালো ফসল পেতে কৃষকরা ভুট্টা ক্ষেতের গাছের আগা ও পাতা ছেঁটে ফেলেছেন। যেন ভুট্টা গাছের ফলের গায়ে রোদের তাপ ভালো করে লাগতে পারে। এছাড়া ভুট্টা গাছের সব ধরনের পরিচর্যায় কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব মিলিয়ে এবার জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন অর্জিত হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগের সূত্রটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে দূরবর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলার আদর্শ কৃষক শামসুর রহমান জিন্না (৬৭) বলেন, ভুট্টা চাষে লাভ বেশি টেনশন কম থাকে। ধান চাষ করলে ধান ক্ষেতে যত ধরনের বালাই আক্রমণ মোকাবেলা করতে হয় এবং ধান কাটা শ্রমিকের সংকটের পাশাপাশি মজুরি বেশি। তাই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে অনেক বেশি লাভ হচ্ছে। তিনি বলেন ভুট্টা পরিপক্ক হওয়ার পর জমি থেকে ভুট্টার মশা নিষ্কাশন করে আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে সহজে মাড়াই করা যায়। তাই প্রতি বছর ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

দিনাজপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভুট্টার আবাদ। গত ৫ বছরে জেলা শহরে গড়ে উঠা ৫টি ফিড মিল স্থাপন করা হয়েছে। ওই সব মিলগুলোতে চাহিদা বেড়েছে ভুট্টার। ফলে ভুট্টার চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা আবাদে ঝুঁকেছেন ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সাধারণত নদীর ধারে পলিমিশ্রিত ঢালু জমি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। দীর্ঘদিন যে জমিগুলো অনাবাদি থাকত, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সেসব জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। তাছাড়া ভুট্টার আবাদ বাড়াতে সরকারি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকদের কৃষি প্রণোদন দেওয়া হচ্ছে।

চলতি রবি মৌসুমে এ জেলায় সাড়ে ১২ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ভুট্টার বীজ ও ২০ কেজি ডিএফপি ১০ কেজি এমওপি রাসায়নিক সারসহ প্রতিজন কৃষককে ৩০ কেজি করে সার সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি প্রণোদনায় এসব কৃষক ৫০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করতে পারছেন। ফলে কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  

সূত্র : বাসস


আরও খবর



সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংবিধান স্থগিত করে সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) লিডার আহমেদ আল-শারাকে দেশের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে সিরিয়ার বর্তমান এই ডি ফ্যাক্টো নেতাকে।

বাশার ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যান্য সামরিক গোষ্ঠীর কমান্ডার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বুধবার এক বৈঠকে শারা-কে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স এবং এএফপি। ‘সিরীয় বিপ্লবের বিজয়’ নামের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শারা নিজেও।

আহমেদ আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করার বিষয়টি সিরিয়ার নতুন ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) সরকারের সামরিক অপারেশন বিভাগের মুখপাত্র হাসান আবদেল ঘানি ঘোষণা দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে।

এ সময় আবদেল ঘানি দেশের সব সশস্ত্র গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, সব সামরিক গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবেক শাসনামলের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা ও বাথ পার্টি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তড়িৎ অভিযানে যোগ দেওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দামেস্ক বৈঠক শেষে এই ঘোষণাগুলো এসেছে। ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে আল-শারা সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আল-আসাদের অপসারণের পর আল-শারার হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপ সিরিয়ার প্রধান শাসক দল হয়ে ওঠে এবং বিদ্রোহীদের দখলকৃত ইদলিব প্রদেশে তারা আগে যে স্থানীয় সরকার চালাত তার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে।

 

আরও খবর

আলাস্কায় নিখোঁজ উড়োজাহাজের সবাই নিহত!

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিদায়বেলায় অঝোরে কাঁদলেন ইউএনও কোহিনুর আক্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

আবুল হোসেন গজারিয়া : বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অঝোরে কাঁদলেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তার বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে কাঁদেন তিনি।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কোহিনুর আক্তার। প্রায় এক বছরে ঝড় জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এ সময় অসহায় মানুষের মাঝে দ্রুত সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি নিজস্ব তহবিল থেকে উপহার পৌঁছে দিয়েছেন। নিজস্ব তহবিল থেকে গৃহহীন মানুষের জন্য নির্মাণ করেছেন আবাসন।

ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের অনন্য সাধারণ জায়গা। প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়েছে। তবে এখানকার মানুষের আন্তরিকতা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।

তিনি বলেন, এই উপজেলার প্রতিটি মানুষ ভালো থাকুক। আমার কর্মজীবনের সেরা সঞ্চয় আপনাদের ভালোবাসা। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে বদলিজনিত কারণে কোনো জেলায় বা উপজেলায় স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় সহকর্মী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অনেক রকমের সহায়তা আমি পেয়েছি। কাজ আদায় করার জন্য হয়তো কারও বিরাগভাজন হয়েছি।

কোহিনুর আক্তার আরো বলেন, অনেক সময় ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচকভাবে মানুষকে উপস্থাপন করা হয়। খোলা চোখে সব কিছু দেখা যায় না। চোখের আড়ালেও অনেক কিছু থাকে। তবে নিজের অজান্তেও যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, কারও প্রতি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। গজারিয়ার মানুষ খুব আন্তরিক। আমি কোনোদিন তাদের ভুলতে পারব না।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মামুন শরীফের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ, একটি বাড়ি একটি খামার কর্মকর্তা মো: আমানুল্লাহ, দারিদ্র্য বিমোচনকর্মকর্তা মো: মনির হোসেন, এলজিইডির প্রকৌশলী মো: সামিউল আরেফিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আবু সাঈদ মল্লিক, উপজেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা, উপজেলা তথ্য আপা, উপজেলা হিসাবরক্ষক আশরাফুল আলম, মহিলা বিষয় কর্মকর্তা, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নেয়ামুল হক নয়ন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হোসেন, সহ উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে ইউএনও কোহিনুর আক্তার কে বিদায় জানান।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




কোকোর ১০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আশুলিয়ায় দোয়া ও মিলাদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল মনির : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আশুলিয়ায় দোয়া ও মিলাদ করেছেন থানা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (২৪ শে জানুয়ারি ২০২৫)  বিকালে আশুলিয়ার বগাবাড়ি  মারকাজুত তাজবিদ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা কিন্ডারগার্টেনের হল রুমে এই দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। 

এসময় আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। 

ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ইসমাইল হাবিবের উপস্থিতিতে এই দোয়া মিলাদের আয়োজন করেন আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক এসআই আলামিন, আশুলিয়া ছাত্রনেতা  শাহীন আকন্দ, মারুফ ও নিলয় সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

দোয়া ও মিলাদের মুনাজাত পরিচালনা করেন, বগাবাড়ি কেন্দ্রীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মোঃ আমিনুল ইসলাম 

প্রসঙ্গত: আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তিনি ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৯ সালে জিয়াউর রহমান সপরিবারে ঢাকায় চলে এলে কিছুদিন জয়দেবপুরে থাকার পর বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় বাস করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন কোকো। এছাড়া ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ব্যাংককে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানেই সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শর্মিলা রহমান তাবাসুম, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে রেখে যান। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ইন্তেকাল করেন ক্রীড়া সংগঠক কোকো।


আরও খবর

শেরপুরে র‌্যাবের হাতে হেরোইনসহ আটক- ১

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




‘শুল্ক ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতির বিদ্যমান এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধিসহ বেশকিছু পণ্যের কর হার বৃদ্ধি এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর উদ্যোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।


শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক উপস্থাপনকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।



তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সংকটময় মুহূর্ত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো- সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ পেতে প্রতিবন্ধকতাসহ উচ্চ সুদহার।


সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ অর্থনীতির ১১টি বিষয়বস্তুর ওপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআইর কর্মপরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।


এ সময় তিনি জানান, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে বাধা ও সুদের উচ্চহার, উচ্চ শুল্ক হার, ভ্যাট হার বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রভৃতি কারণে দেশের বেসরকারি খাত এমনিতেই বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।


তিনি জানান, এ বছর ঢাকা চেম্বার সুদের হার কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার ওপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করবে।


তিনি বলেন, সিএসএমই খাতে ঋণ প্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ পায়, তা নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে।


অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কারের উদ্যোগের বিষয়ে তাসকীন আহমেদ বলেন, সরকার দ্রুত এ সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করবে, বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে এটি আমরা প্রত্যাশা করছি।


তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।


নীতির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সহায়ক কর কাঠামো প্রাপ্তি সাপেক্ষে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন, সেক্ষেত্রে হঠাৎ মাঝপথে কর কিংবা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে- যা মোটেই কাম্য নয়। ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়, যা মোটেই কাম্য নয়।


এলডিসি উত্তরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিকভাবে মোটামুটি সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছিলাম তবে কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা পরবর্তী পট-পরিবর্তনসহ আর্থিক খাতে তারল্য সংকটের ফলে এলডিসি উত্তরণ মোকাবিলার প্রস্তুতি বেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।


তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মাঝে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে। বিষয়টি যদি পেছানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এলডিসি উত্তরণে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে এবং এ লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প নেই। তবে মনে রাখতে হবে, ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি উত্তরণ হলে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।


এমনিতেই আমাদের জিডিপিতে করের অবদান বেশ কম। এরূপ পরিস্থিতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধনের কোনো বিকল্প নেই বলে ডিসিসিআই সভাপতি মত প্রকাশ করেন এবং সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময়মতো প্রকল্প সমাপ্তিতে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আ. লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। সেই আওয়াজ আমরা ওঠাচ্ছি। আমরা তাদের এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিচার দাবি করছি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগকে একদিকে চাবেন তারা রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হোক আবার আপনারা তাদের বিচার করবেন না, পুলিশ দিয়ে তাদের কর্মসূচি বাধা দেবেন, এত স্ববিরোধিতা ঠিক নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জন্য মাঠে নামতে দেবেন না, মানি, সমর্থন করি কিন্তু এভাবে কতদিন রাজপথে পুলিশ দিয়ে ঠেকাবেন? আপনারা বলবেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চাই না, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না কিন্তু কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? আইনি কোনো পদক্ষেপ কি এই সরকার নিচ্ছে? না।

তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম, সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। সে অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইন সংশোধন করার দাবি জানিয়েছিলাম, এই দেশের মানুষ দাবি জানিয়েছিল। এই সরকার অধ্যাদেশ এবং আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু হঠাৎ করে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, এটা করা যাবে না। কেন?

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হোক আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না। সংবিধানে বিধান সংযোজন আছে সে অনুযায়ী আপনারা আইন করুন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কাউকে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাদের বিচার হচ্ছে সেই বিচারে হয়তো অবজারভেশন আসবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিষয়ে, সেটা অত্যন্ত দুর্বল অবজারভেশন হবে। তখনো আপনাদেরকে প্রশাসনিক আদেশ দিতে হবে, আইন প্রণয়ন করতে হবে সেই অবজারভেশনের নিরিখে। এখন যদি আপনারা সোচ্চার হন বিচারের জন্য, বাংলাদেশের মানুষ চায় বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী রাজনীতি একদম নির্মূল হয়ে যাক সেই ব্যবস্থা আপনারা নিতে পারেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের মধ্যে সে রিপোর্ট আসবে কি না, জানি না। তবে নিশিরাতের বিচারকদের বহাল রেখে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে চূড়ান্তভাবে স্বাধীন করা যাবে কি না, আমার সন্দেহ আছে।


আরও খবর